সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পঃ জরুরি ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প


https://banglalovestory247.blogspot.com/p/blog-page_37.html
 
    গল্প: জরুরি ভালোবাসা রোমান্টিক গল্প


- এ্যাও আপনি আমার পাশে কি করছেন?(নিলিমা)
চিৎকার করে উঠলো মেয়েটা।
- আমাকে জড়িয়ে ধরছেন কেনো আপনি?(নিলিমা)
আমি সুযোগ বুঝে ভাবলাম একটু মজা নেই।
- আজকে রাতে তুমি শুধুই আমার সুন্দরি।(আমি)
একটু ভিলেন এর পার্ট নিলাম।

- প্লিজ ছেড়ে দেন আমাকে প্লিজ।(নিলিমা)
-আজকে ছাড়াছাড়ি নাই আর বাড়ি থেকে পালানোর সময় মনে ছিলোনা এসব কিছু।(আমি)
- বাবা বিয়ে ঠিক করছে আমি কি করবো আমি বিয়ে করবো না তাই পালাইছি।(নিলিমা)
আমি ছেড়ে দিয়ে বললাম,
- বয়ফ্রেন্ড আছে?(আমি)
- না।(নিলিমা)

- তাহলে কোথায় যাবেন।(আমি)
- কেনো আপনাকে পাইছি না আপনার সাথে যাবো।(নিলিমা)
- আমি কিন্তু মানুষ ভালো না যখন তখন কিছু একটা করে ফেলতে পারি।(আমি)
- আপনি অনেক ভালো।(নিলিমা)
- কিভাবে জানলেন?(আমি)

- আপনি এখনো আমাকে কিছু করেন নাই। রাতে খেতে দিছেন আর এখন থাকার ও ব্যাবস্থা করে দিছেন।(নিলিমা)
- থাকার ব্যাবস্থাটা খুব ভালো হইছে এক ঘরে দুজন অবিবাহিত ছেলে মেয়ে।(আমি)
- আমি ঘুমাবো। আর আপনি যদি আবার উল্টা পাল্টা কিছু করছেন তাহলে আপনার খবর আছে?(নিলিমা)
- ওরে বাবা ভয় পাইলাম তাহলে আপনি ঘুমান।(আমি)
বলেই বাল্ব টা নিভালাম।
- এই আপনি বাল্ব জালান আমি অন্ধকারে ভয় পাই।(নিলিমা)
- আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমান এতো রাতে বাল্ব জালানো থাকলে সবাই উল্টা পাল্টা ভাববে।(আমি)

মেয়েটা চুপচাপ ঘুমিয়ে গেলো কিছুক্ষন পর আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমালো।
গার্লফ্রেন্ড ও না বউ ও না তবুও কেমন জানি ফিলিংস আসতাছে।
মেয়েটা দেখতে পরির মতো।
কিন্তু আমার সাথে আসলো কিভাবে সেটাই জানতে ইচ্ছা হচ্ছে আপনাদের তাইনা।
চলুন একটু ফ্লাসব্যাক এ ঘুরে আসি।
সন্ধা ৬টা,
ট্রেন এর জন্য অপেক্ষা করতাছি।
বাড়িতে যাবো তাই।

ঢাকায় থাকি টাংগাইল যাবো।
বসে বসে গান গাইতাছি এমন সময়
মেয়েটা এসে পাশে বসলো।
কিছুক্ষন পর মেয়েটা উঠে চলে গেলো।
আমার পাশে মেয়েটার ব্যাগ রাখা।
আমি ভাবলাম একটু হেল্প করি ।
তাই মেয়েটার পিছন পিছন যেতে
লাগলাম।

হঠাৎ মেয়েটা একটা ট্রেনে উঠে পড়লো।
আমিও উঠলাম ট্রেনটা ছাড়লো আমি ভাবলাম
টাংগাইল এর ট্রেন কিন্তু একটু পর বুঝলাম এটা
সিলেট এর ট্রেন।
মেয়েটার পাশেই বসে আছি আমি।
টিকেট এর জন্য আসলে আমি টিকেট দেখালাম কিন্তু কাজ হলোনা তারপর সামনের একটা স্টেশন এ দুজনকে নামিয়ে দিলো।
তারপর থেকেই পিছু নিছে মেয়েটা তারপর এক সাথে হোটেল এ থাকা।
বাকি কাহিনি তো জানেন ই।

মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
আমি আর কি করবো ওভাবেই ঘুমালাম।
পরের দিন সকালে উঠে বড় সড় একটা ধাক্কা খেলাম।
আমি যা দেখলাম তা দেখে যে কেউ ক্রাশ খাাবে।

মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে সাথে তার
এলোমেলো চুলগুলা তার মুখের ওপর এসে পড়েছে।
জিবনের প্রথম বারের মতো আমি কোনো মেয়েকে এতোটা
কাছে থেকে দেখলাম।

আর এই প্রথম বার ই ক্রাশ নামক জিনিসটা খেয়ে ফেললাম।
আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ফ্রেস হলাম।
কিছুক্ষন পর মেয়েটাও উঠলো।

ফ্রেস হয়ে দুজন এ একসাথে বসে আছি,
- কালকে রাতে আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাইছি??(নিলিমা)
- হুমম। (আমি)
- আপনি কিছু করেন নাই তো?(নিলিমা)
- না কি করবো?(আমি)
- সত্তি ?(নিলিমা)
- হুমম(আমি)

তারপর দুজন এ খেয়ে আসলাম।
সবকিছু গুছিয়ে রওনা দিলাম আবার।

রাস্তার পাশ দিয়া হাটতাছি আর ওর সাথে কথা
বলতাছি। আরে আমি না ওই বলতাছে এতো কথা বলতে
পারে মেয়েটা।
উফফ কানের বারোটা বাজিয়ে দিলো।

কিছুক্ষন পর আমার ফোন এ কল আসলো,
- হ্যালো ?(আমি)
- হুম কেমন আছিস?(আম্মু)
- ভালো তুমি?(আমি)
- ভালো। তা তুই তো কালকে আসতে চাইলি আসলিনা কেনো?(আম্মু)
- আসতাছি আম্মু আজকে পৌছে যাবে।(আমি)
এমন সময় ও আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে বললো,
- আমিও পৌছে যাবো আম্মু?(নিলিমা)
বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
হায় হায় এইটা কি করলো ও এবার বাসায় গেলে নিশ্চিত গুলি করে মারবে।

আমি রাগি লুক নিয়ে তাকালাম ওর দিকে,
- কি কি ব্যাপার ওইভাবে তাকাচ্ছেন কেনো?(নিলিমা)
- আপনাকে যে কি করবো আমি।(আমি)

     (১-পর্ব )

সম্পূর্ণ গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন=

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...