সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা

 

  গল্প: ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা






বিয়ের কথা শুনেই মনের মাঝে বসন্তের হাওয়া দোলা দিতে লাগলো অজানা এক সুর কানে বাজতে লাগলো!!!!!

---- বিয়ে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল জীবনে কখনো প্রেম করেনি ছোট থেকেই একজনকে মনের আসনে ঠাই দিয়েছি সে আমার ছোট বেলার খেলায় সাথী কথা ছোটবেলায় তারসাথে সারাক্ষণ খেলা করতাম ছোটবেলায় ওর প্রতি আমার একটা ভাললাগা জন্ম নেয় সেই ভাললাগা থেকেই ভালবাসা ছোটবেলা তার সাথে বউ জামাই খেলতাম খেলায় সময় ওই সবসময় আমার বউ হতো একদিন তানিয়া আর আমি বউ জামাই খেলাই কথা গিয়ে তানিয়ার সাথে ঝগড়া করে চড় মেরে চলে আসে মেয়েটা তিন দিন এইজন্য কথা বলেনাই তাই তখন থেকেই তাকে বউ ভাবতে শুরু করেছিলাম !!!!

----ও আপনাদের তো আমার পরিচয়টায় দেওয়া হয়নি আমি জিসান আহম্মেদ রাজ সবাই রাজ বলেই ডাকে যাইহোক ছোটবেলা বাবা মা দুজনকেই হায়িরে মার বাসায় বড় হয়েছি সেখান থেকে লেখা পড়া করে একটা মান্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পাই মামার কোনো ছেলে ছেলো নাই বলে মামাতো বোন কথার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলি আমাদের একসাথে দেখে যেতে চান কথা আবার লন্ড়ন থেকে ইন্জিনিয়ারিং করে ফিরেছে যাইহোক অবশেষে বিয়েটা হয়েই গেলো!!!
----- আমি এখন বেলকুণিতে দাড়িয়ে আছি রাত প্রায় বারোটা বন্ধুবান্ধব সকলে মিলে ধাক্কা দিয়ে বাসর ঘরে ডুকিয়ে দিলো!!!

------ ঘরে ডুকেই দেখি একটা পূণিমা চাদ যে চাদটাকে প্রতিদিন মনের আকাশে দেখতাম জোৎসা বিলাতো স্বপ্ন হয়ে আজ সেই চাদটাকেই দেখছি বাসর ঘরে জোৎসা বিলাচ্ছে মনে হচ্ছে একটা পূণিমার চাদ আমার ঘরে উদয় হয়েছে তাই চাদটার চাদমুখটা দেখার জন্য খাটের এককোণে বসতেই!!!

------- এইযে মিঃ রাজ একদম আমার কাছে আসবেন না আমার বাবাকে পটিয়ে আমাকে বিয়ে করতে পারলেও স্বামীর অধিকার ফলাতে পারবেন না আমার মন প্রাণ আমি একজনকে অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছি সজীবকে তাই আমাকে ছুয়ে তো দেখা দুরের কথা আমার দিকে তাকাতেও পারবেন না কি মনে করেন নিজেকে বাবা নেই মা নেই একটা এতিম 

ছেলেকে বাবা মা আশ্রয় দিয়ে বড় করেছে একটা আশ্রিত ছেলের সাথে আমার যায়না কি আছে তোমার!!
নিজে তো ছোটবেলায় মা বাবাকে খেয়েছো এখন আসছো আমার জীবনের সব রঙ তুমার জন্য শেষ হয়ে গেয়েছে আমার সব স্বপ্ন মাটি হয়ে গেছে ভেবেছিলাম বাবাকে বলবো সজিবের আর আমার কথা কিন্তু তার আগেই তোর মতো একটা এতিম কে গলায় জুলিয়ে দিলো জানিস তোকে করুণা করা যায় কিন্তুু স্বামীর আসনে জায়গা দেওয়া যায়না তুই আমার জীবনের একটা ভাইরাস!!!!( কথা)

------- এদিকে কথায় এমন কথা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলামনা চোখ দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নামতে শুরু করতেছিল চোখ দুটি মুছে বলতে শুরু করলাম সত্যিই জানো আমি একটা হতভাগ্য হাসপাতালের বেডে আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে মা টা চলে গেছে সে না ফেরার দেশে আর একটু বড় হতেই বাবাটাও রোড একসিডেন্টে আমাকে বাচাতে হারিয়ে গেলো মার মতোই আর এখন আসছি তোমার রঙময় জীবনটাকে রঙহীন করতে! একটা কথা বলবো কি করলে তুমি হ্যাপী আমাকে কি একটু বলবে!!!
 (আমি)
---- শোন তাহলে আমি বাবা মাকে অনেক ভালোবাসি তাই তোর মতো একটা ছোটলোকের সাথে বিয়ে করি এদিকে লন্ডনে থাকতেই সজিবের সাথে আমার সম্পর্ক হয় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে দেশে এসেই বিয়েটা করে ফেলবো কিন্তুু ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস যাইহোক সজিবের সাথে কথা হয়েছে সজিব বলেছে আমি যদি তোকে ডিভোস দেয় তাহলে সে তার ফ্যামিলিকে বলে আমাকে বিয়ে করে নিবে কিন্তুু আমি চাইনা বাবা কষ্ট পাক তাই বলছিলাম তুুই আমাকে ডিভোস দিবি তাহলে মা বাবা কিছু বলতে পারবেনা!!!(কথা)

-------- ডিভোসের কথা শুনে মনের অাকাশটা এক নিমিষেই ঘোর অন্ধকারে ঢাকা পরে গেলো এক অজানা ঝড় এসে তিলে তিলে গড়া ২২ বছরে স্বপ্নগুলোকে কাগজের ঘরের মতো লন্ডবন্ড করে দিলো চোখদুটি ছলছল করে ওঠলো শুনেছি বাসর রাত নাতি প্রত্যেকটি নারী পুরুষের জীবনে শেষ্ঠ রাত আর আমার জীবনে সব চেয়ে বেদনার রাত ছোটবেলায় মা বাবাকে হারিয়েছি ছোট থেকেই মনের আসনে একজনকে ভালোবেসেছি সেও আজ এমন করলো সত্যি বলতে মনে হয় সুখ নামক সোনার হরিণটি মনে হয় আমার জন্য কখনো তৈরি হয়নি!!!!

------- কি কথা বলছিস না কেনো ডিভোস দিবি কিনা বল আমার তো নিজেকে কি যে করতে মন চাচ্ছে নিজেকে শেষ করে দিতে মন চাচ্ছে তোর মতো একটা এতিম ছেলের সাথে একছাদের নিচে ছি!!! (কথা)

----- শুনেন এই সব কথা আজকে না বলি আজকে তো বাসর রাত প্রত্যেক নারীর জীবনে শেষ্ঠ রাত!!! (আমি)

*------ কি বললি বাসর রাত আবার তোর সাথে তোই কেমনে করে ভাবলি তোর মতো একটা এতিমের সাথে staus. বলেও তো একটা কথা আছে জানিস অন্য কোনো ছেলের সাথে ডেটে যাওয়া যায় তাও তোর মতো ছেলের সাথে না ছোটলোক কথাকার!!! (কথা)

-------- কথায় এমন কথা শুনে মাথাটা নিচু করে বললাম আচ্ছা আপনি ঘুমান যতো তাড়াতাড়ি পারেন আপনাকে মুক্ত করে দিবো আসবোনা আর কখনো স্বামীত্ব ফলাতে তবে একটা অনুরোধ যে কয়টা দিন ডিভোসটা না হচ্ছে সেই কয়েকটা দিন মামা মামীর মুখের দিকে চেয়ে হলেও স্বামী স্এীর অভিনয়টা করে যাবেন শেষ অনুরোধ!!!! (আমি)

---- আচ্ছা ঠিক আছে আমিও চাই এটা তবে যদি উল্টা পাল্টা কিছু করতে চাস রাতে তাহলে কি যে করবো নিজেও জানিনা (কথা)
------ আপনার চিন্তা করতে হবেনা মেয়েদের ভালবাসতে না পারলেও সম্মানটা করতে পারি যদি ভালবাসতেই পারতাম তাহলে কারো মনে এতটুকু হলেও জায়গা পেতাম!!!! (আমি)

------ হইছে তোদের মতো গরীবের মুথে ভালবাসার কথা শোভা পায়না একজনের ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে অন্য জনকে ছিনিয়ে নেস এই নে বালিশ আর চাদর নিচে ফ্লোরে ঘুমাবি তোদের মতো এতিমের জন্য এইটুকুই অনেক এই বলে বিছানা থেকে একটা চাদর আর বালিশ ছুড়ে দিলো!! (কথা)

--- এদিকে রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি যাকে নিয়ে পৃথিবীটা সাজালাম হৃদয়ের আকাসে দেবীর আসনে ঠাই দিলাম আর আজ 

তার মনের আকাশে অন্যজনের বসবাস হ্যা কথা টিকই বলেছে আমার কি আছে ছোট থেকে বড় হয়েছি তার বাবা মার করুণায় একটা এতিম অনাতকে কে বিয়ে করবে তাও আবার কথা লন্ডন থেকে ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে এসেছে েসব ভাবতে ভাবতে মনে স্হির করে নিলাম যতো তাড়াতাড়ি পারি তাকে মুক্ত করে দিয়ে হারিয়ে যাবো দুর অজানায়!!!

------ হঠাৎ দরজায় নক করার শব্দ চোখ মেলে দেখি সকাল হয়ে গেছে এই অবস্হায় যদি দরজা খুলি তাহলে সবাই কি ভাববে তাই খাটে একসাইডে বালিশ আর চাদরটা রেখে জানালার পর্দাটা সরাতেই সকালের মিষ্টি আরো এসে পড়লো 

 

ঘরের ভেতরে সকালের মিষ্টি আলোয় কথায় মায়াবী মুখটা মায়ায় ছলছল করে উঠেছে মনে হচ্ছে আমার ঘরে সূর্য কন্যার উদয় হয়েছে মনে হচ্ছে শিশির ফোটা হয়ে আলতো করে ছোয়ে দেয় তাকে ঘুমালে একটা মানুষকে এওো সুন্দর লাগে কথাকে না দেখলে কখনো বুঝতামই না মনে হচ্ছে চুপিসারে তাকে একপশলা বৃষ্টির ফোটা হয়ে ভিজিয়ে দেয় পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে কথায় দিকে!!!
-------- ওই ছোটলোক তোর কিভাবে সাহস হলো"""

পর্বঃ ০১

সম্পূর্ণ গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন=
                                                       ***( গল্প: ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা )***

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...