সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জীবনের ভালোবাসা পর্ব ০৭


জীবনের ভালোবাসা
পর্ব ০৭

-আপনার ভাইকে জিজ্ঞেস করুন।উনি ই সব বলুক নিজের মুখে।আমি আর কি বলবো বলেন,আমার বলার আর কিছু নেই,এবার ওকে ডাকা হলো।ও সব বলে দিলো।তার সাথে এটাও বললো।

-আমাকে এবারের মতো মাফ করে দিন।আমি আর এরকম কখনো করবো না।কথা দিলাম।এবার ভাই আমার বাবা মার উদ্দেশে বললো...

-আমি লজ্জিত,আমি জিম্মি হয়ে জুইকে আনার পরও এতোকিছু হয়ে গেছে।আজকে আমি বলছি আপনারা আপনাদের মেয়েকে নিয়ে যান।আমি দায়মুক্ত হতে চায়।

-চাইলেই কি পাঠানো যায়?জুইকে একবার জিজ্ঞেস করুন ও যেতে চায় কিনা?এবার ভাইয়া আমাকে জিজ্ঞেস করলো।আমি থাকতে চাই কিনা?

- না কখনোই না।আমি মুক্তি চাই এ সম্পর্ক থেকে।তিক্ত হয়ে গেছি আমি।সহ্য শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে আমার।
আমি আর পারছি না।

আমার মুখে এসব কথা শুনে রাজ তো অবাক। অবাক ই বা হবে না কোনো আমি যে কোনোদিন ওয়াদা দিয়ে, ওয়াদাভজ্ঞ করিনি।এই প্রথম এরকম করলাম রাজ এর সাথে।আমার কথা শুনে রাজ এবার আমার আব্বু ও ভাইয়ের কাছে কাকুতি মিনতি করলো আমাকে রেখে আসার জন্য।কিন্তু আব্বু আর ভাইয়া আমাকে রেখে আসলেন না।অবশেষে সবাই মিলে এই সিদ্ধান্তে উপনিতো হলো যে আমাদের দুজনকে আলাদা রাখা হোক কিছুদিন। তারপর যদি জুই রাজের কাছে আসতে চাই আসবে।নাহলে বিচ্ছেদ করে দেওয়া হবে।এটা বলে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসলো।বাড়িতে আসার পর বসে বসে দিন কাটাইতে কষ্ট হচ্ছিলো,তাই চাকরির সন্ধান করতেই, দুই তিনদিন পর আমি একটা চাকরি পেয়ে গেলাম।চাকরি টা ছিলো ব্র্যাক স্কুলের।

যেহেতু আমি আগে থেকেই টিউশনি করতাম। তাই ছাত্র যোগার করতে আমার কষ্ট হলো না।তিন চারদিনেই অনেক স্টুডেন্ট যোগাড় হয়ে গেলো।আমি ও নিজেকে ব্যস্ত করে ফেললাম টিউশনি আর স্কুল পড়ানোতে।সারাদিন নিজেকে
যতই কাজের মধ্যে রাখি না কেনো।রাত্রি বেলা নিঃসজ্ঞতা আমাকে কুকরিয়ে খেতো। তবুও ভুলে কোনোদিন ওর কাছে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবি নি।ও আমাদের বাড়ির সবার ফোনে কল দিতো।কিন্তু কেউ রিসিভ করতো না। এভাবে চলে গেলো ১৫ দিন। এর পর ১দিন ওদের গ্রাম থেকে কয়েকজন মুরুব্বি আসলো আমাকে নেয়ার জন্য। আব্বু উনাদের বললো।আমি দুঃখিতো আপনাদের কথা রাখতে পারবো না।ওরা আমাকে ডেকে অনেক বুঝালো।ওদের কথা শেষে আমি ওদের বললাম,

- আপনারা কি পারবেন ঘরের ভিতরে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে?
উনারা একদম চুপচাপ ছিলো।উনাদের নিরবতায় উনাদের অপারগতার কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলো।

জানি।পারবেন না।শুনে রাখুন যেখানে আমার জিবনের নিরাপত্তা নেই সেখানে কখনো আমি ফিরে যাবো না।

-আব্বু এবার উনাদের উদ্দেশ্যে বললেন.....
-আপনারা আমাদের বাড়িতে আত্বীয় হিসেবে এসেছেন।তো আল্লাহ যা রিজিক এ রাখছে খেয়ে যাবেন।আমি আমার মেয়েকে পাঠাতে পারবো না।

-তাহলে কি আপনারা মেয়ের ডিভোর্স চান?
- হুম।শুধু চাই না।খুব তাড়াতাড়ি চাই।
ওহ আচ্ছা।তাহলে দেখি ওদের সাথে কথা বলি।কি করা যায়।

এই কথা বলে উনারা চলে গেলেন।

দুই তিন দিন পর আব্বু ওদের কল দিলো ডিভোর্স এর সময় জানার জন্য।
ওরা বলল, রাজ নাকি আমাকে ডিভোর্স দিতে চায় না।
এদিক থেকে আব্বু বলে দিলো।জুই কে কোনোক্রমেই রাজের কাছে পাঠাবো না,
পরে ওরা কি বুঝেছিলো জানি না, ওখান থেকে কল দিয়ে ডিভোর্স এর দিন,ক্ষণ, তারিখ এবং সময় সব ঠিক হয়ে গেলো বলে জানালো।এখন শুধু সেই সময়ের অপেক্ষা। দেখতে দেখতে সময় চলে গেল ।ডিভোর্স এর তারিখ এসে গেলো, রাজ এর কোনো খোজ না থাকায় ডিভোর্সটা হলো না।আব্বু আমাকে দিয়ে ডিভোর্স করালো না। কারন বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ওদের অনেক টাকা দেওয়া হয়েছিলো।আমি নিজে থেকে ডিভোর্স দিলে টাকাটা আব্বু ফেরত পাবে না তাই।আমি প্রচন্ড কষ্ট পেতাম ডিভোর্স এর কথা ভেবে।প্রচুর কাঁদতাম। প্রেমের বিয়ে না হলে,এত মায়া লাগতো না এবং


হয়তো এতোটা কষ্ট ও হতো না। সবসময় ভাবতাম ৫টা বছর যাকে চিনতাম ১টা ভালো মানুষ হিসেবে।সে এতোটা বাজে আর নির্দয় কী করে হতে পারে?. সবসময় গম্ভির হয়ে থাকতাম।মন থেকে মানতে পারছিলাম না।রাতে ঘুমাতে পারতাম না।ঠিকমতো খেতাম না।আসলে আমি কোনোদিন ভাবতাম ই না আমাদের বিয়েটা ভেজ্ঞে যাবে আর আমার আবার নতুন কারো সাথে সম্পর্ক গড়তে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলাম।

 লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছিলো।শরীরের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো,এক ভাবে ড্রিপ্রেশন চলছিলো দিন গুলি।ড্রিপ্রেশন নিয়ে স্কুলে যেতাম বাচ্চাদদের পড়াতে।আমার আব্বু কিন্তু টাকার জন্য আমাকে টিউশনি করতে দেয়নি।আমি যাতে কাজের মধ্যে থেকে পুরোনো সব সৃতি ভুলে যায় সেজন্য এই চাকরিটা করতে দিয়েছিলো।তো রোজ আমি স্কুলে পড়াতাম।প্রতিদিনের মতো সেদিন ও আমি স্কুলে পড়াচ্ছিলাম।হঠাৎ আমার মনে হলো সব ঝাপসা লাগছে।সাথে ঘাড়েও প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলাম।স্টুডেন্ট দের পড়তে দিয়ে আমি মাথায় পানি ঢালার উদ্দেশ্যে কল তলায় যাচ্ছি লাম। কিন্তু কলতলা অবদি আর যেতে পারলাম না, মাঝ রাস্তায় পড়ে গেলাম। তারপর কি হয়ছে জানি না।তবে যখন আমার জ্ঞান ফিরে এলো তখন আমি দেখলাম আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি।ডক্টর আংকেল আমায় জিজ্ঞেস করলো মা তুমি এতো কিশের চিন্তা করো?

- কোনো চিন্তা করি না।

উনি আর কথা বাড়ালো না।একটা স্যালাইন পুষ করে দিলেন।আর কিছু ঔষধ লিখে দিলেন।
স্যালাইন শেষ হলো বিকেলে। স্যালাইন শেষে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলো।

আমি বাড়িতে এসে আমার আপুকে জিজ্ঞেস করলাম আমার এমন কি হয়ছে যার জন্য হসপিটালে এ্যাডমিটের দরকার হয়েছিলো। আপু আমাকে বললো।আমি নাকি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।চোখে মুখে পানির ঝাপটা মাথায় পানি ঢালাসহ সব করেও আমাকে সেন্স এ আনা যায়নি তাই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। যাইহোক রাতে আব্বু নিজে আমায় খাবার খাইয়ে, ঔষুধ খাইয়ে দিয়ে বড় আপুর কাছে শুইয়ে দিলো। সকালে আমি আবার স্কুলের জন্য রেডি হচ্ছিলাম। কিন্তু আব্বু বললো আমার নাকি স্কুলে যেতে হবে না।আমার বদলে কিছুদিন আপা পড়াবে।

আমি তখন আপাকে বললাম কেনো?
উত্তরে জানতে পারলাম প্রচুর দুশ্চিন্তা আর স্টুডেন্ট পড়ানোর চাপের কারনে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।তাই ডক্টর বলেছে কিছুদিন স্কুলে না যেতে।ডক্টর আবার যখন স্কুলে যেতে বলবে তখন যেতে হবে।

আব্বু আবার আমাকে কলেজ এ যেতে বললো।কারন ডক্টর নাকি বলেছে একমাত্র বন্ধুবান্দবরাই আমাকে এই ঘোরের মধ্যে থেকে বের করতে পারবে।সেদিনের পর থেকে রোজ কলেজে যেতাম।বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আড্ডা মজাই মেতে থাকতাম।সব কথা ওদের সাথে শেয়ার করতাম।রাজ নামের কেউ জীবনে ছিলো এটা না ভুললেও আমি তখন সব সহজভাবে মেনে নিয়েছি।ততদিনে আমি ফাইনাল ডিসিশন নিয়ে নিয়েছি যে রাজ আর আমার জিবনে আসবে না।আমার একমাত্র লক্ষ হবে লেখাপড়া করা।অন্য কোনো দিকে ফিরে তাকানোর আমার টাইম নেই।আমার পড়াশোনাতে এতো মনোযোগ দেখে আব্বু আমাকে প্রাইভেট দিলো।আমি তখন কলেজ, প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কলেজ ছুটি থাকলে মাঝে মাঝে বন্ধু বান্ধবরা চলে আসতো আমাদের বাড়িতে। আমরা গল্প গুজব করতাম।এমনই একদিন আমি ক্লাস শেষে বাড়ি চলে আসছিলাম আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে।

ওর নাম সোহাগ।হেটে হেটে বাড়ির রাস্তায় হাটছিলাম আর হেসে হেসে গল্প করছিলাম। অর্ধেক রাস্তা আসার পর রাজ কোথা থেকে যেনো আমাদের সামনে আসলো।তারপর আমাদের সাথে ওদের বাড়িতে যেতে বললো।আমি রাজি না হওয়াতে ও অনেকটা রেগে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো।এমন সময় সোহাগ ঝটকা মেরে ওর হাত থেকে আমার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আসলো।পরে আবারো ও আমাকে নিয়ে টানাটানি করতে চাওয়ায় আমি লোকজন ডেকে মার খাওয়ানোর কথা বলাতে ও কথা না বাড়িয়ে চলে গেলো।আমি সোহাগ এর সাথে বাড়ি চলে আসলাম।বাড়িতে কিছু বললাম না বাড়ির লোক চিন্তা করবে বলে।তবে পরেরদিন থেকে অন্যপথ দিয়ে কলেজ যাওয়া শুরু করলাম।

কিন্তু দুই তিনদিন পর ও আবার ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালো।এবার আমি সত্যি সত্যিই চিল্লাচিল্লি করলাম।লোকজন ছুটে আসলো। ও অবশ্য সবাইকে বললো আমি ওর স্ত্রী। কিন্তু আমি অস্বিকার করলাম।আর আমি অস্বিকার করাতে কয়েকজন লোক ওকে কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।কষ্ট হচ্ছিলো খুব ওকে মারা দেখে।হাজার হোক স্বামী তো।তবুও বুকে পাথর বেধে ওখান থেকে চলে আসলাম।বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।ঘুম ভাজ্ঞলো আম্মুর ডাকে।

- নে তোর সাথে তোর বড় জা কথা বলবে।
-যেহেতু ওর বড়ভাবিটা খুব ভালো ছিলো তাই আমি উনার সাথে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করিনি।উনার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম রাজ ও নাকি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করে না। তারপর সবাই নাকি ওকে খুব মেরেছে।ওর বড় ভাই না ওখানে না আসলে নাকি ওরা ওকে মেরেই ফেলতো।তারপর কোনো একটা মেয়ের হিল জুতার বারি তে নাকি কপালে অনেকটা কেটেও গিয়েছে।সর্বশেষ এটা বললো...যে সব শুনে ওর বাড়ির সবাই আমাকে খুব বকেছে আর ওকে ডিভোর্স দিতে বলেছে।উত্তরে নাকি ও বলেছে ও মরলেও আমাকে ডিভোর্স দেবে না।

কথাগুলো শোনার পর আমি ভাবিকে বললাম তা আমাকে কেনো শোনাচ্ছেনন কথাগুলো।

উনি বললো এমনি।
এরপর ও রাজ আমার পিছু ছাড়ে নি।তবে সামনে না এসে শুধু ফোন দিতো।আমি রিসিভ করে ওকে খুব বকতাম।প্রতিত্তরে ও আমায় বকতো না।শুধু ক্ষমা চাইতো।এভাবে চলে গেলো দুইমাস।দুইমাস পর আবার ও রাজ আমার সামনে এসে দাড়ালো।কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো এটা যে রাজ এবার আমায় জোর জবরদস্তি না করে বাড়ি যাওয়ার কথা না বলে অনেকগুলো মানুষের সামনে আমার পা জরিয়ে ধরে আমার থেকে শুধু মাফ চাইলো।

আমি এই প্রথম দেখলাম ওকে মাথা নিচু করে ক্ষমা চায়তে।বিস্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো যেনো আমি স্বপ্ন দেখছি। চিমটি কাটলাম এটা প্রমাণ করতে যে স্বপ্ন না বাস্তব। পরে দেখলাম যা ঘটছে সব বাস্তব। ওকে পা ধরা অবস্হায় দেখে আমি থ মেরে দাড়িয়ে আছি।ভাবছি এটা কী হল,এখন আমি কী করবো।ভাবতেছিলাম।ওকে ক্ষমা করে কাছে টেনে নেবো নাকি আবারো দুরে ঠেলে দেবো।কোনো সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারছিলাম না।

প্রিয় পাঠক পাঠিকারা আপনারা ই বলেন জুই এর এখন কি করা উচিত? ১.রাজকে কি কাছে টেনে নিবে?
নাকি
২.জুই এর এখন যে ভাবে দিন চলচে সেই ভাবে ই চল্লে ভালো হবে?


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...