গল্পঃ জীবন মরনের ভালোবাসার গল্প
বাড়িতে আত্নীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশীরা সবাই আসতে শুরু করেছে।বিকাল ৪টার নাগাত দাওয়াতের সব লোকজন আসা শেষ হলো।আমি ঘর বাড়ি ঝাড়ু দিয়ে এসেছি ঘরে।এর মধ্যে আমার বড় আপু আসলো।এসেই আমার কাজ করা দেখে রেগে গেলো।
(বড় আপু) - মা, মা কই গেলা শোনো তো।(অনেকটা জোর গলায়)আপুর ডাক শুনে মা ছুটে এলো।এসে বললো কি হয়ছে বল।
( বড় আপু)- আগামীকাল যে মেয়েটার বিয়ে সে মেয়েটাকে দিয়ে কি আজ কাজ না করালে কি হয় না?
(মা)- আমি তো অসুস্থ কোমড় নিয়ে কিছু করতে পারি না।কী করবো বল?
দিন টি ২৪ শে অক্টোবর ২০১৩ সাল।
(বড় আপু)- কেনো মা? তোমার ছেলের বউয়েরা কী করছে? একটা না দুটা না চার চারটে বউ তারা কী একজন ও উঠোন ঝাড়ু দিতে পারে না? এক জনও কি ঘরের কাজ গুলি করতে পারছেনা? কথাগুলো এক নিস্বাসে বলে ফেললো বড় আপু।যদি ওরা এই বাড়ির কাজকে পরের বাড়ির কাজ মনে করে, তাহলে ওদের সবাইকে বিয়ের পর বাড়ি থেকে বের করে দিবা বলে দিলাম।সামান্য উঠোন যারা ঝাড়ু দিতে পারে না।তারা এ বাড়িতে থাকার কোনো অধিকার রাখে না।
আপুর কথায় প্রায় ঝগড়া বাধানোর জন্য বড় ভাবি ছুটে এসেছে।অমনি আমি আপাকে থামিয়ে দিলাম।বড় আপু আবার আমার সব কথা শোনে।তাই আমি যখন আপুকে বললাম আপু প্লিজ থেমে যাও না আজকের দিনটাই তো।আপু থেমে গেলো।কিচুক্ষণ নিরবতার পর আমার কাকি এসে গান গাইতে শুরু করলো। আবার বাড়িতে আনন্দে মুখর পরিবেশ সৃষ্টি
হলো।আনন্দে গমগম করতে লাগছিলো সারা বাড়িটা। সবাই যে যার মতো করে আনন্দ উপভোগ করছে আর কাজ করছে। কেউ পিড়ি সাজাচ্ছে, কেউ মেহেন্দি বাটছে কেউ বা আবার হলুদ শর্ষে পিষিতেছে। যে যার মতো কাজে ব্যস্ত।
--এতো কিছু বলতে গিয়ে আপনাদেরকেতো আমার পরিচয় দিতেই ভুলে গেছিলাম।আসুন পরিচয়টা দিয়ে দিই। আমি জুই।বাবা মায়ের সপ্তম সন্তান।আমার আরো ছোটো দুই ভাইবোন আছে।আমরা ৯ ভাইবোন।সিরাজগঞ্জ জেলার এক গ্রামে আমার জন্ম।আমার দাদি খুব ধার্মিক ছিলেন।অবশ্য উনার মাঝে ধর্মীয় গোড়ামিটাও ছিলো অধিক মাত্রায়।যার ফলশ্রুতিতে আমরা নয় ভাইবোন। চার ভাই আর পাঁচ বোন।ছোটো বেলা থেকেই আমি সবার আদরের ছিলাম।অন্যান্য পরিবারে হয়তো বেশী সন্তান হলে হয়তো ছেলেমেয়েদের অবহেলা, অবলিলায় বড় হতে হতো।কিন্তু আমাদের বেলায় তা হয়নি।
বাবা মার কাছে আমরা প্রত্যেক ভাইবোনই ছিলাম অত্যন্ত আদরের।আমার বাবা একজন সাধারণ কৃষক।এতো ভালোবাসা পাওয়ার পর ও প্রাইমারির গন্ডি পেড়িয়ে কেউ হাই স্কুলের বারান্দায় যেতে পারেনি।একমাত্র আমি ছাড়া। আমি এখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি।অবশ্য মাধ্যমিক পরীক্ষার পর আব্বু আমাকে পড়াতে চায় নি।আজ কে যার সাথে আমার বিয়ে হতে যাচ্ছে সেই আমাকে ইন্টারে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলো।এর পিছনে অবশ্য অনেক রহস্য আছে। সেগুলে আজকে না বলি।অন্য একদিন বলি।যাইহোক পরিচয় দিতে গিয়ে অনেক কথা বলে ফেলাম।
তো সব মেহেন্দি, কাঁচা হলুদ আর শর্ষে বাটা শেষ হলে আমাকে গোসল করানোর জন্য পানি আনলো।আমপাতা দিয়ে ফুল বানিয়ে পানির কলস এ, পানির মগে।ভাবি দুলাভাই সহ সবাই আমাকে গোসল করাতে আসলো।গোসল করানোর সময় আমার তিন দুলাভাই মিলে কালি রঙ দিয়ে ভাবিদের মাখিয়ে দিলো।এমনকি আমাকেউ ছাড়লো না।রঙ কালি দিয়ে খেলতে ওরা হয়তো ভুলেই গেছিলো যে আমাকে গোসল করাতে হবে।আমি পিড়িতে বসে শীত এ কাপতেছিলাম।ইতিমধ্যে সেখানে আব্বুর আগমন ঘটে।আব্বু আমাকে কাঁপতে দেখে চিল্লাতে থাকে।
(আব্বু) -এই তোমরা কোথায় গেলে এই মেয়েটাকে গোসল করানো বাদ দিয়ে। মেয়েটা আমার কাঁপতাছে।তাড়াতাড়ি গোসল করিয়ে নিয়ে যাও।
আব্বুর চিল্লানি শুনে অবশেষে ভাবিরা, দুলাভাইরা আসলো।আমাকে গোসল করিয়ে ঘরে পাটিতে বসানো হলো।দেখতে দেখতে রাত ১০টা বেজে গেলো।আমার হবু বর আমাকে কল দিলো।আমরা সারারাত কথা বললাম।
সকালবেলা আমার চোখ ভারি হয়ে আসলো।আমি ঘুম রাজ্যে পাড়ি জমালাম।আমার ফোন দিয়ে সাউন্ড বক্স এ বড় ভাইয়া গান বাজাচ্ছে। ওদিকে আমার বর আমাকে বারবার ফোন দিয়ে যাচ্ছিলো আমি ফোন না তোলাতে রেগে গেছে। দুপুর বারোটা বাজে আমি ফোনটা হাতে পেলাম।ফোন হাতে নিয়ে দেখি ২৫ টা মিসড কল উঠে আছে।আমি তো ভয় পেয়ে গেছি এটা ভেবে যে ফোনের ওপাশের মানুষটা যে কত রেগে আছে।
যাইহোক পরে চিন্তা করলাম এতো ভেবে লাভ নেই একবার কল দিয়েই দেখি উনার রিয়েকশন কেমন।(মনে মনে বললাম) যেমন ভাবনা তেমনি কাজ কল দিলাম। উনি ফোন কেটে দিয়ে ফোন ব্যাক করলো।
উনি)- হেলো ( নরম স্বরে)
আমি)- বলো। সরি ফোনের কাছে ছিলাম না জান।তুমি রাগ কোরো না প্লিজ।
উন)- আমি রাগ করিনি।কিন্তু কষ্ট পাচ্ছিলাম এটা ভেবে যে আমার বউটাকে কাছে পেতে গিয়ে আমি দুরে ঠেলে দিচ্ছি নাতো?
(আমি)- (ইমোশোনাল হয়ে) জান তুমি এভাবে ভাবছো কেনো? আমি তোমার থেকে দুরে সরে যাবো কেনো।আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি।আই লাভ ইউ জান।উম্মাহ।
(উনি)-থাক আর ভালোবাসা দেখাতে হবে না।আজকে উনি আমায় কিস করতাছে।কই আগে তো চাইলেও সহজে দিতে চাইতে না। এখন যেই দেখছে ভুল করছে ওমনি ঘুষ দেয়া হচ্ছে তাই না?
আমি - পাগল একটা। কথায় কথায় শুধু অভিমান।দাড়াও।আসতেছি তোমার অভিমানের পালা সাঙ্গো করতে।
উনি- লাগবে না।কোনো পেত্নীকে আমার চাই না।
আমি- সালার বুড়া কোথাকার আমাকে পেত্নী বলা হচ্ছে। আরে এই পেত্নী ছাড়া তোমাকে আর কেউ বিয়ে করবে না বলে দিলাম মিলিয়ে নিয়ো।
উনি-(একটু হেসে)হা হা হা এই বুড়া ছাড়া তোমার কপালেও বর জুটবে না বলে দিলাম।
আমি- চাইলেই জুটবে।
উনি- তো জুটালেন না কেনো? যান জুটিয়ে নিন।বলুন বিয়াইকে আনবো নাকি বর সাজিয়ে।
আমি- ঐ বুড়া মুখ সামলে।যা ইচ্ছে তাই বলবা নাকি?
উনি- তাহলে যে বললে।
আমি- তো?
উনি- কিছুনা। (গম্ভির গলায়)
আমি- আরে আমি যে আমার বুড়াকে বড্ড বেশি ভালোবাসো।বুড়াকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারি না।তাই....
উনি- তাই কী?
আমি- তাই বুড়াকেই বিয়ে করবো।
উনি- একটা কিস হবে বউ?
আমি-উহু।
উনি - কেনো?
আমি- এমনি।
উনি- আমার ও সময় আসতেছে আমিও দেবো না।দেখি কার বেশী কষ্ট হয়।তখন যেনো কান্না না করা হয়।
আমি- ওকে দিচ্ছি,দিচ্ছি। এতো ভয় দেখাতে হবে না।কোথায় দেবো বলো?
উনি - জানি না।
আমি- জানতে হবে না।আমার পছন্দমত জায়গায় ই দিচ্ছি। উম......
যেই বলেছি ওমনি ভাবি এসেছে।
ভাবি-আর তো মাত্র কয়েক ঘন্টা এটুকুই সইছে না।আগে জানলে বিয়ের আগেই ননদ জামাইকে সবচেয়ে বেশী মি্ষ্টিটা খাওয়াইতাম।
আমি-( ভাবির কথায় অনেকটা লজ্জা পেয়ে লাজভরা মুখে ভাবিকে বললাম)ভাবি তুমি ও না?
ভাবি- আমিও কি?
আমি- খুব দুষ্ট। মুখে কিছুই আটকায় না।
ভাবি-থাক আর লজ্জা পেতে হবে না।বরের সাথে কথা বলো আমি এখন যাই।
বলেই ভাবি চলে গেলো। ততক্ষণে আমার উনি ফোনটা কেটে আমাকে এসএম এস করেছে। জান আসছি।ভালো থেকো।আর হ্যা তোমার কিসটা ডিউ রইলো।রাতে দেবো সুদে আসলে। আমি ও উনাকে এস এম এস দিলাম। ওকে জান দেখেশুনে এসো। এবার আমি আমার উনার নাম বলি।উনি হলেন রাজ ।বয়স ২৫ বছর।পেশা-কাঠমিস্ত্রি।দেখতে একদম নায়কের মতো।লম্বায় ৫ফুট ৬"। স্বাস্থ্য মিডিয়াম।গায়ের রঙ ফর্সা। চোখ দুটো দেখলে মনে হয় ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই ওর জন্ম হয়েছে। আমি ওর চোখ দেখেই প্রেমে পরেছিলাম।
প্রেম টাতে অবশ্য ওরই বেশী আগ্রহ ছিলো,আমার ততটা আগ্রহ ছিলো না।থাকবে কি করে আমার তো তখন প্রেম করার বয়স ই হয়নি।ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ২০০৮ সালে।তখন আমার বয়স সবেমাত্র ১০ বছর।আমি ক্লাস সিক্স এ পড়ি।
আমার প্রিয় পোষাক ছিলো হাতা ছাড়া টপস।আমি ওগুলো পড়েই স্কুলে যেতাম।প্রতিদিনের মতো সেদিন ও স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম এমন সময় বড় ভাইয়ার(বড় আপুর বর)ডাক পরে উনি আমাকে বলে উনার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে।আমিও ঘুরতে খুব ভালোবাসতাম।তাই কিছু জিঙ্গেস না করে ভাইয়ার পিছন পিছন গেলাম।
কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমরা ইজিবাইক এউঠলাম।ইজিবাইকে ওঠার ১৫মিনিট পরই আমরা গন্তব্যস্হলে পৌছে গেলাম সেখানে গিয়েই পরিচয় হলো রাজের সাথে।যেহেতু ভাইয়ার সাথে ওর আগেই কথা হয়ছিলো যে আমরা যাওয়ামাত্র ও আমাদের সাথে চলে আসবে।কথানুযায়ী ও আমাদের সাথে চলে আসলো।বাড়িতে আসতে আসতে দুপুরের খাবার টাইম হলো।বাড়িতে এসে সবাই মিলে একসাথে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
তারপর ও আমি আর আমার চাচাতো বোন সহ সবাইমিলে বউছি খেললাম।খেলতে খেলতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো।সবাই যে যার মতো ফ্রেস হলাম।তারপর একটু খানি পড়ে, আবার ও আড্ডা দিতে বসে গেলাম।বিকেল গড়িয়ে রাত হলো সবাই মিলে রাতের খাবার সেরে ফোনে ছবি দেখছিলাম।এর মধ্যে আমি লক্ষকরলাম ও ফোনের দিকে না তাকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি যেহেতু ছোটো ছিলাম ওতো কিছু বুঝি নি।
তাই সবার সাসনে ওকে বলে ফেললাম কি হইছে কন তো।ছবি দেখা বাদ দিয়ে আমার দিকে কেনো চেয়ে আছেন।ও আমার কথায় অনেকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ছবি দেখায় মন দিলো।এভাবে তিনদিন পার হয়ে গেলো।তিনদিন পর ও বাড়িতে চলে গেলো।
পর রোজই আপুর ফোনে কল দিতো আর আপুর সাথে কথা বলতে বলতে আমাকেও চাইতো।আপু ও আমায় কথা বলতে বলতো।বলবে নাইবা কেনো.।অন্য কেউ নয়তো।নিজের খালাতো ভাই।পারিবারিক সমস্যার কারনে আসাযাওয়া হতো না।তাই কেউ কাউকে চিনতাম না।যাইহোক এভাবে কথা বলতে বলতে ও আমার খুব কাছের বন্ধু হয়ে গেলো।স্কুল থেকে শুরু করে এমন একটা মুহুর্ত নেই যখনকার কথা ওর সাথে শেয়ার করতাম না
প্রতিদিনকার ঘটে যাওয়া সাধারন কথাগুলোও বলতে ভুলিনি কখনো।দেখতে দেখতে দুবছর কেটে গেলো আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি। আমার ক্লাসের এক সহপাঠী আমাকে প্রপোজ করলো।আমি প্রতিদিনের মতো সেদিনও এই কথাটা ওকে বলি।
আমার এই কথা শোনার পর ও আমাকে যা বললো,তা শুনে আমার চক্ষুজোড়া ছানাবড়া হয়ে গেলো।ও আমাকে কী বললো জানেন? ও বললো তোমরা মেয়েরা এমনই কেউ যদি তোমাদের মজা করেও কিছু বলে সেটা আসল ভেবে গ্রহণ করবে।অথচ সারাজীবন কেউ যদি তোমাদের চোখে চোখ রেখে কিছু বুঝাতে চাই।তখন বোঝো না।আসলে তোমরা শুধু মুখের ভাষা বোঝো। চোখের ভাষা বোঝো না।
আমি ওর মুখে এই কথাগুলো শুনে অবাক হয়ে গেলাম।ওকে জিঙ্গেস করলাম তুমি আসলে কি চাও ভাইয়া,একটু স্পষ্ট করে বলবে? আমার প্রশ্নের উত্তর ও ঝটপট বলে ফেললো।আমি তোমাকে ভালোবাসি।তোমাকে আমার চাই।কথাগুলো এতো তাড়াহুড়ো করে বলছিলো যেনো মনে হয় একটু দেড়ি করে বললেই আমাকে আর পাবো না।ও এক নিস্বাসে কথাগুলো বলে ফেললো।
আমি ওর কথাগুলো শুনে হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে আছি।ফোনের ওপাশ থেকে কথা ভেসে আসছে কি হলো কথা বলো না কেনো?কথা বলো প্লিজ।চুপ করে থেকো না প্লিজ।আমি চুপ ই আছি কি বলবো বুঝতেছি না।
সেদিনের মতো ফোনটা কেটে দিলো।পরের দিন আমি স্কুল থেকে এসে বাসন মেজে আপুর ঘরে যাচ্ছি ভাত খেতে।এমন সময় ফোন বেজে উঠলো।আমি রিসিভ করলাম না।পাঁচবার কল আসার পর আপা রিসিভ করলো।আপার সাথে কথা কিছুক্ষন কথা বলার পর আমাকে চাইলো।আপু আমাকে ডাকলো কথা বলার জন্য কিন্তু আমি কথা বললাম না।এভাবে চারদিন কেটে গেলো আমি আর ওর সাথে কথা বলি না।
পাঁচদিনের মাথায় ও আমাদের বাড়িতে চলে আসলো। আমি আর আগের মতো ওর সাথে কথা বলি না ওর কাছে ও যাই না।ও অবশ্য কথা বলার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু আমি বলি না।একটা ভয় কাজ করতো প্রেমের কথা আব্বু জানতে পারলে খুব মারবে তাই।এসব ভেবেই ওর থেকে দুরে থাকি।অবশ্য ওর সাথে কথা না বলে থাকতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো।কিন্তু কিছুই করার ছিলো না।কারন আমি দেখেছিলাম বড় আপু প্রেম করেছিলো বলে ভাইয়ারা আর আব্বু মিলে কিভাবে আপুকে মেরেছিলো।এসব ভেবেই নিজকে শক্ত করে ওর থেকে দুরে রাখছিলাম।কিন্তু না ওতো কিছুতেই আমাকে দুরে থাকতে দিচ্ছে না।
এরকম চলতে থাকলে তো আমি নিজেকে আড়াল করতে পারবো না।কি করা যায়।এসব ভাবতে ভাবতে কলপাড়ে গেছি হাতমুখ ধুতে। হাতমুখ ধুয়ে বাড়ির ভিতর আসবো এমন সময় ও আমাকে এক হ্যাচকা টানে ওর বুকের সাথে জরিয়ে ধরলো।এভাবে মিনিট পাঁচেক রাখার পর ছেড়ে দিয়ে আমার ডান হাতের তালুর উল্টোদিকে কিস করে যেই না আই লাভ ইউ বলেছে ওমনি আমি ওর গালে কষে এক থাপ্পড় মারলাম।এই প্রথম আমি কাউকে মারলাম তাও আবার আমার ভালো বন্ধু গালে।থাপ্পড় খেয়ে ও আমাকে কিছু না বলে ঘুমাতে গেলো
পরের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে না খেয়ে বাড়িতে চলে গেলো।কিছুদিন কেটে গেলো ও আর আমাদের বাড়িতে কল দেয় না।আমিও লেখাপড়াই মন দিয়েছি সামনে জে এস সি পরীক্ষা তাই।কিছুদিন যাওয়ার পর হঠাৎ একদিন রাতে আমার চাচার বাড়িতে শুতে গেছি।(বাড়িতে সেদিন কেউ ছিলো না।)আমি আর আমার চাচাতো বোন শুয়ে আছি দেখি ওর ফোনে কল এলো।
ও অনেক্ষন কথাও বললো।কথাগুলো শুনে মনে হলো দুজন দুজনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।কথা বলা শেষ হলে ও ফোনটা মাথার কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়লো।আমার ঘুম আসতেছিলো না তাই আমি সাপ খেলার জন্য ফোনটা নিলাম। কিছুক্ষণ খেললাম ও।হঠাৎ ই আমার কৌতুহল হলো নম্বরটা দেখার জন্য।রিসিভ কলে গিয়ে নাম্বার দেখে আমি রিতিমতো অবাক হয়ে গেছি....এইটা কি করে সম্ভব?
(১ পর্ব)
সম্পূর্ণ গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন=
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন