সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প। হাই আমি সিয়াম।ছোট থেকেই দুষ্টুমি করতে একটু ভালোবাসি।এবার আমার গল্পে আসি।তখন আমি ইউনিভাসিটিতে পরি।


একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প 

হাই আমি সিয়াম।ছোট থেকেই দুষ্টুমি করতে একটু ভালোবাসি।এবার আমার গল্পে আসি।তখন আমি ইউনিভাসিটিতে

পরি।আমি সবসময় বন্ধুদের সাথে মজা করতাম,হাসাহাসি করতাম,এমন কি একটু রাগারাগি করতাম।যেটা বন্ধুদের মধ্যে হয়ে থাকে।


      একদিন বাসার থেকে বের হয়ে ইউনিভাসিটি যাবো,রাস্তাই দারি আছি রিক্রার পাছিনা তাই।হৎঠাট একটা মেয়েকে দেখি দারিয়ে আছে।

দেখতে অনেক মায়াবী চেহেরা। যে দেখবে সে তার সপ্নে চলে যাবে।দেখতে কি অপৃব যেন পরী দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। যাই হোক আমি একটা রিক্রা নিয়ে ইউনিভাসিটিতে চলে গেলাম।ক্লাস শেষ করে ক্যামপাসে বসে বন্ধুদে সাথে আড্ডা দিচ্ছি।


হৎঠাত ওই মেয়েটাকে দেখলাম।দেখি আমার একটা বন্ধু সাথে কথা বলছে।

তখন আমার ব্ধুর কাছে জিঙ্গাসা করলাম 

ওই মেয়েটার সম্পকে।সে বললো এই মেয়েটার বাসা আমার বাসাম সামনে। নতুন ভাড়া এসেছে।তারমানে আমার সামনে দোতালাতে এসেছে।


বন্ধু মেয়েটার নামি?ওর নাম নুহা। ওর আব্বু একটা কোম্পানিতে চাকরি করে,এই খানে পোষ্ট হয়েছে।আর ওর কোন ভাই বোন নেই।এই বলে ও চলে গেল


কলেজ থেকে বাসাই চলে গেলাম।খাওয়া দাওয়া করে ঘুমতে গেলাম।আর নুহার কথা ভাবছি,যে মেয়েটাকে প্রথম দেখাতে

ভালোবেসে ফেলেছি।জানি না নুহার কথা ভাবতে ভাবতর কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলাম তা মনে নেই।


ঘুম থেকে ওঠে ফ্ররেশ হয়ে ছাদে গেলাম।

একটু ঘুরাঘুরি করার জন্য।আর তখনি 

দেখি যে আমার সামনে বাসার ছাদে সেই মেয়েটা দাড়িয়ে আছে।মেয়েটাকে দেখে মনের ভিতর কেমন যেনো করে উঠলো।

নুহার তালে তালে আমিও হাটছি,খুব মজাই লাগছিলো।তারপর মেয়েটা আমার

দিখে তাকিয়ে ছাদ থেকে নেমে চলে যাই।

আমিও নেমে চলে আছি। আমার রুমের জানালা দিয়ে ওর রুমে জানালা দেখা যাই।

এই খানে একটু দাড়িয়ে ছিলাম,কিন্তু মেয়েটা আর জানালার কাছে আসলো না।


সকালে ইউনিভাসিটিতে যাওয়ার সময় আবার মেয়েটার সাথে দেখা হলো আমার।

আজকে মেয়েটাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।কাজল কালো চোখ,অপৃব দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।মানে হই কালকের ওই বিষয়টা ও জেনে ফেলেছে।

যাই হোক আমি আমার মতো করে রিক্রসা উঠে চলে আসি।


কল্স শেষ করে।ক্যামপাসের বসে আমরা আড্ডা দিচছিলাম।আর তখন নুহা এসে আমাকে বলে..


:- এই যে মিষ্টার..

-- আমাকে বলছো?

:- হুম।আপনার সাথে কথা আছে, একটু সাইড এ আসেন।

-- হুম বলো কি বলবা।

:- আপনি কাল আমার দিকে ডেপ ডেপ করে তাকিয়ে ছিলেন কেন??

-- কই আমি তাকাই নিতো

:- মিথ্যা কথা বলেন কেন? আমি দেখেছি আপনি কাল আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন,

আর আমি হাটছি যে ভাবে,আপনিও ঠিক 

সেই ভাবে হেটেছেন।মনে করছেন আমি কিছু বুঝিনা।এখনো টাইম আছে ভালো হয়ে যান।

-- কি বলছো এইসাব।আমি ভালো হয়ে যাবো মানে, আমি কি করেছি??

:- হুম ঠিক বলছি,আর আপনি আপনার জানালা দিয়ে আমার রুমের দিকে উকি মারছিলেন  কেন??

-- কি বলবো বুঝতে পারছি না।আমি মাথা নিচু কের নুহার কথাগুলো শুরতে লাগলাম।আমার কিছু বলার ছিল না।কথা গুলো বলে নুহা চলে গেল।রাগ করে ভারসিটি থেকে বাসাই চল  আসলাম।


বিকালে আবার ছাডে গেলাম।আমি আবার

গতকালকের মতো ওর তালে তালে হাটতে লাগলাম।ওই দেখে নুহা আবার ভিতরে

চলে গেল।


রাতে ডিনার করে ঘুমতে যাবো,তখন নুহার কথা মনে পরছে।আমি সত্যি ওর প্রমে পরে গেলাম।নুহার চোখ দুটোর দিকে তাকালে মনে হয় আমি আমার কথা বলার ভাষা হায়ি ফেলি।।এবার ঘুমই।


আবার ইউনিভাসিটিতে যাবার সময় মেয়েটার সাথে দেখা হলো।আমার দিকে মেয়েটা আসে আমাকে চড় মেরে বলে..


:- তোমার বাসাই গিয়ে কমপেলেন করবো।

-- কেন? তোমার দিকে তাকাই বলে? আরে একটা ছেলে একটা মেয়কে তো ভালোবাসতে পারে।তাই বলে বাসাই গিয়ে কমপেলেন করবা।ওকে,,আর কখনো তোমার দিকে তাকাবো না।এই বলে বাসাই চলে আসলাম।ভাসিটিতে আর গেলাম না।আম্মু বলো ভাসিটিতে জাবি না।আমি বললাম না।


:- আজ দুই দিন হয়ে গেলো।ছেলেটা ভাসিটিতে আসে না,এমন কি ছাডেও আসে না।কিছু হই নিতো ওর।সেদিন ওই চড় মেরে ওই কথাগুলো না বললে এমটা হতো না।ছেলেটাকে আমি যে সত্যি 

ভালোবেসে ফেলেছি।কিন্তু আমিতো ওর সাথে একটু মজা করছিলাম।পাগল ছেলেটা কিছু বঝে না।


বিকালে সিয়ামের বাসার গেলাম

:- আন্টি সিয়াম কি।

-- কে মা তুমি? 

:- আন্টি আমি সিয়ামের ক্লাস ফেরেন্ড

-- ওহ।তোমার নাম কি মা

:- আন্টি আমার নিহা। আপনাদে বাসার সামনে দোতলাই বাড়া এসেছি।

-- ওহ।সিয়াম সবসময় দুষ্টুমি করে।

কিন্তু আজ ২ দিন হলো ঠিক মত আমাদের সাথে কথা বলে না।সবসময় ঘরের ভিতর একা বসে থাকে।চুপচাপ থাকে 

কি জে হয়েছে।ওকে নিয়ে খুব টেনশনে আমি মা।

:- ওহ এই ব্যাপার।তখন আমার চোখের কোনে পানি চলে আসলো।সিয়াম আমাকে এতোটা ভালোবাসে।আর আমি ওকে চড় মেরে আজেবাজে কথা বলেছি।

এটা আমি ঠিক করিনি সিয়ামের সাথে।


:- আন্টি সিয়াম এর রুম কোনটা কাদো কাদো সুরে?

-- ডান দিকে ঢুকে যাও।

:-ওকে।আমি সিয়ামের রুমে ঢুকে দেখি,রুমটা অনেক অন্ধকার।রুমের লাইট অন করতেই,সিয়াম বললো

-- লাইট কে অন করলো??

:- আমি অন করেছি।

-- তুমি।আমার বাসাই কেন এসেছো?

কমপেলেন করা হয়ে গেলে বাসার থেকে চলে যাও।

:- চুপ করে সিয়ামের কথা শুনছি।আর রুমের কি অবস্তা।চারদিকে শুধু জামা কাপড় ছরিয়ে সিটিয়ে রয়েছে।সিয়াম ওঠো

চলো আমরা বাইবে যাই।

-- না আমি যাবো না।তুমি চলে যাও।

:- আমি সিয়ামের চোখের দিকে তাকাতে দেখি সিয়ামের চোখে কোনে দিয়ে পানি পরছে।ছেলেটা আমাকে সত্যি ভালোবাসে,

আর আমি ওর সাথে মজা করলাম।ছি ছি 


সিয়ামের হাতটা ধরে বলাম।আর বললাম সরি আমি তোমার সাথে এমনটা করতে চাই নি।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি

 সিয়াম

-- তাই বলে নুহা আমাকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।আর এভাবে আমাদের ভালোবাসা শুরু হলো....

******************-----*******************


https://banglalovestory247.blogspot.com/

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMISPjAswu8zrAg

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...