সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গোপনে বিয়ে (৩য় পর্ব)



 গোপন বিয়ে (৩য় পর্ব)

ডাক্তার ইমতিয়াজ বললেন,'যার কেউ নেই তার তো একাই থাকতে হয়!'

আমি অবাক হলাম। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,'কেউ নেই মানে? আপনার ওয়াইফ কোথায়?'

ইমতিয়াজ হা হা করে হাসলেন। তারপর বললেন,' ছাড়ুন এসব কথা। আপনি ওয়াশুরুমে যান। ওই যে ওই ওয়াশরুম।ফ্রেশ হয়ে আসুন।'

আমি ওয়াশরুমের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন আবার পেছন থেকে ডাকলেন ইমতিয়াজ। আমি দাঁড়ালাম। তিনি বললেন ,'একটু এদিকে আসুন।' আমি নির্ভয়ে এগিয়ে গেলাম তার সাথে অন্য একটি ঘরে।

ইমতিয়াজ এবার একটা মস্ত আলমারি খুললেন।আর ওখান থেকে বের করে আনলেন তিন রঙা তিনটি শাড়ি।গোলাপী,কলাপাতা রঙা আর গাঢ় নীল। তারপর বললেন,'কোনটা পরবেন বলুন!'

আসলে তিনটা শাড়িই খুব সুন্দর। কিন্তু আমার খুব সংকোচ লাগছিলো যেকোনো একটা নিতেই।আর কার না কার এসব শাড়ি!


আমি এবার জিজ্ঞেস করলাম,'ঘরে মেয়ে মানুষ নাই তো এই শাড়িগুলো কার?'

ইমতিয়াজ বললেন,'আমার বোনের।'

'বোন! আপনার বোন এখন কোথায়?'

ইমতিয়াজের চোখে জলের রেখা দেখা গেল। তিনি আলগোছে সেই জল বা হাতের পিঠ দিয়ে মুছে নিয়ে বললেন,'এখন নেই!'

ইমতিয়াজ আবার বললেন,'শুনুন আপনার যে শাড়িটা ইচ্ছে হয় সেটাই পরে নিন। আমার বোনের শাড়ি আপনার পরলে কোন অসুবিধা নাই। কারণ আপনাকে আমি বোনই ভাবছি।অন‍্য কিছু না!'

তারপর ডাক্তার ইমতিয়াজ এই ঘর ছেড়ে অন্য ঘরে চলে গেলেন।


আর আমি নীল রঙা শাড়িটা উঠিয়ে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।আর ওখান থেকে ফ্রেশ হয়ে নীল রঙা শাড়ি পরে বের হয়ে এলাম। ইমতিয়াজ যখন আমায় নীল রঙা শাড়ি পরা অবস্থায় দেখলেন তখন তিনি অনেক্ষণ ধরে পলকহীন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমার কেমন লজ্জা লাগছিলো তাই আমি নীচ দিকে তাকিয়ে রইলাম। ইমতিয়াজ তখন স্বর্দি এসে যাওয়া নরম গলায় বললেন,'নাতাশা, আপনাকে যদি আমি তুমি করে ডাকি তবে কী আপনি রাগ করবেন?'

আমি হেসে বললাম,'মোটেও না! আপনি তো আমার বয়সে অনেক বড়। ছোটদের তো তুমি করেই ডাকতে হয়।'

ইমতিয়াজ বললেন,'নাতাশা, বিশ্বাস করো তুমি একেবারে আমার বোন এলিজার মতো।ও ঠিক তোমার মতো ছিল। একেবারে তোমার বয়সী। কিন্তু--!'

'আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে এলিজার কথা শুনতে। বলুন না প্লিজ!'

ইমতিয়াজ অনেক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন,'চলুন ছাদে যাই।'


আমি আর না বললাম না। দুজন মিলে রাতেই ছাদে উঠলাম।কী সুন্দর ঝকঝকে ছাদ।ছাদের একপাশে গোলাপ বাগান।অন‍্য পাশে একটা গোল টেবিল পাতা। টেবিলের চারপাশে চারটে চেয়ার। ইমতিয়াজ বললেন,'তোমার কোন দিকে যেতে ইচ্ছে করছে?ওই গোলাপ বনের কাছে না টেবিলের কাছে?'

আমি বললাম,'গোলাপ বনের কাছে।'

ইমতিয়াজ বললেন,'এলিজারও প্রিয় জায়গা ছিল এই গোলাপ বন। সারাটা বিকেল সে এই গোলাপ বনের কাছে বসে বসে কাটিয়ে দিতো।'

আমি এবার জিজ্ঞেস করলাম,'ওর কথা বলুন না প্লিজ!ও এখন কোথায় আছে? দেশের বাইরে কী?'

'পৃথিবীর বাইরে!'

ইমতিয়াজ সাহেবের কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম।

'পৃথিবীর বাইরে মানে?'

'এলিজা মরে গেছে!'

কথাটা বলে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন ইমতিয়াজ সাহেব। একজন শক্ত সামর্থ্য যুবকের এমন কান্না দেখে তাকে কীভাবে সান্ত্বনা দিতে হয় তা আমার জানা নেই। আমি শুধু বললাম,'প্লিজ শান্ত হোন।'

ইমতিয়াজ তার পকেট থেকে সাদা রুমাল বের করে চোখ মুখ মুছে আবার বলতে শুরু করলেন।

'এলিজা ছিল আমার একমাত্র বোন।বাবা মারা গিয়েছিলেন এলিজাকে ছোট রেখেই। তারপর মাই-ই আমাদের বড় করে তুলেন। আমি তখন সদ্য এমবি বি এস পাশ করেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে।আর এলিজা সেবার ভর্তি হয়েছে ইডেন কলেজে।এর মাঝেই তার একটা প্রেম হয়।এলিজার সে প্রেমিক ছিল----

*************************************

সম্পূর্ণ গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন=

গল্পঃ- গোপনে বিয়ে💝( সকল পর্ব) 






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...