সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ফুল শয্যায় ছ্যাকা পর্বঃ ৭

 
  গল্প: ফুল শয্যায় ছ্যাকা
    পর্বঃ ৭



------ সরি আমি জানতামনা ফুলটা নিয়ে আসলে আপনি এমন করবেন!!(আমি)

---- শোন আর ন্যাকামি করবিনা এই বলে ফুলটা পায়ের নিচে ফেলে নষ্ট করে ফেললো!!! (কথা)

----- এদিকে কথার এমন ব্যবহার দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলামনা তাই বারান্দার দিকে রওনা দিলাম!!(আমি)
----- ওই শোন কখনো মনে করবিনা ফুল বা অন্য কিছু এনে আমাকে invole করবি তোর প্রতি মনে রাখিস তোদের মতো এতিমকে করোনা করা যায় ঘর বাধা যায়না!(! কথা)

------- রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি
যে কথার কাছে নিজেকে এতিম বললে কান্না করতো আজ সেই কথাই এতিম ছাড়া সম্বোধন করেনা!! ডাইয়িটা তে এইসব লিখে রেখে ডাইয়ির মাঝখান থেকে পায়েলটা বের করে পায়েলটা হাতে নিয়ে বলছি তুমি না বলেছিলে সেই শৈশবে যে পায়েলটার সাথে কথা বললে মনে করবে আমার সাথে কথা বলবে কিন্তুু আজ তোমার দেয়া পায়েলটাকে নিয়েই বেচে আছি আর তুমি আমার আকাসের চাদ হয়ে অন্যের হৃদয় আকাশে জোৎসা বিলাচ্ছো কি অপরাধ ছিল তুমি না বলেছিল আমি কখনো নিজেকে এতিম মনে করবো না কিন্তুু আজ তুমিই এতিম বলে সম্বোধন করে বলো না কেনো ও সরি এইটা তো পায়েল তুমি না চোখ থেকে অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়রো এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম!!!
---------সকালে ঘুম থেকে উঠতেই দেখি ফোনটা কাপছে ফোনটা হাতে নিতেই দেখি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন!! তাই ফোনটা রিসিভ করতেই!!!ফোনের ওপাশ থেকে? একটা মেয়েলি কন্ঠস্বর ভেসে ওঠলো!!!

------হ্যালো রাজ!!!!!

----------- জি কে বলছেন!! (আমি)

--------- আমি অপরিচিতা তোমায় বিরক্ত করার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!!! (অপরিচিতা)

------- না ম্যাডাম বিরক্ত কেনো হবো হঠাৎ ফোন করলেন কেনো কোনো সমস্যা!! (আমি)

-------- শোনো রাজ মেয়েটা সকাল সকাল জিদ্দি ধরেছে তোমায় সাথে কথা বলবে কি করবো বলো তাই তোমাকে বিরক্ত করলাম!!!( অপরিচিতা)

------- হ্যালো বাবাই তুমি আমায় ভুলে গেছো কাল অফিস থেকে যাওয়ার সময় আমাকে বলে যাওনি!!! (রাইসা)

------ এদিকে রাইসার মুখে বাবাই ডাকটা শুনে কেমন জানি লাগতেছে মনে মনে কি বলবো তাই চুপ করে আছি!! (আমি)

------- বাবাই তুমি তো খুব দুষ্ট তুমি মহারানীর সাথে কথা বলছো না!! যানো না আমার সাথে কথা না বললে তোমার চাকরি থাকবেনা (রাইসা)

-------- ও মামনি সরি আর এমন হবেনা তুমি কি করছো এখন? (আমি)

------বসে আছি আর শুনো যে কারনে ফোন দেয়া অফিসে আসার সময় আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসবে বাবাই এখন রাখি হোমওয়াকক করবো!! (রাইসা)

------ ফোনটা রাখতেই চেয়ে দেখি পিছনে কথা তাই ফোনটা রেখে ফ্রেস হতে চলে গেলাম!!!

------ রুমে আসতেই অবাক হয়ে গেলাম দেখি কথা কাপড় পড়তেছে তাই চোখ দুটি হা দিয়ে বন্ধ করে ফেললাম!!! (আমি)

------ এদিকে চোখটা বন্ধ করতে না করতেই অ্যা অ্যা করে মনে হলো আকাশ থেকে বিদুৎ চমকালো!!!

------ ওই ছোটলোকের বাচ্চা বলেই ঠাস করে থাপ্পর দিয়ে বলতে লাগলো তোকে কতবার বলেছি রুমে আসলে নর্ক করে আসবি এর আগে সব দেখেছিস আবার এখনো না আমার সব শেষ আল্লাহ এই লুচ্চা আমার সব দেখে নিয়েছে!!! (কথা)

------- আপনি ভুল ভাবছেন যা মনে করছেন তার কিছুই দেখেনি!! (আমি)

-------তোদের মতো ছোটলোকদের আমার চেনা আছে মেয়েদের শরীল দেখার শখ!!! (কথা)

-------- আপনি কিন্তু limit cross করতেছেন বললাম তো কিছুই দেখিনি!! (আমি)
---- কি তোর মতো ছোটলোকের কাছে limit শিখতে হবে না আর না তোর সাথে একি ছাদের নিচে থাকা কোনো ভাবেই পসিবল না তোই আমাকে ডিভোর্স দে আমি বাবাকে খবর দিচ্ছি সামনে মাসে আমার জীবন সজিব আসবে!!! (কথা)

----- আচ্ছা আপনি যা বলছেন তাই হবে তবে প্লিজ মামাকে ডিভোর্স এর আগে কিছু বলবেনা না?? (আমি)

------- আচ্ছা তবে আজ থেকে আমার রুমে থাকবিনা পাসের রুমে থাকবি তোম মতো ছোটলোককে বিশ্বাস নাই!! (কথা)

------ মনে মমনে ভাবছি আল্লাহর কাছে কি এমন অপরাধ করছি যার জন্য বিয়ের রাতেও স্বামীর অধিকার থেকে বন্চিত থাকতে হয়!!
------ কি কথা বলছো না কেন!(কথা)!

-----আচ্ছা থাকবো কেমন এখন আসি তাহলে এই বলে চোখটা মুছে পিছন দিকে তাকাতেই দেখি পাখি দরজায়!!! পাখি তুমি কখন আসলে আর আমার বাসা কিভাবে চিনলে!!!? (আমি)

------না আমি তোমার বাসাটা আগে থেকেই চিনি আর তোমার পাশের যে বাসাটা আছে ওইটা আমি কিনে নিয়েছি তাই অফিস যাচ্ছি তোমাকে সাথে নিয়েই যাই? (পাখি)

------ আচ্ছা চলো তাহলে!! (আমি)

-------- হুম চলো!! (পাখি)

------- আচ্ছা রাজ একটা কথা বলবো??( পাখি)

------ হুম বলো কি বলবে এমন?? (আমি)

------ যাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসলে আজ সেই মেয়েটা তোমাকে এতিম বলে ডিভোর্স চাচ্ছে!! (পাখি)

----- পাখি আমি জানিনা তুমি কি দেখছো না কি শুনছো তবে যাই দেখে বা শুনে থাকো তা কাউকে প্লিজ বলোনা!! (আমি)

-------- তাই বলে আচ্ছা ঠিকআছে কেউ জানবেনা!! (পাখি)

------- এদিকে অফিসে আসতেই দেখি রাইসা চেয়ারে বসে আছে!!!

------ বাবাই বাবাই তুমি লেট করে আসলে কেন আর আমার আইসক্রিম কই!!না নিয়ে আসলে তোমার সাথে কথা নেই!! (রাইসা)

----- মহারানী ভিক্টোরিয়া এই যে নাও তোমার আইসক্রিম!! (আমি)

------ রাজ তোমার সাথে কিছু কথা আছে!!( অপরিচিতা)

----- জি ম্যাডাম বলেন!! (আমি)

------ মা রাইসা তুমি তোমার পাখি আন্টির সাথে খেলো কেমন!! শোন রাজ আমি জানি তুমি বিরক্ত বোধ করতেছে আমার মেয়েটা তোমাকে সারাক্ষণ জ্বালায় তোমাকে বাবাই ডাকে কি বলবো বলো জীবনে তার বাবাকে দেখেনি তো তাই জানো আমার মেয়েটা কারো সাথেই তেমন কথা বলতো না কিন্তু অফিসে তোমাকে দেখায় পর মেয়েটা কথা বলতে শিখেছে মেয়েটা হাসতে শিখেছে আর আমার মেয়ের জন্য তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!!( অপরিচিতা)

----- না ম্যাডাম কি বলছেন আপনি এইসব!!! আচ্ছা ম্যাডাম আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?( আমি)

------- হুম বলো!! (অপরিচিতা)

------- ম্যাডাম রািসার বাবার কি হয়েছে বলবেন একটু!!! (আমি)

---- আচ্ছা শোনো তাহলে আমার আর রিয়াদ এর বিয়েটা হয় arrange marriage খুব ভালোই চলছিলো দিনগুলো এরই মাঝে আমাদের ঘরে নতুন মেহমানের আবির্ভাব ঘটে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সব সুখ যেন আমাদের দোয়ারে এসে কাড়া নাড়ছিল কিন্তুু সুখ যে চিরস্হায়ী নয় যেদিন রাইসা পৃথিবীতে আসবে সেদিন রিয়াদ আমেরিকা থেকে ব্যবসা সক্রান্ত একটা কাজ সেষ করে বাড়ি ফিরছিল কিন্তুুু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ৯৭২ জন যাএী সহ বিমানটা নিখোজ হয়ে যায় জানো রিয়াদের মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারিনি আম মেয়েটা তার জন্মদিনে তার সবচেয়ে বড় আপনজন হারায় !এসব বলতে গিয়ে ম্যাড্যাম কেদে ফেললো!!

------- সরি ম্যাডাম আপনার কাছে আমার জানতে চাওয়াটা ঠিক হয়নি!! (আমি)

----- না রাজ সেইটা আমার ভাগ্যে ছিলো জানো রাজ তুমি ও অনেক বড় মনের মানুষ তুমি যে সেদিন একটা ফুল ওয়ালা মেয়েকে বোনের মর্যাদা দিলে সত্যি বলার মতো কিছু নেই!! (অপরিচিতা)

------ না ম্যাডাম তেমন কিছু না
আচ্ছা এইতো রাইসা মামনি তুমি কোথায় থেকে আসলা! "(আমি)

-------- জি বাবাই আমি লুকোচুরি খেলছি অফিসের সবার সাথে এই বলে দৌড়ে কুলে আসার জন্য আসতেই পড়ে গেলো মাথা ঘুড়িয়ে রাইসা!!!


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...