গল্প: ম্যাডামের মেয়ে যখন বউ
পর্ব-২
--- ম্যাম:- হ্যা আমিও ভালো আছি,, আজ তোমাদের মাঝে একজন নতুন বন্ধু আসছে তাকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো,এই দিকে আসো তো তিশা মা এরপর সেই মেয়েটা মানে যে আমার উপর নির্যাতব করেছিলো সেই মেয়েটা আসলো।
তারপর ম্যাম বললো এই হলো তিশা তেমাদের নতুন বন্ধু তাকে তোমরা সাহায্য সহযোগিতা করো,অন্য একটা কলেজ থেকে এই কলেজে আসছে অনেক কিছু ভালো করে চিনে না সবাই বললো আচ্ছা ম্যাম ঠিক আছে।
আর মেয়েটার নাম তাহলে তিশা হ্যা মেয়েটা দেখতে যেমন নাম টাও অনেক সুন্দরর আমার তো বেশ ভালো লাগলো...
নামটা কিন্তু সকালের কথা মনে পড়তেই আমি ভাবলাম মেয়েটাকে একটু উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার কোনো দোষ ছাড়াউ আমাকে তখন অনেক হ্যানস্তা করেছে।
আর আমি নাকি বাজে ছেলে এই কলেজের কেউ আজ পর্যন্ত এই কথা বললো না আর এই মেয়ে প্রথম দিন এসেই আমাকে বাজে বললো খুব রাগ হলো তাই চুপচাপ বসে পড়লাম।
আমি তিশাকে দেখেছি,, কিন্তু তিশা আমাকে দেখেছে কিনা সেটা আমি জানি না আর জানতেও চাইনা।বজ্জাত মেয়ে ফাজিল মেয়ে গুন্ডি মেয়ে তখন কিভাবপ চড় মারলো এখনো ব্যাথা করছে,
ম্যাম সবাইকে একেক করে পড়া ধরছে এক সময় আমার পালা আসলো কাদের পড়া বলো আমার মাথাই কোনো পড়াউ আসছিলো না যা আসছিলো সব বার বার গুলিয়ে ফেলছি,,আবাল তাবাল পড়া বলছি ম্যাম বললো....
কাদের এই সব কি বলছো তুমি তো এমন করো না।আজ কেনো এমন হলো আজকে পড়া শিখো নাই কেনো?
আমি- ম্যাম আসলে আমি একটু অসুস্থ তাই।
তখন সবার মাঝ থেকে তিশা দাড়িয়ে বললো নাহ ম্যাম ও মিথ্যা বলছে আমি দেখেছি আজ ওনি কাকে যেনো বিয়ে করবে বলে মানের খুশিতে গান গাচ্ছিলো আহা দেখে মনে হয় বউ পেয়ে গেছে খুব লুচ্চা এই ছেলে যাকে না তাকেই বিয়ে করতে চাই।
ম্যামা ও একদম ঠিক আছে।আসলে সারা দিয়ে মেয়েদের পিছনে ঘুরে বেড়ায় তাই পড়ালেখা সব ভুলে মেরে দিয়েছে।
ম্যাম তিশার কথা শুনে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কাদের তিশা যা বলছে তা কি সত্যি??
আমি - ম্যাম ওই ফাজিল মাইয়া একদম মিথ্যা কথা বলছে,, আমারা সকালে গানের কলি খেলছিলাম যখন আমার পালা আসলো আমি গান গাচ্ছিলাম গান টা এমন ও মাইয়া তুই কি হবি আমার ঘরের বউ তখন এই মেয়ে আমাকে নানান ভাবে অপমান করছে।
ম্যাম তখন রাগি লুক নিয়ে তিশার দিকে তাকালো ধমকের সুরে তিশা কাদের যা বলছে তা কি সত্যি...
তিশা- হ্যা সব সত্যি বলছে,, আমি ভেবেছিলাম আমাকে বলেছে তাই আর কি??
ম্যাম - কিছু না যেনে না বুঝে এমন কাজ করতে নেই। এখন তুমি কাদেরকে সরি বলো।
তিশা- এই ছেলে শোনো আমি সরি।
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে। ম্যামের ক্লাস শেষ আমি একটু বাহিরে বের হয়েছিলাম। এসে আমার সিটে বসে পারে যখন ক্লাস শেষ করে বের হতে যাবো দেখি আমি উঠতে পারছি নাহ,, কিছু একটা আমার প্যান্ট কে ব্যাঞ্চ এর সাথে আটকে গেছে আমি রবিকে জিজ্ঞাস করলাম দেখতো রবি কি হয়েছে।
রবি- আরে মামা তোর প্যান্টে তো চুইংগাম লেগে আছে...
আমি তিশার দিকে তাকিয়ে দেখি তিশা হাসছে তার মানে এটা তিশার কাজ।
খুব রাগ হচ্ছিলোএইবার বেশি হয়ে যাচ্ছে।
তাই আমি রবি নাজমুলের সাথে একটা প্লান করলাম পরদিন যখন কলেজে আসলো সেটা কাজে লাগাবো, পরদিন আমরা যথারীতি সময়ে কলেজে আসলাম অই তো তিশা আসছে
আমরা যে যার পজিশন নিলাম।
তিশা যে আমার কাছে আসলো নাজমুল লেঙ দিল তিশাকে আর তিশা আমার উপরে এসে পরলো আমি তখন বললাম এই মেয়ে এমন অব্যাস কেনো ছেলে দেখলে গায়ে পড়তে ইচ্ছা করে ফাজিল মািয়া এমন কেও করে ছিঃ আপনি এতে খারাপ আগে জানতাম নাহ।
তিশা- আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি।
আমি- মিথ্যা বলতে হবে না,আপনাদের মত মেয়েদের চরিত্র কেমন তা ভালে করেই জানা আছে।
তিশা আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে চলে গেলো হয়তো লজ্জা পেয়েছে বা অপমান বোধ করেছে।
আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে গিয়ে দেখি তিশা একটা গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে খুব খারাপ লাগলো মনে হয় একটু বেশি করে ফেলেছি।
তাই তিশার কাছে গেলাম....
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন