সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পঃ জরুরি ভালোবাসা পর্ব ৪ শেষ


গল্পঃ জরুরি ভালোবাসা

পর্ব ৪ শেষ

রাতে খাওয়া দাওয়ার পর আব্বা আমাকে ডাকলো,
রুমে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে,
- কি হইছে ডাকছো কোনো?(আমি)
- তুই এইটা কেমনে করলি?(আব্বু)
- কি করলাম আমি?(আমি)
- কি করস নাই তাই বল নিজের হবু বউকে নিয়া পালাইছোস তুই?(আব্বু)
- আব্বা হবু বউ মানে কি আরে ওকে তো আমি চিনিনা?(আমি)
- হবু বউ মানে বুঝোনা তুমি। ওর সাথেই তো তোমার বিয়ে ঠিক করছি।(আব্বা)
আমি নিলিমার দিকে তাকিয়ে দেখি হাসতাছে।
আমি দুই সেকেন্ড পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।
জ্ঞান ফিরার পর দেখি আমি আমার রুমে আর নিলিমা আমার পাশে বসে আছে।
আমি উঠে বসলাম।

ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি ১.১৩ ।
এতো রাতেও মেয়েটা না ঘুমিয়ে আমার পাশে জেগে আছে।
- জ্ঞান ফিরছে আপনার?(নিলিমা)
- জ্বি ফিরছে ।(আমি)
- একটা কথা বলবেন?(আমি)
- কি কথা?(নিলিমা)

- আপনিও কি এইসব জানতেন যে আমার সাথে আপনার বিয়ে ঠিক?(আমি)
- ইয়ে মানে হুমম।(নিলিমা)
- তাহলে আমাকে বলেন নাই কেনো?(আমি)
- বললে কি করতেন?(নিলিমা)
- পালাইতাম?(আমি)

- তার মানে আপনি আমাকে ভালোবাসেন না তাইতো?(নিলিমা)
- আরে আমি কি তাই বলছি আমি বলছি আপনি আর আমি দুজনে পালিয়ে বিয়ে করতাম।(আমি)
- হইছে বুঝছি আপনার সাহস।আপনি যেই ভিতু?(নিলিমা)
- কি আমি ভিতু?(আমি)
- তা নয়তো কি?(নিলিমা)
- সাহসের পরিচয় দেয়া লাগবো?(আমি)
- হুমমম(নিলিমা)

- কি করতে হবে তাই বলেন?(আমি)
- একেবারো জড়িয়ে ধরলো না।আসছে আমার সাহসি।(নিলিমা)
আমি নিলিমাকে জড়িয়ে ধরলাম।
- এইবার হইছে?(আমি)
- হুমম।(নিলিমা)
নিলিমা আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে।
হঠাৎ বললো,

-তুমি এতো বোকা কেনো?(নিলিমা)
- কোথায় আমি বোকা?(আমি)
- তুমি ভাবলা কি করে যে একটা মেয়ে কিভাবে অচেনা একটা ছেলের সাথে এক বিছানায় ঘুমায়।(নিলিমা)
- আমি ভাবছিলাম সত্তি তুমি বাড়ি থেকে পালাইছো?(আমি)
- শোনো আমি যে তোমার সাথে আসবো এইটা আমার বাবা তোমার বাবা মা সবাই জানতো শুধু তুমি ছাড়া।(নিলিমা)
- তার মানে কি সব নাটক ছিলো।(আমি)
- হুমম।

হায় আল্লাহ সবাই মিলে এইটা কি করলো আমার সাথে।
সে যাই হোক সুন্দরি একটা বউ তো পাইলাম।
পরের দিন সকালে উঠে দেখি বাড়ি সাজানো হচ্ছে আব্বা বললো আজকেই তোমাদের বিয়ে।

সারাদিন অনেক ঝামেলারপর বিয়েটা ঠিকঠাক ভাবেই হয়েগেলো।
ও বাড়ি থেকে লোক আসছিলো শুধু।
উল্টা বিয়ে সবার বিয়েতে বরপক্ষ যায় মেয়ের বাড়ি আর আমাদের বেলায় কনেপক্ষ আসছে।
সে যাই হোক,
অনেক ধাক্কাধাক্কির পর বাসর ঘরে ঢুকলাম।
নিলিমা এসে আমাকে সালাম করে আবার বিছানায় গিয়ে বসলো।
আমি ওর কাছে যেতেই,
- খবরদার আমাকে টাচ করবেন না।(নিলিমা)
- কেনো?(আমি)

- কেনো মানে কি করবেন না মানে করবেন না আপনি সোফায় ঘুমাবেন আর আমি বিছানায়।(নিলিমা)
- কিন্তু কেনো?(আমি)
- যা বলছি তাই হবে এতো কেনোর উত্তর দিতে পারবো না।(নিলিমা)
কি আর করবো সোফায় গিয়ে বসলাম। নাহ কিছু একটা করা লাগবো বাসর রাত তো এমনি এমনি কাটাই দিলে হবেনা।
মাথার মধ্যে একটা বুদ্ধি আসলো।
আমি একটা বালিশ নিয়ে বাইরে যেতে লাগলাম।
- ওই কই যাইতাছেন।(নিলিমা)
- আর বইলেন না তেলাপোকা খুব বিরক্ত করতাছে?(আমি)
- তে তে তেলাপোকা কোথায়?(নিলিমা)
ভয়ে ভয়ে।

- ওইতো বিছানায় থাকে সোফায় থাকে।(আমি)
- বি বি বিছানায় ও আছে।(নিলিমা)
- হুমম ওইযে একটা।(আমি)
ও কোনোদিকে না তাকিয়ে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরলো।
- কি করছেন ছাড়েন আমি সোফায় ঘুমিয়ে যাবো।(আমি)
- সরি।(নিলিমা)

- আপনি এই তেলাপোকা ভরা বিছানায় ঘুমান আমি গেলাম।(আমি)
- আরে সরি বললাম তো। আমাকে কি করতে হবে বলেন?(নিলিমা)
- এইযে এইভাবে সারা রাত জড়িয়ে ধরে থাকলেই হবে?(আমি)
তারপর আর কি বাকিটা ইতিহাসের পাতায় লিখা আছে চাইলে পড়ে নিতে পারেন।

-------সমাপ্ত------



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পঃ 💚💚 খালাতো বোন যখন বউ। 💚💚💚

গল্পঃ খালাতো বোন যখন বউ। 💚 এই মাত্র বাসায় আসলাম। আজকে মাথার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। মা: ফারুক এদিকে আয়।  তোকে আমি কি বলছিলাম, তুই আমার কথা কেন শুনিস না। আজকে এই মুহুর্তে তুই  তোর খালার বাসায় জাবি  আমি : না মানে আম্মু  মা : না মানে  কি জাবি কি না তুই?  আমি :জাবো তো যাব। (হাফ ছেরে বাঁচলাম) তার পর আরকি বেরিয়ে পরলাম খালামনিদের বাসার উদ্দেশ্যে ।আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই, আমি মোঃ ওমর ফারুক। বয়স ১৭, ক্লাস ১০ এ পরি।বাট নাম মাত্র স্কুল😀। সারা বসরে মাত্র ২ দিন স্কুল এ গেছি তাও আবার শুধু মাত্র ফি জমা দেয়ার জন্য। সারাদিন শুধু মারামারি ফাটাফাটি এই সব করে দিন কাটে।  ভাবচেন কেন 🤔আসলে আমার ভাই রাজনৈতিক দলের অনেক বড়ো নেতা। তাই আমি একটু এরকমি। বাস্তবে ফিরে আসি খালামনির বাসায় বাসে করে জেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘনটা, আমি বাইক নিয়ে সেখানে ২ ঘন্টার মদ্ধে পৌছে গেছি😀।  কিন্তু একি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে, আমি জিবনেও এতো সুন্দর মেয়ে দেখি নাই। গাল গুলো কি সুন্দর আহহা😍, চোখ দুটো তো নাহ আমি আর বলতে পারবোনা😘।  একি ঐ ছেলেটা আবার কোথায় থেকে আসলো। সালার জীবনের এতোগুলা বছর পার ...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...