সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পঃ এক রাতের বউ। সেরা একটি গল্প।গল্পটি পড়ুন অনেক ভালো লাগবে।


 গল্পঃ এক রাতের বউ

রুহি- তুই আমার ক্ষতি করলি এতো বড়। তোর কোনোদিন ভালো হবে না। তুই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিস কেড়ে নিয়ে এখন আমাকে ইগনোর করছিস?

আরাভ- নো বেবি ইটস এ গেম। তুমি ফেঁসেছো নিজেই।

রুহি- আমি ফাঁসি নি। তুই এনেছিস। এখন আমার সবটা নিয়ে তুই আমাকে ছেড়ে দিলি? কেনো কি দোষ করছি আমি তোর?

আরাভ- শুনো বাবু। আমি কিছু করি নি। তুমিই বলতা ভালোবাসি। তাই চেয়েছিলাম তোমাকে এক রাতের জন্য আর তুমি এলেও। এখন আর আমার ইন্টারেস্ট নাই তোমার প্রতি বললাম ই তো।

রুহি- আগেই বুঝা উচিত ছিলো মেয়ে তোর কাছে গেম। ২ নাম্বার ছিলাম না তোর ইউজ করে ছুঁড়ে ফেলা।

আরাভ- অবশ্যই। আর দুই নাম্বার না ৩ নাম্বার। তোমার আগেও আরও ছিলো গো।

রুহি- ছি ছি ছি আমার ঘৃণা হচ্ছে নিজের প্রতি। তোর কখনো ভালো হবে না দেখে নিস।

আরাভ- ওকে বেবি। টাটা।


এতক্ষণ কথা হচ্ছিলো আরাভ আর রুহির মাঝে। রুহি আরাভের বর্তমান প্রেমিকা। এটা বললে অবশ্য ভুল হবে, রুহি আরাভের প্রাক্তন প্রেমিকা। যার সাথে আরাভ খারাপ কাজ করে ছেড়ে দিলো। বড়লোক বাবার ছেলে আরাভ। যা চায় পেয়ে যেত। কিন্তু বাবা মায়ের কাছে সময় কম পেয়েছে সে। আরাভের বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায় আরাভ যখন ৩য় শ্রেণীতে পড়তো তখন। তারপর থেকে তার বাবার কাছে থাকতে হয় তাকে। বাবা ভালোবাসতো কিন্তু ওতো সময় দিতো না। মায়ের কমতি থেকে নাকি খারাপ সঙ্গ এভাবে করে আরাভ খারাপ পথে পা বাড়ায়। যার একটি উদাহরণ সামনে।


গল্পের নায়িকা আনহা। সবসময় ফাজলামিতে মগ্ন থাকা একটা মেয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আরাভ আর আনহা পুরাই আলাদা দুনিয়ার দুজন মানুষ।


কিছু মাস পর,,,,

কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম আমি (আনহা) আর মিমি। দুজনেই বেস্ট ফ্রেন্ড।

মিমি- ওই আনহা

আমি- কইতে থাক বকবকানি পেত্নি।

মিমি- তোরে না কইছি আমাকে এই নামে ডাকবি না।

আমি- এ্যা তুই কইলেই হলো। এই নামটা সেই মানায় তোরে।

মিমি- তোরেই মানায় এসব নাম।

আমি- লা লা লা। আমি তো ভালো মাইয়া।

মিমি- তুই একটা শয়তান্নি।

আমি- নাহি বেবি আমি একটা পেত্নি আর তুই বান্দরনি।

মিমি- দূরর। বাদ দে শুন কাল তো তোর জন্মদিন। কাল ট্রিট দিবি না?

আমি- হিহি কথায় না পাইরা। যাই বলো মনু ওকে, কাল যাবো নে। বাকীদেরও বলিস। 

মিমি- আমি আর আসবই না। এই গেলাম আমি।

আমি- যাই কাল আমু নে ওকে।


এই বলে মিমি ঠিকই অটো নিয়ে চলে গেলো। আমি হাসতে লাগলাম। কিন্তু কে জানতো সামনে বিপদ আছে আমার।


সেদিন বাড়ি ফেরার পথে কেউ একজন চোখ বেঁধে আমাকে তুলে এনেছে। এখনো বুঝছি না কি হচ্ছে। মনে হলো কেউ এসে আমার পাশে বসলো।

একজন- সো অবশেষে ইউ আর হেয়ার

আমি- কে আপনি আর আপনি আমাকে এখানে আনলেন কেনো? 

একজন- জানবে তো জানু সব জানবে।

আমি- মানে কি? এসব কি বলছেন? আর আমাকেই এখানে আনলেন কেনো?

একজন- জন্মদিনের গিফ্ট নিবা না বেবি?

আমি- কে আপনি আর এভাবে কথা বলছেন কেনো?

একজন- তুমি আমাকে ভালো করে না হলেও কিছুটা তো চিনোই।

আমি- প্লিজ আমাকে যেতে দিন আমি কি ক্ষতি করছি আপনার?

একজন- না বেবি আজ তো তুমি আমার এক রাতের আনন্দ দেওয়া বস্তু।

আমি- মানে?

একজন- এতো ডিটেইলে বলা লাগে? ওকে শুনো আজ রাতে‌ আমি তোমাকে ....... করবো। 

আমি- প্লিজ আমার ক্ষতি করিয়েন না। আমার উপর আমার স্বামী ছাড়া আর কারো অধিকার নেই।

একজন- তাহলে আজকের জন্য তুমি আমার এক রাতের বউ। 

আমি- না দয়া করে ছেড়ে দিন আমাকে। আমি মুখ দেখাতে পারবো না কাউকে। 

একজন- তাই তো বলছি ভালোয় ভালোয় আমাকে সব দিয়ে দেও।

আমি- অসম্ভব আমি কখনো দিবো না। ছাড়ুন আমাকে। 


আমি জোড় করা শুরু করলাম। লোকটা আমার হাত ধরে ফেললো। আমি কেঁদে ফেললাম।

লোকটি- কেঁদে লাভ নাই জান আমি গলবো না। অনেক কথা হলো। এখন কাজে আসা যাক। আজ রাতটা তুমি আর আমি আদিম খেলায় মেতে উঠবো।

আমি- প্লিজ।

লোকটি- নো প্লিজ বেবি কাছে আসো।


লোকটা আমাকে টান দিলো আমাকে বিছানা জাতীয় কোথাও ফেললো। আমার চোখ এখনো বাঁধা। লোকটা আমার আরো কাছে আসতে লাগলো। আমি তাকে ধাক্কা দিলাম। এতে প্রচন্ড রেগে গেলো লোকটি। আমার গালে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলো।


লোকটা- রাগ উঠাবি না। চুপচাপ থাক। তোকে তো আজ আমি নিজের করবোই।

আমি- দয়া করে ছেড়ে দেন। আমিও তো কারো বোন,‌একদিন কারো মা হবো।

লোকটা- হাহা। এসব কথায় যায় আসে না।


লোকটির লালসা আমার প্রতি আমি আটকাতে পারলাম না। লোকটা আমার হাত বেঁধে রেখেছিলো। তবুও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু পেরে উঠলাম না।


সব শেষে, 

আমি- কেনো এরকম ক্ষতি করলেন আমার? কে আপনি?

লোকটি- অনেক জানার ইচ্ছা? এই দেখ। 


চোখ থেকে কাপড় সরিয়ে নিতেই দেখলাম সামনে আরাভ। হুম আমি আরাভকে চিনি। না সে আমার প্রেমিক না। অন্যভাবে আমি চিনি তাকে। তা নাহয় সামনে জানবেন। গল্পে আসা যাক।


আমি- মি. আরাভ।

আরাভ- ইয়াহ বেবি আমি।

আমি- আমি আপনার বেবি না আর কেনো করলেন এমন? কি করেছি আমি আপনার? কেনো এমন?

