সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: রোমান্টিক -ভালোবাসা ২য় পর্ব

গল্প: রোমান্টিক -ভালোবাসা

 ২য় পর্ব

- এই ছেলে তুমি এখনইই আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাবে। আমি একা একটা মেয়ে আমার বাসায় তোমায় রাখতে পারব না।
(আমি)
- এ এ এটা আমার বাসা! আর আমি আমার বাসা থেকে কোথাও যাব না! (মৃনাল ঘুমের কন্ঠে আস্তে আস্তে কথা গুলো বলল)
- এক থাপ্পর মেরে একদম দাত ফেলে দিবো । তোমার বাসা মানে? একদিন থেকেই বাসার মালিক হয়ে গেলে..?
- আমি কোথাও যাব না এখান থেকে.

- আমি আপনাকে আমার বাসায় রাখতে পারব না।
কি ব্যাপার রে ভাই? আমার কোন কথায় কাজ হচ্ছে না। আর আমার বাসাকে বলছে নিজের বাসা। কি করব এখন।
যেভাবেই হোক এই ছেলে কে বাসা থেকে
বের করতেই হবে। নাহয় জানিনা আর দুইদিন পর আমাকেই বের করে দেয় নাকি
শালা কেন যে আনতে গেলাম আমার বাসায়। নিজের পায়ে নিজে কুরাল দিয়ে আঘাত করলাম। আচ্ছা আজ রাত টা পার হোক কাল কে দেখি কি করা জায়।
(তারপরের দিন).......

সব কিছু ঠিক করলাম নাস্তা করলাম। রেডি হয়ে এখন অফিস যাব। কিন্তু এখন ও ওই ছেলের ঘুম থেকে ওঠার কোন নাম গন্ধই পাচ্ছি না। আচ্ছা অফিস থেকে আসি তারপর ওর ব্যাবস্থা করতে হবে..!
তাই অফিসে গেলাম আর আজ কে দড়ি দিয়ে বাধিনি আজ বাইরে গেইট এ তালা মেরে চলে গেলাম। আসলাম সন্ধায় আর
ঘরে শব্দ হচ্ছে ঠাসসস ঠাসসসস ঠাসসস ব্যাপার টা কি কিছুই বুঝতেছিনা।
ঘরে গিয়েই দেখি কি হইছে। আর ঘরে এসে দেখি ছেলেটা আমার রুমে একটা ফুটবল ছিলো ওটা দিয়ে ওয়ালে মারছে আবার ওয়াল থেকে বল টা ধাক্কা লেগে আসতেছে আবার পা দিয়ে কিক মারছে।।.. আর তাই
এমন ঠাসসসস ঠাসসসস শব্দ হচ্ছে!

- এই ছেলে কি পাইছো কি তুমি হুহহ? যা ইচ্ছে করে জাবে তুমি। আমার বাসায় থাকতে দিয়েছি বলে যেটা মন চাইবে সেটাই করবে। আমার ঘরটা কি ফুটবল খেলার জায়গা?
- আসলে ঘরে একা একা ভালো লাগছিলো না তাই।।।
- তো আপনাকে থাকতে কে বলেছে
চলে জান এখান থেকে। ঘরটাকে
মাঠ বানিয়ে ফেলেছে জত্তসব।
- না মানে ইয়েএএ আসোলে......(পুরোটা শেষ না করতেই)
- থাক আর বলতে হবে না খেলছেন ভালো করেছেন তা এবার প্লিজ আমারg বাসা থেকে বেরিয়ে পরুন।
- আপনি আমাকে বার বার চলে যেতে বলছেন কেনো?

- ওই ছোরা ওই এটা আমার বাসা আমি বলব না তো কে বলবে শুনি..? এবার চলে যাও...?
- কি আজব তোমাকে চলে যেতে বলছি আবার আমার সোফায় বসে টিভি চালু করলে কেনো? আরে আমি তো কিছু বলছি শুনবা নাকি...?
উফফফ হে গড.... এ কারে আমার বাসায় আনলাম আমি। আমার কোন কথাই শুনছে না। বের হয়ে যেতে বলছি কিছুই বলছে না। আমি তো একা থাকি আর এই ছেলে আমাকে একা পেয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। উফফফ আর নিতে পারছি না এসব। কেমন করে এইই ছেলেকে তারাবো সেটাই ভাবছি আর রান্না করছি।
আর ওদিকে ওই ছেলে সোফায় বসে খেলা দেখছে..। আমি রান্না শেষ করলাম ভাবছি একটু টিভিতে আমার প্রিয় সিরিয়াল টা দেখি যেটা প্রতিদিন দেখি..
- এই অনেক খেলা দেখেছো এবার রিমোট দাও আমি সিরিয়াল দেখব..? (আমি)
-...........? ( চুপচাপ খেলা দেখছেইইই আমার কথা শুনছে না)
- ও হ্যালো মৃনাল আমি কিছু একটা বলছি তোমায়?

- এই যে কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করবেন না তো। দেখছেন তো খেলা দেখছি চিল্লান কেন..?
- কি বললি তুই আমি ঘ্যানর ঘ্যানর করি।
আমার বাসা আমার টিভি আমি দেখব তুই কি বলিস এসব? (আমার যখন রাগ
উঠে তখন তুই করে বলি)
- মানলাম এসব কিছু আপনার তাই বলে আমাকে যা ইচ্ছে তাই বলতে পারেন না।
- তো কেমন করে বলব শুনি আদর করে। আমি তোমার মতলব বুঝতে পেরেছি আমার সম্পত্তি আমার কাছ থেকে নেওয়ার জন্য এসব করছ!
- এই আপনি থামবেন দেখছেন তো বাংলাদেশ বনাম ভারত ফাইনাল
খেলা দেখছি...! (ধমক দিয়ে বলল)

- এই তুই আমাকে ধমক দেওয়ার সাহস কই পাস হুহহহহহ। আমার খেয়ে আমাকেই ধমক দিস।
- আচ্ছা এখন থেকে যেগুলো খাবো একদিন শোধ করে দিবো। এখন চুপ থাকেন।
- এখন থেকে খাবো মানে? আজকেই শেষ খাওয়া আর খাবার পাবি না আমার বাসায়। আচ্ছা তোর বাবা মা কি তোর খবর নেয় না।
- জানিনা!
- জানিনা মানে....?
- এই যে শুনুন আর একটা কথা বললে মোটেও ভালো হবে না কিন্তু।

আমি কি বলব ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার বাসায় থেকে আমাকে ধমক দেয়। আবার আমার টিভি আমাকেই দেখতে দেয় না। ৩ দিনেই এমন শুরু করেছে না জানি আর দুইদিন থাকলে আমাকেই বের করে দিবে কি না কে জানি...! শালার কপাল আমার মেয়ে মানুষ বলে কিচ্ছু করতে পারছি না ছেলে হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম।
- এই যে হ্যালো আসুন খেতে আসুন। (আমি)
- আমি এখন খাবো না! (মৃনাল)
- এখন খাবেন না মানে? সারারাত কি আপনার জন্য অপেক্ষা করব নাকি! আর তাছাড়া কাল আমার অফিস আছে!
- ফাইনাল খেলা শেষ হোক তারপর!
- ওই তুই আসবি না..... (প্রচন্ড রেগে বললাম)
তারপর খেতে আসলো....

- রান্না টা খুবইইই টেস্টি হয়েছে....! (খেতে খেতে বলল)
- এসব আজাইরা কথা বাদ দিয়ে ভালো করে খান?
- এ বাবা আমি আপনার বাসায় আছি আর আপনার খাচ্ছি বলে এমন ভাবে বলবেন?
- এই শুনো চুপচাপ খাও। যত্তসব আজাইরা কোথা থেকে এসে জুটলো কে জানে। এই তুমি আবার আই এস এর লোক নওতো
- আই এস কে?
- কিইইইই তুমি আই এস এর নাম শুনো নাই।
- না।

- আচ্ছা আজ এখন ভালো করে খেয়ে নাও কাল কে বাসা থেকে চলে যাবা ওকে।
- আপনার ঘরে কি কোন ছেলের জামা
প্যান্ট নাই?
- ওই আমি একা থাকি আর আমার সাথে
কোন ছেলে থাকে না জামা প্যান্ট আসবে
কোথা থেকে!
- আসোলে আমার আর জামা প্যান্ট
আনিনি তাই।
- জামা প্যান্ট লাগবে না আজ খেয়েই চলে জাবেন?

তারপর আমি আর ওই ছেলেটা খেয়ে নিলাম। আর ও অন্য ঘরে গিয়ে শুয়ে পরল। আমি শুয়ে শুয়ে ভাবছি ছেলেটা এমন কেন। কত্তবার বলছি চলে যেতে আমার কথাই শুনছে না। দেখে তো মনে হয় বেশ ভালো ফ্যামিলির ছেলে হবে। আর সাথে ছেলেটার মোবাইল ফোন ও নাই। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি তা খেয়াল ই করিনি। তারপর সকালে ঘুম ভাঙে আমার এলার্ম এর শব্দে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হলাম খেয়ে অফিস চলে যাব এমন সময় পেছন থেকে

- অফিস যাচ্ছেন বুঝি? (পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি মৃনাল)
- অফিস যাচ্ছি না আমার শশুর
বাড়ি যাচ্ছি! ( আমি একটু রাগান্বিত ভাবে বললাম)
- আপনি না বললেন আপনার কেউ নেই শুশুর এলো কোথাথেকে?
- ওই আমার শশুর, স্বামী, সবকিছু আছে তাতে তোর কি?
- আচ্ছা অফিস থেকে আসার সময় কয়েকটা পেরান ললিপপ আনেন তো?
- কিইইইইই ল ল ল ললিপপ?
- আরে ল ল ল লপিপপ না পেরান ললিপপ!
- ললিপপ কি করবি?
- চুসবো.....!

- কিইইই ছি ছি ছি, এত্তবড় একটা ছেলে কি না ললিপপ খায়। আমি পারব না আনতে!
- তাইলে আমিও কোথাও জাবো না! আর কিছু না বলে ওখান থেকে চলে অফিসে চলে আসলাম। অফিসেও ভালো লাগছে না তাই আনমনা ভেবে চলেছি
- অনুসূয়া এই অনুসূয়া কি ভাবছিস এমন করে? ( পুজা আমার সাথে অফিসে কাজ করে বলতে গেলে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড)
- পুজা আমি একটা অনেক বড় বিপদে পরেছি রে! (আমি)
- বিপদে তুই আবার কোন বিপদে পরলি ?

- জানিস এক ছেলের সাথে বাসে.......... সবটাই খুলে বললাম।
- ও এই ব্যাপার তো ছেলেটা দেখতে কেমন শুনি হুহহহহ?
- দেখ এমনিতেই বিপদের মধ্যে আছি ফাজলামি বন্ধ কর তো!
- আরে এটা কি ফাজলামি হলো নাকি।আচ্ছা শুন বিয়ে তো একদিন করবি তা এই ছেলেটাকেই বিয়ে করে নে।
- তোর কাছ থেকে আমি হেল্প চাচ্ছি কিভাবে ছেলেটাকে বাসা থেকে বের করে দিব আর তুই.....! আচ্ছা পুলিশ কে জানাব ব্যাপার টা?
- না না না পুলিশ কে জানালে সমস্যা হতে পারে তার চেয়ে তুই এক কাজ কর?
- কি...?

- তুই ছেলেটাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে বাসায় পাঠানোর চেস্টা কর!
- আচ্ছা ঠিক আছে। আচ্ছা একটু শপিং এ যেতে হবে চল তো পুজা!
- আরে সেদিনই না শপিং করলি আজকেও।
- আরে আমার জন্য না রে। আসোলে হয়েছে কি ছেলেটা কোন জামা প্যান্ট সাথে আনেনি তাই ভাবছি ওর জন্য একটু শপিং করি।
- বাব্বা এতো দরদ!
- মানে?
- বলছি যে ছেলেটার প্রেমে পরলি না তো আবার। হঠাত করে অচেনা একজন এর জন্য শপিং ভালো ভালো।
- পুজা তুই ও না। ধুর চল তো!

তারপর পুজা আর আমি শপিং করলাম
তারপর ললিপপ এর দোকানের দিকে
আসতে লাগলাম।

- এই অনুসূয়া এদিকে কই জাস। তোর বাসা তো এই দিকে? (পুজা)
- ললিপপ কিনতে..! (আমি)
- মানে? তুই তো ললিপপ খাস?
- আরে আমি খাবো না ওই লুচু টা খাবে?
- কিইইইইইই ওই ছেলে ললিপপ খায়। বাচ্চা নাকি?
- শুধু তাই ই না। ওর হিস্ট্রি শুনলে অবাক হবি! তারপর ললিপপ কিনে চলে আসলাম চাবি দিয়ে বাসা খুললাম। আর বাসার ভিতর গিয়ে বাসাটা দেখে আমি পুরাই স্তব্ধ হয়ে গেছি। এ কি
আমার বাসার এ কি অবস্থা.......

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...