সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ফুলশয্যায় ছ্যাকা পর্বঃ ৬

  গল্প: ফুলশয্যায় ছ্যাকা
  পর্বঃ ৬

----- হইছে আমার লজ্জা ওয়ালা বরটা তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলতে লজ্জা কই রাখছিলা তানিয়া বললে তো ঠিকি দিতে এই বলে কাদতে লাগলো!!! (কথা)

------- আচ্ছা আমি দিচ্ছি প্লিজ কেদোনা চোখ বন্ধ করো নইলে আমার লজ্জা লাগে??? (আমি)

-------- ওকে চোখ বন্ধ করলাম? (কথা)

-------এদিকে কথার কপালে আলতে করে পাপ্পি একে দিলা!!!! (আমি)

------- ভালোই কাটতে ছিল দিনগুলো স্কুল ফাকি দিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া নীল দিঘীর পাশ থেকে কদম ফুল পেড়ে কথাকে দেওয়া সবই স্বপ্নের মতো চলতেছিল কিন্তুু যখনি ক্লাস ফ্লাইভে ওঠলাম তখনি জীবনে নেমে আসলো ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন!!!সাজানো স্বপ্নগুলো যেনো হারিয়ে যেতে চাইছে কথাকে তার মামা নিতে আসছে বিদেশে থেকে লেখা পড়া করানোর জন্য এদিকে কথা যেতে চাচ্ছে না কিন্তুু মামা অার মামী বললো মা কথা চিরদিনের জন্য তো যাবেনা লেখা পড়া সেষ হলেই এসে পড়বে!!! (মামী)

-------- এদিকে কথা আজ সন্ধ্যায় চলে যাবে তাই সকালে ওঠে না খেয়ে পুকুড় পাড়ের সেই কদমফুল গাছটার নিচে বসে আছি হঠাৎ কে জানি পাশে বসে আছে মনে হলো তাই ঘুরে তাকাতেই দেখি কথা!!এখানে আসছো কেনো?(অামি

-------- কেনো এমন করে না খেয়ে পুকুড় পাড়েরবসে আছো!! (কথা)

------- না এমনি ভালো লাগছে নাতো তাই বসে আছি প্রকৃতি দেখছি দেখ কথা কদম ফুলের কি সুগন্ধ বের হয়েছে!! (আমি)

----- হুম সত্যি রাজ মিস করবো এইসব!!

------- আচ্ছা রাজ আমি চলে গেলে আমার ভুলে যাবে নাতো!কেদে কেদে (কথা)

------ এই তুমি কাদছো কেনো কথা একদম কান্না করবেনা!!(আমি)

-----কি করবো বলো তোমাকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে ভাবছি কান্না করবো না কিন্তুুু কেনো জানি কান্নাটা এসে যাচ্ছে!! (কথা)

------কথা একটা এতিম ছেলের জন্য কেনো কান্না করো!!! (আমি)

------ আরেকবার এতিম ছেলে বললে সত্যি আমি মরে যাবো রাজ প্লিজ এমন বলো না!! (কথা)

------ অাচ্ছা আর মরার কথা বলবো না কেমন!! (আমি)

------ আচ্ছা রাজ আমি চলে গেলে একদম কান্না করবে না বলো আমায় কখনো ভুলে যাবেনা? (কথা)

----- না না কখনোই ভুলবো না তোমায় প্রমিজ (অামি)

---------- রাজ একটা কথা বলবো?( কথা)

------- হুমম বলো!! (আমি)

---- রাজ আমায় মাথা ছুয়ে প্রমিজ করো কখনো কোনো মেয়েকে ভালোবাসবেনা আমি চলে গেলে কখনো ওই তানিয়া ফানিয়ার সাথে কথা বলবানা ওইভাবে কখনো বউ জামাই খেলবেনা আমার হাতটা তার মাথায় রেখে কেদে কেদে বললো!! (কথা)

------- আচ্ছা রাজকুমারী কখনো কাউকে ভালোবাসবোনা, তুমি ছাড়া কথা দিলাম তোমার মাথা ছোয়ে!! (আমি)
-------- আচ্ছা চলো খাবে চলো মা বললো তুমি সকাল না খেয়ে এখানে বসে আছে!! (কথা)

-----; হুম চলো এই বলে পুকুড় পাড় থেকে বাসায় চলে আসলাম!!!

------- এদিকে কথা খাবারের প্লেটটা এনে খাবার হাতে নিয়ে বলতেছে রাজ হা করো!!! (কথা)

-------- কেনো না খাইয়ে দিলে হয়না!!! (আমি)

------- রাজ হা করবে তুমি না আমি কান্না করবো তুমি জাননা আমি চলে যাচ্ছি আর কখনো তোমাকে খাইয়ে দিতে পারবো না প্লিজ হা করো!! (কথা)

--------- এভাবে খাওয়া শেষ করে রুমে একা শুয়ে শুয়ে কাদছি বালিশের নিচে মুখটা নিয়ে আর মনে মনে ভাবছি ছোটবেলা মা বাবাকে হারিয়ে একটা খেলায় সাথী পেয়েছিলাম কিন্তুুু আজ সেও দূরে চলে যাচ্ছে!!

----- রাজ রাজ তুমি কাদছো কেনো!! (কথা)

------ কই নাতো কাদছি নাতো!! (আমি)

----- কি মনে করো আমি কিছু বুজিনা (কথা)

-------- কি করবো বলো তুমি তো চলে যাবে তাই মনটা খারাপ লাগছে!(আমি)

---------পাগল আমি কি সারাজীবনের জন্য চলে যাবো তোমাদের সাথে তো কন্টাক্ট হবেই!! (কথা)

-------- আচ্ছা কখন যাবে তুমি!!(আমি)

------- এইতো একটু পড়ে যাবো রাজ এই যে এইটা নাও!! (কথা)

--------- পায়েল কেনো দিচ্ছো কথা (আমি)

--------- যখন আমি থাকবো তখন এই পায়েল টাকে দেখবে তাহলে মনে হবে আমি তোমার কাছেই আছি এইটার সাথে কথা বললে আমার সাথে কথা বলা হবে এইটা কে সবসময় সাথে রাখবে!! (কথা)

-------জানো পাখি আজ পর্যন্ত প্রতি রাতে পায়েলটার সাথে কথা বলি ঝগড়া করি তাই আমার দ্বারা আর কাউকে ভালোবাসা সম্ভব নয় আর প্লিজ আর কখনো এমন করবে না প্রেম ভালবাসা এটা স্বগীয় কাউকে ভালোবাসলেই যে তাকে পেতে হবে এমন নয়!! তুমি যথেষ্ট সুন্দরী আমার চেয়ে ভালো কাউকে পাবে!! (আমি)
--------- এদিকে পাখি আমার কথাগুলো শুনে কেদো ফেললো রাজ তুমি কথাকে এওো ভালোবাসো সরি রাজ আমার ভুল হয়ে গেছে তবে আমার ভালবাসা চিরকাল তোমার জন্যই রবে!!( পাখি)

-------আচ্ছা চলো অনুষ্ঠানে লেট হয়ে যাচ্ছে এই বলে পাখি অার আমি অনুষ্ঠান চলে গেলাম!!!

-------আজকের পাখি আর সেই দিনের পাখির মাঝে আকাশ -পাতাল ব্যবধান!!! যে মেয়েটা তুমি ছাড়া কখনো কথা বলতোনা সারাক্ষণ দুষ্টমি করতো আজ সেই পাখিটাই কেমন স্রোতহীন নদীর মতো হয়ে গেছে!!!

-------- স্যার কি ভাবছেন ওমন করে!! (পাখি)

--------- না কিছু না আচ্ছা কেমন আছো তুমি ( আমি)

------ জি স্যার ভালো আপনি!! (পাখি)

-------এইতো ভালোই আছি!! (আমি)

-------- কেনো কথা শুনে মনে হচ্ছে ভালো নেই আপনি কিন্তুু ছোটবেলায় খেলায় সাথী কথাকে জীবন সাথী হিসেবে পাোয়া পরও যদি খারাপ থাকেন তাহলে কেমন হবে!! (পাখি)

--------- তুমি এতো কিছু জানো কেমনে ?(আমি)

----- যাকে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছিলাম তার বিয়ের কথাটা টা জানবো না!! (পাখি)

--------- আচ্ছা বাদ দাওতো ওই সব বিষয়!! (আমি)

------আচ্ছা বাদ দিলাম কেমন চলছে বৈবাহিক জীবন তোমার!! (পাখি)

----- হুম অনেক ভালো এই বলে অফিসের একটা জরুরী ফাইলের কাজ শেষ করে বাসায় রওনা দিলাম!! (আমি)

------- অফিস থেকে বাসায় আসতেই নিউমাকেট মোড়ে জ্যামে পড়ে যায় হঠাৎ স্যার ভাইয়া একটা ফুলের মালা নেননা নেন স্যার !!

----- পিছন দিকে তাকাতেই দেখি একটে ছোট মেয়ে বয়স আনুমানিক ৭ হবে কয়েকটা ফুলের মালা হাতে নিয়ে বিক্রি করতেছে তাই বললাম আপু এগুলো কি ফুলের মালা!!(আমি)

------ স্যার এইগুলা শেউলি ফুলের মালা নেন স্যার ম্যাডাম কে দিবেন!! (মেয়েটা)

------- হঠাৎ মেয়েটার কাছে শেউলি ফুলের নাম শুনে হারিয়ে গেলাম শৈশবে!

