সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এক রাতের বউ পর্ব_৪

 


এক রাতের বউ
পর্ব_৪

আরাভ জানে না সে কেন আনহাকে ফোন দিলো। আরাভের প্রচুর রাগ উঠলো। দেয়ালে কয়েকবার হাত দিয়ে বাড়ি মারলো। হঠাৎ আরাভের ফোনে এক কল আসলো,

আরাভ- হ্যালো কে বলছেন?

জান্নাত- আমি বেবি।

আরাভ- মানে?

জান্নাত- এতো সহজে ভুলে গেলা? তোমার প্রথম ভালোবাসা জান্নাতঙ

আরাভ- না বেবি তোমাকে কেমনে ভুলি। তোমার সাথে তো আমার হোটেলের সম্পর্ক।

জান্নাত- হাহা যাই হোক। তা বাড়ি অব্দি আমিই আনবো।

আরাভ- তাই?

জান্নাত- অবশ্যই।

আরাভ- তা বেবি তোমার রাহুলের খবর কি? সেদিন হোটেলে গেছিলা যে?

জান্নাত- মানে? আমি কোথাও যাই নি। (হকচকিয়ে)

আরাভ- বেবি আমি যাদের যা-ই করি পরে ঠিক খোঁজ রাখি ওকে।

জান্নাত- ফাইন। ফার্স্ট তো তুমিই নিয়েছিলে এখন কেনো অস্বীকার করো। তুমিও তো কতো মেয়ের সাথেই। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে নেও।

আরাভ- আমি যা ছেড়ে দেই একেবারে ছাড়ি। 

জান্নাত- প্লিজ। (কিছুটা কান্নার সাথে)

আরাভ- গলি না আমি। আমি একটা অমানুষ। 

.

এটুকু বলে আরাভ কল কেটে দিলো। আরাভের এসবে যায় আসে না। আরাভের চিন্তায় কোনো কিছুই নাই। সব শেষে এখনো তার চিন্তায় আনহা রয়েছে। সে ভিতরে ভিতরে এখনো অনুতপ্ত। সে ঠিক করলো সামনে একদিন আনহার সাথে দেখা করবে। ও আনহাকে কিছু দিয়ে হলেও অনুতাপের হাত থেকে বাঁচতে চায়। আরাভ শুয়ে পড়লো। কিন্তু ওর চোখে ঘুম নাই। আছে শুধু অনুতাপ।

.

পরেরদিন,

ঘুম থেকে উঠে কিছুটা ভুলে গেলেও ব্যাথা সব মনে করিয়ে দিলো। কিছু সময় কিছু জিনিস হয়তো চাইলেও ভুলা যায় না। আমিও ভুলতে পারছি না। যে আমার সাথে কি কি হয়েছে। চোখে পানি চলে আসলো। কিন্তু পরোক্ষণেই প্রেয়সি ঘরে আসলো। 

.

প্রেয়সি- হ্যাপি বার্থডে আপু। বাইরে আয় আম্মু ডাকে।

আমি- হুম এগিয়ে যা আমি আসছি। 

.

প্রেয়সি চলে গেলো। যদিও আমি ভুলে গেছিলাম আমার জন্মদিন। আমি নিজেকে একা রাখতে চাচ্ছিলাম। তাই ঠিক করে ছিলাম বাহানা করবো অসুস্থতার। যেই‌ ভাবা সেই কাজ। বের হয়ে আম্মুকে বললাম মাথা ব্যাথা ভালো লাগছে না। সে বললো যেন রেস্ট নেই। সবাই ভাবলো একটু অসুখ। কিন্তু কেউ বুঝছিলো না এটা শারীরিক অসুখ না, মানসিক অসুখ। 

.

ঘরে আসতেই মিমির ফোন,

মিমি- হ্যাপি বার্থডে বেবি।

আমি- থেংকু। (স্বাভাবিক ভাবে)

মিমি- কি রে এক্সাইটেড না?

আমি- না।

মিমি- কিছু হয়েছে কি?

আমি- না।

মিমি- জ্বলদি আয়। সবাই তোর ট্রিটের অপেক্ষায়। 

আমি- আমি অসুস্থ।

মিমি- ওরে কিপটু রে। ওকে আমি আসতেছি।

আমি- না। (কারণ ও আসলে মা জেনে যাবে আমি গতদিন মিমির সাথে ছিলাম না।)

মিমি- এখন না কেনো?

আমি- আসতেছি রে। রেডি হচ্ছিলাম। (মিথ্যা বললাম)

মিমি- জানি তো।

আমি- হুমমম তোরা স্কাই তে আয়। আমি আসছি।

মিমি- ওকে।

.

অগত্যা রেডি হতেই হলো। রেস্টুরেন্টে সবাই কথা বললাম অনেক বিষয়ে। যদিও প্রথমে গুরুত্ব দেই‌নি। কিন্তু পরে ওরা সন্দেহ করছিলো। কারণ আমি চুপ থাকার মেয়ে না। তাই তাদের সাথে বকবক করলাম। তারপর সবাই বের হয়ে শহরের বাইরে এক জায়গায় গেলাম। যেখানে মেলা লেগেছে। সেখানেও ঘুরাঘুরি শেষে‌ আমি আর মিমি বাড়ি ফিরছিলাম একসাথে। রাস্তায় কয়েকটা ছেলে বাজে মন্তব্য করছিলো। আমি আর‌ মিমি চুপচাপ হেটে যাচ্ছিলাম। পিছন থেকে কে জানি ওদের কথার জবাব দিলাম। তাকিয়ে দেখি আরাভ। ওকে দেখতেই রাগ উঠে গেলো। কিন্তু মিমি পাশে ছিলো। আরাভ ওদের কিছু কথা বললো আর‌ ওরা সরি বলে চলে‌ গেলো।

.

মিমি- দেখ ভাইয়াটা অনেক ভালো।

আমি- হাহা। ওসব নাটক।

মিমি- তুই চিনিস নাকি? এটাই কি এংরি ম্যান?

আমি- হুমম। (মিমিকে সব বলতাম। আরাভের সাথে কয়েক পরিচয়ে ওর রাগ দেখে তার নাম রেখেছিলাম এংরি ম্যান)

মিমি- ওয়াও সেই তো।

আমি- বাদ দে।

.

.

আমি আর মিমি আবার হাঁটা শুরু করলাম। পিছন থেকে,

আরাভ- আনহা।

.

আমি পিছনে ঘুরলাম না। এগিয়ে যাচ্ছিলাম।

আরাভ আরও একবার ডাক দিলো। এখনো জবাব না দিলে মিমি একটু বেশি চিন্তা করবে। হয়তো সন্দেহ করে বসবে। তাই জবাব দিলাম,

আমি- জ্বী বলুন।

আরাভ- এদিকে‌ এসেছো যে?

আমি- এমনি ঘুরতে।

আরাভ- এতো দূরে কোনো বিশেষ দিন আজ?

আমি- না।

আরাভ- মিমি আপু আপনি বলেন আজ কি বিশেষ কিছু?

মিমি- হ্যা আজ আনহার জন্মদিন। (মজা করে বলে দিলো সত্যি)

আরাভ- হ্যাপি বার্থডে।

মিমি- ভাইয়া আপনি আমাকে চিনলেন কিভাবে?

আরাভ- আনহার সাথে কয়েকবার দেখা হলেও ও অনেকবার আপনার কথা বলেছে।

মিমি- ওয় তো ঢংগি বকবক করে খালি।

আরাভ- সত্যিই তাই পাগলি টাইপ।

মিমি- জ্বী ভাইয়া। ও নিজেও অনেকবার আপনার কথা বলেছে। 

আরাভ- তাই নাকি আনহা?

.

আমি আরাভের দিকে তাকালাম। ওর চাহনিতেও আমার বাজে লাগছে। 

আমি- মিমি তোর হলো? চল বাড়ি যাবো দেরি হচ্ছে।

মিমি- এতো জ্বলদি গিয়ে কি করবো?

আমি- মুড়ি খাবি চল।

মিমি- আরে রাগিস কেন?

আরাভ- আনহা আমাকে ট্রিট দিবা না?

আমি- না আমার টাকা নাই। আমি ফকির। হইছে। মিমির বাচ্চা চল।

আরাভ- এটা তো হবে না। ট্রিট তো আমিও চাই। কি বলেন মিমি আপু?

মিমি- জ্বী ভাইয়া অবশ্যই।

আমি- তুই আমার বান্ধুবী নাকি শত্রু?

মিমি- ওকে সরি। ভাইয়া আমাদের যেতে হবে বাড়িতে কাজ আছে।

আরাভ- ওকে চলেন এগিয়ে দেই। নাহয় সামনে আরো কোনো ছেলে জালাতে পারে।

মিমি- আচ্ছা চলুন ধন্যবাদ। 

.

আমরা কিছুদূর হাটলাম। মিমি আর আরাভ একটু আধতু কথা বললো। যদিও আমি জবাব দিলাম না।

.

হঠাৎ আইসক্রিম দেখে,

মিমি- আনহা আইসক্রিম খাওয়া।

আমি- টাকা নাই।

মিমি- ওকে আমি খাওয়াচ্ছি চল।

আমি- ওকে।

মিমি- কি ফ্লেভার খাবি?

আমি- চকলেট।

মিমি- ভাইয়া আপনি?

আরাভ- আমি আইসক্রিম খাই না।

মিমি- আরে একটা খান।

আমি- বাদ দে শয়তানের ঘি হজম হয় না।

মিমি- এভাবে বলতে হয় না।

আমি- আরে না না আরাভ ভাইয়া ভালো মাইন্ড করে না। তাই না মি. আরাভ? (কিছুটা বাঁশ মারতেই বললাম)

আরাভ- জ্বী। (যদিও রাগ করেছি। কিন্তু কিছু বললাম না)

.

মিমি আইসক্রিম আনতে যেতেই.

আরাভ- বেশি বাড়তেছো আনহা।

আমি- আপনার কি প্রবলেম আর‌ কেনো এসেছেন? আর কি ক্ষতি করার বাকী?

আরাভ- আমি কোনো ক্ষতি করতে আসি নি। তোমার বার্থডে উপলক্ষে কিছু দিতে চাই। একটা বিএমডাব্লুউ।

আমি- নো নিড।

আরাভ- রাখো আমি পে করে দিবো যাস্ট চয়েজ।

আমি- শুনেন আমি কোনো কিছু নিবো না। পতীতা না যে দাম নিবো। আপনার কাছে বর্তমানে আমি ধর্ষিতা। তাই কিছু দেওয়ার হলে আপনার আগের গফগুলোকে দেন।

আরাভ- তারা আর তুমি এক না।

আমি- তাই? 

আরাভ- জ্বী।

আমি- এক না তাই তো আমার সাথেও বিছানা‌...

.

কথাটা শেষ করার আগেই মিমি এলো।

মিমি- নে খা।

.

আমি আর মিমি আইসক্রিম খেতে লাগলাম। আমার যতোই যা হোক সব ক্ষেত্রে পাগলামি চলে আসে কিছুটা। তাই তাড়াতাড়ি নিজেরটা শেষ করে মিমির টা কেড়ে নিয়ে খেতে লাগলাম।

মিমি- ওই শয়তান্নি দে।

আমি- দিবো না।

মিমি- দে বলছি।

আমি- নো বেবি এটা এখন আমার। শয়তান্নি আজ জন্মদিন বইলা ছাড়লাম।

.

আমি ভুলে গেছিলাম পিছনে আরাভ ছিলো। আরাভ এগুলো দেখে হাসতে লাগলো। আর মনে মনে ভাবতে লাগলো, "তোমার এই পাগলামি গুলো দেখেই আমি কেনো যেন তোমাকে পেতে চেয়েছি। জানি আমি দোষী কিন্তু কিভাবে এসব হলো জানি না রে।" মনে মনে ভাবলো আরাভ। 

.

সেদিন এসব শেষেই আমরা চলে এলাম। আর আরাভও চলে গেলো। কারণ আমি আর মিমি দুজনেই আলাদা অটো নিয়ে নিলাম। আরাভ বাড়ি ফিরে এলো।

.

কিন্তু এখনো তার মনে আনহার স্মৃতি। রাতে ঘুমানোর আগে ঠিক ১১:৫৯ সময়ে আরাভ আনহাকে মেসেজ দিলো। সেই নম্বর দিয়ে যা দিয়ে আগেও একবার কল দিয়েছিলো।

"tmr ei jonmodiner ses wish ta hoyto ami kresi. kintu prarthona oporisim. jani praptir baire. kintu kolponar majhe. shuvo jonmodin. wish u a happy birthday."

.

মেসেজটা পড়ে বুঝলাম না কে দিয়েছে? তাই রিপ্লাই দিলাম, 

"k?"

reply- "a mask man"

me- ow great so mask poira ghuman. gd night.

reply- haha okay wish ta purno krbo


************************************

https://banglalovestory247.blogspot.com/


https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMISPjAswu8zrAg



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...