সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প: ১০ দিনের বউ (৩য় পার্ট)

    গল্প: ১০ দিনের বউ

(৩য় পার্ট)
দরজায় নক শুনে ভেতরে আসতে বললাম....
-খোলাই আছে দরজা.. আসতে পারেন... (আমি)
আন্টি (মালিকের বউ) এসে ঢুকলো..
-জ্বি আন্টি কোনো দরকার...? (নূপুর
-হ্যা আজ তোমরা আমাদের এখানে Lunch করবে..(আন্টি)
-আরে না না আন্টি আমরা খেয়ে নেবো.

-না না... দুপুর হয়ে গেছে তো.. আর তোমরা তো মাত্রই এলে... তো এখন তো আর তোমরা মনে হয়ে তেমন কিছু রান্না করতে পারবে না... তো দুপুরে তোমরা আমাদের সাথেই খেয়ে নিও...
-না না আন্টি নূপুর রান্না করে নেবে... আমি এখন বাজারে যাবো তো (আমি)
-কোনো কথা না বাবা.. আজ দুপুরে আমাদের সাথেই খাবে.. আমাদেরও ভালো লাগবে.
অতঃপর আন্টির জোরাজুরিতে রাজি হলাম.....
-তোমরা গোসল টোসল সেরে নিচে খেতে চলে এসো.. (আন্টি)
-ঠিক আছে আন্টি (নূপুর)
-আর কোনো দরকার হলে অবশ্যই বলবে কিন্তু....

-আচ্ছা...
আন্টি চলে গেলেন....
আমিও গোসলে চলে গেলাম.... আর নূপুর জামা কাপড় গোছানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো....
গোসল শেষ করে আমি বাথরুমের দরজা আনলক করে টান দিলাম... অনেক চেষ্টা করলাম.. বাট দরজা খুলছে না...
আজব আমার দিক থেকে তো দরজা আনলক করা... তাহলে দরজা খুলছে না কেন...
তাহলে নিশ্চই দরজাটা বাইরে থেকে লাগানো হয়েছে...
জোরে একটা চিৎকার দিলাম.....
-নূপুউউরর.....
ডাক দেওয়ার সাথে সাথেই নূপুর জবাব দিলো.

-কি গো......
-ঐ বাইরে থেকে দরজা লক করলি কেন?
-কই না তো... চোরে লক করেছে মনে হয়....
-বেক্কল পাইলি আমারে....!! চোর কোত্থেকে আসবে এখানে.
-চোর কোথায় থাকে আমি কি জানি...

-ঐ কটকটি দরজা খুল্
-আরে গাধা আমি লাগাই নাই তো রে
-ফাজলামি করিস না তো দরজা খুল্..
-হিহিহি আগে বল্ বিকালে আমার জন্য চকলেট আনবি....
-What.....! চকলেটের জন্য দরজা লাগিয়েছিস তুই!
-হুম.... যদি না আনিস.....
-আরে তুই বললে তো আমি এমনি তেই আনবো... এতে এরকম করতে হয় নাকি...
-হয় তো... নাহলে তো দুষ্টামির মজা পাওয়া যায় না..
-ধ্যত পাগলি একটা...
-হুম আর তুই পাগল....

-ঐ আমাদের না তুমি তুমি করে কথা বলার কথা ছিলো...
-এহেরে ভুলেই গিয়েছিলাম.....
-এখন থেকে মনে থাকে যেন..
-হুম
- আচ্ছা দরজা খুলো তো.....

-সত্যিই চকলেট আনবি তো? (দরজা খুলে দিয়ে)
-কি!
-সরি সরি.. আনবে তো?
-হ্যা মা আনবো তো....
-ঐ আমি তোমার মা কখন হলাম!
-ঐটা তো এমনি বলে ফেললাম...
-না বলবা না... বউ না আমি তোমার?
-ও হ্যা তাই তো..... (হেসে নূপুরের নাকে একটা আলতো টান দিলাম)

-হিহি...
-এখন যাও তো লক্ষ্মী বউ এর মতো আমার জামা কাপড় গুলা কেচে আসো তো.. যাও যাও।।।
-এ!! আমি কেন!! তুমি করো গা...
-আমি কেন.. তুমি আছো তো..
-এতোদিন তো নিজেরটা নিজেই করতে... তাহলে আজকে আমি কেন করবো!

-কারণ এতো দিন বউ ছিলো না... আর এখন বউ আছে...
-১০দিন এর জন্য ই তো...
-১০ দিন তো কি হইসে...! ১০ মিনিট হোক বা ১০ বছর, বউ তো বউ ই
-না না....
-দেখি বেশি কথা না বলে এখন কাজটা করে এসো তো... নাহলে বিকেলে চকোলেট আনবো না...

(চুল মুছতে মুছতে ওখান থেকে চলে এলাম)

-ঐ মানে কি......
-যাও যাও.. নাহলে মিস হয়ে যাবে কিন্তু.
-শয়তাআআআনন..

নূপুর রাগে ফুলতে ফুলতে বাথরুমে ঢুকে কাপড় কাচতে লাগলো..
আমি উকি দিয়ে এসব দেখছিলাম আর লুকিয়ে লুকিয়ে হাসছিলাম.
একটু পর নূপুরকে দেখলাম কাপড় ধুয়ে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে....
বুঝলাম ছাদে যাচ্ছে... তবুও জিজ্ঞেস করলাম....
-এই কই যাস? (আমি)
-তোর শ্বশুড়বাড়ি যাচ্ছি...

আমি একটু হাসলাম ওর কথা শুনে...
-এতো তাড়াতাড়ি নিজের বাড়ি চলে যাবি..?
নূপুর কিছু না বলে চলে গেলো....
আমিও আস্তে আস্তে ওর পেছন পেছন ছাদে গেলাম......
ওয়াও.... কত্তো সুন্দর ছাদ..... বেশ খোলামেলা.... ছাদের পাশে অনেক টব আর তাতে নানা রকমের সুন্দর সুন্দর কিউট কিউট গাছ লাগানো.
চারদিক টা খুব ভালো করে দেখে নিলাম...

আহ খুব ভালো লাগলো ছাদটা.. খুব ভালো সময় কাটানো যাবে এখানে....
আমি যে ছাদে এসেছি, নূপুর বোধ হয় টের পায় নি.. ওকে দেখলাম কাপড় শুকোতে দিচ্ছে...
ইসশ ওর কাপড় মেলে দেওয়ার ভঙ্গি দেখে বুঝতে পারলাম খুব রেগে আছে.... উফ আমার উপর করা সব রাগ ও এখন ঐ কাপড় গুলার উপর দিয়ে যাচ্ছে.
হিহিহিহি মজাই লাগছে..
আমি পেছন থেকে ওর চুলে টান দিয়ে ওর সামনে চলে গেলাম...
নূপুর পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল না... তারপর ও আবার ঘুরে সামনে তাকাতেই আমি 'ভউউউ' করে উঠলাম.
নূপুর চমকে গিয়ে আমাকে কাপড় দিয়ে মারতে শুরু করলো...
-ইসসস শয়তান একটা.. (মারতে মারতে)

-আউউ আউউউ লাগছে তো পেত্নি.......
-লাগুক...
-আরে ভিজা কাপড় দিয়ে মারলে সত্যিই লাগে (হাত দিয়ে মার আটকানোর চেষ্টা করতে করতে)
-লাগুক তোর.. আরো বেশি বেশি করে লাগুক... হারামী কোথাকার.
-ইশ বরকে এত মারতে নেই....
(ওর হাত আটকে)
-বরের নিকুচি করি....
-হিহি এসব ছাড়া আর কি পারিস তুই!!

-অনেক কিছু
-এএহ বললাম তুমি তুমি করে বলতে সেটাও তো পারিস না....
-তুই যেমন পারিস আর কি....
-তুই 'তুই তুই' করিস.. তাই আমিও করি...
-শোন তুইই এমনটা করোছ...
-ভালো হইসে
-আর শোন আমি তোকে তুমি তুমি করে বলতে পারবো না... তুই তুই ই বলবো
-হ্যা বলিস... আর তোমার নানা-নানি শুনলে কি প্যারায় পড়ো বুঝিস নে...
-কিসের নানা-নানি!
-মালিকের কথা বললাম....

