গল্প: ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা
পর্বঃ৫
-------- এদিকে পাখির মুখে আপনি ডাকটা শুনে অনেকটা অবাক হলাম যে পাখি কলেজে থাকা অবস্হায় তুই ছাড়া কোনো কথাই বলে নাই সবসময় ভালবাসি বলে কান ঝালা পালা করে সারতো আমার এখনো মনে আছে কলেজের একটা অনুষ্ঠানে মেয়েয়া শাড়ী আর ছেলেরা পান্জাবী পরবে কিন্তুু অনুষ্ঠানের দিন পাখির আসতে লেট হচ্ছে বলে তাদের বাসায় গেলাম!!!
---- বাবা রাজ তা কি মনে করে আসলে ( আঙ্কেল)
-------- আঙ্কেল কলেজে আজ তো অনুষ্ঠান তাই পাখি কে নিতে আসছি (আমি)
--- পাখি উপরে আছে যাও ( আঙ্কেল)
------- এদিকে উপরে পাখির রুমের কাছে গেতেই একটা শর্ক খেলাম কে জানি হাতটা টান দিয়ে রুমে ডুকিয়ে নিলো -!
-------এদিকে মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি পাখি ওই তুমি ওমন করে ভেতরে নিয়ে আসলে কেনো আমায় এই বলে দরজায় দিকে রওনা দিতেই!!
-------- রাজ তুমি যদি রুম থেকে বাহির হও তাহলে আমি চিল্লানি দিবো তুমি কেনো বুঝনা কলেজে কত বুঝিয়েছি ইশারার এই বলে এসে জড়িয়ে ধরলো!! (পাখি)
--------- হঠাৎ দেখি মেয়েটা ছোট বাচ্চার মতো আকড়ে ধরে আছে মনে হচ্ছে আমি হারিয়ে যাবো!!!
------- এদিকে ওকে ছাড়িয়ে বললাম কেনো বুঝছো না তুমি আমার বেস্ট একটা ফেন্ড এছাড়া অন্য কিছুই ভাবিনাই কি মনে করো হু একটা সম্পর্কের সম্মানবোধ আছে??? ( আমি)
---------- আমি কিছু বুজতে চাইনা আমি শুধু জানি আমি তোমাকে ভালবাসি!!! (পাখি)
-------- তুমি কি পাগল আমার দ্বারা তোমাকে ভালবাসা কোন দিনই পসিবল না!!! (আমি)
-------- রাজ দেখো আমি শাড়ি পড়তে পাচ্ছি না প্লিজ পড়িয়ে দাও নইলে আমি চিল্লানি দিবো
------ এদিকে পাখির কথা শুনে মনে মনে বলছি আল্লাহ দড়ি ফালাও বাইয়্যা বাইয়্যা ওইঠা পড়ি কি করবো!! (আমি)
------- কি পড়িয়ে দিবানা??
--------- তুমি আমার ফেন্ড কি বলো এইসব প্লিজ পাখি বুঝায় চেষ্টা করো!!? (আমি)
------তুমি পড়িয়ে দিবেনা গো নাকি চিল্লানি দিবো অ্যা অ্যা? (পাখি)
-------এদিকে মনে মনে ভাবছি এই মেয়ে চিল্লানি দিলে মানস্মান সব চান্দে ওঠে যাবে তাই চিল্লানি দিতেই মুখটা ধরে ফেললাম!! আস্তে আস্তে পাখির কাছে গিয়ে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি এমন বন্ধু যেন কোন ছেলরর ককপালে ননা ঝোটে!!! (আমি)
-------- এদিকে শাড়ি পড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে মেয়েটা আবার জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল রাজ একটু জায়গা দাও তোমার বুকে!!?(পাখি)
-------- এদিকে ওকে বুক থেকে সরিয়ে বললাম পাখি প্লিজ বন্ধুত্বটা রাখো!! (আমি)
--------রাজ আমি তোমাকে ছাড়া বাচবোনা কেনো বুঝনা আমার পাগলামি গুলি জানো জীবনে কোন ছেলেকে ভালো বাসিনি কিন্তু যেদিন কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তোমার সাথে ধাক্কা লাগায় তোমার চোখে চোখ পড়ে ঠিক তখনি হারিয়ে যায় তোমার দুষ্ট সে হাসির মাঝে জানো সে রাতটা আমি একমুহুতের জন্যও ঘুমাতে পারিনি সারাক্ষণ শুধু তোমার সেই ছবিটা হৃদয়ের আয়নার ভেসে ওঠে জানো পরের দিন ক্যাম্পাসে তোমাকে কতখুজেছি পড়ে জানতে পারি তুমি আমার ডিপার্টমেন্টে পড়ো তার পর তোমার সাথে বন্দুত্ব প্লিজ রাজ বুকে জায়গা দিতে না পারলেও তোমার বুকের একটা কোণায় জায়গা দাও কেদে কেদে !!!! (পাখি)
-------- আমি একটা মানুষ আর কতবার বলবো তুমি আমার ফেন্ড আর হ্যা তুমি যেমন তোমার হৃদয়ে আমাকে জায়গা দিয়েছো আমিও তেমনি আমার হৃদয়ের আকাশ জুড়ে শুধু একজনকেই ঠাই দিয়েছি সেই শৈশব থেকে তাকে হৃদয়ে লালন করে রাখছি আমি মরে গেলেও আমার হৃদয়ের শেষ স্পদনটাও শুধু আমার হৃদয়ের রাজকুমারীটার নাম বলবে!!(আমি)
------- রাজ জানতে পারি কি তোমার হৃদয়ের রাজকুমারীটার নাম কে সেই মেয়ে!!! (পাখি)
---------- হুম সে হচ্ছে আমার হৃদয়ের রাজকুমারী কথা আমার শৈশবের খেলায় সাথী আমি যখন মা বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ি তখন কথা আমাকে খাইয়ে দিয়েছে জানো ওর সাথে স্কুলে গেতাম সবাই এতিম বলে আমার সাথে কথা বলতো না তাই একটা কৃষ্ণচোড়া গাছের নিচে বসে কাদতাম আর আমার কান্না দেখে কথাও কান্না করতো আমার জন্য সে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতো না!!! একসাথে ছোটাছোটি করা সেউলি ফুলের মালা গেথে একে অপরকে পড়াতাম আমরা সবসময় জামাই বউ খেলতাম!!
!--------- কিন্তুু একদিন কথায় সাথে ঝগড়া করে তানিয়া নামে পাশের বাসার একটা মেয়ের সাথে বউ জামায় খেলতে দেখে তানিয়াকে কথা গিয়ে একটা থাপ্পর দিয়ে কাদতে কাদতে বাসায় এসে পড়ে!!!
-------ওই কথা কান্না করো না প্লিজ!!! (আমি)
-------- কান্না করবোনা কি করবো এই সব কিছু দেখায় আগে আল্লাহ আমাকে বাচায় রাখলো কেনো যাও তানিয়ার কাছে যাও আমার কাছে কেনো আমি তোমার কে কেউ হলে তুমি তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলতে কান্না করতে করতে কথাগুলো বললো!! (কথা)
------- আচ্ছা সরি কথা আর কখনো হবেনা সরি তো!! (আমি)
------- রাজ তানিয়া কি আমার চেয়ে সুন্দরী!!( কথা)
--------- হঠাৎ এমন কথা কেনো? (আমি)
------- প্লিজ বলো না বলো প্লিজ রাজ!! (কথা)
------ হুম আমার রাজকুমারীটাই সুন্দর ওই তো পেত্নী!!! (আমি)
------ হইছে আর বলতে হবেনা আর যদি পেন্তীর সাথে কথা বলতে দেখি তাহলে লবণ খেয়ে সুসাইড করবো বলে দিলাম ওই মেয়ের কওোবড়ো সাহস তোমার সাথে বউ জামাই খেলে!!! (কথা)
------ হা হা লবণ খেলে কেউ মরে নাকি??( আমি)
----- কি বলছে তুমি শোনা না আশিক ভাইয়ার মা বলে যে আগে যদি জানতো এওো ফাযিল হবে তাহলে ছোটবেলা লবণ খাইয়িরে মেরে ফেলতো হু তাই বললাম এর পর যদি ওই পেন্তীর দিকে তাকাও তাহলে আমি সত্যি সত্যি লবণ খাবো??? (কথা)
--------ওই রাজ তোদের ঝগড়া মিটমাট হইছে হলো খেতে আসই!!!( মামি)
-------আসতেছি মা তুমি খাবার রেডি করো দিয়ে যাও!!! (কথা)
------- এদিকে মামী খাবার দিয়ে গেলো খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে কথা আমাকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য মুখের কাছে খাবার নিতেই চোখ দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নামতে শুরু করলো!!!
----- ওই কাদো কেনো তুমি হু হু!! (কথা)
-------আমার মতো এতিম ছেলেকে কে খাইয়ে দেওয়ার কি আছে!!( আমি)
-------- ওই পাগল চুপ করবা আরেকবার এতিম বললে কান্না করবো কিন্তুু এবার হা করো সারাদিন তো কিছু খাওনি আমি মনে হয় কিছুই জানিনা!!
------- তুমিওতো খাওনি হু হু!! (আমি)
------- আচ্ছা হা করো খাইয়ে দিচ্ছি এইভাবে দুজন দুজনকে খাইয়ে দিলাম!!!
------- রাজ একটা কথা বলবো রাগ করবে না তো!! (কথা)
------- হুম বলো?? (আমি)
------- রাজ প্রভা আপু অন্ত ভাইয়াকে বলে ভালোবাসে রাজ ভালবাসা কি ???(কথা)
------ আমিও জানিনা কথা ভালোবাসা কি তবে মনে হয় এইটা ভালোকিছু হবে তখন আমরা দুজন ক্লাস ৩য় পড়ে আচ্ছা ম্যাডামকে বলবো কেমন???? (আমি)
------ আচ্ছা তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিছো আমাকে একটা পাপ্পি দাও নইলে আড়ি!!!( কথা)
-------- ওই ছি তুমি পচা আমার বুঝি লজ্জা করেনা!!! (আমি)
------- হইছে আমার লজ্জা ওয়ালা বরটা তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলতে লজ্জা কই রাখছিলা তানিয়া বললে তো ঠিকি দিতে এই বলে কাদতে লাগলো!!! (কথা)
------- আচ্ছা আমি দিচ্ছি প্লিজ কেদোনা চোখ বন্ধ করো নইলে আমার লজ্জা লাগে??? (আমি)
-------- ওকে চোখ বন্ধ করলাম? (কথা)
-------এদিকে কথার কপালে আলতে করে পাপ্পি একে দিলা!!!! (আমি)
------- ভালোই কাটতে ছিল দিনগুলো স্কুল ফাকি দিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া নীল দিঘীর পাশ থেকে কদম ফুল পেড়ে কথাকে দেওয়া সবই স্বপ্নের মতো চলতেছিল কিন্তুু যখনি ক্লাস ফ্লাইভে ওঠলাম তখনি জীবনে নেমে আসলো ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন!!!
পর্বঃ৫
-------- এদিকে পাখির মুখে আপনি ডাকটা শুনে অনেকটা অবাক হলাম যে পাখি কলেজে থাকা অবস্হায় তুই ছাড়া কোনো কথাই বলে নাই সবসময় ভালবাসি বলে কান ঝালা পালা করে সারতো আমার এখনো মনে আছে কলেজের একটা অনুষ্ঠানে মেয়েয়া শাড়ী আর ছেলেরা পান্জাবী পরবে কিন্তুু অনুষ্ঠানের দিন পাখির আসতে লেট হচ্ছে বলে তাদের বাসায় গেলাম!!!
---- বাবা রাজ তা কি মনে করে আসলে ( আঙ্কেল)
-------- আঙ্কেল কলেজে আজ তো অনুষ্ঠান তাই পাখি কে নিতে আসছি (আমি)
--- পাখি উপরে আছে যাও ( আঙ্কেল)
------- এদিকে উপরে পাখির রুমের কাছে গেতেই একটা শর্ক খেলাম কে জানি হাতটা টান দিয়ে রুমে ডুকিয়ে নিলো -!
-------এদিকে মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি পাখি ওই তুমি ওমন করে ভেতরে নিয়ে আসলে কেনো আমায় এই বলে দরজায় দিকে রওনা দিতেই!!
-------- রাজ তুমি যদি রুম থেকে বাহির হও তাহলে আমি চিল্লানি দিবো তুমি কেনো বুঝনা কলেজে কত বুঝিয়েছি ইশারার এই বলে এসে জড়িয়ে ধরলো!! (পাখি)
--------- হঠাৎ দেখি মেয়েটা ছোট বাচ্চার মতো আকড়ে ধরে আছে মনে হচ্ছে আমি হারিয়ে যাবো!!!
