সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রাগী মেয়ের ভালোবাসা। bangla romantic love story.



 💝 **রাগী মেয়ের ভালোবাসা **💝

-------------------------------

সিএনজির ভিতরে বসে বোরিং লাগছিল।

তাই গেটের ফাক দিয়ে বাইরে দেখতে

চেষ্টা করলো শুভ্র। সামনেই একটা গার্লস

কলেজ ছুটি দিছে মাত্র।তাই এত জ্যাম

রোডটাতে।হটাৎ করেই কে যেন রাগে আগুন

হয়ে যাচ্ছে। তার আভাস পেয়ে শুভ্র পিছন

দিকে তাকালো। একটা মেয়ে। নাম অহনা।

চোখে কাজল।মাথার চুল কোমড় পর্যন্ত

নেমে এসেছে।পড়নে একটা নীল শাড়ী। ভ্রু

কুচকে তাকিয়ে রইলো শুভ্রর দিকে। দাতে

দাত লাগিয়ে আড়চোখে ভয় দেখাতে

লাগলো শুভ্রকে।

শুভ্র বলল,কি হইছে আপু?

আমি আপু?ওহ এখনত আপু হবোই। সামনে

গার্লস কলেজের সুন্দরী মেয়েদের সামনেত

আমি এখন কিছুইনা।কথাগুলো বলেই মুখ

ফিরিয়ে নিল অহনা।


--আরেহ বাবা রাগ করছো কেন?(শুভ্র)

-আমি কেন রাগ করবো?আপনার সাথে রাগ

করার

আমি কে?(অহনা)

--এইটা কিন্তু ঠিকনা। আমিত ওদের

ছোটবোন হিসেবে দেখি।

-আমাকে যেদিন প্রথম দেখে ভ্যা করে

তাকিয়ে ছিলেন আর আম্মু আপনাকে

জিজ্ঞেস করেছিল কেন তাকিয়ে আছেন

তখনো ঠিক এইটাই বলেছিলেন আমি

আপনার ছোটবোনের মত। আর এখন তার

সাথেই -ডেটিংএ যাচ্ছেন। বুঝছেন

ভাইয়া??


--আরেহ আমিত দুষ্টুমি করছিলাম ম্যাম

-তাহলে আমি কি করছি?

--ওহ তাহলে তুমিও দুষ্টুমি করছিলে?আগে

বলবাত।

-ওহ তুমি দুষ্টুমি করলে আমায় বুঝে নিতে

হবে??আর আমি করলে তোমায় বুঝিয়ে দিয়ে

করতে হবে তাইনা স্যার?

--না আসলে তা নয়। আসলে স্যরি ম্যাম।

-কিসের স্যরি??গতকাল সারারাত আমি

হাসপাতালে ছিলাম।ঘুমাতে

পারছিলামনা। আর তুমি তখন ফেবু থেকে

লগ আউট দিয়ে নিশ্চিন্তে নাক ডেকে

ঘুমাইছো।


--উহহহু আমি ঘুমাতে চাইনিত। ঘুম আমার

উপরে কাল এমন ভাবে হানা দিছে যে বলার

বাহিরে।

-বুঝছিত। অন্য আইডিতে ডুকে আরেকটা

মেয়ের সাথে ঘুমাইছো।আর কোন কথা

বলবানা।

--জানু!

-জানু মরছে


শুভ্র আর কথা বললোনা। গতকাল হটাৎ মাথা

ঘুরিয়ে পড়ে গেছিল অহনা। তাই সারারাত

মেডিকেলে ভর্তি ছিল।রাতে হটাৎ করেই

ফেবুতে চেট করতে করতে ঘুমিয়ে যায়।এখন

অহনাকে নিয়ে বাহিরে যাচ্ছে গতকালের

রাগ ভাঙ্গাতে। কোন কথা না বলে

অন্যদিকে ফিরে চুপ হয়ে তাকিয়ে থাকলো

শুভ্র।জানে কিছুক্ষন পর অহনার রাগ

এম্নিতেই পানির মত নরম হয়ে যাবে।

সিএনজি থেকে নেমেই অহনা সোজা পথ

ধরে হাটা শুরু করে।শুভ্র তাড়াতাড়ি

সিএনজি ভাড়া দিয়ে অহনার পিছু নিল।

একটা ছাউনির নিচে যেয়ে বসল দুইজন।অহনা

চোখগরম করে তাকিয়ে আছে শুভ্রর দিকে।

একপাশে কাশবন অন্যপাশে নদী।

পরিবেশটা চমৎকার বললে ভুল হবে।

অসাধারন বলা যায় কোন মেয়ের রাগ

ভাঙ্গানোর জন্যে।


কিছুক্ষন পর একটা পিচ্চি আসলো ফুস্কা আর

চটপটির অর্ডার নিতে।শুভ্র দুই প্লেট ফুস্কা

আনতে বলল।অহনা ফুস্কা পছন্দ করে বেশি।

শুভ্র আবার কথা বলা শুরু করলো।


-আকাশটা অনেক সুন্দর। তাইনা অহনা??

--তা নয়তো তোমার মত বান্দরের মত

দেখাবে নাকি?

-আমি বান্দর?

--বান্দরদের সর্দার তুমি?

-বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু

--বেশি হলে কি করবা?এই তোমার ফেবু

আইডির পাস দেও আমাকে।

-দিবোনা।

--কেন দিবানা?

-এমনি দিবোনা।

--দিতে হবে।


-দিবোনা।কি করবা?

--ধর্ষন করব।

-করো গিয়ে।

--ফাজিল, ইতর, বান্দর হনুমান। সবগুলো

গার্লগ্রেন্ডের খোজঁ পেয়ে যাবো তাই

দিবানা।তাইনা?

-হুহহহ

--কাল তোমার পিকের কমেন্ট বাক্স থেকে

সবগুলো মেয়েকে নক দিয়ে বলবো তুমি

বিবাহিত। পাচঁটা ছেলেমেয়ের বাপ।দাড়ি

সব পেকেঁ গেছে।শরীরে জোর নাই হাটার।

মাথার চুল অর্ধেক পড়ে গেছে।কুজোঁ হয়ে

থাকো।

-ইয়া মাবুদ।এত্তগুলো মিথ্যা কথা বলবা?

--হ্যা।

-কেন?

--তোমাকে পাওয়ার জন্যে সব করতে পারি।

হাত যখন ধরেছি তখন জীবনের বাকি

সময়টুকুও এই বান্দরটার হাত ধরেই কাটাতে

চাই।

-ওহহ আমি বান্দর?তাহলেত তুমি বান্দরনী।

--যাও।

-যাবোনা।

--ধাক্কা দিয়ে পিছনের পানিতে ফেলে

দিব

-তুমি চাইলে আমি স্বেচ্ছায় পড়ে যেতে

পারব।

--ওহ তাই?

-হ্যা।


--তাহলে পড়ে যাওনা প্লিজ।দেখি গোসল

করতে তোমায় কেমন লাগে।

-হুশ।

-শয়তান।


হটাৎ করেই কথাবলার মাঝখানে অর্ডার

নেয়া ছেলেটা দুইহাতে দুই প্লেট ফুস্কা

নিয়ে চলে আসল।অহনা তার চেয়ারটা শুভ্রর

পাশে নিয়ে আসলো।একজন আরেকজনে

খাইয়ে দিল। তখনো চোখ গরম করে

তাকিয়ে ছিল দুষ্টুমি করে।শুভ্র সেটা

মাথায় নেয়নি। কারন সে জানে রাগী

মেয়েরা যাকে ভালবাসে তাকে মন থেকে

ভামবাসে।তাদের শাসনগুলো ভালবাসার

মানুষগুলোকে চিরদিন আগলে রাখার

জন্যেই। তারা ভালবাসার মানুষকে নিয়ে

সবচেয়ে বেশি চিন্তা করে।অবশেষে অহনা

শুভ্রর বুকে মাথা রেখে নদীতে পালতোলা

নৌকায় বসা মাঝিকে গান গাইতে দেখতে

থাকল।

-----------------------------------------------------------------


আরো মজার ও রোমান্টিক love story পড়ুন এখানে"--

https://banglalovestory247.blogspot.com/



Tags:


Banglalovestory247,

 love story bangla,

 love story, 

নতুন রোমান্টিক লাভ স্টোরি, 

লাভ স্টোরি, 

রোমান্টিক লাভ স্টোরি বাংলা,

 ভালোবাসার গল্প,

 প্রেমের গল্প,

নতুন ভালোবাসার গল্প, 

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,

 সেরা ভালোবাসার গল্প, 





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...