সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প:১০ দিনের বউ (৮ম/শেষ পার্ট)

    গল্প:১০ দিনের বউ

(৮ম/শেষ পার্ট)
বেশ কিছুক্ষন পর নূপুর রেডি হয়ে আসলো...
-ঐ শেষ আমার... (নূপুর)
- তুই শাড়ি পরে ঘুরতে যাবি? (অবাক হয়ে)
-হ্যা.....
-আচ্ছা...

আহ নূপুরকে দেখে তো আমি পুরাই ক্রাশিত......
অতঃপর আমিও একটা পাঞ্জাবি পড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম...
তারপর বেরিয়ে পড়লাম....
-তুই সামনে এগো... আমি দরজাটা লক করে আসছি...
-আচ্ছা....
নূপুরকে সামনে যেতে বলে আমি দরজা লক করছিলাম

নূপুর হাটতে হাটতে নিচে গেলো..
দরজা লক করে আমিও নিচে যাচ্ছিলাম.....
নিচে যেতেই আংকেল ডাক দিলো.....
আংকেল বারান্দায় বসে Newspaper পড়ছিলেন.....
-কই যাও বাবা? নূপুরকেও দেখলাম শাড়ি পড়ে বেরোলো... কোথাও যাচ্ছ টাচ্ছ নাকি? (আংকেল)
-হ্যা আংকেল একটু ঘুরতে যাচ্ছি... (আমি)
-ওওও....
-জ্বি আংকেল...

-অফিস ছুটি নাকি?
-হ্যা বলছিলাম না আংকেল সিলেট ট্রান্সফার হইসে... তো গতকাল এখানের অফিস শেষ দিন ছিল.... আজকে ছুটি...
-ও হ্যা বলছিলা... তো আজকেই চলে যাবে নাকি?
-না আংকেল কালকে যাবো...
-ওও.. তো কীভাবে যাবে? ট্রেন এ?

-না অফিস থেকেই বস ব্যবস্থা করে দিসেন.....
-ওও ভালো....
-হুম....
এমন সময় নূপুর ডাক দিলো...
-এ হৃদু কি হলো আয়.....
আমাকে তুই করে ডাক দিলো শুনে আংকেল কেমন ভাবে জানি নূপুরের দিকে তাকালো...
নূপুর জানতো না আমি যে আংকেলের সাথে কথা বলছি...
আমিও নূপুরের দিকে কেমন ভাবে জানি তাকালাম...
ও ব্যাক করে এসে দেখে আমি আংকেলের সাথে কথা বলছি.
.
নূপুর ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো...
আংকেলকে দেখে ও ওর কথাটা আবার রিপিট করলো....
-কি হলো আসো..... (নূপুর)
'তুমি' শুনে আবার যেন আমরা স্বাভাবিক হলাম..
নূপুর একটা হাসি দিলো....

আংকেলও একটা নর্মাল হাসি দিলেন...
আর আমিও হাফ ছেড়ে বাচলাম...
নূপুর কি মনে করে জানি আংকেলকে এসে প্রণাম করলো.. সাথে আমিও করলাম...
-আচ্ছা থাক থাক.. শত পুত্রের জনক-জননী হও... (আংকেল)
নূপুর হয়তো লজ্জা পেলো.....
-ইসসস আংকেল এত্তো পোলাপান দিয়া কি সার্কাস করুম......
সবাই হেসে উঠলাম.......

-আচ্ছা যাও তোমরা.. ঘুরে এসো... (আংকেল)
-হুম আংকেল... (আমরা)
তারপর নূপুর আর আমি বেরিয়ে পড়লাম....
গেইট থেকে বেরিয়েই নূপুরের মাথায় একটা টোকা মারলাম....
-ঐ কখন কি বলতে হয় জানিস না...! (আমি)
-আউউ.... মারলি কেন! আমি কি জানতাম আংকেল আছে... (নূপুর)
-কেন জানতি না... তুই দেখে যাস নি আংকেল ওখানে newspaper পড়ছে...
-তো আমি কি জানতাম নাকি তুই আংকেলের সাথে আছিস..
-আচ্ছা চুপ... আবার তর্ক করছে..
-ঐ কিসের তর্ক.. সত্যিই কি আমি জানতাম নাকি......!
-আচ্ছা থাক থাক....বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর...
-হারামজাদা.... কোথাকার মহাপুরুষ আসলি রে... বিশ্বাস নাই তোর....
নূপুর রেগে গিয়ে আমার পাঞ্জাবীর কলার টেনে ধরলো...
এহেরে অবস্থা বেগতিক লাগছে....
এভাবে কলার টেনে ধরলে তো আমার প্রেস্টিজের ফালুদা হয়ে যাবে..

নূপুরকে শান্ত করার জন্য আমি আস্তে আস্তে ওর হাতটা সরানোর চেষ্টা করে বললাম,
-আরে আরে সোনামণি আমার রাগ করে কেন...? ঘুরতে বের হয়ে কেউ এমন করে?
জোর করে মুখে একটা হাসি এনে বললাম.....
নূপুর কলারটা ছেড়ে দিলো....
-থাক আর আদিখ্যেতা দেখাতে হবে না..... (নূপুর)

-আদিখ্যেতা কই দেখালাম.... যাই হোক আজকে আর কোনো ঝগড়া বা দুষ্টামি না..... আজকে একদম সেই ভাবে দিন কাটাবো..
-সেই ভাবে কীভাবে
-খুব ভালোভাবে....
-হুম
-আজকেই তো ঢাকায় শেষ দিন......
কথাটা নূপুরের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো.....
-এমনভাবে বলছিস যেন আর কখনো ঢাকায় আসবি না......
-আসবো বাট ৫/৬মাসে ঢাকায় আসার সম্ভাবনা খুব কম...
-আমাকে দেখতেও আসবি না....

-না... তুই সিলেট যাস, তখন দেখবো তোকে.....
-আমি কেন যাবো?
-তোর সাথে আমার সেই কলেজ লাইফ থেকে ফ্রেন্ডশিপ.... এতোবছরে তোকে কতো বার সিলেট যাওয়ার জন্য বলেছি বল্, কিন্তু তুই একবারও যাস নি..
-হিহিহি
-ঐ শোন্... এবার যদি আমাকে দেখতে চাস, তো তোকে সিলেট যেতেই হবে, যেতেই হবে, যেতেই হবে... ব্যস্....
-তুই এসে নিয়ে যাইস... তাহলে যাবো নে...
-তাহলে তো সেই আমাকেই ঢাকা আসতে হবে..
-হিহিহি....

-ধ্যত দুষ্টু মাইয়া...
-এএহ... তুই কত্তো ভালো পোলা রে...
-হিহিহি.. হ....
নূপুর আর আমি এসব বলতে বলতে হাসছি আর হাটছি.....
হঠাৎ কেউ আমাকে ডাক দিলো বলে মনে হলো....
এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখি বাইকে থেকে রাসেল ভাই ডাকছে....
উনি আমাদের সামনে এসে বাইক থামালেন.....
-কি ভাই কই যান? (রাসেল)
-এইতো ভাই একটু ঘুরতে বের হলাম.... (আমি)

-অফিস নাই....?
-কালকে আমার সিলেট যাওয়ার কথা না? তাই আজকের দিনটা বস ছুটি দিয়েছেন.
-ওওও...
-তা আপনি কোথায় যাচ্ছেন? অফিস কি ছুটি?
-অফিস ছুটি না বাট আমি ছুটি নিয়েছি...
-কেন?
-বউকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যাবো তাই আর কি....
-ভালো তো যান.... (হেসে)

-হ্যা... তো উনি কে? (নূপুরের দিকে ইশারা করে)
-বেস্টফ্রেন্ড.....
-ওওওও.... আপনার ঐ যে গার্লফ্রেন্ডটা? (আমার কানের কাছে আস্তে করে বললো)
আমি হেসে দিলাম.....
-হ্যা সেটাই...
-Ok Bro Carry On... আমি যাই দেরি হয়ে যাচ্ছে... সিলেট গিয়ে ভুলে যাইয়েন না কিন্তু....
-ঠিক আছে..
রাসেল ভাই চলে গেলেন....
-কে রে? (নূপুর)

-আমার এক কলিগ... রাসেল উদ্দিন.. (আমি)
-ওওও...
-হুম.. আচ্ছা চল্
বলে আবার আমরা হাটা ধরলাম....
.
যাই হোক আজ নূপুরের সাথে সারাদিন বেশ ঘুরাঘুরি করলাম.... একবার রিকশায়, একবার হেটে... এখানে সেখানে ওখানে ঐখানে সব খানে....
দুপুরে একটা রেস্টুরেন্টে Lunch করেছিলাম...
ঘুরতে ঘুরতে এখন রাত প্রায় সাড়ে ১০ টা বেজে গেছে...

এখন একটা রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে এসেছি.....
ডিনার শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিতে দিতে ১১টার উপরে বেজে গেছে...
বাসায় যেতে দেরি হয়ে যাবে ভেবে রিকশা নিতে চেয়েছিলাম... বাট বিধি বাম.. রাস্তায় তেমন কোনো যানবাহন নেই...
তো নূপুর বললো হেটেই নাকি ও বাড়ি যেতে চায়.... অগত্যা আমিও হেটে যেতে রাজি হলাম....
রাস্তা দিয়ে আমি আর নূপুর হাটছি... এদিকে লোকজন তেমন নেই...

নূপুর আর আমি চাঁদের আলোয় একা একা রাস্তা দিয়ে হাটছি....
এমনিতেই শাড়ি পড়ে নূপুরকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিলো...
তার উপর ওর চেহারায় চাঁদের আলোয় পড়ে যেন আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে....
মনে হচ্ছে আমার সাথেই একটা চাঁদ হাটছে.... আর আমার চাঁদ টার প্রতিচ্ছবি ই আকাশে প্রতিফলিত হচ্ছে...
আহ্ মনে কত্তো আবেগ জাগতেছে...
-এই পেত্নি... (আমি)

-কি? (নূপুর আড়চোখে তাকিয়ে বললো)
-তুই এরকম কেন?
-কিরকম?
-একদম পেত্নিদের মতো...
-কিহহহ বললি... (চোখ রাঙিয়ে)
-তোর যদি ইয়া বড় বড় দুইটা শিং, দাত আর নখ থাকতো, তোকে একদম খাটি পেত্নি লাগতো.
-শয়তান ভূত.

বলেই নূপুর আমাকে একটা বৈদ্যুতিক থামের সাথে লাগিয়ে আমার কলার চেপে ধরলো....
-হারামজাদা আমি পেত্নি....
-এই এই.... আমার প্রেস্টিজের ১৪টা বাজিয়ে দিবি তো....
-এখানে এমন কেউ নেই যে তোর প্রেস্টিজ দেখবে....
-কেউ নেই যখন কিছু একটা করি....
-কি করবি....!

আমি নূপুরের কোমর জড়িয়ে ধরলাম....
-না কিছুই করবো না.... (নূপুরের চোখে চোখ রেখে)
-যাহ্... তুই এভাবে তাকাস কেন? (লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে ফেললো)
-আজব... কীভাবে তাকালাম...?
-জানি না... (লজ্জায় মুখ নিচের দিকে করে)
আমি নূপুরের থুতনিতে ধরে মুখ উপরে তুললাম...
-দেখি তাকা আমার দিকে...
-কি? (আমার দিকে তাকিয়ে)

-তোকে না খুউউব্ব কিউট লাগছে....
-একটু আগেই তো পেত্নি পেত্নি করলি...
-এমনি করলাম....
-এমনি কেন?
আমি কিছু না বলে নূপুরের কপালে একটা চুমু দিলাম.
নূপুর যেন একটু চমকে উঠলো...
নূপুরের কপাল থেকে ঠোট সরাতেই ও বলে উঠলো....
-ঠোটে কি এলার্জি হইসে তোর...?
-কেন?
-এমন করলি কেন তাহলে?
-কি করলাম...

-ধ্যত কিছু না....(লজ্জায়)
নূপুর আমার কলার ছেড়ে দিয়ে সরে গেলো...
আর আমি হাসতে লাগলাম..
-এই হাসছিস কেন এতো..?
-হিহি এমনি....
-ধুর চুপ কর্....
-হিহি
-ফাজিল...

যাই হোক সেদিনের মতো রাতটা কেটে গেলো.....
পরদিন দুপুরবেলা আমি সিলেট যাওয়ার জন্য একদম তৈরি... আংকেল আন্টির কাছ থেকেও বিদায় নিয়ে নিয়েছি.
এখন শুধু গাড়ির অপেক্ষা...
নূপুরও আমার সাথে তৈরি হয়ে আছে... বাট সিলেট যাওয়ার জন্য নয়, ওর হোস্টেলে যাওয়ার জন্য...
আমি সিলেট যাওয়ার পথে ওকে গাড়ি করে ওর হোস্টেলের সামনে নামিয়ে দেবো.....
দুপুর ৩টার দিকে গাড়ি এলো...
আমি আর নূপুর গাড়িতে উঠলাম...
আজ সকাল থেকেই দেখছি নূপুরের মনটা খুউব খারাপ... বেশি কথা বলছে না.. কেমন কেমন জানি হয়ে আছে...
গাড়িতে উঠেও চুপচাপ... কিছুক্ষণ বাদেই ওর হোস্টেলের সামনে চলে এলাম... নূপুর গাড়ি থেকে নেমে বললো..
-যাই রে.. ভালো থাকিস... আর সাবধানে যাস.. গিয়ে একটা ফোন করিস...
-হুম তুইও ভালো থাকিস....

দুজনেই অনিচ্ছায় একটা হাসি দিলাম.....
তারপর গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো...
কয়েকঘন্টা কেটে গেলো...
সন্ধ্যা হতে এসছে..
নূপুরকে নামিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বুকটা জানি কেমন কেমন করতে লাগলো..কেমন কেমন জানি..
. না শান্তি লাগছে না... শুধু নূপুরের সাথে কাটানো মূহুর্তগুলো মনে পড়ছে...
 কেন জানি নানা মনে হচ্ছে নূপুরকে ছাড়া আমার বাকি মুহুর্ত গুলো কাটানো অসম্ভব... ইসস ভালো লাগছে না..
. অস্থির অস্থির লাগছে....
না আর পারছিনা.. অবশেষে ড্রাইভারকে বলেই ফেললাম...
-ড্রাইভার গাড়ি ঘোরাও.... (আমি)

-কি কন ভাই.. গাড়ি ঘোরাবো মানে?
-গাড়ি ঘোরাবো মানে আবার ঢাকায় ফিরে চলো....
- তাজুল চাচা (বস) তো বলেছেন আপনাকে একদম সোজা সিলেট পৌছে দিতে...
 আমরা এখন সিলেট-ঢাকার মাঝপথে আছি ভাই..
-থাকুক তুমি ঢাকায় ফিরে চলো.. আর বসকে যা বলার আমি বলবো নে...
-আইচ্ছা ঠিক আছে
.
রাত ১০টার উপরে বাজে... আমি এখন নূপুরের হোস্টেলে আছি.... চুরি করে ভেতরে ঢুকেছিলাম...
 এখন দোতলার দেয়াল বেয়ে নূপুরের রুমের বারান্দায় উঠলাম....
উঠে দেখি এতো রাতেও বারান্দার দরজা খোলা... ইসস নূপুরের কি দরজা লাগানো মনে থাকে না....

আমি দরজা ঠেলে ঢুকেই দেখি নূপুর একা একা বিছানায় হাটুগেড়ে মাথা নিচু করে বসে আছে..
আমাকে দেখেই ও চমকে উঠলো...
-একি তুই এখানে? তোর না এখন সিলেট থাকার কথা....
(চমকে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বললো)

-নূপুর আমার বউ হবি? (আমি)
নূপুর কিছু না বলে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে.....
আমি এবার আমার দু'হাত দিয়ে নূপুরের ডান হাত ধরে হাটু গেড়ে বসে পড়লাম....
-নূপুর তোকে এখন আর ১০দিনের জন্য নয়, একেবারে সারাজীবনের জন্য আমার বউ বানাতে চাই.... হবি আমার বউ??
নূপুর এবারো কিছু বললো না... শুধু কেমনভাবে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো..
আমি ওর হাতকে আরো শক্ত করে ধরে বললাম...
-I Love you Nupur...
এবার নূপুর একদম কেঁদে দিলো... আমাকে উঠিয়ে ও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো...
-শয়তান I love you too.... (কাদতে কাদতে)

-একি পাগলি কাদছিস কেন?
-জানি না....(আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
-ভালোবাসিস না আমায়?
-বাসি তো.. খুব বাসি.... অনেক ভালোবাসি.. অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি... কিন্তু তুই তো বুঝতি না...
-অনেক আগে থেকে মানে?
-একদম কলেজ লাইফ থেকে.. (কান্না থামিয়ে)

-সেকি?? তাহলে বলিস নি কেন?
-জানি না... তুই যখন ১০দিন আগে আমাকে রেস্টুরেন্টে বউ হওয়ার কথা বলেছিলি, আমি ভেবেছিলাম সত্যি সত্যি..
 কিন্তু পরে শুনি মাত্র ১০দিনের জন্য.. যাই হোক, সেদিন শুধু তুই বলেছিলি বলে তোর ১০দিনের জন্য বউ হতে রাজি হয়েছিলাম,
অন্য কোনো ছেলে হলে জীবনেও রাজী হতাম না... (চোখ মুছে)
-তো আমার কথায় কেন রাজী হয়েছিলি?
-শয়তান তোকে ভালোবাসি তাই.....

-আচ্ছা শয়তান্নি এখন হবি তো আমার বউ? একদম সারাজনমের জন্য....?
-হুম...
নূপুর লজ্জামাখা মুখে বললো...
আমি ওর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে আবার আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম......
যাই হোক এখন আর ১০দিন-টশ দিন নয়... একদম Full Life Time এর জন্য নূপুরকে আমার বউ বানাবো.....
.
(সমাপ্ত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...