জীবনের ভালোবাসা
পর্ব ০৪
আমি চিৎকার করলাম।কিন্তু মুখ বাধা থাকার কারনে সেটা কারো কানে পৌছানোর উপযোগি হলো না।তারপর কি হলো বলতে পারি না।হয়তো সেন্সলেস হয়ে গেছিলাম।যখন সেন্স এ আসলাম তখন দেখলাম বালিস ভেজা।বুঝতে বাকি রইলো না যে চোখের পানির ঝাপটা দিয়ে সেন্সে আনা হয়ছে।
-বেশি ভেবে লাভ নেই। বাইরে গিয়ে পরিস্কার হয়ে আসি এটা বলে যেই উঠতে যাচ্ছি ওমনি দেখলাম পা গড়িয়ে তরল জাতীয় কিছু একটা বেয়ে পরছে।লাইট অন করলাম। দেখলাম ওগুলো ব্লাড।একবার ভাবলাম পিড়িওড হয়েছে।কিন্তু পরক্ষনে মনে পরলো পিড়িওড সেড়ে যাওয়ার লাষ্ট তারিখ।১০ দিন হয়নি সেড়ে গেছে।যাইহোক বাথরুম এ গিয়ে গোসল করে আসলাম। রুম এ এসে বুঝলাম এটা স্বাভাবিক নয়।পুরো ঘর রক্তে ভরে গেছে।পেটও প্রচন্ড ব্যাথা। ন্যাপকিন এ তখন বাধ মানছে না।
প্রচন্ড ব্লিডিং হচ্ছিলো। কোনোক্রমেই বন্ধ হচ্ছিলো না।কেউ একজন আব্বুকে খবর দিয়েছিলো।তাই আব্বু এসে আমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলো।
তারপর আমরা সিএনজিতে করে বাড়িতে আসলাম।গাড়ি আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তায়। যেখান থেকে আমাদের বাড়িটা বেশ খানিকটা দুরে।গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির উদ্দেশে আমি হাটা শুরু করলাম যদিও শরীরটা খুব দুর্বল ছিলো,তবুও হাটতেছি,একা হাটতে গিয়ে কিছু একটার সাথে হোচট খেয়ে পরে যাচ্ছিলাম।রাজ এসে আমায় ধরে নিলো।
- আরে তুমি এইরকম শরীরে একা একা হাটতে যাচ্ছিলে কেনো? যদি পরে যেতে তাহলে কি হতো ভাবতে পারছো?
- থাক আমাকে নিয়ে এতো ভাবা লাগবে না তোমার,
-আমি ভাববো নাতো কে ভাববে।(রাজ)
-কারো ভাবতে হবে না।আপনি আমায় ছাড়েন তো।আমি একাই যেতে পারবো। এই বলে আমি ওর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হাটতে শুরু করলাম।খুব কষ্ট হচ্ছিলো হাটতে,তবুও জেদের বশে হাটছিলাম। পিছন থেকে ও এসেই আমাকে কোলে করে ঘরে নিয়ে গেলো।
ঘরে নিয়ে আমাকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে নিজেই বিছানা ঠিক করে দিয়ে আমাকে শুতে দিলো।আমি শুয়ে পড়লাম।
ও আমার জন্য খাবার রেডি করে এনে আমাকে নিজে হাতে খাইয়ে দিলো।আমি চুপচাপ খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
দুপুর ১২টা বাজে ও আমায় ডেকে তুললো।
-চলো, গোসল করবে চলো।
-হুম। আপনি যান, আমি, একাই গোসল করতে পারি।
-জেদ করো না বলছি,আসো আমি গোসল করায়া দেই।
-না।বলছি তো আমি একাই করতে পারি।
-আমার রাগ উঠিয়ো না বলে দিলাম।রাগ হলে আমি অনেক কিছু করতে পারি।
-আমি আর কথা বাড়ালাম না।
ও আমাকে খুব যত্ন করে গোসল করিয়ে দিলো। গোসল শেষে আমাকে কাপড় চেন্জ করে দিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে, বলে গেলো,
- তুমি আবার ঘুমিয়ে পড়ো না।আমি খাবার নিয়ে আসতেছি।
কিছুক্ষণ পর খাবার এনে আমাকে খাইয়ে দিলো।
রাতে ও আমার পাশে বসে মাথায় বুলিয়ে বলতেছিলো,
- জুই আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দাও,
-ক্ষমা করবো, কেনো, আপনি কি করেছেন যে ক্ষমা চাচ্ছেন।আর আপনাকে ক্ষমা আমি করার কে?
