অভিনয়
পর্ব:৬
আরে মামুন এটা তো মাত্র শুরু সামনে দেখো আর কত কিছু হয়..
মামুন আবার নিচে চলে গেলো..
অনেকদিন কাছের মানুষ গুলোর সাথে ভালো করে কথা হয় না
মামুন নিচে গিয়ে আব্বু আম্মুকে ডাকতে শুরু করলো..
আব্বু আম্মু একটু এইদিকে আসস
ছেলের ডাক শুনে আম্মু তো দৌড়ে চলে এসেছে..
আম্মু;আমার ছেলে কথা বলছে হ্যা আমার ছেলে কথা বলছে আজ অনেকদিন পর আমার ছেলে আমাকে আম্মু বলে ডেকেছে
রাত্রীঃভাইয়া তুই কথা বলতে পাড়ছিস আমি জানতাম ভাইয়া ভাবি পারবে তোকে ঠিক করতে..
মামুন;ও কিছুই করেনি আমার এখন ইচ্ছা হচ্ছে তাই কথা বলছি
রাত্রীঃভাইয়া তুই যতই বলিস তুই তো এতোদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলি ভাবি সেটা দূর করে দিয়েছে।
ভাবি কোথায় রে??
মামুনঃআমি কি করে বলবো তোর ভাবি কোথায়য় যা গিয়ে নিজেই খুঁজে নে
রাত্রীঃভাইয়া এইভাবে বলছিস কেনো?
মামুনঃআমার ভালো লাগছে না তোদের কথা তাই..
আমি তো আমার ইচ্ছাতেই কথা বলেছি কিন্তু তার ক্রেডিট তোরা বারবার ওকে কেনো দিচ্ছিলি
রাত্রীঃসরি ভাইয়া
মামুনঃসরি বলতে হবে না.
আম্মু আব্বু কোথায় গেছে...
আম্মু;তোর আব্বু একটু বাইরে গেছে একটু পরেই চলে আসবে।
মামুনঃআচ্ছা আম্মু আমার ক্ষুধা লেগেছে কিছু খেতে দাও..
আম্মু;একা কেনো খাবি যা বউমাকে ডেকে নিয়ে আয়..
মামুনঃআমি ডেকে আনতে পারবো না
আমাকে ডাকতে হবে না আমি চলে এসেছি আম্মু।।(তিশা)
আম্মু;আমি তো রান্না করছি মামুনের নাকি ক্ষুধা লেগেছে তুই একটু বেড়ে দে..
তিশাঃআচ্ছা আম্মু তুমি চিন্তা করো না আমি ওকে খাবার বেড়ে দিচ্ছি..
মামুন একটা কিছু বুঝতে পাড়ছে না
তিশা সামনে আসলে ও রাগ করতে পারে না কেনো?
এমনিতে তো ওর কথা শুনলেই প্রচুর রাগ হয় কিন্তু এখন কেনো রাগ হচ্ছে না..
তিশা খাবার বেড়ে দিলো মামুন প্লেটে শুধু হাত দিয়ে খাবার গুলো নেড়ে যাচ্ছে কিছু খাচ্ছে না..
তিশাঃকি হলো তুমি খাবে নাকি শুধু
শুধু এমনভাবে খাবার নেড়ে যাবি নাকি তোমাকে খাইয়ে দিতে হবে..
রাত্রীঃভাবি তুমি কেনো বুঝো না ভাইয়া তোমার হাতে খাবে বলে নিজে কিছু খাচ্ছে না,,দাও ভাবি ভাইয়াকে খাইয়ে দাও..
তিশাঃকিন্তু তোমার ভাইয়া তো সেটাও বলছে না ও আমার হাতে খাবে..
রাত্রীঃভাবি আমার ভাইয়া তো একটু লাজুক স্বভাবের তাই নিজের মুখে কিছু বলছে না তুমি খাইয়ে দাও দেখবে ভাইয়া কোনো কিছু না বলে চুপচাপ খেতেই থাকবে..
রাত্রীর কথা শুনে তিশা মামুনকে খাইয়ে দিতে যাবে
তখন মামুন বললো এই আমি কি তোমাকে একবারো বলেছি আমি তোমার হাতে খাব??
তিশাঃনা বলোনি...
মামুনঃতাহলে আমাকে খাইয়ে দিতে আসছ কেনো??
তিশাঃআমি ভাবলাম তুমি সত্যি আমার হাতে খাবে তাই নিজের হাতে কিছু খাচ্ছিলে না..
মামুনঃতুমি এটা কিভাবে ভাবলে শুনি?শুনো আমি শুধু অধরার হাতেই খেয়েছি অন্য কোনো মেয়ের হাতে কিছু খাবার আমার কোনো ইচ্ছা নেই..আর ভুলেও আমাকে খাইয়ে দেওয়ার কথা ভাববে না বলে দিলাম..
আর তুমি কি ভেবেছ তুমি অধরার মত আচরণ করবে আর আমি সেটা দেখে তোমাকে ভালোবেসে ফেলবো
যদি এটা ভেবে থাকো তাহলে তুমি ভুল ভাবছ..
আমি কেনো না খেয়ে বসে ছিলাম জানো।।
কারণ এটা আমার অভ্যাস আগে যখন অধরা ছিলো ওর সাথে আমার কথা হতো
আমি খাবার নিয়ে বসে থাকতাম কারণ আমি না বললে ও কখনো খেত না..
আর আমি বলার পর ও খাবার খেতে বসে আমাকে এসএমএস করতো তাই এটা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে খাবার প্লেট সামনে নিয়ে বসে থাকা
তিশাঃরাত্রী তুমি এই ব্যাপারে কিছু জানতে??
রাত্রীঃইয়ে না মানে ভাবি হ্যা জানতাম
তিশাঃসব কিছু জেনেও কেনো আমাকে তুমি মিথ্যা বললে?তুমি এতো কথা না বললে আমাকে এতো কথা শুনতে হতো না
ভালো লাগে না আর আমার এইসব একটা মানুষ মরে গেছে তার দেহ পচে গলে গেছে আর তোমার এই সাইকো ভাই তাকে নিয়েই পড়ে আছে
ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত
অধরা অধরা অধরা..কেনো এখনো একটা মরা মানুষকে নিয়ে পড়ে আছে...
মামুনঃরাত্রী ওকে আমার পারসোনাল ব্যাপার নিয়ে কথ বলতে না কর..
তিশাঃতোমার পারসোনাল ব্যাপার মানে
আমি তোমার স্ত্রী সেটা ভুলে গেছ নাকি??
আর স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারসোনাল ব্যাপার বলে কিছু থাকে না..
মামুন এইবার রেগে গেলো খাবার প্লেট ছুড়ে ফেলে দিয়ে বললো খাবোই না,
এইকথা বলে উঠে চলে গেলো..
মামুন চলে যাবার পর তিশা রাত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো..
রাত্রীঃকান্না করো না ভাবি..
তিশাঃকি করবো আমি তুমি বলতে পারো..
আমিও তো একটা মানুষ বিয়ের এতোদিন হয়ে গেলো আজ পর্যন্ত আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলেনি..
একটু সময় একসাথে কাটায়নি..
সব সময় দূরত্ব বজায় রাখে কেনো রাখে?
কেনো রাখে মরা একটা মানুষের জন্য রাখে..
আর অধরার মাঝে তোমার ভাই কি এমন দেখেছিলো যা আমার মধ্যে দেখতে পায় না..
আমি কি দেখতে খারাপ নাকি তোমার ভাইয়ার সাথে আমার যায়না কোনটা??
রাত্রীঃভাবি তুমি ভেঙে পরো না,,
আসলে ভাইয়া অধরা আপুকে অনেক ভালোবাসতো তো তাই এমন হচ্ছে
কিন্তু ভাইয়া একটু একটু করে সেখান থেকে বের হয়ে আসছে..আজ কথা বলছে কাল অফিস জয়েন করবে পরশু ভাইয়া নিজেকে গুছিয়ে নিবে..
এইভাবে দেখবে ভাইয়া অধরার সব কিছু ভুলে তোমাকে ভালোবাসবে
তিশাঃআর কত আশা দিবে ভালোবাসবে?যে কিনা এতোদিন আগে কথা ভুলতে পাড়ছে না সে কি করে আমাকে ভালোবাসবে??
রাত্রীঃআমি বলতে পাড়ছি না কিছু তবে ভালোবাসবে খুব ভালোবাসবে এটা আমি সিউর দিয়ে বলতে পাড়ছি
আচ্ছা আমি রুমে গিয়ে দেখি তোমার সাইকো ভাইয়া কি করছে??
রাত্রীঃএখন ভাইয়ার কাছে যাওয়া কি ঠিক হবে??
তিশাঃহুম ঠিক হবে ও
কারন ও যতক্ষণ একা থাকবে ওর রাগ ততবেশি বাড়বে তাই গিয়ে ওর সাথে একটু কথা বলি
রাত্রীঃআচ্ছা ভাবি যাও তবে দেখো ভাইয়াকে আবার বেশি রাগিয়ে দিও না
তিশাঃআরে সেটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না
তিশা রুমে চলে গেলো গিয়ে দেখতে পেলো মামুন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে..
তিশাঃকি দেখছ অমনভাবে
মামুন কোনো উত্তর না দিয়ে বাইরের দিকেই তাকিয়ে আছে
তিশা'আমি সরি বাবু আমার তখন অমনভাবে বলা ঠিক হয়নি..
মামুনঃআমাকে কোন দিক থেকে দেখে মনে হয় আমি বাবু??
তিশাঃএই তো আমার বাবু কথা বলেছে..
মামুনঃউহু আমি বাবু না আমি বড় হয়ে গেছি.?
তিশাঃধুর তুমি না একটুও রোমান্টিক না..আমি তো তোমাকে ভালোবেসে বাবু বলে ডাকছি
মামুনঃআমার অত ভালোবাসার দরকার নেই..
তিশাঃরেগে আছ বাবু??
মামুনঃআমাকে বাবু বলবে না বলে দিলাম,,ডাকবে তী ডাকবে অমনন ন্যাকামি করে ডাকার কি আছে
তিশাঃআমার অমনভাবে ডাকতে ভালো
লাগে বল----কিছু বলতে গিয়েও বললো না।।
মামুনঃএই তুমি কিছু একটা বলতে চাইছিলে??
তিশাঃনা মানে আমি তো বাবু বলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু তুমি তো রাগ করো তাই বললাম না..
মামুনঃনা তুমি বাবু বলতে চাচ্ছিলে না..
তিশাঃমামুন দেখো তোমার পেছনে তেলাপোকা...
মামুন লাফ দিয়ে সেখানে থেকে চলে আসলো
তিশাঃতেলাপোকা তোমার পেছনেই আসছে দেখো.?
মামুন দৌড়াচ্ছিলো সময় সুযোগ বুঝে তিশা মামুনকে ধাক্কা দিলো মামুন তিশাকে ধরেই বিছানার উপর পড়ে গেলো
মামুন নিচে আর তিশা মামুনের উপরে..
মামুন আর নিজের মধ্যে নেই./
তিশার চোখ গেলো মামুনের ঠোটের দিকে যেটা অনেক দিন থেকেই লক্ষ্য করে আসছে
আজ আর সুযোগ হাত ছাড়া করবে না..
--------------------------------------------
https://banglalovestory247.blogspot.com/
tags:
Banglalovestory247, love story bangla, love story, নতুন রোমান্টিক লাভ স্টোরি, লাভ স্টোরি, রোমান্টিক লাভ স্টোরি বাংলা, ভালোবাসার গল্প, প্রেমের গল্প,নতুন ভালোবাসার গল্প, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প, সেরা ভালোবাসার গল্প, প্রেমের গল্প ও কবিতা,
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন