গল্পঃ বর্তমান ভালবাসা
নরম স্তনে হাত রেখে কায়দা করে ভালোবাসা
নামের কীটটা জাগিয়ে তুলা আজকালকার
ফ্যাশন হয়ে গেছে।
প্রেমিকার ব্রার সাইজটা জানেনা, এমন একজন সৎ প্রেমিক পাওয়া বর্তমান যুগের জন্য হাস্যকর ব্যাপার একটা।
পার্কের চিপায় চিপায় যে পরিমাণ
ভালোবাসা লেনদেন হয় তার চাইতে বহুগুণ
বেশি মেসেঞ্জারে হয়ে থাকে। খোলামেলা
পরিবেশের পর্ণ সাইড-গুলির প্রতি আসক্তি
বেড়েই চলছে অনবরত।
প্রেমিকার মনে আজকাল ভালোবাসা খুঁজার চাইতে
প্রেমিকার কোমরে ভালোবাসা খুঁজা হয় খুব করে।
হুড তুলা রিক্সাগুলি আজকাল কারণ হিসাবে
বাবা মা ভাই বোন অথবা ফ্যামেলির কোনো
মেম্বারের প্রতি ভয়টা খুঁজে পাওয়া যায়না।
প্রেমিকার তলপেটে হাত বুলিয়ে স্বর্গ খুঁজে
দেওয়ার নিয়মটাই পাওয়া যায়।
আজকালকাল যুগে বাসর রাতের গোপনীয়
কথাগুলো দুলাভাই অথবা ভাবীর কাছে যেয়ে
শুনতে হয়না। এখন প্রতিটা ফিল্মেই শিখিয়ে
দেওয়া হয় কীভাবে বিয়ের আগে মধু খেয়ে
মৌমাছিকে তাড়িয়ে দিতে হয়।
বইয়ের পাতায় শিখানো হয়
বাচ্চা ড্রপের কাহিনী।
কনডমের উপকারিতার কথা স্পষ্টভাবে ক্লাস
টেনের কৈশোর ছেলে মেয়ের জানিয়ে
দেওয়া হয়।
হোটলে নিরিবিলি পরিবেশ তৈরি করে
দেওয়া হয়। একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার
সাথে একান্ত নিরিবিলি কথা চালিয়ে যায়
দিব্বি করে। হুড তুলা রিক্সার অসম্পূর্ণ
কাজগুলি সম্পূর্ণ হয় হোটলের রুমে। বিয়ের
আগে সুখ দেওয়া নেওয়া হয় নিয়ম করে।
ডিজিটাল যুগে সেক্সের প্রতি যেভাবে
ছেলেরা আসক্ত ঠিক তেমনি মেয়েরাও
আসক্ত। সার্চ ইঞ্জিন চেক করলে সবচেয়ে
বেশি পর্ণ সাইডগুলিই হুমড়ি মেরে চোখের
সামনে ঝলমল করে।
পুরাতন যুগের ভালোবাসার
কথা জানালে মেয়েটা বলে উঠে তোমার
কাছে আমার ফিলিংসের কোনো মুল্য নেই।
সেক্সুয়াল চ্যাটিং করলে ফিলিংস বুঝে। ভদ্র
ভাষায় চ্যাটিং করলে ভালোবাসাই চিনেনা।
এটাই কি ভালবাসা?
এরকম ভালবাসার চাইতে আমি একা আছি তাই ভাল। চাইনা অমন ভালবাসা
ভুল কিছু বললে মাফ করবেনন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন