সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পঃ অসমাপ্ত ভালোবাসা। সত্যিকারের একটি ভালোবাসার গল্প। গল্পটি পড়লে চোখের পানি আটকাতে পারবেন না।


গল্পঃ অসমাপ্ত ভালোবাসা।❤️

আজকে তোমার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী... দেখতে দেখতে কিভাবে ৩ টা বছর হয়ে গেছে না! এই তিনটা বছরে, এমন একটা দিন কাঠেনি যে দিনটা তে তোমাকে ভুলে ছিলাম! বুক ভরা কষ্ট নিয়ে দিন গুলো পার করে আসছি কিন্তু কখনো কেঁউকে বুঝতে দি নি আমার অসম্পূর্ণ থাকার প্রধান কারণ টা । জানি না এই আজস্র কষ্টের ভান্ডার থেকে আল্লাহ আমাকে মুক্তি কখন দিবে। এখনো মনেপরে সেই হসপিটালের দিন গুলোর কথা। তুমি বলেছিলে 'আমি যতদিন হসপিটালে থাকি ততদিন তুমিও হসপিটালে থাকবা' একটা পেন্ট আর তোমার গিফট করা সেই ব্রাজিলের জার্সিটা পরে ৭টা দিন আই সি উ এর গেটের সামনে বসেছিলাম।

কিছু খাইতাম না, চিৎকার করে করে কান্না করতাম...হসপিটালের মসজিদে নামায পরে কান্না করে করে আল্লাহর কাছে তোমাকে ভিক্ষা চাইতাম 😞 কিন্তু আল্লাহ্‌ শুনে নাই 😞 কেমনে শুনবে আমি তোহ আল্লাহর পাপী বান্দা 😞 তোমার আব্বু,আম্মু,আপু,ভাইয়া সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করছিলাম তোমাকে ফিরাই আনার। শুধু বাকি ছিল ব্লেক ম্যাজিক করা টা 😞 যদি এটা আমি করতে পারতাম তাহলে আমি আমার জিবন দিয়ে হলেও করতাম 😞 

মনে আছে তোমার! তুমি আমাকে একদিন ফোনে বলেছিলে 'জান একদিন হয়ত তুমি আগে মারা যাবা না হই আমি আগে মারা যাব, যদি আমি আগে মারা যাই তুমি কি করবা! আমি বলেছিলাম প্রতিদিন বিকালে কবরস্থানে যাব তোমার সাথে দেখা করতে'এটা বলার সাথে সাথে 'luv u' বলে চিৎকার করে উঠেছিলে তুমি..

তোমাকে করা আমার সেই প্রমিস টা আমি এখনো ব্রেক করি নি 🙂 হাজার কাজ, প্রোগ্রাম,শরীর খারাপ থাকলেও প্রতিদিন কবরস্থানের পাসের মসজিদে আসরের নামায টা পরে তোমার কবরে জিয়ারত করা টা মিস হয়নি। আল্লাহ আর তুমি তো সব দেখই আমি যানি ❤

শুধু আমি দেখি না 😞


কবরের পাশে বসে শুধু একটা কথা বুঝিয়ে নিজেকে শান্তনা দি, যে তুমি আমার সাড়ে তিন হাত নিচে আছো আর আমি সাড়ে তিন হাত উপরে আছি....তেমন বেশি দূরে না! এটা বলেই শান্তনা দি 😞


তোমার সেই পেন্সিল টার বয়স ৩ বছর হলেও তুমি যে অবস্থায় রেখে গেছো ওঠা ওরকমেই যত্ন করে রাখছি . <3


আর তোমার স্কুল বেগ টার বয়স ৪ বছর হলেও যে অবস্থায় ছিলো ওভাবেই রেখে দিছি , এখন কেন কাঁধে নিয়ে ঘুরি না? কারণ আমি যদি এভাবে প্রতিদিন ব্যাগ টা কাঁধে নিয়ে ঘুরি তাহলে প্রথমত ওঠা ময়লা হযে যাবে তারপর ইউজ করতে করতে ব্যাগ টা ছিঁড়ে যাবে এইজন্য ওঠাও যত্ন করে রুমে রেখে দিছি <3


হেডফোন টার বয়স ৪ বছর পর্ ৩ মাস ৪ দিন .... ওঠা আমি ইউজ করি না .. কেন করি না ? কারণ প্রোগ্রামে অনেকে হেডফোন নিয়ে ফাইজলামি করে তারপর কানে দিয়ে ছবি তুলতে চাই , এগুলো আমার একদম ভালো লাগে না , আমার জন্মদিনে তোমার দেওয়া গিফট ছিল এই হেডফোন টা। ...আমি কেন তোমার দেওয়া হেডফোন টা অন্য কাউকে দিব ! ওঠা আমি আমার রুমে দেয়ালের সাথে টাঙ্গীয়ে রাখছি <3


আসলে উপরের কথা গুলো ছিলো সব তোমাকে দেওয়া মিথ্যা সান্তনা :(


আমি চাই আমাদের ' পরশ ' তার মায়ের এই ব্যবহার করা পেন্সিল টা দিয়ে' প্রথম অ ,আ লেখা শিখুক :)


আমি চাই আমাদের ' পরশ ' তার মায়ের সেই স্কুল ব্যাগ টা কাঁধে নিয়ে প্রথম স্কুলে যাক :) 😞


নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়, যে আমি আমার ভালোবাসার মানুষ টার জানাজার খাঠ টা নিজের খাদে নিতে পারছি,নিজের হাতে কবর টাও দিতে পারছি, কে পারে ভাই?


চোখের পানি তে মোবাইলের ডিসপ্লে ভিঝে গেছে। 😞 আজকে হঠাৎ অনেকদিন পর চোখ থেকে পানি পরতেছে। হাহ! আবেগ টা মনে হই বেড়ে গেছে! আল্লাহ তোহ আমাদের কে শুধু এই জিনিষটা দিয়ে দুনিয়া তে পাঠাইছে... 😞

তোমার অনেক ড্রিম ছিল আমাকে নিয়ে। আমি একদিন অনেক বড় মিউজিসিয়ান হব, আমার এ্যলবাম বের হবে, টিভি তে প্রোগ্রাম করব একদিন! সবসময় এইসব বলতা 😞

তোমার ড্রিম গুলো পূরনের জন্য দিন এর পর দিন কষ্ট করি...শুধু তুমি ওইপার থেকে আমার জন্য দোয়া পাঠাইও। 


আমার মনে হয় তুমি বেচেঁ থাকতে আমি যতটূকু তোমাকে ❤ করতাম তার চেয়েও বেশি ❤ তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে করি 🙂 


তোমার দেওয়া গিফট, আমাদের ৪৪ মিনিটের কল রেকর্ড, ৪ টা বছের প্রতিটা মূহূতের তুলা ১১৭৫ টা ছবি সব আছে এখনো। শুধু তুমি নাই 😞


আমি মনে করি তুমি যেখানে আছ! ওই জায়গা টাই সবচেয়ে শান্তির জায়গা...কিচ্ছু নাই এই দুনিয়া তে। শুধু

আছে মানুষের বিবেকহীন মস্তিষ্ক!


আল্লাহ যদি কপালে লিখে রাখে তাহলে আখিরাতে মিল হবে আমাদের।


যতদিন আল্লাহ আমাকে বাচাই রাখবে ততদিন আমার ভালবাসাও বেচেঁ থাকবে 🙂


***********************************


https://banglalovestory247.blogspot.com/






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...