সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প :- পাড়ার বড় আপু যখন বউ পর্বঃ ০৮ শেষ

 

গল্প :- পাড়ার বড় আপু যখন বউ
পর্বঃ ০৮ শেষ


* আমি তো ভাবছিলাম তুমি আমাকে ভালোবাস। কিন্তু তুমি যখন আমাকে ভালোবাস না তাহলে কি আর করার । আমি দিশার কাছে যাই মেয়েটা কি ভালো রাগ করে না । প্রতিদিন একটা করে কিস দেয় (আমি)
* কি বললি ! দিশা তোকে কিস দেয় এত বড় সাহস ওর ৷ (রিমঝিম আপু)
* তুমি রাগ করছো কেনো ? তুমি তো আমাকে ভালোবাস না ৷ (আমি)
রিমঝিম আপু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না ৷ তারপর উল্টো দিক হয়ে শুয়ে পড়লো ৷
আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম ৷


রিমঝিম আপু নিজেকে ছারা বার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না ৷
* এত রাগ কোথা থেকে আসে তোমার। আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাস । তোমার আব্বু আর ভাইয়া আমাকে সব বলেছে বুঝলা ঢং করে লাভ নাই ৷ (আমি)
আমি রিমঝিম আপুকে ছেরে দিলাম ৷


* কি হলো কথা বলবা না। ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি (আমি)
রিমঝিম আপু আমার দিকে ঘুরে আমাকে জড়িয়ে ধরলো ৷
* খুব ভালোবাসি তোকে নিজের থেকেও বেশি কেন বুঝিস না তুই ? (কান্ন করতে কর‍তে রিমঝিম)
* তুমি তো আমাকে বলছিলা তোমার আর রনির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে (আমি)
* সেটা তো তোর মুখ থেকে শুনার জন্য যে তুই আমাকে ভালোবাসিস । ওটা শুধু একটা নাটক ছিলো ৷ (রিমঝিম আপু)


* জানো যেদিন রনি আমাকে বললো যে তোমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সেদিন মনে হচ্ছিল সারাজীবনের জন্য কিছু একটা হারিয়ে যাচ্ছে ৷ খুব কষ্ট হয়েছিলো সেদিন । (আমি)
* তাহলে বললি না কেনো ( রিমঝিম আপু)
* যদি তুমি ছেরে চলে যেতে ৷ (আমি)
রিমঝিম আপু আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ৷
* কোনোদিন তোকে যেতে দেবো না ৷ তুই চাইলেও না ৷ (রিমঝিম আপু)
* ওহ তাই বুঝি ! (আমি)


* হুম তাই ৷ আব্বু কি বললো (রিমঝিম আপু)
তোমার আমার বিয়ে ঠিক করছে ৷ (আমি))ঙ
* সত্যি (রিমঝিম আপু)
* হুম । এখন একটা কিস দেও ৷ (আমি)
* না বিয়ের পর দিবো ৷ (রিমঝিম আপু)
* ঠিক আছে আমি দিশার কাছে যাই ওর ঠোঁট দুটো কি মিষ্টি ৷ (আমি)
* কি বললি দিশা তোকে কিস করছে ৷ কই কিস করছে বল ৷ (রিমঝিম আপু)
* আমার ঠোঁঁটে (আমি)


রিমঝিম আপু তার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিলো ৷ অনেক্ক্ষণ পর ছেরে দিলো ৷
* তোর ঠোঁটে শুধু আমার ছোয়া থাকবে আর কারো না আর ওই মেয়েকে আজ আমি জেলে দিবো ৷ ( রিমঝিম আপু)
* আরে আরে আমি তো মিথ্যা বলছি দিশার সাথে আমার কিছুই হয় নি ৷ (আমি)
* কুত্তা, বাদর আমাকে কষ্ট দিয়ে ভালো লাগে তোর তাই না ! (রিমঝিম আপু)
* আরে আপু আমি আবার কি করলাম ?(আমি)
* ঠাস,, আপু কাকে বললি ৷ (রিমঝিম আপু)


* সরি সরি সরি আর বলবো না ৷ (আমি)
* হুম মনে থাকে জেনো ৷ (রিমঝিম)
* এখন উঠো চলো খাওয়া দাওয়া তো মনে হয় করো না । শরীরের কি অবস্থা করেছো (আমি)
* না উঠবো না এভাবেই শুয়ে থাকবো ৷ (রিমঝিম)
* আচ্ছা আমি তুমি শুয়ে থাকো আমি নিচে থেকে খাবার নিয়ে আসছি ৷ (আমি)
* লাগবে না । চুপচাপ শুয়ে থাক ৷ (আমাকে জড়িয়ে ধরে)
রিমঝিম আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে ।


আর আমি পুরোনো কথা গুলো মনে করে হাসতিছি। কি থেকে কি হয়ে গেলো ৷
সময় বড় অদ্ভুত কার কপালে কি লেখা আছে কেউ বলতে পারে না ৷
* আর কতোক্ষন শুয়ে থাকবা এবার তো উঠো ৷ (আমি)
* বললাম তো উঠবো না ৷ (রিমঝিম)


আমি রিমঝিম আপুকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলাম তারপর রিমঝিম আপুকে কোলে তুলে নিয়ে নিচে নিয়ে আসলাম ৷ কেউ দেখার আগে নামিয়ে দিলাম ৷
* কিছু খেয়ে নেও (আমি)
* পারব না খেতে খাইয়ে দে (রিমঝিম)
* আচ্ছা দারাও। আমি রিমঝিম আপুর আম্মুকে ডাক দিলাম ৷ একটু পর তিনি আসলেন
তারপর খাবার বেরে দিলেন ৷
রিমঝিম আপু রুমে চলে গেছে ৷ আমি খাবার নিয়ে রুমে আসলাম ৷ রিমঝিম বসে আছে ৷
* কি হলো চলে আসলা যে ? (আমি)
* এমনি খাইয়ে দেও ৷ (রিমঝিম)


