গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে
পর্বঃ ০১
জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই |
তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে-
মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ?
আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম-
আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ?
মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ?
আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না |
দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো---->
মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ?
আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো?
মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ?
আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা বলতে হবে আর হলেই বা কি আমার তাতে যায় আসে না |
তো এরকম ঝগরা করতে করতে দেখি স্যার এসে পরলো আর বল্লো--
স্যার: এই ছেলে তুমি ওকে চিনো ?
আমি: দেখুন না স্যার আজ আমি নতুন ক্লাসে আসলাম আর তখন এই মেয়েটা লেং মেরে ফেলে দিছে |
স্যার: চুপ বেয়াদব মেয়েদের সাথে ঝগরা করো যাও ক্লাসে |
এটা কি হলো দোষ করলো মেয়েটা আর দোষ হলো আমার দূর তখন দেখি স্যার মেয়েটাকে বলতেছে-
স্যার: যাও মা ক্লাসে যাও |
মেয়ে: ধন্যবাদ স্যার |
দেখি মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে দূর আজ প্রথম দিন এসেই এই অবস্থা কি যানি বাকি দিন কি হয় |
[তো ক্লাসে যাওয়ার আগে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই আর না হলে পরে আবার আমাকে ভুলে যাবেন যাইহোক আমি আবির হাসান নুর বাবা মার ২ নম্বর সন্তান খুব দুষ্টু আর খুব ভিতু এবার ৯ ম শ্রেণীতে ভর্তি হলাম আর এতখুন যার সাথে জোগরা হলো একটা গুন্ডি মেয়ে চিনি না এইরে আপনাদের পরিচয় দিতে গিয়ে আমার ক্লাস শুরু হয়ে গেলো ]
তো আজ প্রথম দিন ক্লাস করলাম কিছু নতুন নতুন ফ্রেন্ড ও হলো তো নতুন এক বন্ধু বল্লো-
সৌরভ: কিরে তুই কি ঐ মেয়ে টাকে চিনিস?
আমি: কেনো মেয়েটা কি কোনো রাজার মেয়ে নাকি যে চিনবো ?
সৌরভ: আরে শালা জানিস ঐটা কার মেয়ে ?
আমি: কার মেয়ে ?
সৌরভ: ঐটা হেড স্যারের মেয়ে এর আগে ঐ মেয়ের জন্য অনেক ছেলে স্কুল থেকে পালাইছে আর অনেক ছেলেকে টিসি ও দিছে|
আমি: দোস্ত তুই এই কথা আগে বলিস নি কেনো এখন আমার কি হবে তখন তো মেয়েটাকে অনেক কিছু বলে ফেলছি |
সৌরভ: জানি না দোস্ত যা হবার উপর আল্লাহ জানে |
অতঃপর খুব চিন্তায় পরলাম নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম এখন যদি বের হয়ে যেতে হয় তাহলে তো ভাইয়ার হাতে মার খেতে হবে তার উপর মেয়েটা নাকি আমার এক বছরের বড় দূর এই চিন্তা করতে করতে কখন যে ছুটি হলো |
তো বাসায় যাচ্ছি দেখি কে যানো ডাকছে-
মেয়ে: এই হারামজাদা এদিকে আয় |
তখন পিছনে ঘুরতেই দেখি সেই হেড মাষ্টারের গুন্ডি মেয়ে তাও একটা সাথে লেডি গেং তো আমি ভয়ে বল্লাম-
আমি: জী আমাকে ডাকছেন ?
মেয়ে: ঐ দোস্ত মালটা নতুন কি করা যায় ?
আমি শুনে হাত পা কাপা শুরু করতেছে তার উপর লেডি গেং তখন আমি ভয়ে বল্লাম-
আমি: প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি তখন যা করেছি তার জন্য সরি |
মেয়ে: না না তোকে তো ছারা যাবে না আজ পর্যন্ত কেও ঐরকম ভাবে কথা বলার সাহস হয়নি আর তুই খারা আজ তোকে মজা দেখাবো |
আমি: মজা দেখতে কি রকম আপনারা জানেন কি ..
মেয়ে: ওরে হারামি কি বল্লি
আমি: ইয়ে মানে আপনি তো বল্লেন যে আপনি নাকি আমাকে মজা দেখাবেন তাই আনন্দ হচ্ছে আসলে এই প্রথম কোন মেয়ে আমার সামনে মজা দেখাবে |
অন্য মেয়ে: মেঘলা দোস্ত ছেলেটা পাগল নাকি....
আমি:বাহ আপনার বান্ধবীর নাম টা তো সুন্দর কিন্তু এতো গুন্ডি কেন
মেঘলা: ওরে কচি খোকা আসো তোমাকে মজা দেখাচ্ছি |.....কি বললি আমি গুন্ডি
আমি: সত্যি আগে মজা টা কই থেকে শুরু করবেন ?
মেঘলা: আচ্ছা বাবু মাথাটা নিচু করো |
অতঃপর তাদের কথা মতো মাথা নিচু করলাম ভাবলাম এটা নতুন রুল যে মাথা নিচু করলাম সেই দুম দাম পিঠের উপর ঘুশি আর থাপ্পর শুরু তখন সে বল্লো-
মেঘলা: কেমন মজা দেখলা ?
আমি: এই প্রথম মেয়েরা মাইর দিলো আহারে কত যে মজা |
মেঘলা: কি বল্লি ?এই দোষ্ট চল আবার দেই ওরে ধোলাই |
আমি: এই না না প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি এখানে নতুন তার উপর আমি নিষ্পাপ একটা শিশু প্লিজ ছেড়ে দিন |
মেঘলা: ওরে আমার শিশু তখন মনে ছিলো না এটা ?
আমি: আসলে তখন বুঝতে পারি নি যে আপনারা গুন্ডা থুক্কু গুন্ডি|
মেঘলা: হ্যা আমরা গুন্ডির দল কিন্তু তোকে তো ছারবো না তুই কার সাথে বেয়াদবি করছিস |
আমি: আচ্ছা এখন কি আপনার পা ধরতে হবে আচ্ছা ধরছি ?
মেঘলা: এই কি করছিস ছার বলছি ?
আমি: কেনো আমি তো অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি |
মেঘলা: হইছে থাক আর অপরাধী সাজতে হবে না কখন না আবার অপরাধী গান শুরু করে দিবি |
আমি: ওহ ঠিক বলছেন খারান বলতেছি-- ও গুন্ডি ও গুন্ডি রে তুই অপরাধীরে আমার মতো নিষ্পাপ শিশুকে দে ছাইরা দে|
অতঃপর গান তারা শুনার পর সবাই হাসছে আর মেঘলা দেখি রাগে ফুলতেছি তখন আমি বল্লাম-
আমি: আচ্ছা গানটা কি খারাপ হয়েছে আচ্ছা নতুন একটা বলবো?
মেঘলা: হারামজাদা তোর গানের গুষ্টি কিলাই তোকে আজকেই মেরেই ফেলবো তুই আমাকে চিনিস না |
আমি: এই প্লিজ এভাবে থ্রেড দিবেন না আর না হলে আমি আবার হিশু মানে প্যান্টে মুতে দেই |
কথাটা শুনার পর মেঘলা ও তার ফ্রেন্ডরা সবাই হাসতেছে অতঃপর সে বল্লো----->
মেঘলা: হাহাহা তোর কথা শুনে আমার এখনো পেটে ব্যাথা করছে তুই দেখি অনেক ভিতু |
আমি: হ্যা আমি অনেক ভিতু আবার মাজে মাজে অনেক রাগি তাই তখন রাগে কথাগুলো বলছি |
মেঘলা: আর এখন সেই রাগ কথায় ?
আমি: ঐযে বল্লাম খুব ভিতু |
মেঘলা: শালার আগে জানতাম পরুষ রা নাকি বীর পরুষ হয় আর তুই দেখি ভিতুর ডিম |
আমি: কি করবো বলেন আপনাদের মতো ইয়া বড় হাতি যদি আক্রমন চালায় তাহলে আমি শেষ |
মেঘলা: কি আমরা হাতি দোষ্ট আমাদের হাতি বলছে এই মালটাকে আবার ধোলাই দিতে হবে |
মেঘলার এক বান্ধুবি বল্লো-
বান্ধুবি: হ রে দোস্ত মালটা সেই চালাক এইটাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না |
আমি: এই আপনারা এত মাল মাল করছেন কেনো আমি একজন সাধারন নিষ্পাপ মানুষ প্লিজ আমাকে যেতে দিন দেরি হলে আবার আমার ভাইয়া আক্রমন চালাবে |
মেঘলা: হাহাহা এত বড় দামরা ছেলে এখনো মাইর খায় |
আমি: আচ্ছা বায় কাল দেখা হবে টাটা |
যেই যেতে লাগলাম সেই আমার কলারটা টান দিলো আর বল্লো
মেঘলা: এই হারামজাদা কথায় যাস তোর তো এখনো শাস্তিই হয়নি|
আমি: হায়রে আমার কপাল এ আমি কার কপালে পরলাম |
মেঘলা: এখনো তো কিছুই করি নি যখন স্কুল থেকে বের করে দিবো তখন বুজবি যানিস আমার আব্বু পুরা স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে |
আমি: ওহ তার মানে আপনার আব্বু আমাদের নাইট র্গাড না দারোয়ান আচ্ছা রাতে দেখাশুনা করে নাকি দিনে ? ( আমি জানি সব ওর বাবা কে .... তবুও রাগানোর জন্য বললাম)
মেঘলা: হারামজাদা তুই কি বল্লি আমার আব্বু নাইট র্গাড আর কি দারোয়ান তোকে তো মেরেই ফেলবো ঐ দোস্ত তোরা রড টা নিয়ে আয় |
আমি: এই না না প্লিজ ছেরে দিন আমি মরে যাবো আর আপনারা কি মানুষ একটা নিষ্পাপ শিশুকে রড দিয়ে পিটাবেন |
মেঘলা: রাখ তোর শিশু এর আগে কত পিটাইছি কিন্তু আজকে তোকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবো লাগলে জেলে যাবো তুই আমার আব্বুকে কি বল্লি ?
আমি: এই না আমাকে মারবেন না আর আমি চাই না আপনার মতো সুন্দর একটা মেয়ে জেলে যাক |
মেঘলা: পাম মারিস আমাকে কিছু বুজি না ?
আমি: আচ্ছা আপনি বলুন আপনি বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল ও কলেজ দেখা শুনা করে তাই আমি ভাবলাম যে নাইট র্গাড বা দারোয়ান ও হতে পারে তাই না বলুন ?
মেঘলা: দেখ তোর কথা শুনে কিন্তু আমার শরিরে রাগের আগুন জলতেছে |
আমি: আচ্ছা তাহলে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি |
মেঘলা: উফফ তোকে কালকেই স্কুল থেকে বের করে দিবো |
আমি: কেনো আপনি কি আমাদের আমাদের প্রিন্সিপাল ?( যদিও যানি ও কে তবুও ফাজলামি করেই যাচ্ছি)
মেঘলা: হায়রে হারামজাদা আমি না আমার আব্বু আর আব্বু শুনতে পারলে যে কি করবে ?
আমি: ও আচ্ছা তাহলে আপনি কি প্রিন্সিপাল এর মেয়ে ?
মেঘলা: এই আমি প্রিন্সিপাল এর মেয়ে হতে যাবো কেনো ?
আপনারা বুঝলেন নাতো আসলে তার আব্বু স্কুলের হেড স্যার আর কলেজ পুরোটাই তার দায়িত্বে তাই তাকে রাগানোর জন্য বল্লাম তাই এটা হেড মাষ্টারের শয়তান মেয়ে এখন গল্পে আসি--
আমি: আপনি তো বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল এর দেখা শুনা করে তাই তো বল্লাম প্রিন্সিপাল |
মেঘলা: আরে হারামজাদা আমার আব্বু হেডমাস্টার |
আমি: ঐ একি হলো |
মেঘলা: অনেক বক বক করছিস এখন তোর মাইরের পালা আর কাল স্কুল থেকে বিদায় দিবো |
একটু আবেগ দেখিয়ে বল্লাম----->
আমি: আজ আমি গরিব বলে কোনো রকম স্কুলে র্ভতি হইছি অনেক কষ্ট পরাশুনা করি কি আর করার অন্য স্কুলে দেখি আবার র্ভতি হতে পারি কিনা[ চাপা ]
মেঘলা: আহারে আমি বুজতে পারি নি আচ্ছা সরি |
যাক চাপাটা কাজে লাগলো পরে আমি বল্লাম
পর্বঃ ০১
জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই |
তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে-
মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ?
আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম-
আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ?
মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ?
আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না |
দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো---->
মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ?
আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো?
মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ?
আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা বলতে হবে আর হলেই বা কি আমার তাতে যায় আসে না |
তো এরকম ঝগরা করতে করতে দেখি স্যার এসে পরলো আর বল্লো--
স্যার: এই ছেলে তুমি ওকে চিনো ?
আমি: দেখুন না স্যার আজ আমি নতুন ক্লাসে আসলাম আর তখন এই মেয়েটা লেং মেরে ফেলে দিছে |
স্যার: চুপ বেয়াদব মেয়েদের সাথে ঝগরা করো যাও ক্লাসে |
এটা কি হলো দোষ করলো মেয়েটা আর দোষ হলো আমার দূর তখন দেখি স্যার মেয়েটাকে বলতেছে-
স্যার: যাও মা ক্লাসে যাও |
মেয়ে: ধন্যবাদ স্যার |
দেখি মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে দূর আজ প্রথম দিন এসেই এই অবস্থা কি যানি বাকি দিন কি হয় |
[তো ক্লাসে যাওয়ার আগে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই আর না হলে পরে আবার আমাকে ভুলে যাবেন যাইহোক আমি আবির হাসান নুর বাবা মার ২ নম্বর সন্তান খুব দুষ্টু আর খুব ভিতু এবার ৯ ম শ্রেণীতে ভর্তি হলাম আর এতখুন যার সাথে জোগরা হলো একটা গুন্ডি মেয়ে চিনি না এইরে আপনাদের পরিচয় দিতে গিয়ে আমার ক্লাস শুরু হয়ে গেলো ]
তো আজ প্রথম দিন ক্লাস করলাম কিছু নতুন নতুন ফ্রেন্ড ও হলো তো নতুন এক বন্ধু বল্লো-
সৌরভ: কিরে তুই কি ঐ মেয়ে টাকে চিনিস?
আমি: কেনো মেয়েটা কি কোনো রাজার মেয়ে নাকি যে চিনবো ?
সৌরভ: আরে শালা জানিস ঐটা কার মেয়ে ?
আমি: কার মেয়ে ?
সৌরভ: ঐটা হেড স্যারের মেয়ে এর আগে ঐ মেয়ের জন্য অনেক ছেলে স্কুল থেকে পালাইছে আর অনেক ছেলেকে টিসি ও দিছে|
আমি: দোস্ত তুই এই কথা আগে বলিস নি কেনো এখন আমার কি হবে তখন তো মেয়েটাকে অনেক কিছু বলে ফেলছি |
সৌরভ: জানি না দোস্ত যা হবার উপর আল্লাহ জানে |
অতঃপর খুব চিন্তায় পরলাম নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম এখন যদি বের হয়ে যেতে হয় তাহলে তো ভাইয়ার হাতে মার খেতে হবে তার উপর মেয়েটা নাকি আমার এক বছরের বড় দূর এই চিন্তা করতে করতে কখন যে ছুটি হলো |
তো বাসায় যাচ্ছি দেখি কে যানো ডাকছে-
মেয়ে: এই হারামজাদা এদিকে আয় |
তখন পিছনে ঘুরতেই দেখি সেই হেড মাষ্টারের গুন্ডি মেয়ে তাও একটা সাথে লেডি গেং তো আমি ভয়ে বল্লাম-
আমি: জী আমাকে ডাকছেন ?
মেয়ে: ঐ দোস্ত মালটা নতুন কি করা যায় ?
আমি শুনে হাত পা কাপা শুরু করতেছে তার উপর লেডি গেং তখন আমি ভয়ে বল্লাম-
আমি: প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি তখন যা করেছি তার জন্য সরি |
মেয়ে: না না তোকে তো ছারা যাবে না আজ পর্যন্ত কেও ঐরকম ভাবে কথা বলার সাহস হয়নি আর তুই খারা আজ তোকে মজা দেখাবো |
আমি: মজা দেখতে কি রকম আপনারা জানেন কি ..
মেয়ে: ওরে হারামি কি বল্লি
আমি: ইয়ে মানে আপনি তো বল্লেন যে আপনি নাকি আমাকে মজা দেখাবেন তাই আনন্দ হচ্ছে আসলে এই প্রথম কোন মেয়ে আমার সামনে মজা দেখাবে |
অন্য মেয়ে: মেঘলা দোস্ত ছেলেটা পাগল নাকি....
আমি:বাহ আপনার বান্ধবীর নাম টা তো সুন্দর কিন্তু এতো গুন্ডি কেন
মেঘলা: ওরে কচি খোকা আসো তোমাকে মজা দেখাচ্ছি |.....কি বললি আমি গুন্ডি
আমি: সত্যি আগে মজা টা কই থেকে শুরু করবেন ?
মেঘলা: আচ্ছা বাবু মাথাটা নিচু করো |
অতঃপর তাদের কথা মতো মাথা নিচু করলাম ভাবলাম এটা নতুন রুল যে মাথা নিচু করলাম সেই দুম দাম পিঠের উপর ঘুশি আর থাপ্পর শুরু তখন সে বল্লো-
মেঘলা: কেমন মজা দেখলা ?
আমি: এই প্রথম মেয়েরা মাইর দিলো আহারে কত যে মজা |
মেঘলা: কি বল্লি ?এই দোষ্ট চল আবার দেই ওরে ধোলাই |
আমি: এই না না প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি এখানে নতুন তার উপর আমি নিষ্পাপ একটা শিশু প্লিজ ছেড়ে দিন |
মেঘলা: ওরে আমার শিশু তখন মনে ছিলো না এটা ?
আমি: আসলে তখন বুঝতে পারি নি যে আপনারা গুন্ডা থুক্কু গুন্ডি|
মেঘলা: হ্যা আমরা গুন্ডির দল কিন্তু তোকে তো ছারবো না তুই কার সাথে বেয়াদবি করছিস |
আমি: আচ্ছা এখন কি আপনার পা ধরতে হবে আচ্ছা ধরছি ?
মেঘলা: এই কি করছিস ছার বলছি ?
আমি: কেনো আমি তো অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি |
মেঘলা: হইছে থাক আর অপরাধী সাজতে হবে না কখন না আবার অপরাধী গান শুরু করে দিবি |
আমি: ওহ ঠিক বলছেন খারান বলতেছি-- ও গুন্ডি ও গুন্ডি রে তুই অপরাধীরে আমার মতো নিষ্পাপ শিশুকে দে ছাইরা দে|
অতঃপর গান তারা শুনার পর সবাই হাসছে আর মেঘলা দেখি রাগে ফুলতেছি তখন আমি বল্লাম-
আমি: আচ্ছা গানটা কি খারাপ হয়েছে আচ্ছা নতুন একটা বলবো?
মেঘলা: হারামজাদা তোর গানের গুষ্টি কিলাই তোকে আজকেই মেরেই ফেলবো তুই আমাকে চিনিস না |
আমি: এই প্লিজ এভাবে থ্রেড দিবেন না আর না হলে আমি আবার হিশু মানে প্যান্টে মুতে দেই |
কথাটা শুনার পর মেঘলা ও তার ফ্রেন্ডরা সবাই হাসতেছে অতঃপর সে বল্লো----->
মেঘলা: হাহাহা তোর কথা শুনে আমার এখনো পেটে ব্যাথা করছে তুই দেখি অনেক ভিতু |
আমি: হ্যা আমি অনেক ভিতু আবার মাজে মাজে অনেক রাগি তাই তখন রাগে কথাগুলো বলছি |
মেঘলা: আর এখন সেই রাগ কথায় ?
আমি: ঐযে বল্লাম খুব ভিতু |
মেঘলা: শালার আগে জানতাম পরুষ রা নাকি বীর পরুষ হয় আর তুই দেখি ভিতুর ডিম |
আমি: কি করবো বলেন আপনাদের মতো ইয়া বড় হাতি যদি আক্রমন চালায় তাহলে আমি শেষ |
মেঘলা: কি আমরা হাতি দোষ্ট আমাদের হাতি বলছে এই মালটাকে আবার ধোলাই দিতে হবে |
মেঘলার এক বান্ধুবি বল্লো-
বান্ধুবি: হ রে দোস্ত মালটা সেই চালাক এইটাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না |
আমি: এই আপনারা এত মাল মাল করছেন কেনো আমি একজন সাধারন নিষ্পাপ মানুষ প্লিজ আমাকে যেতে দিন দেরি হলে আবার আমার ভাইয়া আক্রমন চালাবে |
মেঘলা: হাহাহা এত বড় দামরা ছেলে এখনো মাইর খায় |
আমি: আচ্ছা বায় কাল দেখা হবে টাটা |
যেই যেতে লাগলাম সেই আমার কলারটা টান দিলো আর বল্লো
মেঘলা: এই হারামজাদা কথায় যাস তোর তো এখনো শাস্তিই হয়নি|
আমি: হায়রে আমার কপাল এ আমি কার কপালে পরলাম |
মেঘলা: এখনো তো কিছুই করি নি যখন স্কুল থেকে বের করে দিবো তখন বুজবি যানিস আমার আব্বু পুরা স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে |
আমি: ওহ তার মানে আপনার আব্বু আমাদের নাইট র্গাড না দারোয়ান আচ্ছা রাতে দেখাশুনা করে নাকি দিনে ? ( আমি জানি সব ওর বাবা কে .... তবুও রাগানোর জন্য বললাম)
মেঘলা: হারামজাদা তুই কি বল্লি আমার আব্বু নাইট র্গাড আর কি দারোয়ান তোকে তো মেরেই ফেলবো ঐ দোস্ত তোরা রড টা নিয়ে আয় |
আমি: এই না না প্লিজ ছেরে দিন আমি মরে যাবো আর আপনারা কি মানুষ একটা নিষ্পাপ শিশুকে রড দিয়ে পিটাবেন |
মেঘলা: রাখ তোর শিশু এর আগে কত পিটাইছি কিন্তু আজকে তোকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবো লাগলে জেলে যাবো তুই আমার আব্বুকে কি বল্লি ?
আমি: এই না আমাকে মারবেন না আর আমি চাই না আপনার মতো সুন্দর একটা মেয়ে জেলে যাক |
মেঘলা: পাম মারিস আমাকে কিছু বুজি না ?
আমি: আচ্ছা আপনি বলুন আপনি বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল ও কলেজ দেখা শুনা করে তাই আমি ভাবলাম যে নাইট র্গাড বা দারোয়ান ও হতে পারে তাই না বলুন ?
মেঘলা: দেখ তোর কথা শুনে কিন্তু আমার শরিরে রাগের আগুন জলতেছে |
আমি: আচ্ছা তাহলে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি |
মেঘলা: উফফ তোকে কালকেই স্কুল থেকে বের করে দিবো |
আমি: কেনো আপনি কি আমাদের আমাদের প্রিন্সিপাল ?( যদিও যানি ও কে তবুও ফাজলামি করেই যাচ্ছি)
মেঘলা: হায়রে হারামজাদা আমি না আমার আব্বু আর আব্বু শুনতে পারলে যে কি করবে ?
আমি: ও আচ্ছা তাহলে আপনি কি প্রিন্সিপাল এর মেয়ে ?
মেঘলা: এই আমি প্রিন্সিপাল এর মেয়ে হতে যাবো কেনো ?
আপনারা বুঝলেন নাতো আসলে তার আব্বু স্কুলের হেড স্যার আর কলেজ পুরোটাই তার দায়িত্বে তাই তাকে রাগানোর জন্য বল্লাম তাই এটা হেড মাষ্টারের শয়তান মেয়ে এখন গল্পে আসি--
আমি: আপনি তো বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল এর দেখা শুনা করে তাই তো বল্লাম প্রিন্সিপাল |
মেঘলা: আরে হারামজাদা আমার আব্বু হেডমাস্টার |
আমি: ঐ একি হলো |
মেঘলা: অনেক বক বক করছিস এখন তোর মাইরের পালা আর কাল স্কুল থেকে বিদায় দিবো |
একটু আবেগ দেখিয়ে বল্লাম----->
আমি: আজ আমি গরিব বলে কোনো রকম স্কুলে র্ভতি হইছি অনেক কষ্ট পরাশুনা করি কি আর করার অন্য স্কুলে দেখি আবার র্ভতি হতে পারি কিনা[ চাপা ]
মেঘলা: আহারে আমি বুজতে পারি নি আচ্ছা সরি |
যাক চাপাটা কাজে লাগলো পরে আমি বল্লাম
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন