গল্পঃ রুম ডেট😍😍😍
-চলো আজকে রুম ডেট করবো(কাব্য)
-এসব বাজে কথা বলতাছো কেনো?(নিহা)
-বাজে কথা হবে কেনো? রুম ডেট এখন প্রায় সব কাপল-ই করে।
-সবাই করলে আমাদেরও করতে হবে এটা কি কোনো কথা আছে নাকি?
-হুমম আমি করতে রাজি
-আমি রাজি না, সব আমাদের বিয়ের পরে হবে
-আমাকে ভালোবাসো না তো
-ভালোবাসি
-তাহলে কেনো রুম ডেট করতে রাজি হও না?
-রুম ডেট আমি করবো না।
এটা বলাতে কাব্য রাগ দেখিয়ে চলে যায়।
কাব্য ইদানিং রুম ডেট করতে উঠে পরে লাগছে। আর কেমন জানি অদ্ভুত ব্যবহার করছে।
নিহা ও কাব্যকে অসম্ভব ভালোবাসে কিন্তু ভালোবাসলে কি রুম ডেট করতে হবে এমন কি কোনো কথা আছে নাকি?
কাব্য কি আমাকে ভালোবাসে নাকি আমার শরীরকে ভালোবাসে? নিহা এসব প্রশ্ন বার বার নিজকে নিজেই প্রশ্ন করতাছে।
নিহা কাব্যর সাথে কোনো কথা না বলে বাড়ি চলে আসে। রাতে শুয়ে শুয়ে এই কথাগুলো ভাবতে থাকে। আমার কি রুম ডেট করা ঠিক হবে?
আমি কাব্যকে ছাড়া কোন কিছু ভাবতে পারছিনা। আমি কাব্যকে অনেক অনেক ভালোবাসি । আমি ওকে ছাড়া বাচবো না।
এতদিন ওরে অনেক কিছু বলে রুম ডেট করা থেকে দূরে রাখছি কিন্তু কাব্য এর জোরাজুরিতে যেনো রুম ডেট টা করতে হবে।
তখন নিহা কাব্যকে ফোন দেয়।
-ফোন দিছো কেনো?(কাব্য)
-আমার কি ফোন দেওয়ার অধিকার নাই?(নিহা)
-কিভাবে অধিকার অর্জন করছো?
-তোমাকে ভালোবাসি তাই
-হি হি হি
-আজব এভাবে হাসছো কেনো?
-হাসবো না তো কি করবো?
-মানে?
-তুমি আমাকে ভালোবাসো এই কথা শুনে হাসতাছি
-এটাতে হাসার কি আছে?
-এভাবে গুছিয়ে মিথ্যাটা বলার জন্য
-মানে কি বলতে চাইছো?
-তুমি আমাকে ভালোবাসো না
-বলছিতো আমি তোমাকে ভালোবাসি
-ভালোবাসলে তো আমি যা বলতাম তা করতা কিন্তু তা তো করো না
-কি করি না?
-এই যে রুম ডেট
-তোমার কি রুম ডেট করতেই হবে?
-হ্যা
-না করলে হয় না?
-নাহ হয়না
-ওকে কইরো
-বাবু সত্যিইইইই
-হুমম
-তুমি আমার লক্ষী বাবু
-হুমম এখন হ্যাপি?
-হুমম অনেক হ্যাপি,কোন জায়গায় করবো আমরা?
-আমাদের বাসায়
-মানে?
-হুম বাসায় কালকে সবাই নানুদের বাসায় যাবে আর আমি ক্লাস পরীক্ষার কথা বলে থেকে যাবো
-কাব্য অনেক খুশি হয়ে "ওকে"
আরো অনেক্ষন কথা বলে দুজন ঘুমিয়ে পরে............
-কাব্য(কাব্যের মা)
-হ্যা মা বলো (কাব্য)
-কাল কোথায় যাবি?
-নিহাদের বাড়ি
-কেনো?
-এমনিতে যাবো
-ডিরেক্ট বলতে কি লজ্জা পাস?
-কাব্য চুপ হয়ে আছে কোনো কথা বলে না।
-তুই এমন একটা পবিত্র মেয়েকে এভাবে নষ্ট করতে পারবি? তোকে তো আমি সব ধরনের শিক্ষা দিয়েছি কিন্তু তুই এতটা বাজে হলি কি করে?
জানিস কাব্য মেয়েটা তোর হাত ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের হাত ধরে নাই আর তুই সেই বিশ্বাস টা কে এভাবে কেনো ধ্বংস করতাছিস? মেয়েটা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে আর প্রতিদিন কোরআন শরীফ ও পাঠ করে, আমি তোর থেকে দূরে যাওয়ার পর তুই কয়দিন নামাজ আর কোরআন পাঠ করছিস?
তুই আমার সন্তান সেটা ভাবতেও আমার খারাপ লাগছে,সময় আছে এসব পাপের পথ ছেড়ে ভালোভাবে জীবন টা পরিচালনা কর। নাহলে তোর খুব ক্ষতি হয়ে যাবে যেটা আমি একজন মা হিসাবে মেনে নিতে পারবো না।
তখন কাব্য ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে কান্না করে দেয়। মা আমি ভুল করছি আমাকে মাফ করে দেও, আমি সারাজীবন এই পবিত্র মেয়েটির হাত ধরে রাখবো। মা আমি কথা দিলাম আমি বিয়ের আগে নিহার কাছে কোনো কিছু চাইবো না।
এই কথাগুলে কাব্য ঘুম থেকে উঠে বলা শুরু করে। হ্যা কাব্য এতক্ষণ স্বপ্নে দেখছিলো।স্বপ্নে তার মৃত মা এসেছিলো।
কাব্য ভেজা চোখে নিহাকে রাত ৩ টায় ফোন করে।
২-৩ টা ফোন দেওয়ার পর ফোন রিসিভ হয়।
-নিহা আমাকে মাফ করে দেও।
-এত রাতে এসব কি বলতাছো
-হ্যা নিহা আমি খুব খারাপ রে, তোমার মতো এমন একটা পবিত্র মেয়েকে নিয়ে আমি অনেক খারাপ চিন্তা ভাবনা করছি। নিহা আমি বিয়ের আগে তোমাকে এসব কিছু বলবো না । প্লিজ আমাকে মাফ করে দেও বলে হাউমাউ করে কান্না করে দেয়। তখন অপর পাশ থেকে নিহার ও চোখ ভিজে যায়।
আমি আপনাদের শুধু একটা কথা -ই বলবো, মেয়েটার জায়গায় আপনার বোনকে ভাবেন আর আপনার জায়গায় অন্য একটা ছেলেকে ভাবুন।দেখেন আপনার কাছে ব্যাপার টা কেমন লাগে, ভাই ২০-২৫ মিনিটের মজার জন্য কেনো একটা মেয়ের স্বামীর চাওয়া টা নষ্ট করতেছেন?
এই মেয়ে জাত থেকে আমাদের জন্ম, এই মেয়ে ই আমাদের মা, বোন হয়। হ্যা আমি কিন্তু সব ছেলেকে খারাপ বলি নাই আর সব মেয়েদের কে ও ভালো বলি নাই,ভালো খারাপ সব জায়গায় আছে।
একটা মেয়ে চেষ্টা করলে একটা বখাটে ছেলেকে ভালো করতে পারে।আমি আপনাদের এটা ই বুঝাতে চাচ্ছি যে একটা ছেলে একটা মেয়েকে পবিত্র রাখতে পারে আর একটা মেয়ে একটা ছেলেকে ভালো করতে পারে।
চলুন আমরা আমাদের পাপি নিকৃষ্ট সমাজটাকে ঠিক করি তাতে আমাদের ক্ষতি হবে না বরং উপকার হবে।
ভালো থাকবেন
আর কিছু ভুল বলে থাকলে কমেন্টে বলবেন কেননা তাতে আমার ভুলটা ও ধরা পরবে।
"আল্লাহ হাফেজ"
******************************
https://banglalovestory247.blogspot.com/
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন