গল্পঃ জরুরি ভালোবাসা
পর্ব ৩
একটু ঘুমানো দরকার আমি ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম ভাংতেই দেখি মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চা মেয়ের মতো ঘুমিয়ে আছে।
মেয়েটাকে দেখতে একেবারে বাচ্চা বাচ্চা লাগতাছে।
ক্রাশ তো দ্বিতিয় বার আবার খাইলাম।
জানিনা আরো কয়বার খাবো।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে ভাবনায় হারিয়ে গেলাম।
হঠাৎ ও বলে উঠলো।
- এইযে মিস্টার কি দেখছেন এমন করে।(নিলিমা)
- না মানে ইয়ে মানে কিছুনা।(আমি)
- কিই হুম ইয়ে মানে কি??(নিলিমা)
- আরে আজিব বললাম তো কিছুনা।(একটু ধমকের সুরে)
- ধমক খেয়ে মেয়েটা চুপ করলো।
যাক বাবা বেচে গেলাম নইলে তো আবার কি সব
বলা শুরু করতো এখন।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটা কান্না করতাছে।
- কি হইছে কাদতাছেন কেনো?(আমি)
- আপনি আমাকে ধমক দিলেন কেনো?(নিলিমা)
- ধমক দিলে কাদতে হয়।??(আমি)
- আমার বাবা আমাকে কোনোদিন ধমক দেয়নি।(নিলিমা)
- আচ্ছা সরি?(আমি)
- সরি বললে হবেনা কান ধরেন?(নিলিমা)
- এই বাস ভর্তি লোকের সামনে আমি কান ধরবো?(আমি)
- হুম ধরবেন নয়তো আমি আরো বেশি করে কাদবো।(নিলিমা)
কি আর করবো কান ধরলাম। আমি আবার কারো কান্না শুনতে পারি না কাওকে কাদতে দেখলে মনে হয় আরো দুইটা লাগিয়ে দিয়ে কান্নাটা বাড়িয়ে দেই।
আমার কান ধরা দেখে সবাই আমার দিকে তাকালো।
কেউ কেউ হাসতাছে।
পড়ে গেলাম চরম অস্বস্তিকর অবস্থায়।
পিছন থেকে একজন বললো,
- ভাই দুজনকে কিন্তু মানাইছে ভালো?(একটা ছেলে)
- আরে মিয়া চুপ করেন না যেনেই কমেন্ট করা শুরু করে দেন।(আমি)
মেজাজটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে এবার।
পাবলিক ও কি রকম না জেনেই কথা বলা শুরু করে দেয়।
এভাবেই বাসের মধ্যে
একের পর এক সমস্যার মধ্য দিয়ে বাস স্টপ এ নামলাম।
আহ নিজের শহরে পা রাখতেই খুব ভালো লাগলো।।
কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেলো বাসার কথা চিন্তা করে।
কি করবো আমি এই মেয়েটাকে নিয়ে এমনিকেই আমার বিয়ে ঠিক করছে তার ওপর আবার মেয়ে দেখলে সিওর আজকেই বিয়ে করাই দিবো।
- আপনি কি সত্তিই আমার সাথে যাবেন?(আমি)
- হুমম কেনো আপত্তি আছে?(নিলিমা)
- নাহ চলুন।(আমি)
কি করবো রেখেও যেতে পারছিনা।
কেনো যে এর সাথে দেখা হইছিলো আল্লাহই ভালো যানে।
শেষমেষ বাসায় পৌছালাম।
কিন্তু ওখানে গিয়ে আরো বড়সড় একটা শক খাইলাম।
বাসায় যেতেই,
- আরে নিলিমা তুমি কেমন আছো?(আম্মু)
- আরে ভাবি তুমি কেমন আছো?(অথৈ)
- আম্মু এইগুলা কি কতদিন পর বাসায় আসলাম আর তুমি ওই মেয়েটাকে নিয়ে পড়ে আছো আর তুই ভাবি বললি কাকে?(আমি)
- ভাবিকে ভাবি বলছি।(অথৈ)
- তলে তলে এতোকিছু আর আমরা বললেই বিয়ে করবা না আজকে আসুক তোমার বাবা?(আম্মু)
- চলো মা।(আম্মু)
নিলিমাকে নিয়ে ঘরে গেলো আম্মু।
আমি পুরাই আবুল । একবার একটা মেয়ে আম্মু বলছে তাতেই এতো কিছু।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর আব্বা আমাকে ডাকলো,
রুমে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে,
- কি হইছে ডাকছো কোনো?(আমি)
- তুই এইটা কেমনে করলি?(আব্বু)
- কি করলাম আমি?(আমি)
- কি করস নাই তাই বল নিজের হবু বউকে নিয়া পালাইছোস তুই?(আব্বু)
- আব্বা হবু বউ মানে কি আরে ওকে তো আমি চিনিনা?(আমি)
- হবু বউ মানে বুঝোনা তুমি। ওর সাথেই তো তোমার বিয়ে ঠিক করছি।(আব্বা)
আমি নিলিমার দিকে তাকিয়ে দেখি হাসতাছে।
আমি দুই সেকেন্ড পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।
পর্ব ৩
একটু ঘুমানো দরকার আমি ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম ভাংতেই দেখি মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চা মেয়ের মতো ঘুমিয়ে আছে।
মেয়েটাকে দেখতে একেবারে বাচ্চা বাচ্চা লাগতাছে।
ক্রাশ তো দ্বিতিয় বার আবার খাইলাম।
জানিনা আরো কয়বার খাবো।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে ভাবনায় হারিয়ে গেলাম।
হঠাৎ ও বলে উঠলো।
- এইযে মিস্টার কি দেখছেন এমন করে।(নিলিমা)
- না মানে ইয়ে মানে কিছুনা।(আমি)
- কিই হুম ইয়ে মানে কি??(নিলিমা)
- আরে আজিব বললাম তো কিছুনা।(একটু ধমকের সুরে)
- ধমক খেয়ে মেয়েটা চুপ করলো।
যাক বাবা বেচে গেলাম নইলে তো আবার কি সব
বলা শুরু করতো এখন।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটা কান্না করতাছে।
- কি হইছে কাদতাছেন কেনো?(আমি)
- আপনি আমাকে ধমক দিলেন কেনো?(নিলিমা)
- ধমক দিলে কাদতে হয়।??(আমি)
- আমার বাবা আমাকে কোনোদিন ধমক দেয়নি।(নিলিমা)
- আচ্ছা সরি?(আমি)
- সরি বললে হবেনা কান ধরেন?(নিলিমা)
- এই বাস ভর্তি লোকের সামনে আমি কান ধরবো?(আমি)
- হুম ধরবেন নয়তো আমি আরো বেশি করে কাদবো।(নিলিমা)
কি আর করবো কান ধরলাম। আমি আবার কারো কান্না শুনতে পারি না কাওকে কাদতে দেখলে মনে হয় আরো দুইটা লাগিয়ে দিয়ে কান্নাটা বাড়িয়ে দেই।
আমার কান ধরা দেখে সবাই আমার দিকে তাকালো।
কেউ কেউ হাসতাছে।
পড়ে গেলাম চরম অস্বস্তিকর অবস্থায়।
পিছন থেকে একজন বললো,
- ভাই দুজনকে কিন্তু মানাইছে ভালো?(একটা ছেলে)
- আরে মিয়া চুপ করেন না যেনেই কমেন্ট করা শুরু করে দেন।(আমি)
মেজাজটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে এবার।
পাবলিক ও কি রকম না জেনেই কথা বলা শুরু করে দেয়।
এভাবেই বাসের মধ্যে
একের পর এক সমস্যার মধ্য দিয়ে বাস স্টপ এ নামলাম।
আহ নিজের শহরে পা রাখতেই খুব ভালো লাগলো।।
কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেলো বাসার কথা চিন্তা করে।
কি করবো আমি এই মেয়েটাকে নিয়ে এমনিকেই আমার বিয়ে ঠিক করছে তার ওপর আবার মেয়ে দেখলে সিওর আজকেই বিয়ে করাই দিবো।
- আপনি কি সত্তিই আমার সাথে যাবেন?(আমি)
- হুমম কেনো আপত্তি আছে?(নিলিমা)
- নাহ চলুন।(আমি)
কি করবো রেখেও যেতে পারছিনা।
কেনো যে এর সাথে দেখা হইছিলো আল্লাহই ভালো যানে।
শেষমেষ বাসায় পৌছালাম।
কিন্তু ওখানে গিয়ে আরো বড়সড় একটা শক খাইলাম।
বাসায় যেতেই,
- আরে নিলিমা তুমি কেমন আছো?(আম্মু)
- আরে ভাবি তুমি কেমন আছো?(অথৈ)
- আম্মু এইগুলা কি কতদিন পর বাসায় আসলাম আর তুমি ওই মেয়েটাকে নিয়ে পড়ে আছো আর তুই ভাবি বললি কাকে?(আমি)
- ভাবিকে ভাবি বলছি।(অথৈ)
- তলে তলে এতোকিছু আর আমরা বললেই বিয়ে করবা না আজকে আসুক তোমার বাবা?(আম্মু)
- চলো মা।(আম্মু)
নিলিমাকে নিয়ে ঘরে গেলো আম্মু।
আমি পুরাই আবুল । একবার একটা মেয়ে আম্মু বলছে তাতেই এতো কিছু।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর আব্বা আমাকে ডাকলো,
রুমে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে,
- কি হইছে ডাকছো কোনো?(আমি)
- তুই এইটা কেমনে করলি?(আব্বু)
- কি করলাম আমি?(আমি)
- কি করস নাই তাই বল নিজের হবু বউকে নিয়া পালাইছোস তুই?(আব্বু)
- আব্বা হবু বউ মানে কি আরে ওকে তো আমি চিনিনা?(আমি)
- হবু বউ মানে বুঝোনা তুমি। ওর সাথেই তো তোমার বিয়ে ঠিক করছি।(আব্বা)
আমি নিলিমার দিকে তাকিয়ে দেখি হাসতাছে।
আমি দুই সেকেন্ড পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন