সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ফুল শয্যায় ছ্যাকা পর্বঃ ৩

গল্প: ফুল শয্যায় ছ্যাকা

পর্বঃ ৩

--- হা হা হা আচ্ছা সত্যি কি তুমি ভয় পেয়েছো!!! (রাইসা)
----- হ্যা সত্যিই খুব ভয় লাগছে!!! (আমি)

----অাচ্চা এইযে বোতল পানি খাও কেমন!!! (রাইসা)

------ মা মা দেখ আঙ্কেলটা সত্যি সত্যি অনেক ভালো এদিকে রাইসার ডাকে ম্যাডাম আমার ডেস্কে এসে হাসতেছে মা মা চল আঙ্কেল কে আমাদের বাসায় নিয়ে যায়!! (রাইসা)

------ আচ্ছা মা অন্যদিন কেমন আর মা তোমার মেডিসিন নেওয়ার সময় হৃযে গেছে চলো মা (ম্যাডাম)

------এদিকে রাইসা টাটা দিয়ে চলে গেলো আর আমি হাতের কাজটা শেষ করে বাসায় রওনা দিলাম!!!

------- বাসায় এসে দরজাটা খুলতেই একটা শর্ক খেলাম দরজাটা খুলতেই দেখি কথা শাওয়ার নিয়ে
এসে রুমে শুধু একটা টাওয়াল পড়ে চুলগুলো আচতেছে এদিকে রুমের দরজাটা খুলতেই চোখদুটি বন্ধ করে ফেললাম!!!!

----- এদিকে কথা অ্যা--- করে এক চিৎকার করে ওঠলো
--- আল্লাহ গো আমার সব শেষ এই ছোটলোকের বাচ্চা তুর কিভাবে সাহস হয় রুমে নর্ক না করে প্রবেশ করার এখন আমার জান সজিব কে কি বলবো ওই তো কি সব দেখে নিয়েছিস ???( কথা)
----- আপনে যা ভাবছেন তার কিছুই হয়নি আমি ইচ্ছা করে রুমে আসেনি!!!!

----- এদিকে কথা নিজের দিকে তাকিয়ে আবারো এক চিল্লানি!!!আল্ল
াহ গো আমার সব শেষ এই বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো!!! (কথা)
------- কিছুক্ষন পরে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখি একটা গোধুলির আলো মনে হচ্ছে রংধনুর সাতরঙা রঙ নিয় অন্ধকার জীবনকে আলোকিত করতে আসতেছে এদিকে আমি পলকহীন ভাবে মায়াবতী রাজকন্যার দিকে চেয়ে আছি!!!

------- টাস - টাস --- থাপ্পর টা মেরে বলতে শুরু করলো ওই তোর কি এখনো দেখায় শখ মিটেনি তখন তো সব দেখে নিয়েছিস হু হু শোন আমাকে তোর বউ মনে করলে বা অধিকার ফলানোর চেষ্টা করলে ভুল করবি তোর মতো এতিম কে করুণা করা যায় কখনো স্বামীর আসনে বসানো যায় না?? আজ দুইটা চড় দিলাম এর পর যদি কখনো আমার রুমে নক না করে আসিস তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবেনা??? (কথা)

--- এদিকে মাথাটা নিচু করে সব শুনছিলাম চোখ দিয়ে মনে হয় আষাড়ের শ্রাবণো ঝরণা ধারা নামবে তাই চোখটা মুছে মাথা টা তুরে বলতে লাগলাম হ্যা আমরা এতিম এইজন্য নিজের বউয়ের দিকেও তাকানো যাবেনা ও সরি আপনাকে একটা এতিম করুণায় পাএ তো কখনোই আপনার স্বামী হতে পারে না পারলে এতিমটাকে ক্ষমা করে দিবেন!!! (আমি)

--- হুম মনে থাকে যেন এর পর যদি এমন কিছু করতে দেখি তাহলে পায়ের স্যান্ডেলটা হাতে ওঠবে mainded!!!(কথা)

------ এদিকে কথায় এমন কথা শুনে বারান্দায় এসে বসে আছি আজকের আকাশটাও কেমন জানি মনে হয় রোদের সাথে করেছে আড়ি কালো মেঘে ডাকা পড়ে গেছে ঠিক আমার জীবনটা কোন এক অদৃশ্য অশোভ ছায়া অমব্যবসার অন্ধকারে ডাকা পড়ে গেছে এগুলো ভাবতে ভাবতে চোখের কোণে বিদনাসিক্ত অশ্রুকণা এসে বিড় করলো এদিকে দেখি রাত হয়ে গেছে তাই গিয়ে রুমের দরজাটা নর্ক করলাম!!

---- কিন্তুু কোনো রেন্সপোন্স নাই তাই আবার নর্ক করতেই ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছে সজিব বাবু আমি আর পারছিনা ওই অনাতের সাথে একি ছাদের নিচে থাকতে প্লিজ বাবু সোনা তুমি যতো তাড়াতাড়ি পারো আমাকে তোমার করে নাও গো তা নাহলে আমি যে সন্ধ্যা প্রদীপ হয়ে যাবো!!??
---- না জানু তুমি কোনো চিন্তা করোনা ওই ছোটলোকের কাছ থেকে যতো তাড়াতাড়ি পারো ডিভোর্স নিয়ে নাও!!! (সজিব)

----ওম্মা বাবু আমার বাবুটা কওো ভালো আচ্ছা বাবু রাখি ওই এতিম মনে হয় সব শুনতেছে দরজা নর্ক করলো তো!! (কথা)
------ আচ্ছা জানু বাই পরে কথা হবে কেমন!! (সজিব)

----- এদিকে রুমে আসতেই কথা বলতে শুরু করলো কি আমাকে কবে ডির্ভোস দিবি বল!! (কথা)
-------আমি যতো তাড়াতাড়ি পাড়ি আমার এই অশোভ ছায়া থেকে আপনাকে মুক্তি দিবো কেমন আর আপনি নিশ্চিন্তে থাকেন! (আমি)

---- হুম যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব করো আর হ্যা এই নে তোর বালিশ সোফায় থাকবি আর কখনো যেন আমার বেডের কাছে আসতে না দেখি!! এই বলে বিছানা থেকে বালিশটা ছুড়ে দিলো!!

--------- এদিকে বালিশটা নিয়ে সোফায় শুয়ে শুয়ে দিনের কথা গুলো ভাবছি আর মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি এ আল্লাহ আমি কি অপরাধ করছি তোমায় কাছে বলতে পারো কি আল্লাহ সবাই জন্মের পর মাকে দেখে আর আমার মা হসপিটালের বেডে রেখে তোমার কাছে অভিমান করে চলে গেছে যানো মা ডাকটাতো বড় কথা মায়ের এক ফোটে দুধ পর্যন্ত পান করতে পারিনি!!

আস্তে আস্তে বড় হলাম সবে মাএ স্কুলেে যাওয়া শুরু করলাম হাতে কাঠের পেন্সিল আর একহাতে কিছু বই বাবা প্রতিদিন কপালে একটা করে চুমু দিয়ে স্কুলে দিয়ে আসতো স্কুলে প্রতিটা ছেলেরই মা আসতো একটু খেলতে গিয়ে ব্যথা পেলেই মা মা ডেকে চিৎকার দিতো তাই তাদের কাছে মা ডাক শুনে মনে মনে স্হির করলাম বাবাকে বলবো মা কেন ডাকে মা কি জিনিস তাই স্কুল থেকে ফিরে বাবাকে বললাম বাবাই বাবাই একটা কথা বলবো?

--- হুম বাবা বলো কি বলবা? (বাবা)

-----বাবাই স্কুলের সব ছেলেরা মা মা ডাকে মা কি জিনিস আর আমার মা কই বাবা আমার মা কই জানো স্কুলের ছেলে মেয়েয়া যখন মা মা বলে ডাকে কুলে ওঠে তখন আমার না বুকের মাঝে কেমন জানি লাগে বল বাবা মা কই!!! (আমি)

----এদিকে বাবা আমার কথাগুলো শুনে দুহাতে কুলো তুলে নিয়ে কপালে আর গালে চুমু দিয়ে কিছু বলছে না শুধু চোখের পানি দিয়ে আমার বুকটা টা ভিজিয়ে ফেলছে!!!

--- বাবাই তুমি কেদোনা আর আমি মার কথা বলবোনা কেমন তুমি একটু হাসো তো বাবা!!! (আমি)

--- এদিকে এই কথায় বাবার মুখে প্রথম অশ্রুসিক্ত হাসি দেখেছিলাম যে হাসির কাছে পৃথিবীর সকল কিছু মূল্যহীন আমি তখনি জীবনের প্রথম বাবার সেই অশ্রুসিক্ত হাসির মাঝে মেঘের কোলে রোদ দেখে ছিলাম!!!!

---- ভালোই চলছিল শৈশবের দিনগুলি কিন্তুু সুখ নামক সোনার হরিণটি যে আমার ভাগ্যে নেই!!!

---- সবে মাএ পেন্সিল ছেড়ে কলম ধরেছি মনে এখনো আছে সেদিন ছিল আমার বার্থডে আর আমার জীবনের সব চেয়ে কষ্টের দিন তাই বাবা শহরে গেয়েছিল আমার বার্থডে কেক কিনতে কিন্তুু রোড একসিডেন্টে যাকে মা বলে ডাকতাম যাকে বাবা বলে ডাকতাম তার কাছ থেকেও আমাকে দূরে সরিয়ে দিলো!!!

--- এদিকে চেয়ে দেখি রাত ৩ টা বাজে তাই মনে মনে প্রার্থনা করলাম আল্লার কাছে যে তোমার এতিম অনাত বান্দাটাকে তোমার কাছে টেনে নাও তাও তোমার একটু ভালোবাসা পাবো মানুষের অবহেলা সইতে সইতে আমি আজ ক্লান্ত এই সব ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে যায়!!!

-- এই এতিম কয়টা বাজে এখনো ঘুমিয়ে আছিস


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...