সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে পর্বঃ ০৪

গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে

পর্বঃ ০৪
মেঘলা: এই এইদিকে আয় |
তখন একটু না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছি পরে আবার ডাকদিলো এইবার ডাক দিলো না ইয়া বড় একট ইট মারলো কোনো রকম বেচে গেলাম আর না হলে তো মাথা টা ফেটে যেতো পরে আমি তার কাছে গিয়ে বল্লাম
আমি: কি তোমার সমস্যাটা কি এখনি তো মাথাটা ফেটে যেতো?
মেঘলা: প্রথমে তোকে ডাক দিছি না শুনিস নি কেন ?
আমি: কই কখন ডাক দিলা ?
যেই বল্লাম তখন শক্ত করে কানটা দরলো আর বল্লো

মেঘলা: তোর কানে সমস্যা আছে বুঝেছি |
আমি: এই ছারো ব্যাথা লাগছে |
মেঘলা: আগে বল আমাকে ফেসবুকে একসেপ্ট করিস নি কেন?
আমি: আরে আগে কান টা ছারো তারপর বলতেছি |
মেঘলা: ছারলাম এখন বল |
আমি: আসলে আমি তো ফেসবুকেই ঢুকি না |
মেঘলা: কেনো কি হইছে ?
আমি: ঢুকবো কার জন্য আমার কি কেও আছে ফেসবুকে তাছারা একটা জি এফ ও নাই তাই ভালো লাগে না |
মেঘলা: ওরে বাবা জি এফ নেই বলে কি চালানো যাবে না যাইহোক আজ স্কুল ছুটি হলে বাসায় গিয়ে আমাকে একসেপ্ট করবি |
আমি: আমার বয়েই গেছে তোমার জন্য আমি ফেসবুক চালাবো|

মেঘলা: কি বল্লি ?
আমি: এইরে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে দূর তোমার জন্য দেরি হয়ে গেছে|
অতঃপর ক্লাসে চলে গেলাম দেখি স্যার ক্লাস করাচ্ছে অতঃপর বল্লাম
আমি: স্যার আসতে পারি ?
রবিউল স্যার: বাসায় কি বউ বাচ্চা রেখে আসছো নাকি?
আমি: কি বলেন স্যার আমি তো বিয়েই করি নি

রবিউল স্যার: বেয়াদব ছেলে তাহলে প্রতিদিন দেরি হয় কেনো হুম ?
আমি: সরি স্যার আর হবে না |
রবিউল স্যার: আসো |
অতঃপর ক্লাস করলাম দূর আজ গুন্ডি মেয়েটার জন্য দেরি হলো একটু পর দেখি পিয়ন এসে বলছে-

পিয়ন: এখানে আবির কে ?
তখন আমি বল্লাম----> জী আমি |
পিয়ন: তোমাকে হেডস্যার ডাকছে |
আমি তো অবাক হলাম হঠাৎ আমাকে ডাক দিবে পরে গেলাম হেড স্যারের রুমে পরে বল্লাম

আমি: স্যার আসতে পারি ?
স্যার: আসো |
আমি: স্যার আপনি নাকি আমাকে ডেকেছেন ?
স্যার: তাহলে তুমি আবির ?
আমি: জী স্যার ?
স্যার: এই তোমার তো সাহস কম নয় তুমি নাকি আমার মেয়েকে ফেসবুকে ডিস্টাব করো ?
আমি তো পুরাই থ যাকে এখনো একসেপ্ট করলাম না তাকে নাকি আমি ডিস্টাব করি বুঝেছি ঐ গুন্ডি মেয়েকে একসেপ্ট করি নি দেখে মিথ্যা বলছে পরে আমি বল্লাম

আমি: স্যার আপনার মেয়ে আছে ?
স্যার: এই বেয়াদব ছেলে আমার সাথে ফাইজলামি করো একে বারে বের করে দিবো স্কুল থেকে |
আমি: সরি স্যার |
স্যার: যাও ক্লাসে আর জানো কখনো না দেখি এরকম |
আমি: ওকে স্যার |
দূর আজ যে কার মুখ দেখলাম স্কুলে এসেও শান্তি নেই এদিকে গুন্ডি মেয়ে আর হেড স্যার দূর আর ভালো লাগে না |
অতঃপর টিফিন দিলো ক্যান্টিনে যাবো তখন দেখি মেঘলা আপু বসে আছে আর তার লেডি গেং পরে আমি বল্লাম

আমি: এটা কিন্তু ঠিক হলো না |
মেঘলা: কেনো কি করলাম ?
আমি: তুমি তোমার আব্বুকে বলছো আমি নাকি তোমাকে ডিস্টাব করি ?
মেঘলা: তাহলে তখন বল্লি কেনো যে একসেপ্ট করবি না ?
আমি: তাই বলে এরকম বড় মিথ্যা ?
মেঘলা: আহারে আব্বু কি বেশি বকা দিছে ?
আমি: কথা বলবা না যাও

মেঘলা: যাই গিয়ে আবার বলি যে আমাকে কথা বলতে হুমকি দিছে?
আমি: এই না প্লিজ তুমি এরকম কেনো কিছু করলাম না তাও অপরাধ ?
মেঘলা: হাহাহা আমি এরকমি |
আমি: বাপটা যেমন মেয়ে টাও তেমন |
মেঘলা: এই কি বল্লি আমার বাবা কেমন ?
আমি: না না খুব সুন্দর তোমার আব্বু যে কেও ক্রাশ খাবে |
মেঘলা: হারামজাদা আমার আব্বুকে নিয়ে ফাইজলামি খারা |
অতঃপর সে একটা এক লিটার কোকাকোলা কিনে আমার শরির টাকে ভিজিয়ে দিছে তখন আমি বল্লাম

আমি: হায়রে আজ এখানেই গোসল হয়ে গেছে |
মেঘলা: আমার রাগের বেপারে জানস না|
আমি: আহারে খুব মজা লাগতেছে|
মেঘলা: কেনো তোর গায়ে আমি কোকাকোলা এক লিটার ঢেলে দিলাম তাহলে মজা আসলো কোথায় থেকে ?
আমি: আসলে তুমি চিন্তা করো এখন আমি আর তুমি যদি গসল খানায় থাকতাম আর তুমি আমাকে কোকাকোলা ঢেলে দিচ্ছ আহারে কি মজাই হতো থাক বাকিটা বল্লাম না লজ্জা করতেছে|
মেঘলা: আবিরের বাচ্চা ঐ তোরা ওরে ধর |

চাচা আপন প্রান বাচা দিলাম দৌর উফফ বেচে গেলাম যে মেয়েরে বাবা বাপের জন্মে ও দেখি নি ও থুক্কু আমি তো আমার আব্বুর পরে হইছি |
অতঃপর সেদিন স্কুল করে বাসায় গেলাম খাওয়া দাওয়া করে একটু ফেসবুকে ডুকলাম কারন ঐ গুন্ডি মেয়ের জন্য অতঃপর তাকে একসেপ্ট করলাম তার কিছু ক্ষন পরই দেখি আমাকে মেসেজ দিলো-

মেঘলা: আচ্ছা সাদা কাপরের দাম কত জানিস ?
আমি: আহারে শেষ পর্যন্ত তুমি বিদবা হইয়া গেলা এই আচ্ছা তোমার স্বামীর ৪০শা কবে অনেক দিন ধরে খাই না |
মেঘলা: হারামজাদা কালকে তোকে মার্ডার করবো তাই আগে থেকে সাদা কাপরের দাম জিগ্গাসা করলাম |
আমি: ওহ আচ্ছা.... এই কি বল্লা তুমি মার্ডার করবা তাও আমাকে প্লিজ এরকম করো কেনো আমি তো নিষ্পাপ প্লিজ আমাকে ছেরে দাও আমি বিয়ে করে মরতে চাই |
মেঘলা: হাহাহা শখ কত |
আমি: প্লিজ আমাকে মাইরো না তুমি যা বলবা তাই করবো |

মেঘলা: সত্যি বলসিস ?
আমি: চৌদ্দ সত্যি |
মেঘলা: চৌদ্দ সত্যি কেনো বল্লি?
আমি: সবাই তো বলে চৌদ্দ গুষ্টি আমি বলি চৌদ্দ সত্যি |
মেঘলা: হাহাহা আচ্ছা একটা গান শুনা |
আমি: কিভাবে শুনাবো তুমি তো অনলাইনে তা ছারা আমি গান টান পারি না |
মেঘলা: কেনো লিখে শুনাবি আর না পারলে ও বলতে হবে তুই বলসিস আমার কথা শুনবি ?
আমি: আচ্ছা বলছি |

মেঘলা: হুম বল |
আমি: তুমি দিও নাগো বাসর ঘরের বাত্তি লিবাইয়া আমি অন্ধ ঘরে বদ্ধ হয়ে যাবো মরিয়া |
মেঘলা: হারামজাদা আর কোনো গান পাশ নাই ?
আমি: কেনো খারাপ হইছে আচ্ছা আর একটা বলছি |
মেয়ে: হুম বল |

আমি: তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ের শুখের দোলা তোমাকে আমি ভুলতে পারি..... [বাকিটা আর পারি না]
মেঘলা: কেও আমাকে মেরে ফেল তুই কি এগুলো গান শুনিস ?
আমি: কেনো এগুলো তো খুব ভালো গান আচ্ছা রোমান্টিক গান বলবো ?
মেঘলা: দেখি বল |
আমি: ঐ জাকা নাকা জাকা নাকা দেহো দলা না মন বলে মন বলে দেহো দিবা না |
মেঘলা: হাহাহা এই তোর আর গান বলা লাগবে না গিয়া বিষ খা তাও দেখ শান্তি পাবি|
আমি: তাই খাওয়া লাগবে যে পরিমানে র্নিযাতন হচ্ছি মনে হয় আর বেশি দিন বাচবো না |
মেঘলা: হাহাহা তোকে আবার কে র্নিযাতন করছে ?
আমি: তুমি ছারা আর কে করবে ?

মেঘলা: কি বল্লি তুই ??কালকেই তুই শেষ ||
আমি: প্লিজ ছেরে দাও আমি তো মজা করলাম |
মেঘলা: হাহাহা তুই এত ভিতু কেনো ?
আমি: গরিব মানুষ তো তাই |
মেঘলা: হইছে আর ডায়লগ দিতে হবে না |
অতঃপর এরকম কথা চলতো আর সে শুধু খালি আমাকে ভয় দেখাতো দূর কেনো যে এই গুন্ডি মেয়েটা আমার কপালে আসলো জীবনটা তেজ পাতা তো আজ স্কুলে গেলাম দেখি বসে আছে পরে আমাকে ডাক দিলো-
মেঘলা-


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...