অভিনয়
এই নিলা দেখছিস ছেলেটা কত কিউট...(তিশা)
নিলাঃদেখ তিশা আমার বয়ফ্রেন্ড আছে আর আমি আমার বয়ফ্রেন্ডকেই ভালোবাসি এখন কোন ছেলে।কিউট কোন ছেলে স্মার্ট সেটা দেখার আমার কোনো সময় নেই..
তিশাঃআরে এতো রাগছিস কেনো ছেলেটা সত্যি কিউট একটু তাকিয়ে দেখনা??আরে তোর রাফির থেকে বেশি কিউট..
তিশা কথায় নিলা অনেকটা বিরক্ত নিয়েই ছেলেটার দিকে তাকালো...
নিলাঃহ্যা কিউট তাতে আমার কি?আর শোন তুই আমার রাফিকে একদম টানবি না বলে দিলাম..
আমার রাফিও অনেক কিউট শুধু আমি রাফিকে বেশি ভাব ধরতে দেই না,,তাই রাফিকে একটু ক্ষেত ক্ষেত লাগে কিন্তু ও এই ছেলের থেকে বেশি কিউট..
তিশাঃশোন তোর রাফি যদি ভাবের ভাব ও নেই না তাও এই ছেলের ধারের কাছেও যেতে পারবে না..
নিলা;আচ্ছা যেতে পারবে না সেটা মানলাম কিন্ত্ তুই হঠাৎ এই ছেলেকে নিয়ে পড়লি কেনো
তিশাঃসেটা জানিনা কেনো পড়লাম কিন্তু এই ছেলেকে নিয়ে যতবেশি বলছি ততই আমার ভালো লাগছে
নিলাঃআমার তো মনে হচ্ছে তুই ছেলেটার প্রেমে পড়ে গেছিস..
তিশাঃআরে সেইসব কিছুই নারে..দেখ না ছেলেটার গাল দুটো কি গুলু গুলু মনে চাচ্ছে একটু টেনে দেই
আর ঠোট দুটো দেখ একদম স্টবেরি
নিলাঃআরে বাহ এতো কিছু যা না যা একটু টেস্ট করে আয়..
তিশাঃচুপ কি বলছিস এইসব বেয়াদবের মতো..
তবে আমার মনে হচ্ছে আমার লাইফে ভালোবাসার আগমন ঘটতে চলেছে..
নিলা;আচ্ছা তাহলে চল যাই ছেলেটাকে গিয়ে প্রপোজ করে আসি..
তিশাঃধুর সেটা কিভাবে হয়?প্রথম দেখাই প্রপোজ আগে ছেলেটার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে আর এতো কিউট ছেলের গার্লফ্রেন্ড থাকতে পারে তাই আজ প্রপোজ করলে যদি রিজেক্ট করে দেই তাহলে তো আমি ছ্যাকা খাবো তাই আজ প্রপোজ করবো না কিন্তু এইই ছেলের নাম আর ঠিকানা আমাকে নিতেই হবে
নিলা;তার মানে কি?তুই এখন ছেলেটার কাছে যাবি নাকি কথা বলার জন্য??
তিশাঃহ্যা যাবো তুই আসলে
আসতে পাড়িস আর যদি না আসিস তাহলে আমি একাই যাবো..
নিলা;আরে না আমি যাবো তো তোর সাথে তোর কিউট বালক কি বলে..
তিশা আর নিলা ছেলেটার কাছে চলে গেলো..
দূর থেকে ছেলেটা দেখতে যত না কিউট কাছ থেকে তার থেকে বেশি কিউট..
তিশা আর নিলা ছেলেটার পাশে দাঁড়ালো
তাদের দেখে ছেলেটা একটু সরে গেলো..
নিলাঃকিরে তিশা কিছু বল..
তিশাঃকি বলবো কিভাবে শুরু করবো কিছুই তো ভেবে পাচ্ছি না..
নিলাঃআরে ছেলেটার সামনে যাবি চুল গুলো ঠিক করবি তারপর হাত বাড়িয়ে বলবি হাই আমি তিশা তুমি দেখতে অনেক কিউট একদম কমলালেবুর মত তুমি..
তিশাঃধুর এটা আবার কেমনন প্রশংসা হলো??
নিলাঃতাহলে বলবি আমি তিশা তোমাকে আমার মনের মধ্যে রাখতে চাই থাকবে..
তিশাঃআরে এটাও কেমন জানি লাগে আমার কাছে..
নিলাঃতাহলে বলবি এই ছেলে তোকে আমার ভালো লাগছে আমার সাথে প্রেম করবি?
তিশাঃআরে রাখতো তোর আজাইরা প্যাঁচাল আমি আমার মতে করে বলবো তুই শুধু আমার সাথে থাকবি
নিলাঃআরে তুই আমার প্রেমের সময় আমাকে সাহায্য করেছিলি আমিও করবো আমি আছি তোর সাথে..
তিশা ছেলেটার সামনে দাঁড়ালো..
তারপর কিছু মনে না করলে তোমার নাম জানতে পারি??
ছেলেটা কোনো উত্তর দিলো না..
তিশা;এই শুনতে পাচ্ছ আমি কি তোমার নাম জানতে পারি?
ছেলেটা কোনো উত্তর না দিয়ে একটু সাইডে চলে গেলো..
তিশাঃআরে আমি জানি তুমি কিউট তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে আমি সেটাও জানি কিন্তু এতো ভাব দেখানোর কি আছে?আমি জাস্ট শুধু তোমার নাম জানতে চাচ্ছি আর কিছু না..
ছেলেটা এর পরেও আর কোনো উত্তর দিলো না..
কতক্ষণ পর তাদের মাঝে আরো একটি মেয়ে আসলো..
এসে বললো এই ভাইয়া আমার হয়ে গেছে চল আমরা বাসাই যাবো চল
এই বলে মেয়েটা ছেলেটাকে নিয়ে গাড়িতে করে চলে গেলো..
তিশা শুধু রাগে ফুঁসছে এইভাবে নিলার সামলে অপমানিত হতে হলো..তবে ব্যাপার না এইই রকম ছেলেরা এমনি হয়..
তিশা লক্ষ্য করলো নিলা কিছু একটা ভাবছে..
কিরে নিলা এতো কি ভাবছিস..
নিলাঃভাবছি মেয়েটাকে আমি কোথায় যেনো দেখেছি..
তিশাঃএই বল বল কোথায় দেখেছিস যদি আবার দেখা পাই তাহলে ওর থেকেই ওর ভাইয়ার সব খবর নিতে পারবো..
নিলাঃহ্যা মনে পড়েছে একবার আমি রাফির সাথে ওর ছোট ভাইয়ার কলেজে গেছিলাম সেখানে ওর ভাইয়ার সাথে দেখেছি..
তিশাঃতাহলে তো হয়েই গেলো আমরা কলেকেই অই কলেজে যাচ্ছি আর সব খবর বের করছি..
নিলাঃসেটা নাহয় গেলাম,,কিন্তু জানিস তিশা ছেলেটাকে আমার স্বাভাবিক মনে হলো না..
তিশাঃসে যেমনি হোক অবিবাহিত হলেই আমার চলবে..
পরদিন তিশা আর নিলা মিলে রাফির ছোট ভাইয়ের কলেজে গেলো..
তারপর অনেক খুঁজে কালকেই সেই মেয়েটাকে বের করলো..
তিশাঃএই আপু শুনছ..
মেয়েঃহ্যা আপু আমাকে বলছেন??
তিশাঃহ্যা তোমাকে বলছি..
মেয়েটা তিশার কাছে আসলো..
মেয়েঃহ্যা আপু বলুন?
তিশাঃতোমার নাম কি?
মেয়েঃজি আমার নাম রাত্রী..আর আমার বয়ফ্রেন্ড আছে তাই যে আপনাদের পাঠিয়েছে তাকে গিয়ে বলুন আমার কথা ভুলে যেতে..
তিশাঃএই একদম মারবো টেনে একচর এইটুকু বয়সে প্রেম..আর এতো বেশি বুঝো কেনো?আর শুনো আমি কারো জন্য তোমার কাছে আসেনি তোমার কাছে এসেছি কিছু খোব খবর নিতে..
রাত্রীঃহ্যা বলুন কি..
তিশাঃকালকে অই ফটো স্টুডিও থেকে যে একটা ছেলের সাথে গাড়ি করে চলে গেলে ছেলেটা তোমার ভাইয়া তাই না??
রাত্রীঃহ্যা আমার ভাইয়া কিন্তু সেটা জেনে আপনি কি করবেন?
তিশা;তোমার ভাইয়ার নাম কি?
রাত্রীঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন..
তিশাঃআচ্ছা রাত্রী একটা পারসোনাল কথা জিজ্ঞাস করবো..
রাত্রীঃকি?
তিশাঃতোমার ভাইয়া কি বিয়ে করেছে?
রাত্রীঃনাহ
রাত্রীর কথা শুনে তিশা আনন্দে আত্নহারা হয়ে গেলো..
তিশাঃআচ্ছা আমি যদি তোমার ভাইয়ার বউ হই তবে ভাবি হিসেবে আমি কেমন হবো..
তিশার কথা শুনে রাত্রীর মুখ কেমন জানি ফ্যাকাসে হয়ে গেলো..
তিশাঃকি হলো রাত্রী তুমি কিছু ভাবছ??
রাত্রীঃআসলে আপু আমার ভাইয়া কথা বলতে পারে না..
রাত্রীর কথা শুনে এইবার তিশার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো..কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার হেসে বললো কথা বলতে পারে নাতো কি হয়েছে আমি তোমার ভাবি হতে চাই তোমাদের বাসার ঠিকানা দিবে আমাকে??
রাত্রী;কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হবে না আমার ভাইয়া বিয়ে করবে না..
তিশাঃকেনো বিয়ে করবে না কেনো?
রাত্রীঃআসলে আমার ভাইয়ার জীবনে কিছু ভয়াবহ অতীত আছে সেটা কিছুতেই ভাইয়া ভুলতে পারে না..
তিশাঃআচ্ছা আমাকে বলবে কি এমন অতীত?
রাত্রীঃআমার বলতে কোনো অসুবিধা নেই কিন্তু সব জেনে তুমি কি করবে
তিশাঃসেইসব পরে বলবো আগে তুমি বলো..
তারপর রাত্রী শুরু করলো..
আসলে আমার ভাইয়াকে যেমন দেখছ তেমন না..একজন স্বাভাবিক মানুষ ছিলো আমার ভাইয়া কথা বলতো হাসতো কিন্তু হঠাৎ সব এলোমেলো হয়ে গেলো..
আসলে আমার ভাইয়া একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসতো.?
নাম ছিলো অধরা..
অধরা আপুটা আমার ভাইয়াকে অনেক ভালোবাসতো..৫বছরের রিলেশন ছিলো তাদের এই ৫বছরে ঝগড়া করেও কেও ১মিনিটের জন্য আলাদা হয়নি//কেও কাওকে ছাড়া থাকতে পাড়তো না..
সব সময় কথা বলতো ঘুরতে যেতো আরো অনেক কিছুই করতো ছোটখাটো একটা সংসার বলতে পারো তুমি..বেশি কিছু বলবো না আমার ভাইয়ার এই অবস্থা কি করে হলো সেটা বলছি বরাবরের মতো ভাইয়া আরর অধরা আপু ঘুরতে বের হয়েছিলো..অধরা আপু জেদ করেছিলো পাহাড়ি রাস্তায় ঘুরতে যাবে ভাইয়া না করেছিলো কিন্তু আপু শুনেনি..
তাড়া ঘুরতে গেলো..যেহেতু ভাইয়া পাহাড়ি রাস্তা সম্পর্কে তেমন অবগত ছিলো না তাদের গাড়ি এক্সিডেন্ট করে..
হ্যা সেদিন আমার ভাইয়া ভাগ্যক্রমে বেচে গেলেও অধরা আপুর মৃত্যু ভাইয়া নিজের চোখে দেখেছিলো
অনেক চেষ্টা করেও অধরা আপুকে বাঁচাতে পারেনি
অধরা আপুর মৃত্যুর পর ভাইয়া কেমন জানি হয়ে যেতে থাকে একদম
একা হয়ে যায় কারো সাথে কথা বলতো না সময়মত খেত না সারাক্ষণ ফোন নিয়ে বসে থাকতো..
প্রথমে ভাইয়া খুব কম কথা বলতো..
আব্বু আম্মু ভাবছিলো অধরা আপুর রেখে যাওয়া সৃতি গুলোর কারণে ভাইয়া কিছু ভুলতে পাড়ছে না
তাই একদিন সব কিছু মানে অধরা আপুর দেওয়া গিফট তাদের সব ছবি পুড়িয়ে ফেলছিলো যখন ভাইয়া সেটা দেখলো ততক্ষণে অনেক কিছুই পুড়ে গেছি কিন্তু প্রায় জিনিস আধা পোড়া ছিলো..
সেই সব গুলো ভাইয়া যত্ন করে রেখে দিছে আর ভাইয়া কেনো জানিনা সেদিন থেকে কোনো কথা বলেনা..
আর মজার ব্যাপার কি জানো ভাইয়াকে বিয়ে দেবার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু ভাইয়া কোনো মেয়ের দিকে ফিরেও তাকায়নি..!
যখনি বিয়ের করা বলা হয় অধরা আপুর ছবি বের করে কি কি যেনো ভাবি আর মনে হয় ছবির সাথে অনেক কথা বলছে.
আরে আরে আপু তুমি এমনভাবে কাঁদছ কেনো?রাত্রী?
রাত্রীর কাছ থেকে সব কিছু শুনে তিশা কান্না করে দিয়েছে
১ পর্ব....
সম্পূর্ণ গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন=
--------------------------------------------
https://banglalovestory247.blogspot.com/
Tags:
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন