সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ফুল শয্যায় ছ্যাকা পর্বঃ ৮


 গল্প: ফুল শয্যায় ছ্যাকা
  পর্বঃ ৮

----- সরি ম্যাডাম আপনার কাছে আমার জানতে চাওয়াটা ঠিক হয়নি!! (আমি)

----- না রাজ সেইটা আমার ভাগ্যে ছিলো জানো রাজ তুমি ও অনেক বড় মনের মানুষ তুমি যে সেদিন একটা ফুল ওয়ালা মেয়েকে বোনের মর্যাদা দিলে সত্যি বলার মতো কিছু নেই!! (অপরিচিতা)

------ না ম্যাডাম তেমন কিছু না
আচ্ছা এইতো রাইসা মামনি তুমি কোথায় থেকে আসলা! "(আমি)

------- জি বাবাই আমি লুকোচুরি খেলছি অফিসের সবার সাথে এই বলে দৌড়ে কুলে আসার জন্য আসতেই পড়ে গেলো মাথা ঘুড়িয়ে রাইসা !!!

-------- এদিকে রাইসার পড়ে যাওয়া দেখে ম্যাডাম দৌড়ে রাইসার কাছে গেলো!!!!

------- মা মা কথা বল মা কথা বল এই বলে ডাকছে রাইসাকে ( অপরিচিতা)

-------- এদিকে রাইসার কাছে গেতেই দেখি মহারাণীটা সেন্স লেন্স হয়ে গেছে!! "

------ রাজ দেখো আমার মহারাণীটা কথা বলছেনা জানো রাজ একে নিয়েই বেচে আছি জীবনের সবটা হারিয়ে এই বলে কাদতে লাগলো (অপরিচিতা)

--------- ম্যাডাম প্লিজ কাদবেন না ম্যাডাম চলেন রাইসাকে হসপিটালে নিতে হবে!! (আমি)

----- হুম চলো ( অপরিচিতা)

------ এদিকে হসপিটালে নেওয়ার পর যা শুনলাম তাতে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলামনা রাইসার নাকি জন্মের পর থেকে কিডনির সমস্যা ইতিমধ্যে একটা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে এসব শুনে হসপিটালের একটা কোণে বসে আছি !!!

-------- রাজ রাজ আমার মহারানীর জ্ঞান ফিরেছে!!! (অপরিচিতা)

------ রাইসার জ্ঞান ফিরার কথা শুনে রাইসার বেডের কাছে গেতেই দেখি একটা সন্ধ্যা প্রদিপ যেনো নিভু নিভু জ্বলছে কি সুন্দর মায়াবী মুখটা কাছে গেতেই!!

------ বাবাই বাবাই তুমি আসছো বসো তো মামনির কাছে!!! (রাইসা)

------- রাইসার কথা শুনে কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিনা!!! (আমি)

-------বাবাই তুমি না পচা বললাম না মামনির পাশে বসতে??? (রাইসা)

---- হুম এইতে পাশে বসছি এই বলে ম্যাডাম পাশে বসতেই দেখি ম্যাডাম কেমন যানি করুণ দৃষ্টিতে তাকালো জানিনা এই করুণ দৃষ্টির মাঝে কি রহস্য লুকায়িত আছে!!! (আমি)

------ হি হি হি কত সুন্দর লাগছে বাবাই আর মমকে!! (রাইসা)

------- হুম মা তুমি এখন ঘুমাও কেমন? (অপরিচিতা)

------- মম আমার না এখানে থাকতে ভালোলাগেনা চল মা বাসাই যাই!! (রাইসা)

-------- বাবাই বাবাই তুমি মাকে বকা দিবে আমার না এখানে আসতে ভালো লাগে না তাও মা প্রতিমাসেই এখানে নিয়ে আসে!! আচ্ছা করে বকা দিয়ে দাও তো!!( রাইসা)

------ আচ্ছা মহারানী এখন একটু ঘুমাও কেমন আমি তোমার মমকে আচ্ছা করে বকা দিচ্ছি!!(আমি)

-------- হুম মনে থাকে যেনো আমি আর এখানে আসবোনা ভালো লাগেনা এখানে আসতে!! (রাইসা)

------- ম্যাডাম আপনাকে একটা কথা বলবো!!? ( আমি)
-------- কি বলবেন বলেন রাজস???( অপরিচিতা)

-------- ডাক্তার যা বললো রািসাকে নিয়ে তা কি সত্যি!! (আমি)

-------- হ্যা রাজ তুমি যা জেনেছো সবি সত্যি রাইসা যেদিন জন্মগ্রহণ করে সেদিনই তার বাবাকে হারায় এতটা মন্দ ভাগ্য নিয়ে সে পৃথিবীতে এসেছে তাই তোমাকে যখন বাবাই বলে কিছু বলতে পারিনা ওর এই পাগলামির জন্য আমি আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কি করবো বলেন বাবাকে দেখে নিতো তাই হয়তো এমন করে মেয়েটা!! (অপরিচিতা)

-------- না ম্যাডাম কি বলছেন সরি কেনো বলেন আসলে রাইসার দুষ্টামি গুরো খুব মিস করি!! (আমি)

------ তাও হলেও সমাজে কেমন দেখায়!! (অপরিচিতা)

------ আচ্ছা ম্যাডাম বাদ দেন ওইসব বিষয় শুনেন রাইসার এই সমস্যার ভুগছে কতদিন ধরে এর কোন সমাধান নাই!!?( আমি)

---- যানো রাজ রাইসার যখন ১ বছর তখন একদিন রাতে গান শুনাচ্ছিলাম রাইসাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য একসময় রাইসা বলে ওঠলো মা বাবাই কোথায়??

----- আমি কিছু না ভেবে পেয়ে বললাম মামনি তোমার বাবাই তারাদের দেশে গেয়েছে??(অপরিচিতা)

------ মামনি তারাদের দেশ কি খুব সুন্দর যার জন্য তোমাকে আর আমাকে রেখে সেখানে গিয়েছে??? (রাইসা)

----- হুম মা মনে হয় অনেক সুন্দর!!!(অপরিচিতা)

-------- শোন মা আমিও তারাদের দেশে যাবো বলো কি করে তারাদের দেশে যায় বিমানে করে মনে হয় তাই না জানো মা তারাদের দেশে গিয়ে বাবাই কে আচ্ছা করে বকা দিবো বলবো আমাদের ছেড়ে সেখানে কেনো গেছে!! (রাইসা)

------ না মা তারাদের দেসে যাওয়ার কথা বলবে না কেমন আমার লক্ষি মামনি!! (রাইসা)

------- মা আমি যদি সত্যি বাবার মতো তারার দেসে চলে যায় তখন তুমি কাদবে নাতো? (রাইসা)

------ যানো রাজ তখন মেয়ের এমন কথা শুনে অনেক কেদেছি মেয়েটাকে বুকে নিয়ে আর বলছি না মা তোকো কোথাও যেতে দিবোনা??? (অপরিচিতা)

------হঠাৎ মা মা আমার না পেটে বাম সাইডে খুব ব্যাথ্যা করছে মা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে??? (রাইসা)

----- মামনি কি হয়েছে তোমায় হু হু বলো???? (অপরিচিতা)

----মামনি আমার না পেটে বামদিকে খুব ব্যাথ্যা করছে এই বলে প্রথমবার সেন্সলেন্স হয়ে যায় রাইসা!!!!

------ কি করবো তখনি বাবাকে সাথে নিয়ে রাইসাকে হসপিটালে এডমিন করায় ডাক্তার কিছু টেস্ট দেয় তিনদিন পর রির্পোট আসে আমার মহারানী টার নাকি একটি কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে!! ডাক্তারের মুখে কথাটা শুনার সাথে সাথে কালবৈশাখী ঝড়ের মতো সব উলট পালট হয়ে গেলো? জানো রাইসার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ আর এই রক্তের গ্রুপ শতকরা তিনজনের কত জায়গায় খুজেছি একটা কিডনি কিন্তুু কোথাও পায়নি জানো ডাক্তা আজ বলেছে ৩ মাসের মাঝে যদি কিডনি প্রতিস্হাপন না করা যায় তাহলে আমার মহারানীটা আকাশের একটি সন্ধ্যা তারা হয়ে যাবে এই বলে কাদতে লাগলো!! (অপরিচিতা)

---- ম্যাডাম প্লিজ কাদবেন না?? (আমি)

---- বল কি করবো আমি চোখের সামনে নিজের মেয়ের মৃতু্্য দেখবো তার মরার দিন গুনবো বলো???( অপরিচিতা)

------ না ম্যাডাম এসব বাজে কথা বলবেন না তো রাইসার কিছুই হবেনা!!(আমি)

-------- জানো রাজ সবকিছু হারিয়ে শুধু রাইসাকে নিয়ে বেচে আছি রাইসার যদি কিছু হয়ে যায় আমি সত্যি মারা যাবো কারণ রাইসাই যে আমার বেচে থাকার শেষ অবলম্বন!! (অপরিচিতা)

------- ম্যাডাম আল্লাহ তায়ালার রহমতে রাইসার কিছুই হবেনা চলেন ডাক্তারকে বলে রাইসাকে নিয়ে বাসাই চলে যাবেন!! (আমি)
-------- হুম চলো রাজ????

------ বাবাই তুমি আসছো চলো আমরা আর এখানে থাকবো না কেমন?? (রাইসা)

----- হঠাৎ ডাক্তার এসে বলল আমাকে আপনি রোগীর কি হন আমার পাশেই ম্যাডাম দাড়িযে আছে তাই কি বলবো ভাবতে পারছিনা!!

----- হঠাৎ রাইসা বলে ওঠলো কি আপনার একটুও বুদ্দি নেই ওনি আমার বাবাই আর সাথে আমার মামনি হু আপনি যে কি করে ডাক্তার হইছেন আচ্ছা আপনি তো নকল করে পরীক্ষা দেননি???? (রাইসা)
------ এদিকে রাইসার কথা শুনে সবাই হেসে দিলো!!

----রাইসাকে নিয়ে ম্যাডাম বাসায় চলে গেলো এদিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১১ টা বাজে তাই বাসাই এসে কয়েকবার কলিং বেল চাপলাম!!!!

------ এই যে ছোটলোক তোর কি কমন সেন্স নাই রাত কয়টা বাজে এখন কি নেশা করে আসলি নাকি দেখে তো তাই মনে হচ্ছে মনে রাখবি এর পর দেরি করে আসলে বাইরে রাত কাটাতে হবে!! (কথা)

------- এদিকে কথায় মুখে এমন কথা শুনে তার ওই রাগী মুখটার দিকে একবার এক পলক ফেলে পাশের রিমটাতে গিয়ে শুয়ে পড়লাম!!
------ সকাল সকাল দেখি ফোনটা বাজছে ক্রিং ক্রিং ক্রিং!!

---- কি করবো ফোনটা ধরতেই এইযে মিঃ কয়টা বাজে ফোন ধরতে এতো লেট কেনো ঘুমানো হচ্ছে বুঝি!! (রাইসা)

----- ও মহারানী তুমি ফোন দিয়েছো আমি তোমার কথা ভাবছিলাম!!

------ এইযে মিঃ wait তোমাকে না বলছি আমাকে আপনি করে বলতে!! (রাইসা)

-------- আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে আর বলবোনা এখন রাখি!!! (আমি)

------ আচ্ছা দিলাম ক্ষমা করে এখন আমায় দুইটা পাপ্পি দিবে বাবাই আর প্রতিদিন সকারে ফোন দিয়ে পাপ্পি দিবে মনে থাকবে??? (রাইসা)

------- হ্যা মহারানী মনে থাকবে!!!( আমি)

-------ফোনটা রেখে দিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি ঠিক তখনি!!
----- আমার কিছু টাকা লাগবে!! রাজ??( কথা)

-------- হুম কত লাগবে বলেন???? (আমি)

------- দশ হাজার লাগবে আর টাকাটা এখন লাগবে?? (কথা)

------ আচ্ছা ঠিকআছে ধরেন আরো লাগরে বলতে পারেন?? (আমি)

------- নিজের টাকার গরম দেখাচ্ছো (কথা)

----- না আপনি যা ভাবছেন তা নয়!! (আমি)

-----শুনো টাকাটা আমি কেনো নিচ্ছি জানতে চাইলেনা!! (কথা)

---না জানার প্রয়োজন মনে করিনি????(আমি)

------- শুনো তাহলে সামনে মাসের এক তারিখে সজিব আসবে তার জন্য কেনাকাটা করবো তুমি চিন্তা করোনা সজিব আসলে সব দিয়ে দিবো!!( কথা)

------- আচ্ছা আপনার যা ইচ্ছা??(আমি)

------- শুনো কখনো বলোনো তুমি আমার সাথে ছিলে তাহলে সজিব কষ্ট পাবে??(কথা)

---- আচ্ছা আপনি চিন্তা কইরেন না এতিম তো কাউকে কিছু দিতে না পারলেও কারো স্বপ্ন কেড়ে নিতে পারিনা?!! (আমি)

---- হুম তোর মতো একটা এতিমের জন্যই আমার সাজানো স্বপ্নগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে!!(কথা
------- আচ্ছা আমার অফিসের লেট হয়ে যাচ্ছে পিছন দিকে ঘুরতেই একটা শর্ক খেলাম!!!!


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...