গল্প ঃ 💚খালাতো বোন যখন বউ💚
Part : 2
অধরা একদম লাল হয়ে যাচ্ছে, আর আমি ওর প্রেমে পাগল হয়ে যাচ্ছি,,,, আস্তে আস্তে আমি অধরার ঠোঁটের দিকে যাচ্ছি। আমি এখন অধরার নিস্বাস এর শব্দ শুনতে পাচ্ছি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
তারপর একটা বড়ো দীর্ঘশ্বাস নিয়ে অধরা কে ছেড়ে দিলাম,,, ও শুধু হাপাচ্ছে।
আমি ঃতোর পারফিউম টা তো অনেক সুন্দর। খুব মিস্টি একটা গন্ধ আসছে। অনেক দামি নিশ্চয় তাইনা।
অধরা অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।(হয়তো আমাকে বোঝার চেস্টা করছে)
আমি ওর অবাগ হয়ে তাকিয়ে থাকা দেখছি😶।
অধরা চলে গেলো আর আমি হাল্কা নাস্তা করে "ফেইসবুক "ঢুকলাম কখন যে রাত ৯ টা বেজে গেছে খেয়ালই করিনাই,,,
খালামনির ডাকে " ফেইসবুক " থেকে বাস্তবে আসলাম।
খালামনি ঃফারুক খেতে আয়।
তারপর খুব সাভাবিক ভাবেই ডিনার করলাম,,,ডিনার শেষ করলাম।
খালামনি ঃ অধরার রুমের পাশের রুমটা তোর থাকার জন্য রেডি করা হয়েছে। তুই এখন থেকে ওই রুমে থাকবি।
আমি ঃও আচ্ছা ঠিক আছে।
চলে আসলাম নিজের রুমে,, এসে আবার " ফেইসবুকে " ঢুকলাম।
নাহ! কিছুই ভালো লাগছে না।।ইতিমধ্যে ফেইসবুকের সব খবরাখবর দেখে শেষ করে ফেলেছি। আর ভালো লাগছে না। তবে পুরনো আইডিয়া কাজে লাগানো যাক।
আমার কবিতার মতো__হারিয়ে গেলাম কল্পনার জগতে-
।।তোমাকে নিয়ে শত ভাবনা হৃদয়ে,
ভেবেছিলাম পুর্ন চাঁদের সমুজ্জ্বল আলোয় জোৎস্না বিলাশ করবো।
হৃদয়ে প্রেমের পুথি গেথে ভালোবাসার কথা শোনাবো।
কিন্তু যা আজন্ম পাইনি আমি,
পাইনি খুজে তোমাকে।।
হঠাৎ ই চমকে উঠলাম। কল্পনার আবেশ কেটে গেলো, ফোনের রিংটনে। এয়ারটেল সিমে যে এতো বেশি পরিমানে প্রমোশনাল এসএমএস আসে যা বলার মতো না।খুবই বিরক্তিকর।
যাইহোক আমি এখন ছাদে যাবো
মন ভালো করার জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ, সোজা চলে গেলাম ছাদে। রাত ১২ টা বাজে,,,,।
আমি ঃওয়াও এটাতো পুরাই আমার মনের মতো।আলো আধারের এই লুকোচুরি খেলা, এ যে আমার কল্পনারও বাইরে। ছাদের একপাশে অন্ধকার আর এক পাশে আবছা আলো। মাঝে মাঝে জোৎস্নার আলোয় আলোকিত হয় প্রকৃতি, আবার হারিয়ে যায় মেঘের আড়ালে। জোৎস্নার এই আলো আধারের খেলা আমার হৃদয়ের হৃদ স্পন্দন বাড়িয়ে দিচ্ছে।।যদি এ রাত কখনো শেষ না হতো।হৃদয়ের ভিতরের লুকানো প্রেমগুলো কেনো যানি নাড়া দিয়ে উঠছে। ছাদের অপর পাশে একটা টেবিল আর চেয়ার রাখা। এখানে আবছা ছায়া গায়ে এসে পড়ছে।সোজা গিয়ে বসে পরলাম। আহা এখান থেকে জোৎস্না দেখতে কেনো জানি খুব ভাল লাগছে🌕🌝। হৃদয় শীতল করা একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলো। হঠাতি মনটা জেনো রোমান্টিকতায় ভোরে উঠল। আমি জেনো এই রাতের জন্য কতো অপেক্ষাই ছিলাম। আমার খুব ভালো লাগছে।এরকম জ্যোৎস্নাময় রাত আমার খুবি ভাল লাগে🌕। তবে কেমন জানি মন টা খারাপ হয়ে গেলো😨। অধরার কথা মনে পরছে😭।
(হঠাৎ পেছন থেকে কারো ডাক)
অধরা ঃ আচ্ছা ফারুক তুইও কি আমার মতো এরকম রাত পছন্দ করিস🙄।
(আমি অন্ধকারকে ভয় পাইনা। তাই ভয় পেলাম না)
আমি ঃ ওহহহহ তুই,, বস😮😮।
অধরা ঃতো আমি কি দারিয়ে থাকবো।তুইতো নিজেই বসে আসিছ আমার জায়গায়😠😔।
আমি ঃহুমমমমমমমম, অঅনেক বেশি পছন্দ করি। আর তোর জন্য অপেক্ষা______
অধরা ঃ মানে????
আমি ঃ এরকম জোস্নাময় রাতে হারিয়ে জেতে মন চায় দুরররর বহুদুর । যেখানে নেই কোন মানুষের সমাগম,নেই কোলাহল । যেথায় রয়েছে শুধুই রোমান্টিকতা, আর সুখ আর সুখ।জানিস আজো যেতে পারিনি সেখানে😣।
কথাটা বলে অধরার দিকে তাকালাম। ও আমার দিকে তাকিয়ে একটা ঢোক গিলল।
তারপর আমরা দু'জনে অনেক গল্প করলাম। তারপর যে যার রুমে ঘুমাতে চলে গেলাম😄।
সকালে ঘুম ভাংলো অধরার ডাকে। তারপর খুব সাধারণ ভাবে সারাদিন কাটলেও বিকেলে ঘটলো আরেক ঘটনা।
বিকেল এ আমি হাটতে বের হয়েছি একা একা।রাস্তা ঘাট ও ঠিকমতো চিনি না।হঠাৎ একটা জায়গায় চোখটা একদম থেমে গেলো। অধরা একটা ছেলের সঙ্গে কথা বলছে। কিন্তু অবাগ করার বিষয়টা হলো এটা কালকের ছেলেটা না।এটা অন্য।
আমি মাথায় হাত দিয়ে বোঝার চেস্টা করছি, কালকের ছেলেটা যদি অধরার বয়ফ্রেন্ড হয়। তবে আজকের ছেলেটা কে?
এইসব ভাবতে ভাবতে ঐ দিকে তাকিয়ে দেখি ছেলেটা অধরার হাত ধরে টানাটানি করছে, আর অধরা হাত ছাড়াবার চেষ্টা করছে।
আমি এইসব দেখে ওদের দিকে দৌড় দিছি। ওখানে পৌছে দেখি অধরার হাত থেকে রক্ত গরিয়ে পড়ছে আর নিচে ভাঙা চুরি।
আমি যেই ছেলেটাকে মার শুরু করবো। কিন্ত অধরার দিকে তাকিয়ে আমার সমস্ত শরীর যেন অবস হয়ে গেলো। তাকিয়ে দেখি অধরার চোখে পানি(ও হয়তো খুব ব্যাথা পাইছে) অধরা কান্না করছে।
আমি আর ছেলেটাকে মারতে পারলাম না। যেই আমি(ফারুক) খুব বড়ো সমস্যায় পরলেও ভাইকে ডাকি না নিজেই সমস্যার সমাধান করি, সেই আমিই আজকে বাধ্য হয়ে ভাইকে ফোন দিয়ে কাপা কাপা গলায় বললাম(কথাগুলো বলার সময় কখন দুচোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরেছে খেয়ালই করি নি)---,ভাইয়া ও আমার অধরাকে,, হাত কেটে ফেলছে ওই ছেলেটা, আমার অধরা,,, কথা শেষ করার আগেই ভাইয়া আমি আসছি বলে ফোন কেটে দিলো।
আর এদিকে ছেলেটা তোকে দেখে নিব বলে চলে গেলো।
আমি ওর হাতটা আমার রুমাল দিয়ে বেঁধে দিলাম।
অধরা ঃ কিরে তুই কাদছিস কেনো।
আমি ঃ কই নাতো (আরে পাগলী তোর চোখে পানি দেখে কলিজা পুরে যাচ্ছে, আর বলছিস কাঁদছি কেন---মনে মনে)
আমি ঃ এই ছেলেটা কে ছিল😠?
অধরা ঃ (চোখ মুছতে মুছতে)-- আমার বয়ফ্রেন্ড 😭।
আমি ঃ (অবাগ চোখে তাকিয়ে) --তোর দুইটা বয়ফ্রেন্ড?
অধরা কোন উত্তর না দিয়েই বাসার দিকে হাটা শুরু করলো।
আমি দৌড়ে অধরার কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে একসাথে হাটতে শুরু করলাম। যেতে যেতে হঠাৎ একটা গলি থেকে একটা ছেলে বের হয়ে আমার আর অধরার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে😒।
ছেলেটা ঃঅধরা তুমি না বলেছিলে তোমার কোন বয়ফ্রেন্ড নাই,আর আমিই নাকি তোমার সব।তাহলে
এইসব কি। এই ছেলেটা (মানে আমি) কে ☹
আমি ঃ এই ছেলেটা কে⁉
অধরা ঃ বয়ফ্রেন্ড,,, (রাগের চোটে আমাকেও বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে দিলো)
আমি ঃমানে কি এইসবের😡?
অধরা কোন কথা না বলে সোজা হাটা শুরু করলো।
আর আমি অবাগ হয়ে ভাবতে লাগলাম এইটা তার মানে অধরার ৩ নাম্বার বয়ফ্রেন্ড 😥।
আমি আবারো দৌড়ে অধরার কাছে গিয়ে ওর সাথে হাটা শুরু করলাম।বাসার সামনে চলে এসেছি এমন সময় একটা ছেলে এসে বলছে।
ছেলেটা ঃজানু কেমন আছো😍। আর এই ছেলেটা কে?
এবার আমি আর নিজেকে কনট্রোল করতে পারলাম না।
আমি ঃ(চিৎকার করে) এই ছেলেটা আবার,,,,,,
অধরা আমার কথা থামিয়ে দিয়ে,,,,,,
অধরা ঃ (ঠান্ডা মাথায়) বয়ফ্রেন্ড 🙂।
এই কথা বলে অধরা বাসার ভিতরে চলে গেল।
আর আমি পোরা কপাল নিয়ে ভাবছি 😨😰😭😱।এইটা টার মানে ওর ৪ নাম্বার বয়ফ্রেন্ড 😭😭😭😭😭😭😭😰😰😰😰😰,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন