সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জীবনের ভালোবাসা পর্ব ৩য়



 জীবনের ভালোবাসা
 পর্ব  ৩য়

জোর করে সোহাগ করলে তাকে ধর্ষন ই মনে হয়।যাইহোক আমি এটাকে স্বাবাভিক বলে মেনে নিলাম।এটা ভেবে যে ৫ বছর রিলেশন থাকা সত্বেও ওর সাথে আমার কোনো ফিজিকাল রিলেশন হয়নি আমাকে নিজের করে পেয়ে হয়তো তাই নিজেকে আটকাতে পারেনি।সব ভুলে আমি ওকে জিঙ্গেস করলাম আমাদের বাড়িতে কি হয়ছিলো।আমার বিস্বাস ছিলো ও বলবে।বিস্বাস থাকবেই না বা কেনো? ৫ বছরে আমরা একে ওপরের বন্ধু হয়েছিলাম।আমার যা হতো ওকে বলতাম আর ওর যা হতো আমাকে বলতো।প্রাইভেসি বলে কিছু ছিলো না।

কিন্তু ওর উত্তর শোনার পর আমার মনে হলো যে আমার প্রাইভেসি না থাকলেও ওর আছে ছিলো আর থাকবে।যাইহোক ওর উত্তরটা ছিলো এরকম আজ থেকে আমি যেটা বলবো সেটাই শুনবে কোনো প্রশ্ন করবে না।আর আমি যেটা ইচ্ছে করে বলবো না সেটা নিয়ে আমাকে অথবা আমার বাড়ির কাউকে কোনো প্রশ্ন করবে না বলে দিলাম।

আর হ্যা মনে রেখো তুমি আমার বিয়ে করা বউ তাই আমার সব কথা শুনতে তুমি বাধ্য।আরো ১টা কথা, কথায় কথায় রাগ দেখাবে না।মনে রাখবে এখন কিন্তু তুমি আমার বউ জি এফ না যে আদর করে রাগ ভাঙাবো। এসব কথা শুনে আমি যেনো আকাশ খেকে পড়লাম। এটা কি বলে? বাসর রাতটা কেটে গেলো কোনোমতে।পরের দিন আমাদের বাড়ি থেকে ৫০ জন মানুষ যাওয়ার কথা।কিন্তু মানুষ গেলো মাত্র ১৫ জন।তাও আবার ১২ জন ছোটো ছেলেমেয়ে আর বাকি তিনজন আমার সেজো ভাই, চাচা,আর এক প্রতিবেশী ভাই। এ নিয়ে অনেক ঝামেলা ও হলো।

আমাকে আর বাপের বাড়িতেে নায়র পাঠাতে চাইলো না আমার স্বশুর বাড়ির লোকেরা। আমার চাচা বুঝিয়ে বলার পর আমার স্বশুর আমাকে পাঠাতে রাজি হলো।কিন্তু আমার বর মোটেই আসতে চাই না আমাদের বাড়িতে। আমার ভাই তখন আমাকে নিয়েই বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন আর বললেন।থাক কাউকে যেতে হবে না আমার বোনকে একেবারে নিয়ে যাচ্ছি। এমনিতেও আমার বোন এখানে সুখি হবে না।আমার বর এর রাতের ব্যবহার আর ভাইয়ার এই কথাটা আমাকে প্রচুর ভাবাচ্ছে, আমার বারবার মনে হচ্ছে বড়ধরনের কোনো একটা সমস্যা তো অবশ্যই হয়ছে, নাহলে সেজো ভাই একথা বলতো না।আমি ভাইয়াকে জিঙ্গেস করতে চাইলাম যে কেনো একথা বলছেন?

কিন্তু সাহস হলো না।অবশেষে বাড়িতে আসলাম।দিনটা ভালোই কাটলো।পরের দিন স্বশুর বাড়িতে গেলাম এর মাঝে আমি একটা কথা শুনলাম।আমার বিস্বাস কথাটায় আমার সব হিসেব মিলে যাবে।কিন্তু তবুও কেনো জানি বিস্বাস করতে মন চাইলো না।এক সময় আমি ওই চিন্তাভাবনা গুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম।সবকিছু কে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিয়ে সংসারে মন দিয়েছি। আজ আমার বিয়ের ৫ দিন।আমি রান্না বান্না সেড়ে ঘরে এসেছি।

আমার বাড়িটা একটু দুরে।হুম এটা আমার স্বামীর উপার্জনের টাকায় তৈরি করা।আমার স্বাশড়ী আমার সাথে খায়।আমার বিয়ের ৩দিন পরেই আমাকে আমার সংসার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।তাই সব কাজ আমাকেই করতে হয়।যাইহোক আমি রান্না শেষে ফ্রেশ হয়ে স্বাশুড়ি কে খেতে বলে আমাদের ভাত হটপট এ নিয়ে ঘরে এসেছি।কারেন্ট না থাকায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে ৯.টা বাজে।

আমিই শুধু বসে বসে কুপির আলোতে নববধূর উপহার বইটা পড়ছি। অনেক ক্ষন অপেক্ষা করার পর উনি ঘরে আসলো।এসে ভাত খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো। আমি ভাবতেছি আমাকে ১টি বার ও জিঙ্গেস করলো না খেয়েছি কি না।অথচ বিয়ের আগে টাইমে টাইমে খবর নিতো আমি খেয়েছি কি না।এতো চেন্জ কি করে হলো এ কদিনে? এসব ভাবতে ভাবতে কখন চোখের কোনে জল এসে পড়েছে নিজেই জানি না।এর মধ্যে ডাক পড়লো।কিরে শুতে আসোস না কেনো? আমি চোখের

জল মুছে শুতে গেলাম। অন্য দিকে মুখ ফিরে শুয়েও পড়লাম।কিছুক্ষণ পর লক্ষ করলাম ও আমাকে ওর কাছে টানছে।আমি ও অনেকটা রাগের বশে এক ঝটকায় ওর কাছ থেকে সরে আসলাম।এবার ও একটু জোড়েই আমাকে টেনে নিজের ঠোটে আমার ঠোট মিলাতে চাচ্ছে। এমন সময় আমি আবার ওর কাছ থেকে ছুটে আসার চেষ্টা করলাম
।ও রেগে আমাকে ঠাস করে একটা চড় মারলো।তারপর জোর করে আমার ঠোটে ওর ঠোট ডুবিয়ে দিলো।

ও যখন আমার ঠোটের স্বাদ নিতে ব্যস্ত তখন আমি ওর মুখের বাজে গন্ধে অসস্তিকর একটা মুহুর্ত অনুভব করতেছি। অসহ্য লাগছে তবুও নিজেকে ছাড়াতে পারছি না।কারন জোর করে ছাড়ালে আবার মার খেতে হবে।মুখ বুজে তাই সব সহ্য করতে হচ্ছে। জোর করে সহ্য করতে গিয়ে আমি অবশ্য অনেকবার বমি করতে করতে দূর্বল হয়ে পড়েছি। কিন্তু সেদিকে ওর কোনো খেয়াল নেই। ও লিপ কিস করা বন্ধ করে আমাকে ভোগ করার খেলায় মেতে উঠলো।আজ ওর ব্যবহারে মনে হচ্ছে আমি এক দেহব্যবসায়ি আর ও কাষ্টমার তাই নিজের টাকা উসুল করে নিচ্ছে।

এভাবেই চলে গেলো ১৫-১৬ দিন।রোজ রোজ ওর মুখে দুর্গন্ধ। আর সোহাগের নামে অস্বাভাবিক আচরন আমাকে প্রচুর ভাবাচ্ছে। কোনোভাবেই বুঝতে পারছি না কি করবো।
আমি প্রচুর ভাবছি,আর ভাবছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারছি না।মাথা কোনো কাজ করছিলো না।এরই মধ্যে ডাক পড়লো।

(শ্বশুর শাই)- বউমা , বউমা।কই গেলা এদিকে একটু আসো তো।
আমার ভাবনায় ছেদ পড়লো।
(আমি)- জি আব্বা আসছি। বলে চলে গেলাম শ্বশুরমশাই এর কাছে।
শ্বশুরমশাই- রান্না কি হয়ছে?
আমি)- হ্যা বাবা রান্না হয়ছে। আসুন খাবেন।
শ্বশুরমশাইকে খাবার পরিবেশন করছিলাম কিন্তু ওদিকে আমার কোনো মনই ছিলো না।আমি তো ডুবে ছিলাম ভাবনার সাগড়ে।
শ্বশুরমশাই - বউমা কি করলে?
আমি- হ্যা , হ্যা বাবা!
(বলে প্লেটের দিকে তাকালাম) তাকিয়ে যা দেখলাম তাতে ভ্যাবাচেকা খাওয়ার উপক্রম।
স্... সরি বাবা। (অনেকটা অপরাধীর শুরে)
শ্বশুরমশাই - ঠিক আছে মা।ওসব সরি টরি বলতে হবে না।
আমি- ঠিক আছে বাবা।বলে প্লেটে তরকারি তুলে দিলাম।
আব্বা ভাত খেয়ে চলে গেলো।আমি প্লেট গুছিয়ে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে দেখলাম রাজ রুমে শুয়ে আছে।

আমি-কি গো, কখন এলে?
রাজ -চুপচাপ কোনো কথা বলছে না।
আমি-কি হলো? কিছু বলছো না যে।কিছুতো বলো।
এতোক্ষনে রাজ মুখ খুললো।
রাজ- হ্যা কি বলছিলি?

আমি- হ্যা বলছিলাম যে কখন এলে?
রাজ-তুই আমার থেকে কৈফিয়ত চাচ্ছিস কোন সাহসে?(অনেকটা রাগি মেজাজে)
আমি- আরে না, কৈফিয়ত কেনো চাইবো।ভুল বুঝো না প্লিজ।
রাজ-তো কি করছিস হুম?
আমি- না কিছুনা। (শান্ত গলায়)চলো খাবে, চলো।
রাজ- যা খেয়ে আয়।
আমি- কেনো? তুমি খাবে না?

রাজ- না খাবো না।তুই যা খেয়ে আয়।
আমি- জান, এমন করে না। প্লিজ চলোনা খেয়ে আসি।(সোহাগমাখা কন্ঠে)

রাজ - প্যানপ্যান করিস নাতো।ভালো হবে না বলছি।

আমি বুঝে গেলাম যতই চেষ্টা করি না কেনো কাজ হবে না।তাই কথা না বাড়িয়ে আম্মাকে বললাম খেয়ে শুয়ে পড়তে।
আমি হাতমুখ ধুয়ে এসে শুয়ে পড়লাম।পেটে খুব খিদে।কিন্তু কি করবো আমার বর যে খাইনি। বর না খেলে আমি কি করে খাবো।গলা দিয়ে যে ভাত নামবে না।যাইহোক চুপচাপ শুয়ে পড়লাম।
 আজকে মনে হলো সোহাগ নামের অত্যাচার টা আমার উপর প্রতিফলিত হবে না।ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম। বুঝতে পারিনি আজকের রাতটা আমার জন্য এতোটা ভয়ংকর হবে।
আমি ঘুমাচ্ছিলাম।হঠাৎ লক্ষ করলাম রাজ আমাকে ডাকছে।

রাজ- জুই, এই জুই ওঠ।
আমি- কি, ডাকছো কেনো? একটু ঘুমোতে দাওনা।(ঘুমের ঘোরে বলতেছিলাম)
দ্বিতীয়বার আর ও আমায় ডাকেনি।না ডেকে আমার ঠোট ওর মুখে পুরে ঠোটের স্বাদ নিতে শুরু করছে।
আমি-( ওকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বললাম।)প্লিজ, ছাড়ো না।আজকের দিনটা অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে দাও।কিন্তু কে শোনে কার কথা।আমার কথা ওর কানে পৌছালো না।
রাজ- চুপচাপ থাক।আমি যা করছি, তা করতে দে।(অনেকটা রেগে গিয়ে).

আকস্মিক ঘুম ভাঙানোর জন্য এমনিই মাথাটা ব্যাথা করছিলো। তার ওপর সোহাগের নামে এতোসব অত্যাচার। আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। আমি-( রেগে গিয়ে ওকে বলতে শুরু করলাম) যদি না করতে দিই?
রাজ- দিবি না?
আমি- না।
রাজ- তুই দিবি না?তোর বাপ দেবে। না রাগিয়ে করতে দে আমায়।
আমি- না। আমি আর তোমার ভোগের বস্তু হবো না। (জেদের স্বরে)
রাজ- তুই হবি তোর চৌদ্ধগুষ্টি শুদ্ধ হবে। (কর্কশ কন্ঠে)
আমি-দেখো গুষ্টি তুলে কথা বলবে না।

রাজ- কেনো তুলবো না আর তুল্লে কি করবি?
আমি- আমার সহ্য হয়না।
রাজ - ( এবার একটু বেশি রেগে গিয়ে আমাকে বললো) শোন তোর সহ্য না হলে আমার কিছু যায় আসে না।
আমি- তা কেনো আসবে যাবে।আমি কে তোমার? তুমি তো আমাকে একটা বেশ্যার মতো ইউস করো।কথাগুলো শেষ করতে না করতেই রাজ এক হ্যাচকা টানে আমাকে তার কাছে টেনেনিলো।
রাজ- ওহ আচ্ছা।তাহলে আজ সেটা ভেবেই করি।
আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম দেখলাম ওর চোখদুটো রাগে লাল টকটকে হয়ে গেছে। রাজ আমার ঠোট ওর মুখে নিয়ে ততক্ষণে কামড়াতে শুরু করেছে।
আমি খুব ব্যথা পাচ্ছি। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু সফল হচ্ছি না।এক পর্যায়ে ওকে ধাক্কা মারলাম। ধাক্কার ঝোক সামলাতে না পেরে খাটের সাথে লেগে কপালে খানিকটা কেটে যাওয়াই রাজ পশুর ন্যায় হিন্স্র হয়ে উঠলো।
রাজ-সুয়োরের বাচ্চা। তোর সাহস বেড়ে গেছে।তুই আমায় মারিস।
আমি-দেখো আমি তোমায় ধাক্কা মারতে চাইনি।শুধু সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।কথাটা শেষ করতে না করতেই লক্ষ করলাম আমার পিঠে কিলাচছে।


- আমাকে মাফ করে দাও আর মেরো না আমায়।(কেঁদে কেঁদে কথাগুলো বলছিলাম।
আমার কান্না রাজ কে শান্ত করতে পারেনি।
রাজ-তো. .তোকে মাফ করবো আমি?
আমি-হুম।দাওনা প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা করে।(অনুরোধের সুরে)

রাজ- না কক্ষনো না।আমার যতটুক রক্ত ঝরিয়েছিস ঠিক ততোটা রক্ত ঝরাবো তারপর ক্ষমা।

বলেই আবারো আমার ঠোট কামড়াতে শুরু করলো।
আমি-যাক বাবা বাচা গেলো।অল্পের মধ্যে শেষ হয়েছে তো।(মনে মনে কথাগুলো বলছলাম)
রাজ একভাবে আমার ঠোট কামড়িয়েই যাচ্ছিলো। একসময় আমি অনুভব করলাম আমার ঠোট পোড়াচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো করে ওর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে আয়নার সামনে গেলাম নিজের চেহারা দেখতে। আয়নায় নিজের মুখ দেখে বুঝতে পারলাম ঠোট পোড়ানোর কারন। এদিকে রাজ আবারো আমার দিকে আসছে।আর ওর চোখদুটো আমার ঠোটের দিকে।
রাজ এগোচ্ছে...

আমি - আসবেনা একদম আমার কাছে।
রাজ-বেশি কিছু তো করিনি শুধু ঠোটের স্বাদ নিয়েছি।। তাতেই এমন?(তাচ্ছিল্যেরর হাসি হেসে কথাগুলো বলছে রাজ)।
আমি-ছি ছি,ছি আর কত,....বলো আর কত নিচে নামবা তুমি? (আমার কথায় ঘৃণা স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।)
রাজ -আরো অনেক নিচে নামতে পারি।কেবল তো শুরু।দােখতে থাক আরো কত কি হয়?
আমি-(রেগে গিয়ে বললাম) নামিস যত ইচ্ছে তত নিচে নামিস তুই।আমি আগামিকালই বাড়িতে চলে যাবো।
রাজ-কি বললি? বাড়িতে যা, যাবি?
আমি-হ্যা যাবোতো।আর শুধু যাবোই না ডিবোর্স লেটার ও পাঠিয়ে দেবো।(কান্না করে)

রাজ -ওহ তাই?(ক্ষিপ্ত হয়ে)।
আমি -হুম।
রাজ- আচ্ছা কাল চলে যাস।বাধা দেবো না।বলে আমার হাতদুটো শক্ত করে ধরে আবারো ঠোট কামড়াতে শুরু করলো।
এমনিতে কাটা ঠোট তার উপর আবার কামড়াচ্ছে। আমি সহ্য করতে পারছিলাম না।হাত পা ছোড়া শুরু করলাম।এবার রাজ আমায় বিছানায় ফেলে দিলো।
আর বলতে থাকলো আমাকে ডিভোর্স দিবি তাইনা,ডিভোর্স দিয়ে অন্য কারো সাথে সংসার করবি তুই, দাড়া করাচ্ছি. ....।দোয়াচ্ছি তোকে ডিভোর্স।

আমার চোখে তখন ততখানি ভয় ঠিক যতখানি হিংস্রতা আমি রাজের চোখে দেখেছিলাম। আমি প্রচন্ডভাবে হাত পা ছুড়ছিলাম ওর থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু কোনো লাভ হলো না রাজ ততক্ষণে আমার হাত, পা, মুখ বেধে ফেলেছে।
রাজ একদিকে ওর জ্বালা মিটাচ্ছে আর অন্যদিকে আমি দাফাচ্ছি আর ভাবছি আর নয়। আজকের পর তো নয়ই অনেক সহ্য করেছি।
-চলে যাবো আমি।দরকার পরলে নিজেকে শেষ করে দেবো তবুও আর এই সংসারে থাকবো না।
রাজের মুখে তখন কুটিল হাসি।

-কেমন লাগে?যাবি না আমায় ছেড়ে?
ইতিমধ্যে আমার হাতের বাধনটা হালকা হইয়ে গেছে।আমি দুই হাত দিয়ে ওকে আবারো ধাক্কা দিলাম।এবারের ধাক্কাটা ইচ্ছে করেই দিয়েছিলাম।যাতে ও ব্যথা পেয়ে আমার থেকে সরে যায়।কিন্তু না।ও আমার থেকে সরে যায় নি।ও এবার আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে।

- হে আল্লাহ আমাকে দয়া করুন। আমাকে বাঁচান।(মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম)
হঠাৎ আমার মনে হলো আমার যোনিতে হাতের মতো কিছু একটা প্রবেশ করানো হচ্ছে। আমি চিৎকার করলাম।কিন্তু মুখ বাধা থাকার কারনে সেটা কারো কানে পৌছানোর উপযোগি হলো না।তারপর কি হলো বলতে পারি না।হয়তো সেন্সলেস হয়ে গেছিলাম।যখন সেন্স এ আসলাম তখন দেখলাম বালিস ভেজা।বুঝতে বাকি রইলো না যে চোখের পানির ঝাপটা দিয়ে সেন্সে আনা হয়ছে।

-বেশি ভেবে লাভ নেই। বাইরে গিয়ে পরিস্কার হয়ে আসি এটা বলে যেই উঠতে যাচ্ছি ওমনি দেখলাম পা গড়িয়ে তরল জাতীয় কিছু একটা বয়ে পরছে।লাইট অন করলাম। দেখলাম ওগুলো ব্লাড।একবার ভাবলাম পিড়িওড হয়েছে।কিন্তু পরক্ষনে মনে পরলো পিড়িওড সেড়ে যাওয়ার লাষ্ট তারিখ।১০ দিন হয়নি সেড়ে গেছে।যাইহোক বাথরুম এ গিয়ে গোসল করে আসলাম। রুম এ এসে বুঝলাম এটা স্বাভাবিক নয়।পুরো ঘর রক্তে ভরে গেছে।পেটও প্রচন্ড ব্যাথা। ন্যাপকিন এ তখন বাধ মানছে না।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...