------- এদিকে ওকে ছাড়িয়ে বললাম কেনো বুঝছো না তুমি আমার বেস্ট একটা ফেন্ড এছাড়া অন্য কিছুই ভাবিনাই কি মনে করো হু একটা সম্পর্কের সম্মানবোধ আছে??? ( আমি)
---------- আমি কিছু বুজতে চাইনা আমি শুধু জানি আমি তোমাকে ভালবাসি!!! (পাখি)
-------- তুমি কি পাগল আমার দ্বারা তোমাকে ভালবাসা কোন দিনই পসিবল না!!! (আমি)
-------- রাজ দেখো আমি শাড়ি পড়তে পাচ্ছি না প্লিজ পড়িয়ে দাও নইলে আমি চিল্লানি দিবো
------ এদিকে পাখির কথা শুনে মনে মনে বলছি আল্লাহ দড়ি ফালাও বাইয়্যা বাইয়্যা ওইঠা পড়ি কি করবো!! (আমি)
------- কি পড়িয়ে দিবানা??
--------- তুমি আমার ফেন্ড কি বলো এইসব প্লিজ পাখি বুঝায় চেষ্টা করো!!? (আমি)
------তুমি পড়িয়ে দিবেনা গো নাকি চিল্লানি দিবো অ্যা অ্যা? (পাখি)
-------এদিকে মনে মনে ভাবছি এই মেয়ে চিল্লানি দিলে মানস্মান সব চান্দে ওঠে যাবে তাই চিল্লানি দিতেই মুখটা ধরে ফেললাম!! আস্তে আস্তে পাখির কাছে গিয়ে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি এমন বন্ধু যেন কোন ছেলরর ককপালে ননা ঝোটে!!! (আমি)
-------- এদিকে শাড়ি পড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে মেয়েটা আবার জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল রাজ একটু জায়গা দাও তোমার বুকে!!?(পাখি)
-------- এদিকে ওকে বুক থেকে সরিয়ে বললাম পাখি প্লিজ বন্ধুত্বটা রাখো!! (আমি)
--------রাজ আমি তোমাকে ছাড়া বাচবোনা কেনো বুঝনা আমার পাগলামি গুলি জানো জীবনে কোন ছেলেকে ভালো বাসিনি কিন্তু যেদিন কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তোমার সাথে ধাক্কা লাগায় তোমার চোখে চোখ পড়ে ঠিক তখনি হারিয়ে যায় তোমার দুষ্ট সে হাসির মাঝে জানো সে রাতটা আমি একমুহুতের জন্যও ঘুমাতে পারিনি সারাক্ষণ শুধু তোমার সেই ছবিটা হৃদয়ের আয়নার ভেসে ওঠে জানো পরের দিন ক্যাম্পাসে তোমাকে কতখুজেছি পড়ে জানতে পারি তুমি আমার ডিপার্টমেন্টে পড়ো তার পর তোমার সাথে বন্দুত্ব প্লিজ রাজ বুকে জায়গা দিতে না পারলেও তোমার বুকের একটা কোণায় জায়গা দাও কেদে কেদে !!!! (পাখি)
-------- আমি একটা মানুষ আর কতবার বলবো তুমি আমার ফেন্ড আর হ্যা তুমি যেমন তোমার হৃদয়ে আমাকে জায়গা দিয়েছো আমিও তেমনি আমার হৃদয়ের আকাশ জুড়ে শুধু একজনকেই ঠাই দিয়েছি সেই শৈশব থেকে তাকে হৃদয়ে লালন করে রাখছি আমি মরে গেলেও আমার হৃদয়ের শেষ স্পদনটাও শুধু আমার হৃদয়ের রাজকুমারীটার নাম বলবে!!(আমি)
------- রাজ জানতে পারি কি তোমার হৃদয়ের রাজকুমারীটার নাম কে সেই মেয়ে!!! (পাখি)
---------- হুম সে হচ্ছে আমার হৃদয়ের রাজকুমারী কথা আমার শৈশবের খেলায় সাথী আমি যখন মা বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ি তখন কথা আমাকে খাইয়ে দিয়েছে জানো ওর সাথে স্কুলে গেতাম সবাই এতিম বলে আমার সাথে কথা বলতো না তাই একটা কৃষ্ণচোড়া গাছের নিচে বসে কাদতাম আর আমার কান্না দেখে কথাও কান্না করতো আমার জন্য সে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতো না!!! একসাথে ছোটাছোটি করা সেউলি ফুলের মালা গেথে একে অপরকে পড়াতাম আমরা সবসময় জামাই বউ খেলতাম!!
!--------- কিন্তুু একদিন কথায় সাথে ঝগড়া করে তানিয়া নামে পাশের বাসার একটা মেয়ের সাথে বউ জামায় খেলতে দেখে তানিয়াকে কথা গিয়ে একটা থাপ্পর দিয়ে কাদতে কাদতে বাসায় এসে পড়ে!!!
-------ওই কথা কান্না করো না প্লিজ!!! (আমি)
-------- কান্না করবোনা কি করবো এই সব কিছু দেখায় আগে আল্লাহ আমাকে বাচায় রাখলো কেনো যাও তানিয়ার কাছে যাও আমার কাছে কেনো আমি তোমার কে কেউ হলে তুমি তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলতে কান্না করতে করতে কথাগুলো বললো!! (কথা)
------- আচ্ছা সরি কথা আর কখনো হবেনা সরি তো!! (আমি)
------- রাজ তানিয়া কি আমার চেয়ে সুন্দরী!!( কথা)
--------- হঠাৎ এমন কথা কেনো? (আমি)
------- প্লিজ বলো না বলো প্লিজ রাজ!! (কথা)
------ হুম আমার রাজকুমারীটাই সুন্দর ওই তো পেত্নী!!! (আমি)
------ হইছে আর বলতে হবেনা আর যদি পেন্তীর সাথে কথা বলতে দেখি তাহলে লবণ খেয়ে সুসাইড করবো বলে দিলাম ওই মেয়ের কওোবড়ো সাহস তোমার সাথে বউ জামাই খেলে!!! (কথা)
------ হা হা লবণ খেলে কেউ মরে নাকি??( আমি)
----- কি বলছে তুমি শোনা না আশিক ভাইয়ার মা বলে যে আগে যদি জানতো এওো ফাযিল হবে তাহলে ছোটবেলা লবণ খাইয়িরে মেরে ফেলতো হু তাই বললাম এর পর যদি ওই পেন্তীর দিকে তাকাও তাহলে আমি সত্যি সত্যি লবণ খাবো??? (কথা)
--------ওই রাজ তোদের ঝগড়া মিটমাট হইছে হলো খেতে আসই!!!( মামি)
-------আসতেছি মা তুমি খাবার রেডি করো দিয়ে যাও!!! (কথা)
------- এদিকে মামী খাবার দিয়ে গেলো খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে কথা আমাকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য মুখের কাছে খাবার নিতেই চোখ দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নামতে শুরু করলো!!!
----- ওই কাদো কেনো তুমি হু হু!! (কথা)
-------আমার মতো এতিম ছেলেকে কে খাইয়ে দেওয়ার কি আছে!!( আমি)
-------- ওই পাগল চুপ করবা আরেকবার এতিম বললে কান্না করবো কিন্তুু এবার হা করো সারাদিন তো কিছু খাওনি আমি মনে হয় কিছুই জানিনা!!
------- তুমিওতো খাওনি হু হু!! (আমি)
------- আচ্ছা হা করো খাইয়ে দিচ্ছি এইভাবে দুজন দুজনকে খাইয়ে দিলাম!!!
------- রাজ একটা কথা বলবো রাগ করবে না তো!! (কথা)
------- হুম বলো?? (আমি)
------- রাজ প্রভা আপু অন্ত ভাইয়াকে বলে ভালোবাসে রাজ ভালবাসা কি ???(কথা)
------ আমিও জানিনা কথা ভালোবাসা কি তবে মনে হয় এইটা ভালোকিছু হবে তখন আমরা দুজন ক্লাস ৩য় পড়ে আচ্ছা ম্যাডামকে বলবো কেমন???? (আমি)
------ আচ্ছা তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিছো আমাকে একটা পাপ্পি দাও নইলে আড়ি!!!( কথা)
-------- ওই ছি তুমি পচা আমার বুঝি লজ্জা করেনা!!! (আমি)
------- হইছে আমার লজ্জা ওয়ালা বরটা তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলতে লজ্জা কই রাখছিলা তানিয়া বললে তো ঠিকি দিতে এই বলে কাদতে লাগলো!!! (কথা)
------- আচ্ছা আমি দিচ্ছি প্লিজ কেদোনা চোখ বন্ধ করো নইলে আমার লজ্জা লাগে??? (আমি)
-------- ওকে চোখ বন্ধ করলাম? (কথা)
-------এদিকে কথার কপালে আলতে করে পাপ্পি একে দিলা!!!! (আমি)
------- ভালোই কাটতে ছিল দিনগুলো স্কুল ফাকি দিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া নীল দিঘীর পাশ থেকে কদম ফুল পেড়ে কথাকে দেওয়া সবই স্বপ্নের মতো চলতেছিল কিন্তুু যখনি ক্লাস ফ্লাইভে ওঠলাম তখনি জীবনে নেমে আসলো ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন!!!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন