সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প :- পাড়ার বড় আপু যখন বউ পর্বঃ০৪

 

গল্প :- পাড়ার বড় আপু যখন বউ
পর্বঃ০৪



* আরেকদিন যদি এই আবাল মার্কা কথা বলেছিস তাহলে তোর খবর করে দিবো বলদ কোথা কার ৷ (রিমঝিম আপু)
তখন রিমঝিম আপুর বান্ধবি কোথা থেকে এসে জেনো পাশে বসলো ৷৷
তখন রিমঝিম আপু যা করলো
রিমঝিম আপু রেগে আগুন হয়ে গেলো
আমার হাত ধরে নিজের পাশে বসালো

* আয়েশা তুই এখানে ! (রিমঝিম আপু)
* কেনো আসা যাবে না নাকি ? (আয়েশা)
* আমি কি সেটা বলছি নাকি (রিমঝিম আপু)
* আসলে একা একা ভালো লাগছে না তাই তোদের সাথে গল্প করতে চলে এলাম ৷ (আয়েশা)
* ও খুব ভালো করেছিস (রাগে কটমট করে আপু)
* ছেলেটা কে রে ? (আয়েশা)

* দারা পরিচয় করিয়ে দেই ৷ রিয়াদ এ হচ্ছে তোমার বড় আপু আয়েশা । আজ থেকে ওকে বড় বোনের মতো সম্মান দিবি ঠিক আছে ।। আর আয়েশা এ হচ্ছে রিয়াদ ।। আজ থেকে ওকে নিজের ভাইয়ের মতো দেখবি (রিমঝিম আপু)

* কি বলছিস এসব (আয়েশা আপু)
* ঠিকি তো বললাম (রিমঝিম আপু)
আমি শুধু ওদের কথা শুনছি ৷ তারপর আয়েশা রিমঝিম আপুকে সাউডে নিয়ে গেলো ৷ দুজনে কি যে কথা বলছে কিন্তু দূর থেকে যা বুঝলাম খুব ঝগড়া করছে।।।
এক পর্যায়ে রিমঝিম আপু কি জেনো বললো আর আয়েশা আপু ওখান থেকে চলে গেলো আপু তখন আমার কাছে আসলো !!

* এত্তক্ষন লাগে আসতে কি কথা বললা (আমি)
চুপচাপ পাশে বসে পরলো ৷
* কি হলো কিছু বলছো না যে (আমি)
* শুন কাল থেকে তুই কলেজে আসবি না ! (রিমঝিম আপু)
* আসবো না কেন ? (আমি)

* তাহলে আয়েশা তোর সাথে কথা বলতে পারবে না (রিমঝিম আপু)
*কিন্তু কথা বললে কি সমস্যা ? (আমি)
* সমস্যা আছেওর কথার বলার দরকার নেই ৷ (রিমঝিম আপু)
*আমি কথা না বললেই তো হলো তাতে কলেজ না আসার কি হলো (আমি)
* সেটাও কথা তুই আয়েশার সাথে কথা বলবি না ৷

 এমন কি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবি না ঠিক আছে আর যদি দেখি তাহলে তোর একদিন কি আমার এক দিন ৷৷ (রিমঝিম আপু)
কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। রিমঝিম আপুর এমন আচরন আমায় বেশ অবাক করেছে ৷
* কি হলো কি কথা বল । মনে থাকবে তো ? (রিমঝিম আপু)
* হুম থাকবে (আমি)


* এই তো ভালো ছেলে। এখন ক্লাসে যা (রিমঝিম আপু)
রিমঝিম আপু নিজের ক্লাসে গেলো আমি আমার ক্লাসে চলে গেলাম ৷৷ এভাবেই বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলো ৷ রিমঝিম আপু আমার জীবনটাকে নিজের মতো চালাতে শুরু করলো ৷ যেমন কোন আপন জন করে ৷ এসব করার অধিকার আমি রিমঝিম আপুকে অনেক আগেই নিজের মন থেকে দিয়ে দিছি ।

 কারন আমি মনে মনে রিমঝিম আপুকে অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছি৷ নিজের এই মনটাকে অনেকবার বোঝাতে চেষ্টা করেছি । তার সাথে আমার যায় না । কিন্তু মনটা মানেনি ছুটে গেছে তার কাছে ৷ আমি জানি আমি যেদিন রিমঝিম আপুকে আমার ভালোবাসার কথা বলবো সেদিন হয়তো সবশেষ হয়ে যাবে আর আমি সেটা চাই না তাই আমি তাকে নিরবে ভালোবেসে যাব ৷

কখনো তার কাছে নিজের ভালোবাসার দাবি নিয়ে যাব না ৷ হয়তো শেষে আমার ভালোবাসাটা এক কোনে পরে রয়ে যাবে ৷ কথাগুলো ভাবতে ভাবতে মনটা খারাপ হয়ে গেলো ৷৷
* কি রে মন খারাপ করে এভাবে বসে আছিস কেনো ? (রিমঝিম আপু)
* কই না তো । (আমি)


* মিথ্যা বলবি না । (রিমঝিম আপু)
* তেমন কিছু না আপু । (আমি)
* আচ্ছা বাদ দে । আয় তোর সাথে একজনকে পরিচয় করিয়ে দেই ৷ (রিমঝিম আপু)
আমি রিমঝিম আপুর সাথে গেলাম ৷রিমঝিম আপু কাকে জেনো ফোন দিয়ে ডাকলো ৷
একটু পর একটা ছেলে বাইক নিয়ে আসলো ৷
রিয়াদ এ হলো রনি । আমার কাজিন আর রনি এ হলো রিয়াদ ৷ (রিমঝিম আপু)
* হায় কেমন আছেন ৷ (আমি)


* হ্যালো । তুমি তাহলে রিয়াদ (রনি)
* হুম । আপনি আমাকে চিনেন ? (আমি)
* না । কিন্তু রিমঝিমের মুখে তোমার কথা অনেক শুনেছি । এই বয়সে তুমি একাই চলাফেরা করো এটা অনেক ভালো ব্যাপার সবাই পারে না ৷ (রনি)


* আমার আব্বু একটা কথা বলতেন পাশে যখন কেউ থাকবে না তখন নিযে উঠে দারাতে হয় । উঠে দারানোর সময় কাউকে পাশে পাবি না । তাই নিজে নিযে চলতে শিক্ষতে হবে আর আমি একাই চলতে শিক্ষে গেছি ৷ সামনের দিন গুলোতেও একাই হয়তো থাকতে শিক্ষে যাব ৷৷ (আমি)


কথাটা বলার পর রিমঝিম আপু আমার দিকে তাকালো ৷ তারপর তিনজনে বসে অনেক কথা বললাম ৷ রিমঝিম আপু রনির বাইকে করে বাসায় চলে গেলো আর আমি আমার বাসায় চলে আসলাম ৷৷ রনি নাকী এখন থেকে আমাদের কলেজেই পরবে ৷পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজের দিকে বেরিয়ে পরলাম ৷
কলেজে ঢুকার আগে চায়ের দোকানে গেলাম এক কাপ চা অর্ডার দিলাম চা আসতে আসতে একটা সিগারেট কিনে ধরালাম ৷


এর মধ্যে রিমঝিম আপুর ফোন ৷
* হ্যালো (আমি)
* কই তুই ৷ (রিমঝিম আপু)
* এইতো যাচ্ছি ৷ (আমি)
* তারাতাড়ি আয় ৷ (রিমঝিম আপু)
চা আর সিগারেট খেয়ে কলেজে গেলাম ৷
রিমঝিম আপু মাঠের এক কোনে বসে আছে ৷


আমি রিমঝিম আপুর থেকে একটু দূরে গিয়ে বসলাম ৷ রিমঝিম আপু আমার কাছে চেপে আসলো ৷ আমি চুপচাপ আছি ৷৷
* তোকে কতোবার বলেছি সিগারেট খাস না (রিমঝিম আপু)
* তুমি হয়তো এক দিন চলে যাবে । কিন্তু এই টাই হয়তো আমার পাশে থেকে যাবে ৷ আমার কথাটা শুনতে পেয়ে কিচ্ছুক্ষন চুপচাপ আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ৷
* তুই কি কিছুই বুঝিস না (রিমঝিম আপু)
* কেন কি আবার বুঝলাম না (আমি)
* কিছু না।। (রিমঝিম আপু)

রিমঝিম আপু মন খারাপ করে বসে রইলো ৷
আমি চুপচাপ তার মায়াবী মুখটা দেখতে লাগলাম ৷ তারপর আপু উঠে কিছু না বলে চলে যেতে লাগলো ৷ আমি পিছন থেকে ডাক দিলাম কিন্তু শুনলো না ৷ নিজের গাড়িতে গিয়ে বসলো ৷
আমি গাড়ির সাইডে দাড়িয়ে রইলাম ৷ কিচ্ছুক্ষন পরে গাড়ির গ্লাস খুললো ৷ চোখ দুটো লাল হয়ে আছে ৷৷
* উঠ বাসায় নামিয়ে দেই ৷ (রিমঝিম আপু)

আমি উঠে বসলাম ৷রিমঝিম আপু আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো ৷ অন্যদিন আসার সময় হাজারটা কথা বলবে কিন্তু আজ একটাও কথা বললো না ৷৷ এরপর কাজের চাপে এক সপ্তাহ কলেজে যাওয়া হলো না ৷
এক সপ্তাহ পর

কলেজে গিয়ে দেখলাম রিমঝিম আপু আর রনি বসে আছে ৷ দুজনে বসে আছে আর হেসে হেসে কথা বলছে ৷ আজ রিমঝিম আপু কলেজে আসলো তবুও একবার ফোন দিলো না ৷ খুব অবাক হলাম ৷
এই কয়দিন অনেকবার দেখা করতে বলেছে কিন্তু এই এক সপ্তাহে প্রায় সারাদিন ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকতে হয়েছে । অনেক বড় একটা ক্লাইন্ট পাওয়ায় কাজ অনেক বেশি ছিলো ৷

আমি ভাবলাম হয়তো ভাবছে আমি কলেযে আসবো না । তবুও একটা ফোন তো দিতে পারতো ৷ আমি ওদের না দেখার ভান করে ক্লাসে যেতে লাগলাম ৷ তখন পিছন থেকে রিমঝিম আপু ডাক দিলো ৷৷ আমি ওদের কাছে গেলাম ৷
* কেমন আছিস ? (রিমঝিম আপু)
* ভালো আপু তুমি (আমি)

* হুম ভালো বস এখানে ৷ (রিমঝিম আপু)
ওদের থেকে একটু দুরত্ব বজায় রেখে বসলাম ৷ ওরা দূজনে কথা বলছে ৷ আমি চুপচাপ ফোন টিপতিছি ৷৷
এর মাঝে রিমঝিম আপু আমার সাথে একটা কথাও বলে নি ৷ ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগলো ৷
অন্যদিন কলেজে না আসলে ডেকে এনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতো আর আজ পাশে বসে আছি তাও মুখ ফুটে একটা কথা বলছে না ৷ এক সপ্তাহে এতটা বদল ৷৷

* তোমরা একটু কথা বলো আমি স্যারের সাথে কথা বলে আসি ৷ (রিমঝিম আপু)
রিমঝিম আপু উঠে চলে গেলো ৷
* জানো রিয়াদ রিমঝিমের মতো মেয়ে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার ৷ (রনি)
* মানে বুঝলাম না (আমি)
* তুমি জানো না রিমঝিম আর আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে ৷ আমাদের পরিক্ষা শেষ হলে বিয়ে দেওয়া হবে (রনি)





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...