গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚
এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে।
মা: ফারুক এদিকে আয়। তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই তোর খালার বাসায় জাবি
আমি : না মানে আম্মু
মা : না মানে কি জাবি কি না তুই?
আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম)
তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য।
সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে। ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি।
বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।
কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।
একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার করে কেবল প্রেমে পরলাম আর সাথে সাথেই ছ্যাকা😡,আমার নিজের এলাকায় হলে ছেলেতাকে এতক্ষণে একদম মেরেই ফেলতাম মনে হয়। 😠😡
খালামনিদের বাসায় চলে আসছি এবার দরজায় নক করলাম।খালামনি দরজা খুলে হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুখন পর আমাই জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো। আমিও আর নিজেকে চেক দিতে পারলাম না।আমিও কেদে ফেললাম😭😭😢😭।
খালামনি: এত দিন পর আমাদের কথা মনে পরল। আজ ৬ বছর পর তর আমাদের কথা মনে পরল।এর মধ্যে তোর মা কতবার এখানে আসছে। কিন্তু তুই কেনো আসিস নি বাবা।কি করে আমাকে ভুলে থাকতে পারলি। আমার তো তোর কথা খুব মনে পরে, শোন তোকে আমি আর যেতে দিব না তুই আমার কাছে থাকবি আমার ছেলে হয়ে। কি থাকবি না।
আমি শুধু মাথা নারিয়ে হ্যা বুঝালাম। কি করবো এতো ভালোবাসা ফেলবার সাধ্য আমার নাই।
খালামনি : তুই তো অনেক দুর থেকে এসেছিস ফ্রেস হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি।
আমি :আমি এখন খাব না একটু রেস্ট নিব।
খালামনি: আচ্ছা, এখন এই রুমে যা। আমি তোর রুম টা রেডি করার ব্যাবস্থা করছি।
রুমে ঢুকে সোজা ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসলাম কিন্তু একি এতো সুন্দর বেডরুম কারো হয়😯😧। বিছানাটা এতো সুন্দর।এটা মনে হয় আমার খালাতো বোন অধরার রুম। ১০০% অধরার রুম।এতো সুন্দর পরিপাটি বেডরুম আমি এর আগে কখনো দেখি নাই। আহ আমি যদি খালামনির মেয়ে কে বিয়ে করতাম তাহলে এই রুম টা নিশ্চয় আমার হত🙂,,,, ধুর কি সব ভাবছি আমি,,,,।
কিন্তু আমার সুইট কিউটের ডিব্বা খালাতো বোনটা কই😏।বাসায় নাই হয়তো।কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানি না।
ঘুম ভাংলো কারো চেচামেচিতে।
অধরা: অই তুই কেরে আমার রুমে তাও আমার বিছানায় শুয়ে আছিস😠।আমার বিছানা এলোমেলো করে ফেলছিস।তোর এতো বড়ো সাহস। আম্মু আম্মু এটা কে আমার রুমে ঢুকে আমার বিছানা এলোমেলো করে ফেলছে। এর এতো বড়ো সাহস আমার শুয়েছে। অর এত্তো বরো সাহস আমার বিছানায় শোয়😡😡।
তাকিয়ে আছি সুধুই তাকিয়ে আছি😍।এটাতো সেই মেয়ে যাকে আসবার সময় প্রথম দেখে প্রথম প্রেমে পড়েছি। হ্যা এখনতো একেবারেই ভালোবেসে ফেলেছি😘। আর এখন তো আমি আরো শেষ😘😘😘।
খালামনির কথায় বাস্তবে ফিরলাম।
খালামনি: আরে কি হয়েছে কি এখানে।
অধরা ঃ এইটা কে আমার রুমে তাও আবার আমার বিছানায়😡😠।
খালামনি ঃ মানে কি চিনতে পাচ্ছিস না! আগে তো( ছোট বেলায়) সব সময় দু'জন সারা দিন দুস্টামি করতি একজন আরেকজনকে ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে পারতি না । আর ও অনেক জার্নি করে আসছে তাই তোর বিছানায় একটু ঘুমিয়েছে,, ছোট বেলায় তোরা দুজনে একসাথে ঘুমাতি, দুজন জরাজরি করে। ( আন্টি ভালো করেই জানে ছোটবেলা থেকেই অধরা একটু বেশিইই রাগি। বেশি না অনেক বেশি রাগি।
খালামনির কথা সুনে তো আমি লজ্জায় শেষ। তাকিয়ে দেখি অধরা লজ্জায় লাল হয়ে আছে। আর তা দেখে আমি পাগলের মতো তাকিয়ে আছি অধরার দিকে ।নিজেকে কন্ট্রোল করতে পাচ্ছি না। এতো সুন্দর কাজল কালো চোখ এতো সুন্দর চোখ গুলো, আমি কি বলবো ওর সব কিছুতেই তো কেমন নেশা নেশা একটা ভাব।
আমিতো কখনো নেশা করিনাই। নেশা করলে কি এমন হয় 🙄।ধুর ছাই কি ভাবছি এসব।
অধরা এতো সুন্দর হয়ছে।ইশ আগে যদি জানতাম অনেক আগেই এখানে আসতাম। কেনো যে এখানে আসতে এতো দেরি করলাম। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম বিয়ে যদি করতেই হয় অধরাকেই করব। প্রয়োজনে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করব।তবুও অধরাকেই আমার বউ করবো।
এইসব ভাবছি আর অধরার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি🙂। (ঘোর কাটলো অধরার ডাকে)
অধরা ঃএই এইভাবে কি দেখিস (আমি আবার ক্রাস খাইলাম এতো সুন্দর ভয়েস)
নাহ অধরাকে আমার করতেই হবে। কিন্তু অই ছেলে টা কে ? যাকে আমি অধরার সাথে দেখেছি।না আর ভাবতে পারছি না। অধরাকে জিগ্যেস করে দেখি সত্যি টা বলে কিনা🤔।
এই সব ভাবতে ভাবতেই দেখি অধরা খাবারের প্লেট নিয়ে রুমে চলে আসছে,,,।আমি ফোনে সময় দেখলাম
৬ঃ৩০ মানে এখন সন্ধা,,,
আমি ঃ অধরা একটা প্রশ্ন করি।
অধরা ঃকি
আমি ঃওই ছেলেটা কে🙄?
অধরা ঃ মা – মা -নে, মানে কি কোওওন ছেলেটা?
আমি ঃ আসার সময় তোর সাথে যেই ছেলে টা কে তোর সাথে দেখলাম😞!!!
অধরা ঃকই ওহ ও ও ওটাতো আমার ফ্রেন্ড হয়🙄🙄। (কিছুটা ভয় পেয়ে)
ঠিকমতো মিথ্যা টাও বলতে পারে না,,, দেখি পুরনো আইডিয়া ব্যবহার করে কাজ হলেও হতে পারে।
আমি ঃ (কিছুটা আবেগি হয়ে অধরার হাত ধরে) ছোট বেলায় তুই আমার কত্ত ভাল বন্ধু ছিলি।এক্কেবারে আমার কলিজার বন্ধু ছিলি--যদিও ছোটবেলার কথা আমার মনে নাই।😃) আমার সাথে সব কিছু শেয়ার করতি
অধরা ঃ মানে সত্যি বলতে অইটা তো আমার বয়ফ্রেন্ড ছিলো।( হুমমমমমমমম আইডিয়া কাজ করেছে)
আমি ঃ কিহ😕 (চিৎকার করে)
বিছানা থেকে নেমে অধরার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর অধরা পিছনে যাচ্ছে আস্তে আস্তে ও দেয়ালের গায়ে ধাক্কা খেলো,,,,, পালাবার জায়গা শেষ। আমার দুই হাত দিয়ে অধরার দুই হাত ঠেস দিয়ে ধরলাম যেনো আমাকে মারতে না পারে ওর যা রাগ।
অধরা একদম লাল হয়ে যাচ্ছে, আর আমি ওর প্রেমে পাগল হয়ে যাচ্ছি,,,, আস্তে আস্তে আমার মুখ টা অধরার ঠোঁটের দিকে যাচ্ছে। আমি এখন অধরার নিস্বাস এর শব্দ শুনতে পাচ্ছি,,
অধরা ঃ কি করছিস তুই। মার খাবি কিন্তু তুই।
আমি ঃ মার। আমি তো তোর মার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছিই।।কিন্তু জান পাখি তুই যে প্রেম করিস এটা খালামনি জানে??
অধরা আরও ভয় পাচ্ছে। আমি আরও কাছে থেকে ওর নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। সেইসাথে ওর হার্ডবিট অনেক বেড়ে গেছে। শ্বাস প্রশ্বাস আরও বেড়ে গেছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
Part-----1
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন