সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পঃ ভালোবাসা এমনি হয় 🥰। অসাধারণ একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প পড়ুন।

 


গল্পঃ ভালোবাসা এমনি হয়🥰

আমি নু্হার বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছি।

 নুহার আজ বিয়ে। এ যে সে বিয়ে নয়। একেবারে আলিশানি বিয়ে। 

নুহা আমার গার্লফ্রেন্ড। আচ্ছা যার আজ বিয়ে তাকে কি গার্লফ্রেন্ড বলা যায়?

কি জানি বলা যায় কিনা। কিন্তু আমি বলছি।

আমি নিজে নুহা কে বলেছি, "নুহা তুমি বিয়ে করে ফেলো। "

নুহা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।

" অন্য লোক কে বিয়ে করার জন্য বুঝি তোমার সাথে এতদিন প্রেম করেছি?"

আমি উত্তর দিতে পারিনি। 

পরে নুহা কে আমি কঠিন গলায় বললাম,

" তোমাকে বিয়ে করে নিজের করে রাখার সামর্থ্য আমার নেই। আমি বেকার মানুষ প্রেম করা আমার হয়ত বা সাজে কিন্তু তোমার মতন আদরের মেয়েকে বিয়ে করে তোমার সারাটা জীবন নষ্ট করাটা আমার সাজে নাগো। তুমি আমাকে ক্ষমা করো।"

এই কথা ই ছিলো নুহার সাথে শেষ কথা।

এরপর আমি গা ঢাকা দেই। গ্রামে মামার বাড়ি যাই মাস তিনেক এর জন্য নুহার কাছ থেকে পালিয়ে।

মোবাইল নাম্বার বদলিয়ে ফেলি। কারো সাথেই কোনো যোগাযোগ রাখি না যাদের মাধ্যমে নুহা আমার খোঁজ পাবে।

আমি সফল হয়েছি। নুহা আমাকে তন্য তন্য করে খুঁজেছে কিন্তু পায় নি। 

আমি খুব খুশি। খুব বড় ঘরে নুহার বিয়ে হচ্ছে। ও অনেক সুখে থাকবে।

আমার সাথে টোনাটুনির সংসার করার স্বপ্ন ওকে সত্যি করতে দিই নি আমি।

মেয়েটা বড্ড বেশি স্বপ্নালু। বাস্তবতা বোঝে না।

আমার সাথে বিয়ে করলে যে তার জীবন কত দুঃসহ হয়ে যেত তাকে আমি তা বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি বারবার। 

প্রতিবার ই আমার কাঁধে মাথা রেখে আস্তে আস্তে বলতো,

" সৌম্য শুধু তোমাকে চাই। এই অট্টালিকা, টাকা, সম্পদ, গহনা কিছুই না। শুধু তোমার শ্বাসে শ্বাস নিতে, তোমার গায়ের গন্ধে আমি বাঁচতে চাই। আর কিচ্ছু টি না।"

আমাকে তাই পালাতে হলো। 

এই মেয়ে বাস্তবতা বুঝে না, প্রেম বুঝে।

কিন্তু আমাকে আবার ফিরতে হলো। লোভে পড়ে।

নুহা কে কণে সাজে একবার দেখার লোভ আমাকে টেনে নিয়ে আসলো নুহার বাড়ির সামনে।


ওর বাড়ির সামনে একশ জোনাক বাতির আলো। আলোয় উদ্ভাসিত চারপাশ।

আমি উঁকিঝুঁকি মারছি। কখন আসে আমার নুহা। আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।

আমার বুকের পাঁজর।

হোক না সে অন্যের বউ। 

কিন্তু সে যে শুধু আমার মনের রাজ্যের রানী।

ঘন্টা খানেক হলো আমি বসে বসে মশার কামড় খাচ্ছি। কিন্তু নুহার কোনো খবর নেই। 

কিন্তু বরপক্ষ চলে এসেছে। নুহার বর যেনো স্বয়ং রাজপুত্র। নুহার কপালে কত সুন্দর বর আর নুহা কিনা প্রেম করেছে আমার মতন কপালপোড়া কে।

পাগলী মেয়ে একটা।

বসতে বসতে একটু ঝিমুনির মতন আসছে আমার। তখন কে যেনো চিৎকার দিয়ে উঠলো,

" ওরে নুহা রে বলে।"

সাথে সাথে আরো অনেক মানুষের চিৎকার। 

আমি কিছু বুঝে উঠার আগে ই দেখি কত গুলো মানুষ নুহা কে কোলে করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

পেছন থেকে আর্ত চিৎকার। 


" আমার মেয়ের কি হলো রে? কিসের দুঃখে ও বিষ খেলো রে?"


আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। আমার মাথা ঘুরাতে লাগলো। পায়ের তলার মাটি সরে গেলো যেনো। 

কোনো দিকে না তাকিয়ে ছুটলাম নুহার পিছু।

হাসপাতালে নুহা শুয়ে আছে। আমি অপরাধী র মতন ওর সামনে দাঁড়িয়ে। 

নুহা মুখ ফুলিয়ে রেখেছে। কথা বলছে না।


আমি সাহস নিয়ে ওর হাত টা চেপে ধরতেই বাঘিনী র মতন আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।

আমি ভয় পেয়ে পিছু হটতে যেতে চেয়ে ও আর পারলাম না। তার আগে ই নুহা ওর সমস্ত শক্তি দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আর চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।


একটু শান্ত হতে ই আমি বললাম,

" আমি এমন করেছি বলে তোমার বিষ খেতে হবে? যদি তোমার কিছু হয়ে যেত? আমি তো মরে যেতাম।"


নুহা আমার কান টা তার মুখের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে বললো,

" আমি বিষ খাইনি বেশি অল্প একটু খালি মুখে পুরেছি যাতে গন্ধ পেয়ে সবাই বুঝে আমি বিষ খেয়েছি।"

আমার চোখ কপালে।

" কিন্তু কেনো এমন করলে?"

" আমি জানতাম আমার বিয়ের দিন তুমি আশেপাশে ই থাকবা আমাকে কণে সাজে দেখার জন্য। আমাকে কণে সাজে দেখার জন্য তো পাগল ছিলা তুমি। তাই একটু বিষ মুখে দিয়ে বিয়ে ও ভাঙলাম আর তোমাকে ও পেলাম সারাজীবন এর জন্য। এবার আর কোনো কথা হবে না। টোনাটুনির সংসার হবে শুধু।"


************************************


https://banglalovestory247.blogspot.com/








মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...