- আমাকে মারো কাটো, যা ইচ্ছে তাই করো তবুও এভাবে বলো না আমার কষ্ট হয়।
- কষ্ট কেনো, আমি মরিনি বলে তাই? মরলে কষ্ট হতো না তাই না?
- বলো,তোমার যা ইচ্ছে বলো।এসব বলে যদি তোমার মনের জ্বালা কিছুটা হলেও কমে তাহলে বলো রাত ভরে।আমি না ঘুমিয়ে তোমার সব কথা শুনবো।
কিন্তু একটা কথা,।।না থাক বলো না,,,,
বলবে না কেনো? বলেই ফেলো।
- আমি জানি, আমি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছি, তবুও বলছি আমায় ক্ষমা করে দিয়ো।
- আমি একদম চুপচাপ। কোনো কথা নেই আমার মুখে।
এবার ও আমার হাতটা ওর হাতের মাঝে নিয়ে বললো, একটা কথা রাখবা?
- হুম চেষ্টা করবো।
- চেষ্টা নয়, বলো রাখবো।
- রাখবো,বাট,,,,,
- বাট কি?
- আপনার ও যে আমার একটা কথা রাখতে হবে,
- কি কথা বলো?
-হুম বলছি।আগে আপনি বলুন কি কথা রাখতে হবে?
-আগে তুমি বলো।
- না আপনি বলেন।
- না, না তুমি বলো।
- থাক কারো বলতে হচ্ছে না।আর কথাও কাউকে রাখতে হচ্ছে না।
আপনি সরেন আমি ঘুমাবো।
-ওকে আমিই বলছি।কিন্তু কিভাবে বলবো বুঝতে পারতেছি না।
- কিসের এতো ইতস্ত।বলে ফেলো না।
- শোনো, যাই হয়ে যাক না তুমি কথা দাও, কখনো আমায় ছেড়ে যাবে না।
- আমি একথা দিতে পারবো না,
- কেনো পারবে না?
-কারন তুমি আমায় ভালোবাসো না।আর কেউ ভালো না বাসলে তার কাছে থাকা যায় না।
- কে বলেছে আমি ভালোবাসি না তোমায়?
- কেউ বলেনি।কারো বলার প্রয়োজন হয়নি।
-তাহলে কিভাবে বুঝলে?
- আমার প্রতি তোমার, উদাসিনত,আর নিমর্মতাই কি তুমি যে আমাকে ভালোবাসো না এটা বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়?
- হুম যথেষ্ট।। কিন্তু সত্যি বলছি,আমি ওটা করতে চাইনি।
- তাহলে করলে কেনো? কেউ বাধ্য করছিলো বুঝি?
- তা না।
- তাহলে কি? বলো,চুপ করে থেকো না।উত্তর দাও বলছি।(কলার ধরে কথাগুলো বলছিলাম আমি)
- বলছি, শোনো আমি নেশা করি,আর সেদিন নেশাটা এতোই বেশি হয়ে গেছিলো যে আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না।
- ওহ আচ্ছা। তাহলে আমার আন্দাজ ই ঠিক ছিলো।
-হুম,,এবার বলো তোমার কি কথা রাখতে হবে?
- হুম বলছি।
- আমার কথা হইলো তোমার ঐ নেশা ছাড়তে হবে। আর কাজ ছাড়া বাইরে থাকা যাবে না।এমনকি তোমার বাজে বন্ধুদের ছাড়তে হবে। পারবে তো?
- রাজ একদম চুপ।
- কি ব্যাপার চুপ রইলে যে।
- এমনি।
- তার মানে, তুমি শুনবে আমার কথা।ওকে শুনো না। শুনতে হবে না।তবে এতো কিছু শোনার পর আমি আর তোমার কাছে থাকবো কিনা তা ভেবে দেখবো।
- ভাবতে হবে না।আমি তোমার কথা রাখবো।এবার একটু হাসো তো।
সেদিনের মতো ঘুমিয়ে পরলাম। তারপর থেকে প্রতিদিন সময়মত আমাকে খাইয়ে দেয়া, সবসময় পাশে থাকা আর আমার সব সেবাতে নিজেকে উৎসর্গ করলো রাজ।
ওর সেবায় আর ডক্তরের চিকিৎসায় ৭ দিন পর আমি সুস্থ হয়ে উঠলাম।সেদিন ছিলো সোমবার ও অনেক রাতে বাসায় আসলো।ওর মুখে আবারো সেই দুর্গন্ধ। আবারো সেই অশান্তি। আমার দিনগুলো এরকম অশান্তিতেই চলতে লাগলো।আমিও ওরকম করেই নিজেকে মানিয়ে নিয়ে বাঁচতে চাইছিলাম।কারণ আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে আমার আব্বু এগুলো
শুনলে আম্মুকে নানাভাবে অত্যাচার করবে।আমার ভুলের শাস্তি কেনো আমার মা পাবে।এটা ভেবেই সব মুখ বুজে সহ্য করছিলাম।৪-৫ দিন হয়ে গেলো আমি আর রাজকে এসব সম্পর্কে কিছু বলি না।এর মধ্যে আমার ভাই আমাকে শীতের পিঠা খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে আসলো।
পর্ব ০৪
আমি চিৎকার করলাম।কিন্তু মুখ বাধা থাকার কারনে সেটা কারো কানে পৌছানোর উপযোগি হলো না।তারপর কি হলো বলতে পারি না।হয়তো সেন্সলেস হয়ে গেছিলাম।যখন সেন্স এ আসলাম তখন দেখলাম বালিস ভেজা।বুঝতে বাকি রইলো না যে চোখের পানির ঝাপটা দিয়ে সেন্সে আনা হয়ছে।
-বেশি ভেবে লাভ নেই। বাইরে গিয়ে পরিস্কার হয়ে আসি এটা বলে যেই উঠতে যাচ্ছি ওমনি দেখলাম পা গড়িয়ে তরল জাতীয় কিছু একটা বেয়ে পরছে।লাইট অন করলাম। দেখলাম ওগুলো ব্লাড।একবার ভাবলাম পিড়িওড হয়েছে।কিন্তু পরক্ষনে মনে পরলো পিড়িওড সেড়ে যাওয়ার লাষ্ট তারিখ।১০ দিন হয়নি সেড়ে গেছে।যাইহোক বাথরুম এ গিয়ে গোসল করে আসলাম। রুম এ এসে বুঝলাম এটা স্বাভাবিক নয়।পুরো ঘর রক্তে ভরে গেছে।পেটও প্রচন্ড ব্যাথা। ন্যাপকিন এ তখন বাধ মানছে না।
প্রচন্ড ব্লিডিং হচ্ছিলো। কোনোক্রমেই বন্ধ হচ্ছিলো না।কেউ একজন আব্বুকে খবর দিয়েছিলো।তাই আব্বু এসে আমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলো।
তারপর আমরা সিএনজিতে করে বাড়িতে আসলাম।গাড়ি আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তায়। যেখান থেকে আমাদের বাড়িটা বেশ খানিকটা দুরে।গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির উদ্দেশে আমি হাটা শুরু করলাম যদিও শরীরটা খুব দুর্বল ছিলো,তবুও হাটতেছি,একা হাটতে গিয়ে কিছু একটার সাথে হোচট খেয়ে পরে যাচ্ছিলাম।রাজ এসে আমায় ধরে নিলো।
- আরে তুমি এইরকম শরীরে একা একা হাটতে যাচ্ছিলে কেনো? যদি পরে যেতে তাহলে কি হতো ভাবতে পারছো?
- থাক আমাকে নিয়ে এতো ভাবা লাগবে না তোমার,
-আমি ভাববো নাতো কে ভাববে।(রাজ)
-কারো ভাবতে হবে না।আপনি আমায় ছাড়েন তো।আমি একাই যেতে পারবো। এই বলে আমি ওর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হাটতে শুরু করলাম।খুব কষ্ট হচ্ছিলো হাটতে,তবুও জেদের বশে হাটছিলাম। পিছন থেকে ও এসেই আমাকে কোলে করে ঘরে নিয়ে গেলো।
ঘরে নিয়ে আমাকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে নিজেই বিছানা ঠিক করে দিয়ে আমাকে শুতে দিলো।আমি শুয়ে পড়লাম।
ও আমার জন্য খাবার রেডি করে এনে আমাকে নিজে হাতে খাইয়ে দিলো।আমি চুপচাপ খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
দুপুর ১২টা বাজে ও আমায় ডেকে তুললো।
-চলো, গোসল করবে চলো।
-হুম। আপনি যান, আমি, একাই গোসল করতে পারি।
-জেদ করো না বলছি,আসো আমি গোসল করায়া দেই।
-না।বলছি তো আমি একাই করতে পারি।
-আমার রাগ উঠিয়ো না বলে দিলাম।রাগ হলে আমি অনেক কিছু করতে পারি।
-আমি আর কথা বাড়ালাম না।
ও আমাকে খুব যত্ন করে গোসল করিয়ে দিলো। গোসল শেষে আমাকে কাপড় চেন্জ করে দিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে, বলে গেলো,
- তুমি আবার ঘুমিয়ে পড়ো না।আমি খাবার নিয়ে আসতেছি।
কিছুক্ষণ পর খাবার এনে আমাকে খাইয়ে দিলো।
রাতে ও আমার পাশে বসে মাথায় বুলিয়ে বলতেছিলো,
- জুই আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দাও,
-ক্ষমা করবো, কেনো, আপনি কি করেছেন যে ক্ষমা চাচ্ছেন।আর আপনাকে ক্ষমা আমি করার কে?
- আমাকে মারো কাটো, যা ইচ্ছে তাই করো তবুও এভাবে বলো না আমার কষ্ট হয়।
- কষ্ট কেনো, আমি মরিনি বলে তাই? মরলে কষ্ট হতো না তাই না?
- বলো,তোমার যা ইচ্ছে বলো।এসব বলে যদি তোমার মনের জ্বালা কিছুটা হলেও কমে তাহলে বলো রাত ভরে।আমি না ঘুমিয়ে তোমার সব কথা শুনবো।
কিন্তু একটা কথা,।।না থাক বলো না,,,,
বলবে না কেনো? বলেই ফেলো।
- আমি জানি, আমি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছি, তবুও বলছি আমায় ক্ষমা করে দিয়ো।
- আমি একদম চুপচাপ। কোনো কথা নেই আমার মুখে।
এবার ও আমার হাতটা ওর হাতের মাঝে নিয়ে বললো, একটা কথা রাখবা?
- হুম চেষ্টা করবো।
- চেষ্টা নয়, বলো রাখবো।
- রাখবো,বাট,,,,,
- বাট কি?
- আপনার ও যে আমার একটা কথা রাখতে হবে,
- কি কথা বলো?
-হুম বলছি।আগে আপনি বলুন কি কথা রাখতে হবে?
-আগে তুমি বলো।
- না আপনি বলেন।
- না, না তুমি বলো।
- থাক কারো বলতে হচ্ছে না।আর কথাও কাউকে রাখতে হচ্ছে না।
আপনি সরেন আমি ঘুমাবো।
-ওকে আমিই বলছি।কিন্তু কিভাবে বলবো বুঝতে পারতেছি না।
- কিসের এতো ইতস্ত।বলে ফেলো না।
- শোনো, যাই হয়ে যাক না তুমি কথা দাও, কখনো আমায় ছেড়ে যাবে না।
- আমি একথা দিতে পারবো না,
- কেনো পারবে না?
-কারন তুমি আমায় ভালোবাসো না।আর কেউ ভালো না বাসলে তার কাছে থাকা যায় না।
- কে বলেছে আমি ভালোবাসি না তোমায়?
- কেউ বলেনি।কারো বলার প্রয়োজন হয়নি।
-তাহলে কিভাবে বুঝলে?
- আমার প্রতি তোমার, উদাসিনত,আর নিমর্মতাই কি তুমি যে আমাকে ভালোবাসো না এটা বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়?
- হুম যথেষ্ট।। কিন্তু সত্যি বলছি,আমি ওটা করতে চাইনি।
- তাহলে করলে কেনো? কেউ বাধ্য করছিলো বুঝি?
- তা না।
- তাহলে কি? বলো,চুপ করে থেকো না।উত্তর দাও বলছি।(কলার ধরে কথাগুলো বলছিলাম আমি)
- বলছি, শোনো আমি নেশা করি,আর সেদিন নেশাটা এতোই বেশি হয়ে গেছিলো যে আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না।
- ওহ আচ্ছা। তাহলে আমার আন্দাজ ই ঠিক ছিলো।
-হুম,,এবার বলো তোমার কি কথা রাখতে হবে?
- হুম বলছি।
- আমার কথা হইলো তোমার ঐ নেশা ছাড়তে হবে। আর কাজ ছাড়া বাইরে থাকা যাবে না।এমনকি তোমার বাজে বন্ধুদের ছাড়তে হবে। পারবে তো?
- রাজ একদম চুপ।
- কি ব্যাপার চুপ রইলে যে।
- এমনি।
- তার মানে, তুমি শুনবে আমার কথা।ওকে শুনো না। শুনতে হবে না।তবে এতো কিছু শোনার পর আমি আর তোমার কাছে থাকবো কিনা তা ভেবে দেখবো।
- ভাবতে হবে না।আমি তোমার কথা রাখবো।এবার একটু হাসো তো।
সেদিনের মতো ঘুমিয়ে পরলাম। তারপর থেকে প্রতিদিন সময়মত আমাকে খাইয়ে দেয়া, সবসময় পাশে থাকা আর আমার সব সেবাতে নিজেকে উৎসর্গ করলো রাজ।
ওর সেবায় আর ডক্তরের চিকিৎসায় ৭ দিন পর আমি সুস্থ হয়ে উঠলাম।সেদিন ছিলো সোমবার ও অনেক রাতে বাসায় আসলো।ওর মুখে আবারো সেই দুর্গন্ধ। আবারো সেই অশান্তি। আমার দিনগুলো এরকম অশান্তিতেই চলতে লাগলো।আমিও ওরকম করেই নিজেকে মানিয়ে নিয়ে বাঁচতে চাইছিলাম।কারণ আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে আমার আব্বু এগুলো
শুনলে আম্মুকে নানাভাবে অত্যাচার করবে।আমার ভুলের শাস্তি কেনো আমার মা পাবে।এটা ভেবেই সব মুখ বুজে সহ্য করছিলাম।৪-৫ দিন হয়ে গেলো আমি আর রাজকে এসব সম্পর্কে কিছু বলি না।এর মধ্যে আমার ভাই আমাকে শীতের পিঠা খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে আসলো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন