সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ১০ দিনের বউ (৪র্থ পার্ট)

  গল্প: ১০ দিনের বউ

(৪র্থ পার্ট)
রাতে খাওয়া হবে না শুনে পেটটা কামড় দিয়ে উঠলো.
-ঐ খাওয়া বন্ধ মানে? (আমি)
-বন্ধ মানে বন্ধ.... (নূপুর)
-কেন!
-কেন মানে! তুই আমি কেউ ই রান্না জানি না... তাহলে তো রাতে রান্না হবে না. So খাওয়া বন্ধ....
-কিছু তো কর্ প্লিজ...
-আচ্ছা শোন্ বাসায় না হয় রান্না হলো ই না... কিন্তু বাইরে তো খাওয়া ই যায়.
-মানে?

-কি আর মানে... চল্ রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেয়ে নেবো
-আহ কি কপাল আমার.... বাসায় বউ থেকেও বাইরে গিয়ে খেতে হবে... ইসস কতো শখ করে বাজার এনেছিলাম.. সেই শখে তুই তালা মেরে দিলি....
-ঐ আমাকে বলে বাজার এনেছিলি কি... আমাকে দোষ দিচ্ছিস কেন.. আমি বলেছিলাম নাকি বাজার আন্
-বুঝছি মা বুঝছি.. তোর সাথে কথায় পারা যাবে না... এখন বাইরে ই চল্.. কি আর করবো...
-হিহিহি হ্যা দাড়া আমি রেডি হয়ে আসি..
-হুম আমিও হাত মুখ ধুয়ে আসি
-ঠিক আছে

-হুম
রাতে আমি আর নূপুর রেস্তোরাঁ তেই ডিনার সেরে আসলাম.....
রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে এদিক সেদিক অনেক ঘুরাঘুরি করেছি দুজন.... নতুন জায়গা.. ঘুরাঘুরি করতে খুব ভালোই লাগছিলো...
রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফিরলাম....
-আমার খুব ঘুম পাচ্ছে রে..... (শার্টের বাটন খুলতে খুলতে)
নূপুর চোখ বড় বড় করে বিপরীত দিকে ঘুরে গেলো...
-ঐ কি করছিস!

-চেঞ্জ করছি...
তারপর চোখ হাত দিয়ে ঢেকে দিলো...

-ঐ ঐ তুই আমার সামনে শার্ট চেঞ্জ করবি না.... (চেঁচিয়ে)
-আজব..... প্রবলেম কি তোর.... (অবাক হয়ে)
-তুই খালি গায়ে আমার সামনে থাকবি না...
-What the....!! হলো কি তোর.
-আমার কেমন জানি লাগে। থাকবি না বললাম ব্যস.... (লজ্জায় চেচিয়ে বলল)
-কি ইয়ার... চেঞ্জ করছি আমি আর লজ্জা লাগে তোর..
-কারণ তুই আমার সামনে চেঞ্জ করছিস

-তাহলে তুই এখান থেকে চলে গেলেই তো হয়
-তুই যা এখান থেকে...
-কই যাবো...
-বাথরুমে যা...
-এতোটুকুন একটা শার্ট চেঞ্জ করার জন্য বাথরুমে যাবো..!

-হ্যা যা... তোর লজ্জা নাই?
-আজব... আমি তো বাসায় বা মেসে এভাবেই.... .(কথাটা সম্পূর্ণ করতে পারলাম না)
-এ শোন্ এটা তোর বাসা বা মেস না...তো তুই এখানে খালি গায়ে থাকবি না..
-ইসসস আমার খুব গরম লাগছে....
-লাগুক... ঐ একটা মেয়ের সামনে এভাবে থাকতে তোর লজ্জা লাগে না...

-তুই দেখছি সত্যিই আজব...
-তুই আজব.... যা এখানে থেকে গিয়ে চেঞ্জ কর্ আর খালি গায়ে আসবি না.. কিছু একটা পড়ে আসবি
-আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে... আমি যাচ্ছি এখান থেকে.. চোখ খুল্
-তুই যা আগে...
-হুম

কিছুক্ষণ পর একটা পাতলা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বের হলাম....
-এইতো ঠিক আছে....(নূপুর)
-পেত্নি..
-ভুত ঘুমা এখন..
-হুম ঘুমাবো...
-ঐ তুই বেডের দিকে আসছিস কেন..?
-ঘুমাবো তাই...
-ঐ তুই বেডে ঘুমাবি নাকি.... যা গিয়ে সোফায় ঘুমা....
-এতো বড় খাটে তুই একা ঘুমাবি...!

-হ্যা ঘুমাবো.. যা তুই সোফায় যা...
-আমরা তো শেয়ার করে করে ঘুমাতে পারি নাকি..?
-কিহহহ বললি... ঐ তোকে বললাম না সোফায় যেতে...যা.. নাহলে কিন্তু.... (চোখ রাঙিয়ে)
-হুহ... শুরু হয়ে গেলো ব্ল্যাক মেইল... যাচ্ছি...
-হ্যা যা
আমি গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়লাম... আর নূপুর সারা বিছানা একাই দখল করে ঘুমাচ্ছে..
-হৃদুউউউ... (নূপুর)
-কি
-তুই না খুব ভালো ছেলে...

-কি করতে হবে বল্...
-হিহি.. লাইট টা বন্ধ কর.. আর ডিম লাইট টা জ্বালিয়ে দে....
-নিজে কর্ না....
-তোকে না ভালো ছেলে বললাম....
-হুম জানি তো কাজের সময় আমি ভালো ছেলে হয়ে যাই... আর এমনি তে গরু ছাগল ভুত ব্লা ব্লা...
-হিহি ধ্যত এমন বলিস ক্যান.. যা না বন্ধ কর্
-হুম...

লাইট টা বন্ধ করে শুয়ে পড়তে যাচ্ছিলাম এমন সময় নূপুর চিৎকার করে উঠলো.
-ঐ ডিম লাইট টা জ্বালা আ আ... আমার ভয় করেএএ... (নূপুর
-ভীতুর ডিম একটা..... (বিড় বিড় করে)
-কিছু বললি নাকি?

-না কিছু না....
ডিম লাইট অন করে গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়লাম...
-হৃদুউউউ... (নূপুর)
-মা জানি আমি ভালো ছেলে.. এখন বলে দে আবার কি দরকার...
- আসলে আমার না একা একা ঘুমাতে ভয় করে....

-ওও আচ্ছা আমি এসে শুয়ে পড়ছি তোর কাছে...
-চুউপ... কি বলি আগে শোন্
-আচ্ছা বল্..
-বলছিলাম তুই সোফা থেকেই আমার দিকে নজর রাখবি কেমন...?
-আচ্ছা তুই হোস্টেলে কীভাবে ঘুমাতি বল্ তো..?
-আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে...
-ছেলে না মেয়ে?
-আজব... অবশ্যইই মেয়ে...

-আচ্ছা আচ্ছা... এখন ঘুমা।।
-হুম তুই আমার দিকে ফিরে ঘুমাবি কিন্তু....
-আচ্ছা ঠিক আছে বাবা...
-হুম Good night
-Good night
নূপুর চোখ বন্ধ করে তারপর শুয়ে পড়লো...
আর আমি এসব কথা মনে করে মনে মনে হাসছিলাম.... হিহি কি ভীতু একটা মেয়ে... পাগলি একটা...
তারপর আমিও নূপুরকে দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লাম...
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নূপুর তখনো ঘুমাচ্ছে...

আমি সোফা থেকেই ওকে দেখতে লাগলাম... ইসস একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগছে... কি ইনোসেন্ট চেহারা.
ওকে দেখে আমি একা একাই হাসছিলাম...
হাসতে হাসতে আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম...
ঘড়ির দিকে তাকিয়েই আমার হাসি ফুরুউৎ.....
হায় হায়.. আমার তো আজ অফিস আছে.. মনেই নেই....
উউফফ তাড়াতাড়ি তৈরি হতে হবে.. নাহলে দেরি হয়ে যাবে...
দৌড়ে বাথরুমে গেলাম... গিয়ে দ্রুত ব্রাশ করে ফ্রেস হয়ে বের হলাম...
বেরিয়ে দেখি নূপুর উঠে বিছানাও গুছিয়ে ফেলেছে....
-উঠে পড়েছিস? (আমি)

-হ্যা দেখলাম তুই তাড়াহুড়ো করছিস.. কি হয়েছে.. (ঘুম ঘুম সুরে)
-আরে আর বলিস না অফিস আছে আজ..
-সেকি..... গত রাতে বলিস নি কেন?
-আমার খেয়াল নাই রে...
-আমারো তো নাই...

-আচ্ছা এখন তাড়াতাড়ি রেডি হই...
-হুম আমিও ফ্রেস হয়ে আসি...
-হুম
আমি রেডি হয়ে ব্যাগ হাতে নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম...
-কি রে খেয়ে যাবি না...?
-না রে দেরি হয়ে যাবে.... আর কিছু তো নেই ও খাওয়ার মতো.. মাত্রই তো উঠলাম আমরা..
-উফফ তুই কাল রাতে একটা বার তো বলতে পারতি...
-সত্যিই মনে ছিলো না রে...
-আচ্ছা তুই একটু বস আমি কিছু একটা রেডি করে দিচ্ছি...

-না না লেট হয়ে যাবে.... আমি যাই এখন
-না খেয়ে চলে যাবি..? একটু বস্ না... না রে বসার সময় নেই.. আর আমি জল খেয়েছি.
-জল খেয়েই হয়ে গেলো তোর..?
-হুম হলো.. আমি যাই এখন... তুই খেয়ে নিস কিন্তু...
-আর তুই?
-আমি বাইরে কিছু খেয়ে নেবো নে..
-সত্যিই খাবি তো..?
-হুম.... আচ্ছা যাই

-হুম...
বেরিয়ে যাচ্ছিলাম এমন সময় নূপুর আবার ডাক দিলো
-ঐ শোন্ (নূপুর)
-হ্যা বল্
নূপুর আমার সামনে এসে দাঁড়ালো....
-চোখ বন্ধ কর্
-ইস এখন কোনো দুষ্টামি না নূপুর.. আমি অফিস থেকে আসি.. তারপর...
-আরে দুষ্টামি না.. তুই জাস্ট একটু চোখ টা বন্ধ কর্
-আচ্ছা নে করলাম... (চোখ বন্ধ করে)

চোখ বন্ধ করার নূপুর আমার ডান গালে ধরে বাম গালে একটা চুমু দিলো.
আমার গালে নূপুরের ঠোটের ছোঁয়া পেয়ে আমি চমকে উঠলাম...
আমি তাড়াতাড়ি চোখ খুলে নূপুরের দিকে তাকালাম.. অবাক হয়ে একটা হাসি দিলাম...
-এটা কি হলো...? (আমি)
-বরকে আদর খাওয়ালাম... (লজ্জা পেয়ে)
-হাহাহাহা.... আরেকটু দিলে ভালো হইতো.. পেট ভরে নাই

- ধুর এটায় আবার পেট ভরে নাকি.. ঐ অফিসে গিয়ে খেয়ে নিস কিন্তু...
-জানি না... But মন ভরে Sure...
-ধ্যত.... আমি তো এটা এমনি দিলাম...
-জাস্ট এমনি?
-হুম....
-ওও....

-ঐ তোর না অফিসের দেরি হচ্ছে....
-এখন হচ্ছে না...
-এএএহ.. এতোক্ষন তো দাড়ানোর ও সময় ছিলো না..
-এখন আছে..
-দেখি যা যা... (আমাকে জোর করে ঠেলে ঠেলে বের করে দিয়ে)
-আরে বাবা যাচ্ছি তো...
-হুম খেয়ে নিস কিন্তু বার বার বলছি..
-হুম তুইও...

-হুম...
-দরজাটা লক করে নিস ভেতর থেকে..
-আচ্ছা বাবা তুই যা এখন..
-হুম টাটা..

-বাই...
আমি নিজে নিজেই হাসতে হাসতে বের হলাম বাসা থেকে...
যাই হোক, অফিস যেতে দেরি হয় নি.
অফিসে Lunch Time এর আগে নূপুরের Call এল...
-হ্যা নূপুর বল্ (আমি)
-কি করছিস....?

-আর কি... তোর সাথে ফোনে কথা বলছি... তুই?
-আমিও.... খেয়েছিলি কিছু..?
এহেরে.. কিছু তো খাই নি.. নূপুর বার বার বলেছিলো কিছু খেয়ে নিতে... এখন কি বলি..
-ঐ কি হল? খেয়েছিস? (নূপুর)
-হহ্যা খে..খেএয়েছি..ই তোও... (মিথ্যা বললাম)
-শয়তান কোথাকার... মিথ্যা বলছিস কেন?
-ক্কই মিইথ্যা আ বললাম?
-চুপ কর্... তোর কথা শুনেই বুঝতে পারি আমি... কাছে থাকলে তোর চোখ দেখেই বুঝে ফেলতাম...
-কীভাবে বুঝিস...?

-জানি না... (অপ্রস্তুত ভাবে)
-তুই খেয়েছিস?
-হুম.. কিন্তু তুই খাস নি কেন?????
-না আসলে সময় পাই নি... আর তুই তো একটা জিনিস খাইয়ে দিয়েছিলি....
-আর খাওয়াবো না...
-কেএএনঅঅ??
-কেন মানে....

-খাওয়াবি খাওয়াবি খাওয়াবি.. একশো বার খাওয়াবি.. হাজার বার খাওয়াবি.. আনলিমিটেড বার খাওয়াবি..
-কেন খাওয়াবো
-বউ না তুই আমার..?
-এহ.. 'বউ না তুই আমার'... মাত্র ১০দিনের....
-হোক গা... বউ তো বউ ই..
-হইসে... এখন বল্ তোর Lunch Time কখন?
-এইতো আর ২০মিনিট পর.. (ঘড়ি দেখে)
-আচ্ছা.. কিছু খেয়ে নিবি কিন্তু তখন..! নাহলে কিন্তু...
-আচ্ছা বুঝছি.. ব্ল্যাকমেইল করবি...
-হিহিহি হুম...

-আচ্ছা রে এখন রাখি.. একজন ক্লায়েন্ট অপেক্ষা করছে..
-ওকে বাই..
-হুম...
.
বেশ কিছুক্ষন পর...
Lunch সেরে মাত্র একটু চেয়ারে হেলান দিয়েছি...
নূপুর আবার ফোন করলো...
-ঐ খেয়েছিস...? (নূপুর)

-হ্যা রে হ্যা... (আমি)
-সত্যি তো?
-একদম পাক্কাওয়ালা সত্যি.
-কি খেয়েছিস..?
-পরোটা আর ডিম ভাজি.
-আর কিছু না?
-না তুই খেয়েছিস দুপুরে?
-না খাবো এখন..

-আচ্ছা তাড়াতাড়ি খেয়ে নে...
-হুম... অফিস থেকে কখন ফিরবি?
-কেন?
-আরে বল্ না..
-যখন ফিরি তখন ই তো...
-ওও..
-হুম..

-আচ্ছা রাখি এখন..?
-আচ্ছা...
-রাখি ছাগল..?
-সেকি ছাগল রেখে কি করবি... ছাগল পালনের শখ জাগলো নাকি..?
-ধ্যত আমি তোকে বললাম. তুই থাকতে আর দ্বিতীয় কোনো ছাগলের দরকার নাই আমার.
-হাহাহা আচ্ছা ছাগলনি রাখ.
-হুম...
একটা হাসি দিয়ে ফোনটা রেখে দিলাম.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...