লোকটি- কারণ তোকে আপন করার একটা ইচ্ছা ছিলো আমার। করে নিলাম।

আমি- বিয়ে করতেন আমাকে। এভাবে কেনো?

লোকটি- হা হা আমি কোনোদিন বিয়ে করবো না।

আমি- এরকম করলেন কেনো?

লোকটি- শুন তোর ভালো এতেই যে যা হইলো চুপ থাক। তোর ফোন দিয়ে তোর বাড়িতে মেসেজ দিছি তোর মা কে তুই গ্রুপ স্টাডি করছিস। সো চিন্তা নাই।

আমি- এটা ঠিক করলেন না। আমি তো কোনো ক্ষতি করি নি আপনার। কেনো এমন?

লোকটি- তুই রাগলেও কিউট রে।

আমি- চুপপপপ। আপনি কেনো করলেন?

লোকটি- চুপ কর তো একটু। দেখি তোকে। (আমার মুখে হাত রেখে)

আমার ঘৃণা হচ্ছিলো তার প্রতি। এরপর আরাভ আমাকে ঠিক করে বাড়ি পাঠিয়ে দিলো। কিন্তু আমার প্রচুর কান্না পাচ্ছিলো।


আরাভের সাথে আমার দেখা হঠাৎ করে হয়ে যায়। একদিন এক কনসার্টে বান্ধুবিদের জোর করায় আমি গিয়েছিলাম। সেখানে সেও ছিলো। চুপচাপ এক কোণে ছিলো। আমি ভাবলাম হয়তো মন খারাপ। আমার সবাইকে হাসাতে ভালো লাগে তাই এগিয়ে গেলাম।.

আমি- মন খারাপ?

আরাভ তাকালো না।

আমি- আপনাকেই বলছি কালো শার্টওয়ালা গোমরা মুখো ভাইয়া।

আরাভ- আমাকে বলছেন?

আমি- না এখানে তো একটা ভুত আছে আমি তার সাথে কথা বলছি।

আরাভ- মানে?

আমি- মন খারাপ?

আরাভ- না।

আমি- তো আলুর মতো মুখ করে আছেন কেনো?

আরাভ- আপনি পাগল?

আমি- আরে না আমি তো মেয়ে পাগলি হবো।

আরাভ- সে যাই হোক এখানে আমাকে বলছেন কেনো?

আমি- একটা গল্প বলে যাচ্ছি।

আরাভ- ওকে বলুন বলে ফুটেন।

আমি- একদিন আমি যাচ্ছি।

আরাভ- ওহ।

আমি- আরে শুনেন। আমি যাচ্ছি মিমির সাথে। মিমি জিগায় "আনহা তুই প্রেম করিস না কেনো?" আমি কি বলছি জানেন?

আরাভ- না।

আমি- আরে আমি প্রেম করি না কারণ আমি নিয়মিত সাবধান ইন্ডিয়া দেখি। ওইটা দেইখা ভয় লাগে।

আরাভ- ওহ।

আমি- একটু হাসেন।

আরাভ- হাসি পায় নি।

আমি- দূরররর আমি কি এখন আপনাকে হাসাতে বান্দর ডান্স করবো। হাসুননননন।

আরাভ- আজব তো।

আমি- আপনি পঁচা। আই হেট্টু। 

আরাভ- (জবাব দিলো না)

আমি- ওই হাওয়াই মিঠাই আসুন।

আমি একটা হাওয়াই মিঠাই নিয়ে খেতে লাগলাম।

আমি- খাবেন? ইয়াম্মি।

আরাভ- না। 

আমি- এই দেখেন আমার দাড়ি হইছে হিহি।

আরাভ- (অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকালো। বাচ্চার মতো ব্যবহার আর এরকম পাগলামি মার্কা অবস্থা দেখে আরাভ নিজেই হাসে দিলো)

আমি- ইয়াহু আমি হাসাতে পারছি। যাই গা থাকুন।

এই বলে চলে গেলাম আমি।

( ১ পর্ব) 

***********************-*************

সম্পূর্ণ গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন=

****গল্পঃ এক রাতের বউ।****








মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...