সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পঃরোমান্টিক ভালোবাসা পর্ব -১


গল্পঃরোমান্টিক ভালোবাসা

পর্ব -১

- এই যে মিস্টার একটু ওপাশে
চেপে বসুন আমাকে সীট দিন
আমি বসব? (আমি)
- মাথাটা নিচু করে আছে কথা
বলছে না (একটা ছেলে বাসে )
- এই ছেলে কথা কানে যায় না!বলছি চেপে বসো? (ধমক দিয়
বললাম)

-........ আবার চুপ মাথা নিচ
পাশে করেই আছে। ( ছেলেটা)
উফফফফফ কানে শুনে না নাকিএত্তকরে বলছি সরে যাও কথাই
শুনছে না। মনে হয় বাসের দুইটাসিটইই কিনে নিছে।
- এই যে মিস্টার চেপে বসুন না।
(ছেলেটার কাধ টা নারিয়ে বললাম )
এ বাবা ছেলেটার গা তো জ্বরেপুরে যাচ্ছে একেবারে। না ধমক
দিয়ে বলাটা ঠিক হয়নি। ছেলেটা তারপর মাথাটা তুলে আমাকে দেখে চেপে বসল সিটটায় আর আমি ওর
পাশে বসলাম। ছেলেটা আমার কাধে মাথা দিলো ভাবছি সরিয়ে দিবো
কিন্তু দিলাম না হয়তো ইচ্ছে করে মাথা রাখেনি। তারপর বাস টা থেমে
গেলো আর জাবে না।

 ধুর মেজাজ টাই খারাপ করে দিলো এই রাত্রিবেলা। তারপর একটা টেক্সি ধরে আমার
বাসার সামনে এসে নামলাম। আর ভাড়া দিয়ে চলে যেতেই....
- এই যে ম্যাডাম একাই যাচ্ছেন যে এনাকে নিয়ে যান।.. ? (ড্রাইভার)
- কি বলছেন এসব এনাকে মানে
কার কথা বলছেন আপনি...? (আমি)

- এই যে এনাকে..? (বাসে আমার পাশে বসে থাকা ছেলেটাকে দেখিয়ে বলল)
- হ্যালো দাদা আমি এনাকে চিনি না। আর আমি কেনো নিয়ে যাবো বলুন?
- কিন্তু যে লোকটা আমার গাড়িতে
বসিয়ে দিলো সে তো বলছে আপনি
তাকে চিনেন।

- দেখুন আমি ওনাকে চিনি না।
- সে কি তাহলে এখন ওনাকে কোথায় নামিয়ে দিবো। আর
ওনার গায়ে তো প্রচুর জ্বর।
- দেখুন সেটা আপনার ব্যাপার আমি একা একটা মেয়ে আর একাই থাকি এনাকে আমার পক্ষে আমার সাথে নেওয়া সম্ভব না।
- ম্যাডাম দেখুন ছেলেটার শরীর ভালো না আর তাছাড়া সে তার বাসার ঠিকানা ও বলতে পারছে না।
এখন কি হবে?
- আজব তো তা আমি এখন কি করতে পারি...?
- আপনি আজকের রাত টা ওনাকে আপনার বাসায় রাখুন কাল কে পাঠিয়ে দিয়েন।
- ভাই মাফ চাই এমনিতেই মেজাজ ভালো নেই আর
বাড়তি ঝামেলা নিতে পারব না!

- ম্যাডাম প্লিজ রাখুন না। যদি ছেলেটার কিছু এখন হয়ে জায় তাহলে.....!
- আচ্ছা ঠিক আছে। শালা কি ওজন রে বাবা এই ছেলেকে আমাকে ঘাড়ে হাত দিয়ে নিয়ে আসতে হলো...! এমনিতেই ভালো নেই আবার বারতি ঝামেলা। ছেলেটাকে নিয়ে
আমার রুমের পাশের রুমে নিয়ে গেলাম।
এই যা এত্তকিছু হয়ে গেলো এখন ও আমার পরিচয় টাই
দিলাম না। আমি হচ্ছি অনুসূয়া ।

একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি বাবা মা নেই তাই এই ঢাকা নামক
শহরে একাই থাকি। আর একটু আগে বাসে যে ছেলেটার পাশে
আমি ছিলাম তাকে আমার পরিচিত
মনে করে আমার বাসায়...... সব দেখলেনই তো কি ঘটেছিলো..!
আচ্ছা দেখি ছেলেটার কি অবস্থা। গায়ে হাত দিয়ে দেখি এ বাবা তো এখন ও অনেক জ্বর। আর
ছেলেটা কথাও বলতে পারছে না।
তারপর আমি ছেলেটার কপালে জল পট্টি লাগিয়ে দিলাম। রাত
১১ : ৪৮ টা বাজে...

- এই ছেলে উঠো...? (আমি)
- উমমমম_....! (ছেলেটা)
- উমমমম না বলে এখন উঠে এই
খাবার টুকু খেয়ে ঔষধ খেয়ে নাও। আর কাল সকালে এখান থেকে চলে জাবেন!
কিছুটা খেয়ে আবার শুয়ে পরল।
আমিও ছেলেটার গায়ে একটা কম্বল দিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম। আর শুয়ে শুয়ে
ভাবতেছি কে এই ছেলে। এতো
জ্বর গায়ে নিয়ে কোথায় বা জায়। ধুর এখন এসব ভাবার সময় নাই।
কাল কে অফিস যেতে হবে আর
অনেক কাজ ও আছে। এখন ঘুমিয়ে পরি।
(তারপরের দিন)

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে নিলাম।আর অফিস যাওয়ার সময়।
আর ছেলেটার হাত পা দড়ি দিয়ে বেধে অফিসে গেলাম। কোন নিশ্চয়তা
নেই সব চুরি করে পালাতেও পারে। অফিস গেলাম আর অফিস থেকে খুব তারাতারি ফিরে এলাম
- প্লিজ হেল্প প্লিজ হেল্প মি... কেউ
আমার হাতের দড়ি টা খুলে দাও..! (ছেলেটা বলছে)

- ওই যে মিস্টার এত জোরে জোরে চিতকার করছেন কেনো? (আমি রুমের ভিতর গিয়ে ছেলেটাকে বললাম)
- আপনি কে আর আমাকে এভাবে দড়ি দিয়ে বেধে রেখেছেন কেনো? প্লিজ খুলে দিন...! (ছেলেটা)
তারপর ছেলেটার সব। বাধন খুলে দিলাম।
আর ছেলেটাকে খাবার দিলাম। মাথায় হাত দিয়ে দেখছি এখন ও অনেক জ্বর গায়ে আছে।
- আচ্ছা তোমার নাম কি...? (আমি)
- মৃ মৃ মৃনাল। (এখন ও ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছে না)
- হুম ভালো নাম! তো মিস্টার মৃনাল এখন আপনি এই খাবার গুলো খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন এখান থেকে চলে গিয়ে..?
- আমি কোথায় যাবো...?

- কি আজব কোথায় মানে আপনার বাসায় জাবেন?
- আমার বাসা টা কোথায়...?
- হায় ঈশ্বর এই ছেলেকে নিয়ে আমি এখন
কি করি নিজের বাসা কোথায় সেটাই জানে না।
- আচ্ছা আপনি এখন খাবার গুলো খেয়ে নিন।
তারপর ছেলেটা খাবার খেয়ে নিলো। ছেলেটাকে দেখে তো ভালোই মনে হচ্ছে।
আর আমি তো এই শহরে আমি একলা একটা মেয়ে থাকি। তাই এই ছেলেকে আমার এখান থেকে তারাতারি বিদায় করতে হবে। রাতে রান্না শেষ করলাম
- এই যে নামটা যেন কি ও হ্যা মনে পরেছে মৃনাল আসুন খেতে আসুন।
- খাবার কোথায়...?

- খাবার আমার মাথায়!
- কই আপনার মাথায় তো শুধু চুল দেখতে পাচ্ছি খাবার কই?
- উফফফফফ এই ছেলে মনে হয় পাগল তাই এসব আজে বাজে বলছে! খাবার টেবিল এ আছে আসুন একসাথে খাবো..?
তারপর মৃনাল আর আমি খাবার খাচ্ছি...
- আচ্ছা আজ আপনি আমাকে দড়ি দিয়ে বেধে রেখেছিলেন কেনো...? (মৃনাল)
- যদি আমার ঘরের সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যাও তাই?
- আপনার কি মনে হয় আমি চোর..?
- না সেটা না আসলে এখন কার কারো উপর বিশ্বাস নেই! আচ্ছা আপনি ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছেন না এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। খেয়ে নিন।
- আচ্ছা আপনার নাম কি...?
- অনুসূয়া ।।

- আপনার বাবা মা কোথায়....?
- আমার বাবা মা নেই। আমি একা আর একাই এই বাড়িতে থাকি..!
- আচ্ছা খাওয়া শেষ এখন এখান থেকে কেটে পরুন আর আমাকে উদ্ধার করুন?
- আমার তো বাসা নেই আমি কোথায় যাবো?
- বাসা নেই মানে। তুমি থাকো কোথায়?
- জানিনা!

- আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না আপনি এখন আমার বাসা থেকে বের হয়ে জাবেন...!
ছেলেটা খাওয়া শেষ করে। আবার রুমের ভিতর গিয়ে শুয়ে পরল।
- কি আজব। এই যে মিস্টার আপনি আবার শুয়ে পরলেন কেনো? আপনাকে না চলে যেতে বলছি?
- কোন কথা নাই চুপ...? (মৃনাল)
- দেখো তুমি যদি এখন বাসা থেকে চলে না জাও তাহলে আমি কিন্তু পুলিশে ডাকবো...?
- তাও চুপ.....?
ব্যাপার কি মাথা থেকে কম্বল টা টেনে দেখি ঘুম গেছে। ওহহ শীট। কি করব এখন আমি কি করব এই ছেলেকে নিয়ে।
আমার কোন কথাই তো শুনছে না।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...