গল্প: ম্যাডামের মেয়ে যখন বউ
৮ম&শেষ পর্ব
আমি - বিভিন্ন নেট অফার ইত্যাদি ইত্যাদি বলে ২০ মিনিট পার করলাম এতোখনে অনেক বার তিশা কল করেছে ম্যাসেজ দিয়েছে ম্যাসেজ টা এমন ছিলো ওই দেখ নিলার সাথে বেশি কথা বলবি না।আমি তোর বউ হবো আর কাল আমি তোর সাথে ঘুরতে বের হবো যদি অন্য কারো সাথে ঘুরতে বের হোস খবর আছে।
আমি রিপলে দিলাম কাল ঘুরতে বের হবোই পারলে তুই আটকে দেখা, কি করার করে নিস তিশা আবার কল দিলো আমি রিসিভ করলাম।
তিশা বললো দেখ একদম ওই মাইয়ার সাথে ঘুরতে বের হবি না,আমি বের হবো তোর সাথে।
আমি- তোরে সাথে কে নিবে,আমি তো অই মেয়ের সাথেই বের হবো।
তিশা- আমি আর কিছু পারি আর না পারি তোরে কালকের মধ্যে কিভাবে বিয়ে করা যায় সেটা ভালোই জানি।
আমি- পারলে বিয়ে করে দেখা,,
তিশা- আচ্ছা চান্দু কালকেই তোর বিয়ে আমার সাথে দেখে নিস???
আমি- আচ্ছা দেখা যাবে,,কি করতে পারিস এখন আমাকে ঘুমাতে দে।এই বলে ফোন কেটে অফ করে দিলাম মাথা গরম করে দিছে বিয়ে কি মুখের কথা নাকি যে বলবে আর আমি বিয়ে করবো।সকাল বেলা আমি উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম খেয়ে দেয়ে আবার রুমে আসলাম আজ কলেজে যাবো না।কারন ঘুরতে বের হয়েছি।
বিকালে আব্বু ফোন করে বলে তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে।আমি বাসায় এসে দেখি সবাই নতুন জামা কাপড় পরেছে।আব্বু আমাকে বললো কাদের যাও তোমার রুমে দেখো নতুন পাঞ্জাবি পাজামা আছে সেগুলো পরে নাও,,
আমি- কেন আব্বু ওইগুলো পরে কি হবে??
আব্বু- এতো কথা বলার কি আছে, যেটা বলেছি সেটা কর
আমি চুপচাপ পাঞ্জাবি পাজামা পরে আবার নিচে এলাম।
আব্বু - এইবার চলো।
আমি- আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবি সবাই বের হলাম বাহ গাড়ি দাড়িয়ে আছে সবাই মিলে যাচ্ছি কিন্তু একি ম্যামের বাসার সামনে এলাম কেনো???
আমি- আম্মু আমরা এখানে এলাম কেনো?
আব্বু- চুপ করে থাক তোর এতো কিছু জানার দরকার নেই।
আমি তাদের সাথে ভেতরে গেলাম গিয়ে দেখি বাসায় অনেক লোকজন আর তিশা বউ সেজে বসে আছে।আমাদের দেখে ম্যাম বললো আপনারা এসেছেন আমরা সেই কখন থেকে বসে আছি আসুন এইবার শুভ কাজটা সেরে ফেলি।
আব্বু বললো কাদের যাও তিশা মামনির কাছে গিয়ে বসো।
আমি- কেনো আব্বু ওই ডাইনির পাশে কেনো বসবো?
আম্মু - অই বউমাকে ডাইনী বলবি না।
আমি- অই তিশা তোমার বউমা হলো কিভাবে?
আম্মু - হয় নাই হবে।
তারপর সবাই এক প্রকার জোর করেই তিশার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিলো।
উফফ কি মাইয়া আমার ঘাড়ে চাপাই দিলো।
আর বেসি বলমু না বাসর ঘরের কথা বলি আমি বাসর ঘরে প্রবেশ করে দেখি তিশা বসে আছে।তিশা আমাকে দেখে আমার কাছে এসে সালাম করলো আমি বললাম এইসবের মানে কি??
এইভাবে কেও বিয়ে করে?
তিশা- আমি করি,
আমি- তাহলে সেদিন যে বললা তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবা।
তিশা- আমি তোমাকে বলেছিলাম না একটা সারপ্রাইজ আছে?
আমি- হ্যা বলেছিলা
তিশা- আসলে আমি তোমাকে আমাদের বিয়ের বিষয়ে বলতে চেয়েছিলাম।
আমি- কেনো এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কি ছিলো??
তিশা- আমার না তোমাকে ছাড়া একদম ভালো লাগতো না।আমি আম্মু কে বিয়ের কথা বলতেই আম্মু বলেছিলো যাদি তুমি রাজি থাকো তাহলে বিয়েতে আম্মুর কোনো আপত্তি নাই।
তাই বলেছিলাম তোমাকে দেখা করতে তার আগে ভাবলাম একটু মজা করি কিন্তু সেটা যে এতো বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে আমি ভাবতে পারিনাই।আমি তোমার কাছ থেকে চলে আসছিলাম এটা দেখতে যে তুমি কি করো তা দেখি বেচারা কষ্টে মাথা নিচু করে যে আমার সামনে দিয়ে হেটে গেলো আর আমার দিকে একবারও তাকালো না।
তারপর দেখি হাটতে হাটতে কানার মতো রাস্তার মাঝখানে চলে গেলো।যদি আমি না থাকতাম আর যদি একটা কিছু হয়ে যেতো।
আমি- ভালো হতো তোমাকে আর বিরক্ত করতাম না।
তিশা- চুপ ফাজিল আমি চাই সারা জীবন এই পাগল টা আমাকে বিরক্ত করুক আর আমি তাকে।
আমি- জানো সেদিন আমার কত কষ্ট হয়েছিলো?
তুশা* আমি সরি আসো আদর করে দেই এই বলে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমিও ধরলাম তারপর বললাম আব্বু আম্মু আমার বিয়ে দিতে এতো উঠে পরে লাগছিলো কেনো???
তিশা- হা হা হা আমি কান্না করতে করতে বলেছিলাম যদি তোমাকে আমার সাথে বিয়ে না দেয় তাহলে আমি মরে যাবো।
আর আম্মু অনেক করে বলাতে তারা রাজি হয়।
আমি- এখন আমার নিলার কি হবে.....
তিশা- অই একদম অন্য মেয়ের নাম নিবি না এই বলে দিলাম?
আমু- নিলে কি হবে?
তিশা- তা জানিনা, তুই শুু আমার শুধুই আমার।
আমি- না আমি নিলার।
তিশা তারপর আমাকে বিছানার উপর নিয়ে ফেলে দিলো আর আমার বুকের উপর বসে অই তুই কার???
আমি- নিলার..
তিশা- আবার বল...
আমি- আমি তো অনুর আম্মু যে হবে তার...
তিশা- তাহলে আমি হবো আর তুই আমার এই বলে তিশা আমার একদম কাছে চলে এলো,আমি আর কইতে পারুম না লজ্জা লাগে....
ইতিহাস তো তাই বললাম না
ভালো থাকুক তাদের ভালোবাসা
***সমাপ্ত***
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন