সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে র্পবঃ ০৩

গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে

র্পবঃ ০৩
মেঘলা: আচ্ছা তোর নাম কি?
আমি: নাম দিয়া কাম কি বিয়ে করার চালা..| [থাক আর বল্লাম না]
মেঘলা: কিরে চুপ হয়ে গেলি কেনো ?
আমি: না মানে আপনি বরিশালের খা..খাবার খেয়েছেন ?
মেঘলা: হারামজাদা এইটা তোর নাম আমি কিছু বুজি না তুই কি বলতে চাইসিস বুঝছি ?
আমি: আরে আমি তো কিছু বলি নি বল্লাম যে বরিশালের খাবার খেয়েছেন নাকি ?
মেঘলা: কেনো তোর বাড়ি বরিশাল নাকি ?
আমি: ক্যান আরে দেখি আন্নের কিত্তে বরিশাল মনো ঐলো ?
মেঘলা: হাহাহা তার মানে নোয়াখালি ?

আমি: সাবধান মরে নোয়াখাইল্লা কইবেন না হেইয়া কইলে মোর ভিতোরে ছার খার ঐয়া যায় |
মেঘলা: হাহাহা এই তুই থাম সত্যি করে বল তই কন জায়গার ?
আমি: আপনি কিতা কইতাচেন আমারে কি বরিছাল আর নোয়াখালি মনে ঐতাচে নাকি ?
মেঘলা: বুঝছি তোকে এখন একটু ধোলাই দিতে হবে |
আমি: এই না না বলছি |
মেঘলা: হুম বল ?

আমি: আসলে আমার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে সেখানে আব্বু আম্মু থাকে আর এখানে ঢাকায় পরাশুনার জন্য ভাইয়ার বাসায় আসছি|
মেঘলা: ওহ আচ্ছা আর জানিস আমি এইখানের স্থানিও |
আমি: তাই তো বলি এত কলিজা আসে কোথা থেকে আমাদের ওখানের হলে কি যে করতাম ?
মেঘলা: কি বল্লি কি করতি বল ?

আমি: এই না না কিছু না আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম সিনেমা দেখতে যেতাম এক সাথে পাশা পাশি বসে থাকতাম আরো যে কত কি .
যেই বল্লাম সেই জোরে একটা থাপ্পর মারলো আমি তখন বল্লাম
আমি: কি হলো থাপ্পর মারলেন কেনো কি অপরাধ করলাম ?
মেঘলা: থাপ্পর টা না মারলে তুই স্বপ্নের জগৎতেই থাকতি |
আমি: দূর আজ যে কার মুখ দেখেছিলাম তখন থাপ্পর খেলাম আর এখন একটা আমার গালটা তো সরকারি |
মেঘলা: বেয়াদবি করলে রড দিয়ে পিটাবো |
আমি: এই না এটা করবেন না |

মেঘলা: আচ্ছা ঠিক আছে এখন বল তোর নাম কি ?
আমি: আমার নাম জানু |
মেঘলা: দেখি তো তোর গালটা একটু এদিকে আন ?
আমি: এই না না বলছি আমার নাম আবির হাসান নুর |
মেঘলা: হুম খুব সুন্দর |
আমি: পছন্দ হয়েছে ?
মেঘলা: মানে ?

আমি: আসলে নাম পছন্দ হলে তো তাকেও পছন্দ করা তাই না আহারে কি লজ্জা |
মেঘলা: তোর লজ্জার গুষ্টি কিলাই এই মামা ছুরিটা দাও তো |
আমি: এই না প্লিজ আমাকে ছুরির ভয় দেখাবেন না আর না হলে কিন্তু সত্যি সত্যি প্যান্টে হিসু করে দিবো |
মেঘলা: হাহাহা তাহলে খারা তোর সব আজ কেটে ফেলবো |
আমি: প্লিজ একটা জাগা বাদে কাইটেন সেটা ছারা আমি বাবা ডাক শুনতে পারবো না |
তখন সে লজ্জায় বল্লো

মেঘলা: ছি কি বলিস এগুলো ?
আমি: আসলে আমি বলতে চাইলাম যে আমার কান দুটো কাইটেন না সেটা ছারা আমি বাবা ডাক শুনতে পারবো না |
মেঘলা: হাহাহা ওহ আচ্ছা |
আমি: কেনো আপনি কথায় ভাবছিলেন ?
মেঘলা: দেখ এখন কিন্তু কেটে ফেলবো |
আমি: এই না সরি ক্ষমা করে দিন|
মেঘলা: হাহাহা তুই দেখি আসলোই অনেক ভিতু |
আমি: হ্যা খুব ভিতু | আমি মাঝে মাঝে রাতে ভয় পেলে আম্মুর কোলে গিয়ে উঠি |
মেঘলা: কি তোর আম্মুর কোলে হাহাহা |

আমি: এইযে এখানে হাসার কি হলে মাঝে মাঝে তো আমার আম্মু আমাকে লুঙ্গি পরিয়ে দিতো |
মেঘলা: এই তুই আর কথা বলিস না তোর কথা শুনে হাসতে হাসতে মরে যাবো |
আমি: আহারে কি হাসি আপনার পুরাই ঘোড়ার হাসির মতো |
যেই বল্লাম সেই আমার কলার ধরে বল্লো

মেঘলা: কার হাসির মতো আবার বল ?
আমি: এই না মানে আসলে পূর্নিমার চাদের মতো হাসি |
মেঘলা: হুম এটা আগে বল্লে কি তোর কলারটা ধরতাম জা ছেরে দিলাম |
উফফ খুব জোর বেচে গেলাম আর না হলে ক্যান্টিনেই মাইর খেতাম অতঃপর আমি বল্লাম
আমি: আচ্ছা আপনার নামটাই তো জানা হলো না |

মেঘলা: মেঘলা আক্তার নিলা আমার নাম ...... মেঘলা আপু বলে ডাকবি |
আমি: ওহহ আচ্ছা সাকচুন্নি আপু বলে ডাকবো ?
মেঘলা: এই মামা ছুরিটা দাও তো |
আমি: এই না আমি তো মজা করলাম মেঘলা আফু |
মেঘলা: ঠিক আছে মনে থাকে জানো |
আমি: আচ্ছা মনের ভিতরে লিখে রাখবো তোমারি নাম সরি আপনার নাম |
মেঘলা: প্রবলেম নেই তুই আমাকে তুমি করে বলতে পারিস তাছারা আমি তো তোর এক ক্লাস বড় ততটা বড় না |
আমি: তুমি করে বল্লে যদি আমাকে মার দেন তাহলে ?
মেঘলা: হাহাহা আরে গাধা মারবো কেনো মারবো না

আমি: সত্যি ?
মেঘলা: হুম
আমি: কিন্তু তুমি করে না বলতে আমার লজ্জা করে |
মেঘলা: তাহলে এক কাজ করি তোর লজ্জা কে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলি ?
আমি: এই না আপনি এরকম কেনো শুধু শুধু খালি ভয় দেখান?
মেঘলা: হাহাহা তাহলে এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে যেটা বলছি সেটা বলবি |
আমি: আইচ্ছা |

মেঘলা: এই তুই ক্লাস করবি না ?
আমি: আসলেই তো কিন্তু আপনি থুক্কু তুমি তো আমাকে ক্লাস থেকে টেনে নিয়ে আসছো |
মেঘলা: আচ্ছা এখন যা আর ক্লাস কর |
আমি: যাচ্ছি কিন্তু আজ খেতে খেতে পেট ভরে গেছে সকালে ও খেলাম এখন তুমি আবার ক্যান্টিনে খাওয়ালে |
মেঘলা: মানে তুই না বল্লি যে সকালে কিছু খেয়ে আসিস নি |
আমি: ইয়ে মানে কখন বল্লাম ?
মেঘলা: এই মামা ছুরিটা দাও তো ওর পেট ফুটা করে দিবো |
কে কে দেখে দিলাম দৌর

এই গুন্ডি মেয়ের সাথে থাকলে আমার উপরের টিকিট তারাতারি কাটা হয়ে যাবে যাই হোক ক্লাস করে বাসায় গেলাম ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটু রেষ্ট নিলাম ভাবলাম যে আজ একটু ফেসবুকে ঢুকবো আসলে মেয়ে ফ্রেন্ড ছারা ফেসবুক চালাতে ভালো লাগে না তাছারা কোনো জি এফ ও নেই তাই বরিং লাগে

তো ফেসবুকে ঢুকলাম ঢুকেই দেখি সুপ্রভা আহমেদ নামে রিকয়েষ্ট আসছে পরে প্রফাইলে ঢুকে দেখি এটা আর কেও না হেড স্যারের গুন্ডি মেয়ে টা ভাবলাম যে একসেপ্ট করলে ও সমস্যা কখন না আবার ফেসবুকে মাইর দেওয়া শুরু করে তাই জুলিয়ে রাখলাম|
অতঃপর কাল স্কুলে গেলাম গিয়েই দেখি লেডি গেং আর তাদের বস সাতচুন্নি থুক্কু মেঘলা আপু বসে আছে আর দেখছি আমাকে ডাকছে



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...