সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্বঃ ১০


  গল্প: ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা
  পর্বঃ ১০

----- কি মজা কি মজা মম তুমি চোখ খুলো?? (রাইসা)

-------- এদিকে অপরিচিতা চোখ খুলেই অবাক হলো মনে হচ্ছে এক চিলতে রোদ এসে অপরিচিতার মুখে ভর করেছে আর বাইরে প্রচন্ড রিমঝিম বৃষ্টি হচ্ছে!!অপরিচিতা ফুল গুরো হাতে নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছে তার আগেই বললাম চরো লান্চ করি?? (আমি)

------- হুম ঠিক আছে খাওয়া শুরু করো!! এইযে মহারানী খাবার নিয়ে বসে থাকতে নেই?? (অপরিচিতা)

--------না তোমরা দুজন আজ আমাকে খাইয়ে দিবে সাথে মম তুমি বাবাইকে বাবাই তুমি মমকে??? (রাইসাকে)

----- এদিকে রাইসার মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পর দেখি অপরিচিতা মুখে খাবার তুলে দিতে চাচ্ছে আমাকে এদিকে খাবার টা মুখে দিতেই দেখি কথা সামনে দাড়িয়ে হাপাচ্ছে!!

------- এদিকে কথাকে এই মুহুতে দেখবো তা ভাবিনাই তাই জিজ্ঞেস করলাম কি এমন হাপাচ্ছেন কেনো ,( আমি)

---------- রাজ আমার সাথে চলো বাবা মা একসিডেন্ট করেছে!! (কথা)

---------- এদিকে কথার কাছে মামা মামীর একসিডেন্টের কথা শুনে মুহুতের মাঝেই মনের মাঝে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেলো যে মামা মামী বাবা মার মতো লালন পালন করেছে আজ তারা হসপিটালে এদিকে খাবার টেবিল থেকে ওঠে কথাকে নিয়ে রোনা দিলাম!! (আমি)

--------- বাবাই বাবাই তুমি ওই মেয়ের সাথে কই যাও মাকে রেখে??? ( রাইসা)

----- এদিকে রাইসার। মুখে বাবা ডাক শুনে কথা কেমন জানি আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকালো!!

--------- না মহারানী আমার একটু দরকার আছে এই বলে কথাকে নিয়ে চলে আসলাম হসপিটালে এসে দেখি মামা মামীর তেমন কিছু হয়নি তাই তাদের জন্য ফলমূল কিনে দিয়ে অফিসের একটা মিটিং এ attend করারর জন্য কথাকে রেখে অফিসে চলে আসলাম?? ( আমি)

-------- এদিকে অফিসের মিটিং শেষ করে যখনি বের হবো তখনি পাখি বললো স্যার আমাকে নিয়ে যাবেন না!! (পাখি)

------- হুম চলো না নিয়ে যাবার কি আছে!! (আমি)

-------- না তা বলছি না তবে তোমাকে না আজ খুব সুন্দর লাগছে??? (পাখি)

----- আচ্ছা এতো প্রশংসা না করে চলো??? (আমি)

----- তোমাকে একটা কথা বলবো?(;পাখি)

------- হুম বলো কি বললা ( আমি)

------ চলোনা আজকে নদীর ধারে যায়?? (পাখি)

-------না আজকে অনেক টেনশনে আছি অন্যদিন!! (আমি)

------- আমি তোমার বন্ধু হিসেবে যেতে চায় প্লিজ চলো না?? (পাখি)

------ আচ্ছা ঠিক আছে বলে চলো!! (আমি)

------- জানো রাজ খুশিতে আমায় তোমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে!! (পাখি)

--- করো না করছো কে কথাটা বলতে না বলতেই জড়িয়ে ধরছে কি আজিব ওই তোমার লজ্জা সরম কিছুই নাই রাস্তায় সবাই কেমন করে চেয়ে আছে পিছন দিকে তাকাতেই দেখি কথা মামা মামীকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে মনে মনে ভাবলাম দেখে ফেললো নাকি অার পাখিটাও কেমন সবার সামনে রাস্তায় ( আমি)

----- কি বললা লাজ সরম মানে হু হু আমি কি অন্য ছেলেকে ধরছি না কি যে লজ্জা সরম পাবো আর লোকে দেখলে কি হবো??? ( পাখি)

------- তাই বলে এমন ভাবে আগের স্বভাব যায়না জানো না আমার একটা রাজকুমারী আছে আমার সমস্ত ভালবাসা তার জন্য?অামি)

------হু জানি কথায় কথা বলতেছে যে কিনা এতিম ছাড়া কথা বলেনা সে আবার রাজকুমারী। চরিএ ঠিকআছে কিনা সন্দেহ!! (পাখি)

-------- ঠাস!!!তোমার কিভাবে সাহস হয় আমার স্ত্রীর সম্পকে বাজে কথা বলার ( আমি)

-------- কেনো আরো মারো একটা কেনো মারলে তোমাকে আমি ভালবাসি বুঝলা! এই বরে জড়িয়ে ধরলো !! (পাখি)

----- পাখি কেনো বুঝোনা তোমাকে ভালবাসা কোনো ভাবেই সম্ভব নয় আমার মনের আকাশটাতে শুধু একজনের বিচরণ আর কাউকে স্হান দেয়া যাবেনা! ( আমি)

--------- আমি তো তোমার পায়ের নিচে স্হান পেতে চায় চায় কথার দেওয়া কষ্টগুলো ভুলিয়ে দিতে দিবে কি একটু ঠাই?? (পাখি)

-------- শোনো তুমি কি চাও তোমার সাথে আমার বন্ধত্বটা নষ্ট হোক যদি না চাও আর কখনো ভালোবাসার কথা বলবানা? এই কথা বলে বাসায় চলে আসলাম!!! ( আমি)

------- হ্যালো সজিব বাবু আমি আর পারতেছিনা তুমি কোনদিন আসবে তুমি কি আমায় একটু ভালোবাসনা আমাকে কি একটুও মিস করোনা আমি লুচ্চা ওই এতিম ছেলেটার সাথে আর থাকতে পারছিনা??? ( কথা)

-------- বাবুনি আমি জানি তোমার কষ্ট হচ্ছে কি করবো বলো আসতে আসতে আরো ১৫ দিন লাগবে জানো এখানে থাকতে আমারও খুব কষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত মিস করছি আমার বাবুনি টাকে মিস করছি আর শুনো যওো তাড়িতাড়ি পারো ওই কি যানি নাম রাজ ছেলেটাকে ডির্ভোস দিবা কেমন???( সজিব)

--------- ও ও আমার লক্ষী বাবু তুমি টেনশন নিয়ো না তুমি আসার আগেই ওই এতিমটাকে ডির্ভোস দিয়ে দিবো এখন রাখি বাবু miss you so much!! (কথা)

---- ওকে বাবুনি রাখি এখন miss you too( সজিব)
------- এদিকে রুমে আসতেই?!যানিস তোকে একটু হলেও ভালো ভাবতাম কিন্তুু তোই যে এতটা লুচ্চা আগে জানতাম না বিয়ে করছিস বউ আছে সাথে এওো কিউট একটা বাচ্চা তাও কেনো তুই আমাকে বিয়ে করলি বাবাকে বলে দিলেই তো পারতি তুই আমার দেহ চাস এই নে লুচ্চা যা করার কর জন্মের ঠিক নাই মনে হয় নইলে বউ রেখে ওতো সুন্দর বাচ্চা রেখে কেউ অন্যজন কে বিয়ে করে ???( কথা)

----- বন্ধ করুন আপনার ওই দেহ আমার প্রয়োজন নেই কি ভাবেন নিজেকে সিনেমায় নায়িকা তাহলে ভুল আরে আপনার চেয়ে রাস্তায় মেয়েও ভালো আছে??( আমি)

--------- হা হা যার জন্মের ঠিক নেই এতিম সে আবার নীতি কথা বলে ওই মেয়েটা তোকে বাবাই বলে ডাকলো কেনো?? (কথা)

-------- অনেক বলছেন শুনেন তাহলে রাইসা আমার মেয়ে বুঝলেন আর অপরিচিতা আপনার চেয়ে অনেক ভালো!!(আমি)

-------- তা ওকে বিয়ে করছিস আর আমি খারাপ তো আমাকে কেনো কেন বিয়ে করছিস তোর জন্য শুধু তোর জন্য তোর মতো একটা এতিমের জন্য সজিবকে হারিয়ে ফেলতে চলেছি জানিস সজিব কওো ভালো আমার সব জেনেও আমাকে বিয়ে করবে তোই আমাকে আগামী পনেরো দিনের মাঝে ডির্ভোস দিবি??? (কথা)

------ আর একটা বার বাজে কথা বলবেন না আগে জানতাম আল্লাহর পবিএ কালামের জোড়ে নাকি প্রেমহীন জীবনেও নাকি বসন্তের হাওয়া বয় আর আপনি বিয়ের রাতে আমাকে ডির্ভোস দিতে বলেছেন একটা রাত পরীকেও বিয়ে করলে হয়তো তার মুখেও কথাটা বলতে বাধতো ও আমি তো ভুলেই গেয়েছিলাম আপনি সজিবকে ভালোবাসেন শুনেন যে পর্যন্ত ডির্ভোস না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আমার স্ত্রী?? (আমি)

----- ঠাস! ঠাস! ঠাস! তোর কিভাবে সাহস হয় আমাকে স্ত্রী ভাবতে আর শুন সজিবকে ভালোবাসি কিন্তুু ও আমাকে স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারেনি আর শোন তোর মতো এতিম আমার পায়ের জুতোয় সমান আর হা আজকে দেখলাম প্রকাশ্য দিনের বেলায় তুই পাখি নামে একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছিস তার পরো অন্যকে রাস্তায় মেয়ে বলিস শোন আমি তোর ছায়াটাও দেখতে চাইনা??? (কথা)



---------এদিকে কথায় চড় করে মাথাটা নিচের দিকে নিয়ে মনে মনে ভাবছি তাই তো আমার মতো একটা এতিম ছেলে কথার মতো লন্ডন পড়ালেখা করা মেয়ের সাথে যাই কেমনে!!!! ( আমি)

-------- কি ভাবছিস এতিম ছোটলোক শোন কখনো আমার বেডরুমে আসবিনা তোকে দেখলে আমার ঘৃণা লাগে?? (কথা)

-------- আচ্ছা ঠিকঅাছে আপনি যাই বলবেন তাই হবে আর হ্যা ডির্ভোসটাও পেয়ে যাবেন !! এই বলে রুমে চলে আসলাম!!!

--------- রাতে ডাইয়িটাতে আজকের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো লেখলাম হঠাৎ ডাইয়ির মাঝখান থেকে নুপুর বের হতেই মনের মাঝে কেমন জানি ঝড় বয়ে গেলো মনে পড়ে গেলো সেই দিনের কথা!!
----- রাজ আমি তো চলে যাচ্ছি এই নাও নুপুর এটা সবসময় সাথে রাখবা মনে হবে তোমার কথা তোমার সাথেই আছে ( কথা)!

----- শুয়ে শুয়ে কথা গুলো ভাবতে ভাবতে দু'চোখ দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নামতে শুরু করলো নুপুর টাকে বুকের কাছে রেখে বলতেছি কি অপরাধ করেছি আমি যার জন্য তুমি আমাকে কষ্ট দিচ্ছো কেনো বুঝতেছো তুমি আমার সাদামেঘের বেলা তুমি আমার দিঘীর জলের পদ্ম তুমি আমার স্বপ্ন সাধনা কিন্তুুু আজ সেই গুলি স্বপ্নের মতো আর তুকেই বা কি বলছি তুই তো আমার কথা না তার দেওয়া একটি নুপুর আমার শেষ সম্বল এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনেই নেই!! (অামি)

----------- সকালে ঘুম থেকে উঠতেই দেখি ১১ টা মিসকল তাই call back দিতেই!!!

------ হ্যালো কে ফোন দিয়েছেন রং নাম্বার বলে রেখে দিলো!! (রাইসা)

-------- তাই আবার ফোন দিলাম মহারানী ভুল হয়ে গেছে দেখো আমি কান ধরেছি সত্যিই তোমার বাবাইটা পচা?? ( রাইসা)

--------- হা হা হা বাবাই তুমি কান ধরো না কারণ তুমি কান ধরলে তো আর দেখতে পাবোনা? আর হ্যা বাবাই তুমি সত্যিই অনেক ভালো ার কখনো পচা বলবেনা? ( রাইসা)

------- আচ্ছা ঠিকাছে আর হবেনা কেমন এখন রাখি মহারানী??? (আমি)

------ শোনো আমাদের বাসায় এসে আজ লান্চ করবে কেমন নইলে আমি খাবো না কেমন মমকে বলে রাখছি বাবা???? (রাইসা)

-----আচ্ছা মহারানী ঠিকঅাছে বলে ফোনটা রেখে অফিসের জন্য রেডি হয়ে মনে মনে ভাবছি আজ হঠাৎ কথায় কি হলো দরজা লগ করা একবার ভাবলাম ডাক দিবো না দিবোনা কিনাতু কেনো জানি কয়েকবার ডাকার পরও কোনো কথা আসছে না ভেতর থেকে তাই আমার কাছে ডপলিকেট চাবি দিয়ে লক খুলতেই দেখি


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...