-ধ্যত..... একটা বললেই হলো
-ধ্যতধ্যত করিস না... সিরিয়াসলি ই বললাম... ১০টা দিন কষ্ট করে তুমি তুমি ডাক্
.. তা না হলে কিন্তু
-হইসে হইসে বুঝছি.. আর লেকচার দিতে হবে না...
-কি বুঝলি..
-তোর পাঁচ পরান বুঝলাম....

-কিসের পাঁচ পরান... একটা ই প্রাণ আমার...
-ধুর ছাগল সর্ তো...
আমাকে সরিয়ে দিয়ে নূপুর নিচে চলে গেলো....
আমিও একটু পর নিচে চলে গেলাম...
তারপর আমি আর নূপুর একসাথে মালিক আংকেলের বাসায় গিয়ে খেতে গেলাম...
খেতে খেতে অনেক কথা ই বলা হলো... সেই একটা সময় কাটলো ভদ্র দম্পতির সাথে...
খাওয়া দাওয়া শেষ করে আরো কিছুক্ষন গল্প গুজব করে আমি আর নূপুর আমাদের রুমে চলে এলাম...
রুমে এসেই নূপুর বিছানায় শুয়ে পড়লো...

-হৃদু রে.... এখন তো চোখ বন্ধ করলেই ঘুম চলে আসবে... (নূপুর)
-ইস রে তোকে দেখে আমার ও ঘুমাতে ইচ্ছে করছে....
-তো ঘুমা না...... কে নিষেধ করছে!
-আমার একটা কাজ আছে রে.... এখনি বাইরে যেতে হবে....
-ওওও... আচ্ছা যা তাহলে...
-হুম যাই.....
-উহু যাই বলতে নেই, বল্ আসি.. হিহি
-আচ্ছা আসি...

-হুম...
-দরজাটা ভেতর থেকে লক করে নাও....
-হুম করছি... (খাট থেকে উঠে এসে)
-ওকে
-টাটা পেত্নি....

-ওকে ভুত টাটা....
আমি একটা হাসি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলাম....
রাত ন'টার দিকে বাসায় ফিরলাম... দরজায় নক করতেই নূপুর দরজা খুললো...
-এতো দেরি হলো কেন? (নূপুর)
-কই দেরি হলো... আমার কাজ টাজ শেষ করে বাজার টাজার করে ফিরলাম..
এতোটুক সময় তো লাগার ই কথা...
-এতোটুক সময়? দেখ্ ৯টা বাজে
-তো কি হইসে....
-তোর মাথা হইসে...
-আচ্ছা নে নে বাজার করে নিয়ে এসেছি... যা তাড়াতাড়ি রান্না টা করে ফেল্ গা...
-ঐ আমি রান্না করতে পারি না...
-Whaaaattt.....!!! রান্না করতে পারিস না মানে?
-পারি না মানে পারি না.... তুই কর্ রান্না..

-আমি করবো মানে?
-তুই করবি মানে তুই করবি...
-বসে থাক্..... আমি রান্না পারি না...
-মেসে কীভাবে খাওয়া দাওয়া করতি তাহলে..?
-আমি কি নিজে রান্না করতাম নাকি... কাজের বুয়া করে দিতো...
-তো এখনো কাজের বুয়াকে বল্
-এখানে কাজের বুয়া কই পাবো... আর বউ থাকতে রান্না নিয়ে চিন্তা কিসের
-তোর বউ রান্না করতে পারে না.....
-এতো বড় মেয়ে হয়েছিস..... আর রান্না পারিস না....?
-তুইও তো বড় হয়েছিস তুই কেন পারিস না...?

-ধ্যত তোকে বউ করে তো আমার কোনো লাভ ই হলো না....!
-আমি কি তোকে বলে ছিলাম আমাকে বউ কর্ বউ কর্... নিজেই তো এমন করলি...
-তুই আগে বলিস নি কেন যে তুই রান্না করতে পারিস না..
-আজব আমি কেন বলবো.. তুইও তো জিজ্ঞেস করিস নি...
-ইসসসস এখন রাতের খাবারের কি হবে.....
-কি আর হবে.. রাতের খাওয়া বন্ধ আজ...
OMG...... বলে কি এই মেয়ে... খাওয়া বন্ধ মানে.... আজ রাতে কি সত্যিই তাহলে উদরভোজন স্থগিত...?
কথাটা শুনেই আমার পেটে কেমন যেন একটা গোলযোগ শুরু হয়ে গেলো.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...