গল্প: ম্যাডামের মেয়ে যখন বউ
পর্ব-৩
-আমরা গিয়ে দেখি তিশা একটি গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে।তখন নাজমুল বললো মনে হয় মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছেরে যা কাদের মাফ চেয়ে নে..
আমি- হ্যা তাউ করি মেয়েটা সত্যি মনে হয় কষ্ট পেয়েছে।আমি তিশার কাছে চলে গেলাম।
আমি- এই শুনো,নিশ্চুপ কোনো কথা নেই তিশার মাথা নিচের দিকে করে রেখেছে।
আমি- এই শুনো কি হয়েছে... তখন। তিশা আমার দিকে তাকালো আরে একি মেয়েটা কাদছে কেনো?
আমি- এই তুমি কাদছো কেনো?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কাদছি,,তোর কোনো সমস্যা আছে??
আমি- এই তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেনো?
আমি কি কোনো দোষ করেছি
?
তিশা- নাহ তুই কেনো দোষ করতে যাবি? দোষ তো করেছি আমি,, আমি তো চরিত্রহীনা একটা মেয়ে।
আমি- তুমি এই ভাবে কথা বলছো কেনো শুনি আমি তো তখন মজা করেছি তোমার সাথে।
তিশা- ভালো করেছিস আমি আর কিছু না ভেবে তিশার পাশে বসে পড়লাম।
তিশা- একি তুই আমার সাথে এইভাবে বসছিস কেনো?
আমি- প্লিজ তুমি আমাকে মাফ করে দাও।আমরা তো একটু মজা করতে চেয়েছিলাম,,কিন্তু বিশ্বাস করো আমি জানতাম না তুমি এতোটা কষ্ট পাবে।আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ,।
তিশা- নাহ তোর কোনো মাফ নেই,,,,
আমি- প্লিজ আমাকে মাফ করে দাওনা,,আমি তো একটা পিচ্চু ছেলে কেও যদি এই পিচ্চুর উপর রাগ করে থাকে পিচ্চুর কষ্ট হয়তো প্লিজ মাফ করো আমায়।
তিশা- আয়ছে আমার পিচ্চু,, আচ্ছা পিচ্চু তুই কি ফিডার খাস?
আমি- হ্যা খায় তোহ...
তিশা এরপর আমার কথা শুনে হেসে দিলো আর বললো এই ছেলে বলে কি সে নাকি পিচ্চু আবার এই বয়সেও নাকি ফিডার খায় হা হা হা
পিচ্চু হলেও খুব পাজি খুব দুষ্টু যেমন রাগাতে পারে তেমন রাগ ভাঙাতেও পারে।
আমি- এই বার এই পিচ্চু কে মাফ করে দেওয়া যায় না।
তিশা- হ্যা যায় তবে একটা শর্তে আমি রাজি,,কি শর্ত বলো।
তিশা- আমার না কোন বেষ্ট ফ্রেন্ড নাি তুমি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড হবা?
আমি- কিন্তু আমার তো মেয়েদের সাথে মিশতে কেমন জানি লাগে,আমি পারবো না।
তিশা- তাহলে তোমাকে মাফও করবো না।
আমি- কিন্তু কেনো?
তিশা- আমার ফ্রেন্ড হবা না তাই মাফ করবো না কোনো দিন।
তখন পেছন থেকে রবি আর নাজমুল বললো শালা একটা মেয়ে ফ্রেন্ড বানালে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।
বানিয়ে ফেল মেয়েটা যখন এতো করে বলছে।
আমি- তাহলে তোরা বলছিস বানাতে।
হ্যা বানিয়ে ফেল মেয়েটা একটু রাগি আর দুষ্টু হলেও অনেক ভালো।বানিয়ে ফেল আমাদেরো একটা বন্ধু বারুক আমরা আমি আর কি বলবো বন্ধু রা তো আর খারাপ চাইবে না।তাি আমি তিশাকে বললাম আমি তোমার শর্তে রাজি।তুমি যা চাইবে তাই হবে।
তিশা- তাহলে মিলাও হাত।
তারপর আমি আর নুসরাত ফ্রেন্ড হয়ে গেলাম।
তারপর থেকে একসাথে আড্ডা দেওয়া।একসাথে ঘুরে বেড়ানো অনেক কিছু।
একদিন আমি ম্যাম এর একটা ক্লাস মিস করি কিন্তু ক্লাসটি অনেক গুরুতপূর্ন ছিলো।
আমি ম্যামকে বললাম ম্যাম আমি তো ক্লাস মিস করে ফেলেছি যদি আপনও একটু সাহায্য করতেন।
ম্যাম- আচ্ছা তুমি বিকেলে আমার বাসায় চলে এসো আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিবো।
আমি ম্যামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাসায় গেলাম বাসা থেকে খেশে দেয়ে বিকালে একটু পরিপাটি হয়ে বের হলাম।শুনেছু ম্যামের বাসায় নাকি কোন এক মেয়ে এসেছে তাি একটু পরিপাটি হয়ে গেলাম।
অচেনা কারো সামনে কি আগোছালো ভাবে যাওয়া যায়।তাই নিজেকে একটু পরিপাটি করে নিলাম বিকালে ম্যামের বাসায় গিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে কলিং বেল চাপতে তিশা এসে দরজা খুলো দিলো।
আমি- কিরে তুইও কি আমার মত ক্লাস মিস করছিস নাকি??
তিশা কোনো কথা না বলে আমাকে বললো আসো তুমি ভিতরে আসো তারপর বলছি।
আমি কিছু না ভেবেই ব্যাপারটা সাভাবিক বাবে নিলাম।তিশাতো মনে হয় বুঝতে এসেছে কিন্তু আমাকে বললো না কেনো,,হ্যা তিশাকে তো বলা হয়নি আমি আসবো,,
বাসার ভেতর প্রবেশ করার পর তিশা আমাকে বললো তুমি একটু বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি....
আমি- আরে এটা কি তোমার নিজের বাসা নাকি যে তুমি খাবার আনতে যাবে?
তিশা- হ্যা এটা তো আমারি বাসা!!
আমি- দেখ সব সময় মজা করবি নাহ... তার থেকে বালো এখানে এসে বসে পরো ম্যাম এখনি চলে আসবে।
তিশা- তুমি চুপচাপ বসে থাকো আমি খাবার নিয়ে আসছি।এই বলে তিশা চলে গেলো।
এই মেয়ের মাতায় গন্ডগোল আছে,, তা না হলে ম্যামের বাসায় এসে কেও এমন করে।আমি বসে আছি তখন ম্যাম আসলো আমি ম্যামকে সালাম দিলাম।তার কিছুক্ষন পর তিশা চলে এলো।
তিশা সেগুলো ম্যাম আর আমার সামনে দিলো।নিজেও কিছু নিলো। কেমন মেয়েরে বাবা লজ্জা নেই ম্যামের সামনে এমন করছে।
আমি কিছু বলছি না আমার নিজেরি লজ্জা লাগছে।
ম্যাম আমাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে বললো কি ব্যাপার কাদের ওমন চুপ করে বসে আছো কেনো?
আমি- নাহ ম্যাম কিছু না...
ম্যাম - বুঝতে পেরেছি.. তুমি অবাক হচ্চো তিশাকে আমার বাসায় দেখে আসলে তিশা আমমার নিজের মেয়ে এতো দিন ওর নানা বাসায় থেকে পড়ালেখা করেছে।
কিন্তু আমি নিয়ে আসলাম একমাত্র মেয়ে এতেদূরে থাকে ভালো লাগে না।
আর তোমার মনে পশ্ন জাগতে পারে আমি কেনো কলেজের সবাইকে বলেনি তিশা আমার মেয়ে,আসলে তিশা নিজেি আমাকে বলেছিলো এই কথাটি গোপন করতে তাই আমি বলিনি।
আমি তো তিশার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।
এতো দিন একসাথে থাকলাম আর এই ব্যাপার বুঝতে পারলাম নাহ।আর কিভাবে বুজবো মেয়েটা তো কলেজে ম্যামের সাঢে তেমন কথা বলেনা।থাক এতো কিছু ভেবে কাজ নেই যা বুঝতে এসেছি তাই বুঝে বাসায় চলে যায়.....
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন