সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ফুল শয্যায় ছেকা পর্বঃ ৪


গল্প: ফুল শয্যায় ছেকা

পর্বঃ ৪

---- সবে মাএ পেন্সিল ছেড়ে কলম ধরেছি মনে এখনো আছে সেদিন ছিল আমার বার্থডে আর আমার জীবনের সব চেয়ে কষ্টের দিন তাই বাবা শহরে গেয়েছিল আমার বার্থডে কেক কিনতে কিন্তুু রোড একসিডেন্টে যাকে মা বলে ডাকতাম যাকে বাবা বলে ডাকতাম তার কাছ থেকেও আমাকে দূরে সরিয়ে দিলো!!!

---- এদিকে চেয়ে দেখি রাত ৩ টা বাজে তাই মনে মনে প্রার্থনা করলাম আল্লার কাছে যে তোমার এতিম অনাত বান্দাটাকে তোমার কাছে টেনে নাও তাও তোমার একটু ভালোবাসা পাবো মানুষের অবহেলা সইতে সইতে আমি আজ ক্লান্ত এই সব ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে যায়!!!

-------- এই এতিম কয়টা বাজে এখনো ঘুমিয়ে আছিস!!!

----- চেয়েই দেখি কথা!?

------ তাই বললাম আচ্ছা আপনি রেডি হন উকিলের কাছে যাবো!!! কথাটা বলতে গলাটা ধরে এলো!!!!

-------- আচ্ছা আমি যাচ্ছি তুই ও তাড়াতাড়ি রেডি হও এই বলে চলে গেলো!!! (কথা)

------ এদিকে রেডি হয়ে কথাকে নিয়ে কোটে গেলাম সব কিছু শুনার পর বলল তিনমাস পরে ডিভোস লেটার রেডি হবে তখন আপনারা দুজন সাইন করে দিবেন কেমন?? আর হ্যা আমি আবারো বলছি সংসারে এরকম ঝামেলা হতেই পারে আপনারা বাসায় গিয়ে ভেবে দেখবেন!!! (উকিল)
-------আচ্ছা সেটা আপনাকে বলতে হবেনা আপনার কাজ আপনি যতো ফাস্ট করতে পারেন করেন!!! (কথা)

------- আচ্ছা চলেন আমার লেট হয়ে যাচ্ছে বলেন কথাকে নিয়ে শেরপুর কলেজ মোড়ের কাছে আসতেই জ্যামে আকটা পড়লাম এদিকে জ্যাম ছাড়ার কোনো কথায় নেই
------ হঠাৎ একটা মেয়ে এসে বলতেছে কথাকে ম্যাডাম ম্যাডাম বিশটা টাকা দেন আমার স্বামী টার অপারেশন এর জন্য!!!( মেয়েটা)

------- কি হয়েছে আপনার স্বামীর আর অসুস্হ স্বামীকে অপারেশন না করে ছেড়ে যেতেই তো পারেন যওোসব ছোটলোক! এদের জন্য রাস্তায় বের হওয়া যায় না (কথা)

------- আপু আমরা বাঙালী মেয়ে আমাদের কাছে বিয়ের পর স্বামীর আমাদের কাছে পৃথিবী?? জানেন আজ যদি আমি অসুস্হ থাকতাম তাহলে সে আমার জন্য এটাই করতো আপনার টাকা আমার লাগবো না পারলে একটু দোয়া করবেন !(মেয়েটা)

-------- এদিকে মেয়েটার চলে যাওয়া দেখলাম আর কথায় দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে অবাক দৃষ্টিতে মেয়েটাে চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে??

--------এদিকে অফিসে আসতেই দেখি ডেস্কের দিকে তাকিয়ে আমার চেয়ারে রাইসা বসে আছে কাছে গেতেই বলতে শুরু করলো এই যে মিঃ কয়টা বাজে আপনার চাকরি নেই আসতে পারেন!!! (রাইসা)

------ আপনি কি আমাকে ক্ষমা করতে পারেন। না আর ভুল হবে না!! (আমি)
------- হা হা হা হবেনা কান ধরতে হবে? (রাইসা)

-------- মনে মনে ভাবছি এই পিচ্চি মেয়ে মনে হয় আমার মান সম্মানেরর বারোটা বাজিয়ে দিবে রাইসা আম্মু আমার সাজাটা কমানো যায়না!! ( আমি)

---- না না বলছি এখন কান ধরে উঠবস করো!!! (রাইসা)
-------- আচ্ছা টিক আছে এই বলে যখনি কান ধরতে যাবো তখনি দেখি অপরিচিতা ম্যাডাম আর একটা মেয়ে পিছনে দাড়িয়ে হাসতেছে!!!

------- মা মা দেখো তো কেমন দেখাচ্ছে আঙ্কেল কে??? (রাইসা)
-------খুব সুন্দর দেখাচ্ছে মা এখন না তোমার মেডিসিন নেওয়ার সময় দুষ্টামি করোনা!!! (অপরিচিতা)

-------- আচ্ছা মম! মম জানো আঙ্কেল না অনেক ভালো আঙ্কেল কে বাবাই বলে ডাকবো কেমন স্কুলের সব মেয়েদের বাবাই আছে আমার বাবাই নেই!!! (রাইসা)

------- এদিকে রাইসার কথা শুনে সবাই নিঃস্তব্দ হয়ে গেলো কারো মুখে কোন কথা নেই!!

-------মম বলো কথা বলছো না কেনো তোমাকে বাবার কথা বললেই কোনো কথা বলোনা!! (রাইসা)

------ আচ্ছা মা চলো তো! তোমার মেডিসিন নেওয়ার সময় হইছে!!! (অপরিচিতা)

------- হুম চলো মম আর এইযে দুষ্ট তোমাকে আমি বাবাই বলে ডাকবো কেমন?(রাইসা)

------- এদিকে রাইসার কথার কি উওর দিবো পৃথিবীর সমস্ত ভাষা যেনো হারিয়ে গেছো!!

------ আচ্ছা মা তুমি যাও কেমন আর রাজ আপনার কাছে আমি রাইসার এমন ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কেমন??? (অপরিচিতা)

---- আচ্ছা ম্যাডাম আমি কিছু মনে করিনাই!! (আমি)

-----আর শুনেন আজ থেকে আপনার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে মিস পাখি!! (অপরিচিতা)

-------- এদিকে অপরিচিতা ম্যাডামের মুখে পাখির কথা শুনতেই মনের মাঝে কেমন জানি করে ওঠলো কোন পাখি এটা কলেজের সেই মেয়েটা নাতো যে কিনা সারাদিন পিছনে লেগে থাকতো কতই না চন্চল ছিল মেয়েটা ভাবতে লাগলাম!!! (আমি)

------- এইযে মিস পাখি এই হচ্ছে রাজ আর আজ থেকে আপনি ওনার কলিগ হয়ে কাজ করবেন!! (অপরিচিতা)

------- পিছন দিকে তাকাতেই একটা শর্ক খেলাম! এইতো সে পাখি যে কিনা সারাটা দিন মুক্ত পাখির মতো ওড়ে বেড়াতো এখনো মনে আছে তার ভালবাসা নামক সেই পাগলামি গুলির কথা সত্যিই কলেজের সেই দিনগুলি হৃদয়ে গেথে গিয়েছে!!!
------ এদিকে পাখিও আমার দিকে অবাক নয়নে চেয়ে রয়েছে!!

------ রাজ আপনাদের দেখে মনে হচ্ছে আপনারা দুজন দুজনকে চিনেন!!!(অপরিচিতা)

----- জি ম্যাডাম আমরা কলেজে বেষ্ট ফেন্ড ছিলাম!! (আমি)

--- ও তাহলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া মতো কিছু নেয় আপনাদের তাহরে আসি রাজ আসি মিস পাখি ( অপরিচিতা)

----- কেমন আছো পাখি???(আমি)
----- জি স্যার আমি ভালো আছি আপনি??? (পাখি)

----- এদিকে পাখির মুখে আপনি ডাকটা শুনে অনেকটা অবাক হলাম যে পাখি কলেজে থাকা অবস্হায় তুই ছাড়া কোনো কথাই বলে নাই সবসময় ভালবাসি বলে কান ঝালা পালা করে সারতো আমার এখনো মনে আছে কলেজের একটা অনুষ্ঠানে মেয়েয়া শাড়ী আর ছেলেরা পান্জাবী পরবে কিন্তুু অনুষ্ঠানের দিন পাখির আসতে লেট হচ্ছে বলে তাদের বাসায় গেলাম!!!

---- বাবা রাজ তা কি মনে করে আসলে ( আঙ্কেল)

------ আঙ্কেল কলেজে আজ তো অনুষ্ঠান তাই পাখি কে নিতে আসছি (আমি)

--- পাখি উপরে আছে যাও ( আঙ্কেল)

------- এদিকে উপরে পাখির রুমের কাছে গেতেই একটা শর্ক খেলাম কে জানি -






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...