---- রাজ রাজ বড় হয়ে আমি যখন তোমার বউ হবো প্রতিদিন আমি অভিমান করে থাকবো আর তুমি আমার অভিমান ভাঙ্গাতে অফিস শেষে নিউমাকেট মোড় থেকে শেউলি ফুলের মালা নিয়ে এসে চুপি চুপি আমার এলোকেশে পড়িয়ে দিবে!!! বলো এনে দিবেনা!!( কথা)

------- এসব ভাবতেই চোখের কোণে অশ্রু এসে ভিড় জমায়!!

------- স্যার স্যার কাদছেন কেনো স্যার আপনার পায়ে পড়ি একটা ফুল নেননা প্লিজ!(মেয়েটা)

-------- না চোখেতে ময়লা গেছে মনে হয় আচ্ছা তুমি ছোট হয়ে ফুল বিক্রি করছো কেনো? (আমি)

------- স্যার ছোটবেলাই বাবা একসিডেন্টে মারা যায় মা একটা বাসায় কাজ করে সংসার চালায় পাড়ায় একটা স্কুলে পড়ি কিন্তুু একসপ্তাহ ধরে মা অসুস্হ ওষুধ কেনার টাকা নাই তাই মাকে বাচাতে ফুল বিক্রি করতে আসছি স্যার ওষুধ না কিনতে পারলে মাকে বাচাতে পারবো না এই বলে মেয়েটা পায়ে ধরতে আসলো!!

------ এই কি করছো ওঠো আর একটা ফুলের মালা দাও কেমন এই বলে একটা ফুলের মালা নিয়ে মেয়েটার হাতে একহাজার টাকা দিয়ে বললাম ধরো নাও!! (আমি)
--- স্যার বিশটাকা দেন এওো টাকা তো ভাংতি নাই আমার কাছে!! (মেয়েটা)

---- আচ্ছা শোন আমি তোমাকে একহাজার টাকাই দিয়েছি রেখে দাও কেমন তোমার না মা অসুস্হ মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখা!!! (আমি)
------ স্যার আমি আপনার টাকাটা নিতে পারবোনা!! (মেয়েটা)
------ শোন আমি তোমার ভাইয়া হলে টাকাটা নিতে না হু ( আমি)

--------হঠাৎ দেখি মেয়েটা জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলতেছে সত্যি সত্যি তুমি আমার ভাইয়া!আজ থেকে তোমাকে ভাইয়া বলে ডাকবো ! (মেয়েটা)

------- আচ্ছা শোন আপু তোমার ভাইকে প্রতিদিন মালা দিবে কেমন আর শোন প্রতিদিন স্কুলে যেতে হবে কেমন আর এইযে আমার ঠিকানা যদি কোন বিপদে পড়ো বড় ভাইয়ের কাছে যাবে!!! (আমি)

--------ভাইয়া তোমার মতো ভাই পাওয়া সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার আচ্ছা ভাইয়া আসি! কেদে কেদে !! (মেয়েটা)

---------- ভাইয়ার সামনে বোন কি কাদে কখনো আর আপু তোমার নাম কি!! (আমি)

----- ভাইয়া আমি জীম আর ভাইয়া খুশিতে কেদে দিছি ( জীম)

------- আচ্ছা আর কখনো ভাইটার সামনে কাদবে না তাহলে ভাইয়াটাও কেদে দিবে বলে দিলাম!! (আমি)

----- আচ্ছা ভাইয়া কাদবো আমি এখন আসি মা কে ডাক্তার এর কাছে নিতে হবে!! (জীম)

---------বাসায় এসে দেখি কথা এয়াশ রুমে তাই শেউলি ফুলের মালাটা ডেসিং টেবিলের কাছে রেখে আসলাম!! (আমি

----- ওই ছোট লোকের বাচ্চা তুই কি ভাবিস তোই ফুল নিয়ে আসলেই আমি তোর প্রেমে পড়ে যাবো কতবার বলবো আমি সজিবকে ভালোবাসি!!!(কথা)

-------- সরি আমি জানতামনা ফুলটা নিয়ে আসলে আপনি এমন করবেন!!(আমি)

------ শোন আর ন্যাকামি করবিনা এই বলে ফুলটা পায়ের নিচে ফেলে নষ্ট করে ফেললো!!! (কথা)

------ এদিকে কথার এমন ব্যবহার দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলামনা তাই বারান্দার দিকে রওনা দিলাম!!(আমি)

------- ওই শোন কখনো মনে করবিনা ফুল বা অন্য কিছু এনে আমাকে invole করবি তোর প্রতি মনে রাখিস তোদের মতো এতিমকে করোনা করা যায় ঘর বাধা যায়না!(! কথা)

------- রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি
যে কথার কাছে নিজেকে এতিম বললে কান্না করতো আজ সেই কথাই এতিম ছাড়া সম্বোধন করেনা!! ডাইয়িটা তে এইসব রেখে ডাইয়ির মাঝখান থেকে পায়েল -



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...