সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পঃ জরুরি ভালোবাসা পর্ব ২


গল্পঃ জরুরি ভালোবাসা

 পর্ব  ২

কিছুক্ষন পর আমার ফোন এ কল আসলো,
- হ্যালো ?(আমি)
- হুম কেমন আছিস?(আম্মু)
- ভালো তুমি?(আমি)
- ভালো। তা তুই তো কালকে আসতে চাইলি আসলিনা কেনো?(আম্মু)
- আসতাছি আম্মু আজকে পৌছে যাবে।(আমি)
এমন সময় ও আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে বললো,
- আমিও পৌছে যাবো আম্মু?(নিলিমা)
বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
হায় হায় এইটা কি করলো ও এবার বাসায় গেলে নিশ্চিত গুলি করে মারবে।

আমি রাগি লুক নিয়ে তাকালাম ওর দিকে,
- কি কি ব্যাপার ওইভাবে তাকাচ্ছেন কেনো?(নিলিমা)
- আপনাকে যে কি করবো আমি।(আমি)
- কিছুই করতে পারবেন না হিহিহি।(নিলিমা)
- দেখি পারি কিনা?(আমি)
বলে ধাওয়া করলাম।

মেয়েটার সাথে পরিচয় কালকে রাতেই তবুও মেয়েটাকে খুব আপন মনে হচ্ছে।
এতোটা আপন যে মনে হয় কতদিন ধরে চিনি ওকে।
আর মেয়েটাও এমন ভাবে কথা বলে যেনো অনেক
দিনের বন্ধুত্ব আমাদের।

কিছুদুর যাওয়ার পর একটা বাস স্টপ ওখান থেকে সোজা বাসায় যাওয়া যায়।
দুপুরে খাওয়ার পর বাসে উঠলাম।
- এই উঠুন।(নিলিমা)
- কেনো?(আমি)
- জানালার পাশে বসবো আমি?(নিলিমা)
- সরি আমি উঠতে পারবো না।(আমি)
- তাহলে কিন্তু বমি করে দিবো আপনার ওপর?(নিলিমা)
- না না ঠিক আছে আপনিই বসুন জানালার পাশে।।(আমি)
- ধন্যবাদ।(নিলিমা)
- আস্ত একটা পেত্নি।(আমি)
- কি বললেন?(নিলিমা)
- কিছুনা বললাম যে বাস টা ছেড়ে দিবে এখন।(আমি)
- হুম।

বাস ছেড়ে দিলো।তিন ঘন্টা লাগবে যেতে।
আমি বাসায় ফোন দিলাম।
- হ্যালো?(আমি)
ছোট বোনটা কল ধরেছে।
- ভাইয়া তুই আসতাছিস?(অথৈ)
- হুমম।(আমি)
- ভাইয়া ভাবির কাছে দে তো ফোনটা।(অথৈ)
- ভাবি মানে?(আমি)
- ভাবি মানে বুঝিস না তুই সকালে আম্মুর সাথে যে কথা বলছে তাকে দে।(অথৈ)
- মাইর খাবি ওই মেয়েকে তো আমি চিনিই না।(আমি)
- বাসায় আয় তারপর দেখা যাবে আব্বা সব জেনে গেছে।(অথৈ)
- না আমি বাসায় যাবো না গেলেই বিয়ে করিয়ে দিবো।(আমি)
- আরে আয় কিছু হবেনা।(অথৈ)
- ফোন রাখ টেনশনে ফেলে দিলি।(আমি)
ফোন কাটার পর।

খুব মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছিলো ও।
- কার সাথে কথা বলছিলেন?(নিলিমা)
- আমার ছোট বোন।(আমি)
- ভাবি বললে কাকে?(নিলিমা)
- কাকে আবার আপনাকে?(আমি)
- ওহ। আমি কিন্তু আপনাকে বিয়ে করতে রাজি?(নিলিমা)
- তাহলে বাসা থেকে পালালেন কেনো? ওই ছেলেকে বিয়ে করলেই পারতেন?(আমি)
- আরে চিনিনা জানিনা বাবার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে করে নিবো এতোই সোজা।(নিলিমা)
- আমাকে যে বিয়ে করবেন আমাকেই বা কতটা চিনেন?(আমি)
- অনেকটা।(নিলিমা)

ধুররর বলে ওদিকে তাকালাম।
একটু পর মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়লো।
চলুন এই সুযোগ এ পরিচয়টা দিয়ে ফেলি।
আমি সানভি আহমেদ সাকিব।
বি এস সি শেষ করে ভালো একটা জব পাইছি।
আর এই সুযোগ এ আব্বা আম্মা বিয়ে করানোর জন্য
উঠে পড়ে রাখছে।
সেদিন আব্বা বললো,তোর বিয়ে ঠিক করছি।
তুই বাসায় আয় মেয়েটার ছবি দেখে যা।
আপনারা কি ভাবছেন বিয়ে করার জন্য যাইতাছি
না আমি যাইতাছি বিয়ে ভাংতে।

একটু ঘুমানো দরকার আমি ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম ভাংতেই দেখি মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চা মেয়ের মতো ঘুমিয়ে আছে।
মেয়েটাকে দেখতে একেবারে বাচ্চা বাচ্চা লাগতাছে।
ক্রাশ তো দ্বিতিয় বার আবার খাইলাম।
জানিনা আরো কয়বার খাবো।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে ভাবনায় হারিয়ে গেলাম।
হঠাৎ ও বলে উঠলো।

- এইযে মিস্টার কি দেখছেন এমন করে।(নিলিমা)
- না মানে ইয়ে মানে কিছুনা।(আমি)



- কিই হুম ইয়ে মানে কি??(নিলিমা)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...