সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: রোমান্টিক-ভালোবাসা ৩য় পর্ব

গল্প: রোমান্টিক-ভালোবাসা

৩য় পর্ব
- ও হ্যালো মিস্টার আমার বাসাটা এমন করেছেন কেনো? (আমি)
- না মানে এমনি একা একা ভালো লাগছিলোনা তাই বাসাটা পরিস্কার করেছি! (মৃনাল)
- আমি কি একবার ও বলেছি আমার বাসা সাজিয়ে গুজিয়ে রাখতে।
- না তা ঠিক বলেন নাই।
- তাহলে কি জন্য এমন ভাবে সাজিয়েন হুম।
- আচ্ছা আমার সাজানো টা কি খুব খারাপ হয়েছে!
- চুপ একদম চুপ। যা এখান থেকে? তারপর ও আমার সামনে থেকে চলে গেলো। আমি আমার বাসাটা দেখে অবাক অনেক অনেক অনেক সুন্দর করে বাসাটা সাজিয়েছে। ঘরে অনেক গুলা ময়লা ছিলো আর ও অনেক কিছু। সেগুলো পরিস্কার করে ফেলেছে।না ছেলেটাকে এমন ভাবে বলাটা ঠিক হয়নি। আমার ঘরই তো সাজিয়েছে। ধুর আমার মাথাটা সব সময় এমন গরম হয়ে থাকে কি জানি। আমি ফ্রেস হয়ে নিলাম।

- এই যে মিস্টার মৃনাল এটা নিন ধরুন।(আমি শপিং ব্যাগটা এগিয়ে দিয়ে বললাম)
- এটা তো শপিং ব্যাগ আর এটা আমাকে কেন দিচ্ছেন।
- ওই নিতে বলছি চুপচাপ নাও।
- হুম দিন! (হাত টা বাড়িয়ে বলল)
- এই নাও। (ব্যাগ টা দিয়ে বললাম) ও ব্যাগ টা নিয়ে চলে জেতে লাগল
আবার ডাক দিলাম
- ও হ্যালো আর একটা জিনিস নিয়ে জান?
- আবার কি?
- আপনার পরান ললিপপ।
- ও আনছেন তাইলে...

- না এনে কই পারলাম। আমার কথা শুনে ললিপপ গুলো নিলো। আমি দিয়ে আমি আমার ঘরে চলে আসলাম। আসলে ছেলেটা
অনেক ভালই এখন পজন্ত কোন খারাপ ব্যাবহার দেখিনি শুধু শুধু আমিইই রেগে রেগে কথা বলি। কিছুক্ষন পর আমি রান্না করতে চলে গেলাম। রান্না করছি হিঠাত পিছন থেকে কাশির শব্দ পেলাম

- আসতে পারি....? (মৃনাল)
- আসতে মানা করেছি নাকি! আসুন।
- আচ্ছা আপনি এতো ভাল কেন?
- ও হ্যালো ওতো পাম মারতে হবে না বুঝলেন। কি বলবেন সরাসরি বলুন?
- আচ্ছা আপনি আপনার টাকা দিয়ে আমার জন্য শপিং করেছেন কেন?
- আপনার কাপর নেই তাই।
- ওওওও বুঝছি...!
- কি বুঝলেন শুনি?
- না কিছু না। কি রান্না করছেন মাছ?
- হুম মাছ।

- আচ্ছা আপনি কি নিজেই বাজার করেন?
- না আমাকে ভুতে বাজার দিয়ে জায়!
- এভাবে বলছেন কেন?
- তো কিভাবে বলব শুনি। দেখতেই তো পাচ্ছো বাবা মা কেউ নেই, একটা জব করি সেটার উপর দিয়েই চলে আর আমি আমার নিজের বাজার নিজেই করি!
- আচ্ছা এখন থেকে আমি বাজার করব!
- বাজার করবে মানে? কিচ্ছু করতে হবে না। তোরে. জত্তসব।
- আচ্ছা। আপনি একা থাকেন ভয় লাগে না?
- আমি জখন একা ছিলাম তখন আমার কোন ভয় ছিলো না।তবে যেদিন থেকে আপনি আমার ঘরে সেদিন থেকে ভয় পাচ্ছি!
- বা রে আমি আবার কি করলাম যে আপনি আমাকে দেখে ভয় পাবেন?
- আপনি কিছুই করেন নাই।
- তাহলে?

- আচ্ছা একটা কথা রাখবেন?
- হুম বলুন?
- আপনি আজকে রাতে খাবার খেয়ে আপনি আমার বাসা থেকে চলে জাবেন আমি চাইনা আপনি আর এখানে থাকুন আমার বাসায়?
- কোথায় জাবো?
- আবার বলে কোথায়। যেখানে ইচ্ছে সেখানে জাবি তাতে আমার কি। আর শুন আজকের পর জেন তোর মুখ আর না দেখি? (অনেক রেগে রেগে বললাম)
- আউউউউউউউউ... ইসসস মা গো
( কি ভাবছেন ওই লুচুর সাথে কথা বলতে বলতে ছুড়ি দিয়ে হাত কেটে ফেলছি)

আমার হাতের আঙুল দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।আর সেটা মৃনাল দেখে দৌড়ে এসে আমার কাটা আঙুলটা ওর মুখের ভিতর নিয়ে চুসতে লাগল
আমি কি বলব কিচ্ছু বুঝতে পারছি না প্রায় ১ মিনিট পর আমার আঙুল টা বের করে ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ আমার কাছ থেকে সরে গেলো একটিবার ও আমার
মুখের দিকে তাকালো না। তারপর ও আমার হাতের আঙুল টা আবার এসে ব্যান্ডেজ করে দিলো।

তারপর রান্না টা শেষ করলাম। রান্না শেষ করে দেখলাম ও সোফায় বসে টিভি দেখছে আমিও গিয়ে বসলাম আর বসা মাত্র রিমোট টা রেখে চলে গেলো।
কি ব্যাপার কালকে যে কত্তবার চাইলাম তাও রিমোট দিলো না আর আজ না বলতেই দিয়ে দিলো...! কিছুক্ষন টিভি দেখলাম১০ টা বাজে।
- এই যে আসুন খেতে আসুন। খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন?(আমি মৃনাল কে বললাম)
- আপনি খেয়ে নিন আজ আমার খুধা নেই? (মৃনাল)
- খুদা নেই মানে? আর আমি যে দুজনের রান্না করলাম সেগুলার কি হবে হুম।
- না মানে আজ.......( ও পুরোটা শেষ না করতেইই আবার ধমক দিয়ে বললাম)
- চুপ একদম চুপ। এখন খেতে আসবি নাহয় আমি সব খাবার ফেলে দিবো।

তারপর চুপচাপ উঠে এসে খাবার টেবিলে বসলো! আমি জখন রেগে রেগে কথা বলি তখন ওই আমার কথা শুনে একদম ভিতুর ডিম হয়ে জায়।
- এই যে প্লেট টা একটু এগিয়ে দিন খাবার দেই? (আমি)
- ও আমার মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ করে প্লেট টা আমার দিকে এগিয়ে দিলো।
- নিন এবার খাওয়া শুরু করুন? (আমি)
-তারপর আমি আর ও খেতে শুরু করলাম।ছেলেটা চুপচাপ খাচ্ছে মাথা নিচু করে কোন কথা বলছে না। আর বলবেই বা কেমন করে। রান্না ঘরে
জেভাবে রাগ দেখিয়ে কথা গুলো বলেছি। আর তখন থেকে কোন কথা বলছে না।
- ও হ্যালো চুপ করে আছেন যে ? (আমি)
- কি বলব? (মৃনাল)
- কি বলব মানে? খাবার টা কেমন হয়েছে একবার ও বলেছেন শুধু মাথা নিচু করে খেয়েই চলেছেন?
- ও হ্যা অনেক সুন্দর হয়েছে খাবার টা। একদম আমার মায়ের রান্নার মতো!
- হইছে হইছে এখন তো পাম দিবেনই। তারপর ছেলেটা খেয়ে চলে গেলো রুমে। আর আমিও আমার রুমে চলে গেলাম। শুয়ে শুয়ে ভাবছি ছেলেটাকে এমন করে
বলি তবুও বাসা থেকে জায় না কেনো। আর ছেলেটার ব্যাবহার ও তো খারাপ মনে হচ্ছে না। আর ছেলেটা এতোদিন ছিলই বা কোথায় এর আগেও তো ওকে
কখন ও দেখিনি। আচ্ছা এসব কথা এখন বাদ দেইই ঘুমিয়ে পরি।

 রাত দুইটা বাজে কিছুতেই আমার ঘুম আসতেছে না শুধু এই ছেলেটার
কথাই ভাবছি। আর একটা কথা তো এতদিন ধরে বলাই হয়নি আর তা হলো ছেলেটা হেব্বি হ্যান্ডসাম দেখতে। ঘুমানোর চেস্টা করছি এমন সময়
মৃনাল পাশের রুম থেকে ইয়া জোরে চিতকার করে বলছে
ভূ ভূ ভূত। ভু ভু ভুত। আর আমি ওর চিতকার শুনে আমার রুম থেকে বের হতেই ও আমাকে
দেখে দৌড়ে এসে
- ভূ ভূ ভুত ( আমাকে জরিয়ে চিতকার করে বলল)



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...