আমি রিমঝিম আপুকে খাইয়ে দিলাম ৷
খাওয়া শেষ করে রিমঝিম আপুকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলাম ৷ আজ আমি খুব খুশি ৷
কিন্তু আব্বু আম্মু থাকলে আরো ভালো হতো ৷
সন্ধ্যায় রিমঝিম আপুকে বাসায় রেখে চলে আসলাম ৷ পরেরদিন সকালে রিমঝিম আপু ফোন দিয়ে তাদের বাসায় ডাকলো ৷


যাওয়ার পর দেখি সবাই বসে আছে ৷
* রিয়াদ রিমঝিম চাইছে তোমাদের বিয়েটা কালকেই হোক ৷ (রিমঝিমের আব্বু)
* কিন্তু আংকেল এত তারাতাড়ি আর আমি তো এখনো পড়ালেখা করি । (আমি)
* সেটা আমিও ওকে বললাম আগে তুমি পাশ করো একটা চাকরি করো। কিন্তু ও কিছুতেই মানতে চাচ্ছে না ৷ (রিমঝিমে আব্বু)

* আংকেল এটা নয় যে রিমঝিম আপুকে বিয়ে করার পর আমি তাকে ভালো ভাবে রাখতে পারবো না । আমার আব্বু আম্মু যা রেখে গেছে তাতে আমি সারাজীবন বসে খেলেও শেষ হবে না ৷ কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না ৷ (আমি)
তখন রিমঝিম আপু সাইডে রাখা ফুল দানিটা ছুরে মারলো দেওয়ালে ৷ আমি যখন বলছি কাল বিয়ে হবে তার মানে কালকেই বিয়ে হবে আর বিয়ে না হলে আমি কিছু একটা করে ফেলবো আর তার দায়ি তোমরা হবে ৷
কথাটা বলেই রিমঝিম আপু উপরে চলে গেলো ৷
সবাই চুপচাপ হয়ে গেলো ৷


* আচ্ছা আংকেল আপনি বিয়ের ব্যবস্থা করুন (আমি)
* তুমি পারবে বাবা আমার পাগলি মেয়েটাকে দেখে রাখতে ৷ তোমার কাছে আমরা সারাজীব ঋৃনি হয়ে থাকবো ৷ (রিমঝিমের আব্বু)
আমি উপরে চলে আসলাম ৷ রিমঝিম আপু বেলকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে আছে ৷
আমি রিমঝিম আপুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম ৷ রিমঝিম আপু নিজেকে ছাড়ার চেষ্টা করতে থাকলো কিন্তু পারলো না ৷


আমি রিমঝিম আপুর কানে একটা আলতো করে কামড় দিলাম ৷
রিমঝিম আপু ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলো ৷
আমি রিমঝিম আপুকে টান দিয়ে নিজের কাছে আনলাম ৷
* এত রাগ কোথা থেকে আসে শুনি (আমি)
* কথা বলবি না সরে যা ৷ (রিমঝিম)
* কেনো আবার কি করলাম ৷ (আমি)


* তখন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলিস না কেনো । (রিমঝিম)
* এত তারাতাড়ি বিয়ে করে কি হবে ?(আমি)
* লাগবে না তোকে দূরে যা তুই ৷ (রিমঝিম)
*পরে তো বললাম বিয়ের আয়োজন করতে ৷ (আমি)
* লাগবে না বিয়ে করতে করবো না আমি বিয়ে (রিমঝিম)
* আমি তো করবো । বিয়ে না করলে বউয়ের আদর পাবো কেমন করে ৷ (আমি)
* হইছে আর ঢং দেখাবি না সব জানা আছে ৷ (রিমঝিম)
* আমি ঢং করি আর নিজে যে কথায় কথায় রাগ করে তার বেলা কিছু না ৷ (আমি)
* আমি রাগ করি (রিমঝিম)


* তা নয়তো কি ! (আমি)
* মেরে দাত ভেংগে দিবো (রিমঝিম)
* আগে দোষটা করে নেই তারপর মাইর খাবো (আমি)
* মানে ?(রিমঝিম)
* দারাও বুঝায় দিচ্ছি। (আমি)
তারপর রিমঝিম আপুর ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিলাম ৷ চার মিনিট পর ছেরে দিলাম ৷
* দাত ব্রাশ করে না মুখে কি গন্ধ ! (আমি)
* কী বললি দারা দেখাচ্ছি ! (রিমঝিম)
রিমঝিম আপু আমাকে মারতে আসলো।
আমি রিমঝিম আপুকে মুটকি,, বুড়ি,, এসব বলে রাগাতে লাগলাম । আর রিমঝিম আপু আমাকে মারার জন্য পিছনে দৌড়াতে লাগলো ৷


পরের দিন আমাদের খুব ধুমধাম করে বিয়ে হলো ৷
এভাবে চলতে লাগলো আমাদের জীবন ৷ রিমঝিম এখনও আমার উপর রাগ করে কিন্তু বেশি সময় রাগ করে থাকতে পারে না ৷ রিমঝিম সব সময় আমাকে হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করে !!!
আর কিছু লিখলাম না ৷
গল্পটা কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না ৷ আর আগের সকল পর্ব আমার আইডিতে দেওয়া আছে ৷
......................
...................
.................
.........
....
 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...