সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ম্যাডামের মেয়ে যখন বউ পর্ব-৪


  গল্প: ম্যাডামের মেয়ে যখন বউ
  পর্ব-৪

- পরে তিশার কাছে সব জিজ্ঞাস করে নিবো।
ম্যাম আমাকে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছে সাথে তিশাও ছিলো ম্যাম তিশাকে সাথে বসে বুঝতে বলছে। তিশা একদম আমার গা ঘেষে বসেছে। ম্যাম পড়া বুঝাচছিলো আর তিশা আমাকে খুচা দিচ্ছিলো ইচ্ছা করছিল একটা থাপ্পড় মারি।কিন্তু নাহ সেটা করা যাবে না।
এখন আমি তার বাসাতেই বসে আছি। আর যদি তাকে এখন মারি তবে তার মা কি আমাকে ছেড়ে দিবে?? কোনো রকম পড়া শেষ করে বাসায় আসলাম।আম্মুকে বলে গিয়েছিলাম যে ফিরতে রাত হতে পারে তাই আম্মু আর কিছু বললো না।

আমি গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে খেতে বসলাম, ম্যামের বাসায় খাবার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলো।কিন্তু লজ্জা লাগছিলো ম্যামের বাসায় খেতে তাই আমি বলেছিলাম আমার একটু তাড়া আছে অন্য একদিন খেয়ে নিবো এই কথা বলে সেখান থেকে এসেছি খেয়ে দেয়ে রুমে এসে দিলাম এক মহা ঘুম এক ঘুমে রাত পার।
পরদিন সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো,আমি উঠে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে কলেজে গেলাম যাবার পর দেখি তিশা বসে আছে।আর হ্যা তিশার তেমন কোনো ফ্রেন্ড নেই।
আমি তিশার কাছে গিয়ে বসলাম।

তিশা- তাহলে আপনার এতক্ষনে আসার সময় হলো মহারাজ??
আমি- সেই সব পরে হবে,তার আগে বল তুমি আমাকে বললে না কেনো তুমি ম্যামের মেয়ে??
তিশা- কেনো সেটা বললে কি তুমি আমার সাথে ফ্রেন্ড শিপ করতা না??
আমি- সেটা বলতে চাচ্ছি না,, তুমি সবার কাছে থেকে তোমার আসল পরিচয় কেনো লুকিয়েছো??
তিশা- আসলে পরিচয় দিয়ে দিলে সবাই অন্য চোখে দেখবে যেটা আমার একদম ভালো লাগে না। তাই আমি আম্মুকে বলেছি আমার আসল পরিচয় যেনো সবার সামনে না আনে...

আমি- ওহহ আচ্ছা এখন তো আমি আর তোমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবো না।তুমি ম্যামের মেয়ে।
তিশা- কি বললি তুই কুত্তা তোর এতো বড় সাহস তুই আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না তাই না আজকে দেখাচ্ছি।
আমি- এইউ কি করছো ব্যাথা লাগছে তো।
তিশা-- লাগলে লাগুক তাতে আমার কি?? তুই আর বলবি আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না।
আমি- না আর কোনো দিন বলবো না তিশা এরপর আমাকে ছেড়ে দিলো আমি তো বেচে গেলাম।বুজলাম নাহ আমার সাথে কেন এমন করলো আমি ছেড়ে গেলে তিশার তো কিছু যায় আসে না।

তিশা- অই কাদের শুনো?
আমি- হ্যা বলো।
তিশা- চলো না একটু ঘুটে আসি?
আমি- কোথায় যাবে।
তিশা- নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়?
আমি- হ্যা অনেক ভালো হয়।

একই ভাবে চলতে লাগলো আমাদের দিন গুলো খুব হাসি খুশি আড্ডা ঘুরে বেড়ানো আরো কত কি।তিশা সব সময় আমার পাশে পাশে থাকতো।কেনো জানিনা তিশা যখন আমার পাশে থাকতো আমার খুব ভালো লাগতো,আর যদি তিশার সাথে আমার কথা না হতো বা দেখা না হত সেই দিনটা খারাপ যেত।
আমি সব সময় তিশার একটু কথা শুনবার জন্য একটু দেখা পাবার জন্য পাগল থাকতাম।
আমার মনে তিশার জন্য অন্য রকম একটি জায়গা সৃস্টি হয়েছে।আমি তিশাকে ভালোবেসে ফেলেছি।জানিনা তিশা আমাকে ভালোবাসবে কিনা।কিন্তু আমি তিশাকে খুব ভালোবাসি।
অন্য দিকে তিশা আমার একটু বেশি কেয়ার নিতো।অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলা একদম সহ্য করতে পারতো না।

যেদিন দেখতো আমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বলছি সেদিন আমাকে ইচ্ছা মতো কিল ঘুষি দিতো।এই নিয়ে আমি কখনো কোনো কথা বলিনি।
একদিন একটা মেয়ের সাথে কথা বলছি মানে মেয়েটা ক্লাস মিস করেছে আর সেই জন্য আমার কাছ থেকে নোট চাচ্ছে এই নিয়ে কথা বলছিলাম এরি মাঝে কোথা থেকে যেনো ডাইনি চলে আসলো এসেই আমাকে কান ধরে ক্যাম্পাসের একটা ফাকা জায়গাই নিয়ে গেলো তারপরঃ
তিশা- অই মেয়ের সাথে এতো কিসের কথা তোর হ্যা?
আমি- না এমনি বলছিলাম,,কেনো কি হয়েছে তাতে??
তিশা- কি হয়েছে না হয়েছে তা জানিনা,,

তবে তুই অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবি না।
আমি- কেনো বললে কি হবে শুনি???
তিশা- আমি বলছি তুই অন্য কারো সাথে কথা বলবি না,, মানে বলবি না,এতো প্যাকর প্যাকর করার কি আছে।
আমি- তুমি কে হও আমার যে তুমি কথা বলতে না করবে আর আমি কথা বলবো না।
তিশা- কি বললি তুই আমি তোর কেউ না?( চোখের কোনে পানি লক্ষ্য করলাম)
আমি- হ্যা সত্যি তুমি আমার কেউ হও না তো।
তিশা- তুই কি বুঝিস না??
আমি- কি বুঝবো হা?

তিশা- থাক তোকে আর বুঝতে হবে না।( কান্না করেি দিলো)
আমি- এই তুমি কান্না করছো কেন?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কান্না করছি!!
আমি আর কখনো তোর কোনো বিষয়ে কথা বলবো না।
এই কথা শুনার পর আমার নিজেরই কেমন জানি লাগলো মনে হলো কারো শাসন হারিয়ে ফেলবো।এরপর তিশা আর কোনো কথা বলেনি।চুপচাপ চলে গেছিলো আমি পেছন থেকে অনেক ডেকেছিলাম। কিন্তু তিশা আমার কোনো কথা শুনেনি।চলেই গেছিলো তারপর থেকে দুইদিন তিশার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।

এই দুইদিনে খুব মিস করছি তিশাকে অনেকবার কল করেছি কিন্তু তিশা রিসিভ করেনাই।ভেবেছিলাম একবার তাদের বাসায় যাবো কিন্তু কোন মুখে যাবো আমি তাই আর যাওয়া হয়নি এই দুদিনে বুঝতে পেরেছি তিশা আমার কতটা জুড়ে আছে।খুব মিস করি তিশার কথা গুলো তার শাসন গুলো,কিছুই ভালো লাগছে না।
কিভাবে যে তিশার সাথে একটু কথা বলবো দেখা করবো সেটাই ভেবে পাচ্চি না ভেবেছি এবার দেখা হলে আমার ভালবাসার কথা বলে দিবো।
তিশা আগে কলেজে আসুক তারপর আমি আমার ভালবাসার কথা তিশাকে বলে দিবো।ভালোবাসা গোপন করে রাখতে নাই।গোপন করে রাখলে ভালোবাসা হারিয়ে যায়।
কিছুদিন পর তিশা কলেজে এলো আমি সাথে সাথে তিশার কাছে গিয়ে....




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...