সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম পর্ব::২

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম
পর্ব::২


ম্যামের সাথে কথা বলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে
পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে
নাস্তা করে সেজে গুজে রুমান্টিক মুডে
কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হোলাম।সকাল
ছয়টার মধ্যেই কলেজে পৌছে গেলাম।
সেখানে সবাই উপস্থিত ছিল।আমাকে দেখে
কলেজের সকল মেয়েরা টাস্কি খেয়ে গেলো
বিশেষ করে মোহনা ম্যামতো এক নজরে

তাকিয়ে আছে।তারপর সবাই বাসে উঠে পড়ল।
ছেলে মেয়ে সব একসাথে বসল তিনটা
গাড়িতে।কলেজ থেকে আমাদের সাথে তিন
জন স্যার যাচ্ছেন।তিন গাড়িতে তিনজন স্যার
প্রত্যেকের দায়িত্ব বহন করবেন।আমি যে
বাসে উঠেছি মোহনা ম্যামও সেই বাসের
দায়িত্ব নিয়েছেন।কিছুখন পরে বাস ছেড়ে
দিল।মোহনা ম্যাম আমার পাসে এসে বসলেন।
আমি একটু আনইজি ফিল করছি আর বাস তার
নিজ গতিতে চলছে।ও একটা কথা বলতে ভুলেই
গেছি মোহনা ম্যামকে আজ খুব সুন্দর লাগছে
কারন আজ উনি শাড়ি পরেছেন।এর মধ্যে ম্যাম
আমি বাদে বাসের প্রত্যেকের কাছে কারও
কোন অসুভিদা হচ্ছে কিনা জিজ্ঞাসা

করলেন।তারা সবাই বলল, না তাদের কোন
সমস্যা হচ্ছে না। এবার আমাকে বলল
ম্যাম:: রনি তুমার কোন সমস্যা হচ্ছে
নাতো?
আমি::না ম্যাম।

ম্যাম::আমার হচ্ছে।
আমি::ম্যাম তাহলে গাড়ি কি থামাতে বলব।
ম্যাম::গাড়ি থামালেই আমার সমস্যা সমাধান
হবে না।
আমি::মানে?

ম্যাম::আমার সমস্যা তোমাকে নিয়ে।একমাত্র
তুমিই আমার সমস্যা সমাধান করতে পার।
আমি::তাহলে আমি অন্য ছিটে যাচ্ছি ম্যাম
((((ম্যাম কি বলবে আমি বুঝতে পারছি কিছুটা
তাই উনাকে ওই বিষয়ে বলার সুযোগ দিতে
চাচ্ছি না))))
তারপর ম্যাম আমার হাত ধরে আবার আমার
ছিটে বসালো।তারপর বলল
ম্যাম::আমি তুমাকে কাল রাতে বলেছিলামনা
আজ একটা গুড নিউজ দিব।
আমি::হ্যা বলেছিলেন।

ম্যাম::সেটা এখন বলছি। আমি তোমাকে
ভালোবাসি। কলেজের সেই প্রথম দিন তুমি
আমাকে ফুল দিয়ে বরন করে ছিলে সেদিন
তোমাকে দেখে আমি তোমার প্রেমে পড়ে
যায়।তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারব না।
তোমাকে ছাড়া আমার জীবন গতীহিন।এই বলে
ম্যাম হটাৎ করে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে
সবার সামনে।
এতক্ষন বাসের সবাই আমার আর ম্যামের

কথাগুলো শুনছিলো তবে ম্যাম আমাকে
জড়িয়ে ধরেছে দেখে সবাই অন্যদিকে
তাকিয়ে আছে এমন ভাব করছে যেন কিছুই
দেখিনি ওরা।এটা দেখে আমি খুব লজ্জা
পেলাম এবং বললাম
আমি::এ কি করছেন ম্যাম প্লিজ ছাড়েন সবাই
দেখছে কিন্তু।
ম্যাম::দেখলে দেখুক,তাতে আমার কিছু যায়
আসে না।

আমি::প্লিজ ছাড়ুন ম্যাম। না ছাড়লে আমি
কিন্তু চিৎকার করব।
ম্যাম::চিৎকার করবে?দাড়াও দেখাচ্ছি
এই বলে আমার মাথাটা জোর করে ধরে
ম্যামের মুখ আমার মুখের ভিতর দিয়ে চেপে
ধরল প্রায় পাঁচ মিনিট।
।।তারপর যখন ছাড়ল আমার দম প্রায় বন্ধ হয়ে
যাচ্ছিলো।আমার ভীষন রাগ হলো আমি কিছু
সময়ের জন্য ভুলে গেলাম যে উনি আমার
কলেজের ম্যাম।আমি রাগের মাথায় ম্যামকে
জোরে একটা চড় মারলাম।তারপর ব্যাগ থেকে

পানির বোতলটা বের করে তাড়াতাড়ি মুখ
ধুইয়ে নিলাম।তারপর ম্যামের দিকে তাকালাম
দেখলাম মন খারাপ করে মুখে হাত দিয়ে
কান্না করছে।তারপর আমি আর কিছু না বলে
অন্যদিক ফিরে বসে আছি আর ভাবছি না
ম্যামকে মারাটা ঠিক হয়নি,উনিতো আমার
শিক্ষক, নাহ উনার কাছে আমাকে ক্ষমা
চাইতে হবে। কেউ কিছু বলছি না।তারপর ম্যাম
নিজের থেকে বলল

ম্যাম::আসলে আমি খুব দুঃখিত তখন তোমার
সাথে ওই ব্যবহারটা করা আমার ঠিক হয়নি।
আমি::না ম্যাম আসলে সরি টা আমাকেই
বলতে হবে।তখন ঐ ভাবে আপনাকে চড় মারাটা
উচিত হয়নি।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন।
ম্যাম::তোমাকে কোন ক্ষমা করব না।তুমি
আমাকে চড় মেরে কোন ভুল করোনি বরং
তোমার প্রতী আমার ভালোবাসা আরও

বাড়িয়ে দিয়েছো।
আমি::ম্যাম এই শিক্ষা ছফর থেকে ফিরে
গিয়ে আপনাকে একটা গুড নিউজ দিতে
চেয়েছিলাম আপনার মনে আছে?
ম্যাম::আছে।
আমি::সেই নিউজটা এখন আপনার কাছে ব্যাড
নিউজ মনে হবে।তারপরেও আমি আপনাকে এখন
সেই কথাটা বলব আসলে আপনি যেমনটা
ভাবছেন তেমনটা কিন্তু হবে না। আর আপনি
আমার কাছে শুধুমাত্র কলেজের ম্যাম আর

কিছুই না।তাছাড়া আপনি আমার বয়সের বড়।
তাছাড়া আপনার সাথে আমার আকাশ পাতাল
ব্যবধান।আমি আপনাকে চাইলেও
ভালোবাসতে পারবনা।প্লিজ আমাকে ক্ষমা
করবেন ম্যাম।
ম্যাম::তুমি যাই বলোনা কেন আমি তুমাকেই
ভালোবেসেছি এবং সারাজীবন ভালোবাসব।
আমি জানি আমি তুমার বয়সের বড়।কিন্তু
ভালোবাসা তো বয়স দেখে হয়না।এটা মন
থেকে হয়ে যায়।জানি সমাজ আমাদের
ভালোবাসাকে কখনো মেনে নেবে না।
তারপরেও বলব সমাজ না মেনে নিক তুমি
আমাকে মেনে নিলেই হলো।


ম্যামের সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে
আমরা কক্রবাজার পৌছে গেছি তা বুঝতে
পারিনি।তারপর ওখানে আমরা সবাই দুই দিন
ছিলাম।সবাই আনন্দ করেছিল শুধু আমি আর
ম্যাম ছাড়া।প্রত্যেকের জন্য একটি করে রুম
বরাদ্দ।সকালে সবাই ঘুরতে যায় আর রাতে
ফেরে ক্লান্ত হয়ে।তারপর রুমে এসে খেয়ে
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘুমিয়ে পড়ে।তবে
আমি কোথাও যায় না সারাদিন রুমে থাকি।
আমারএক বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম ম্যামও

নাকি যায়না আমার মতো নাকি সেও রুমে
থাকে সারাদিন।তবে দ্বিতীয়দিন যখন সবাই
বিভীন্ন যায়গা ঘুরে রাতে রুমে এসে শুয়ে
পড়েছে আমি তখন আমার রুমের বাইরে
দাড়িয়ে প্রকৃতী দেখছি আর ভাবছি আমার
জন্য মোহনা ম্যাম এখানে এত সুন্দর জায়গায়
বেড়াতে এসেও মন খারাপ করে আছে। আসার
সময় আমার হাতের মার ও খেয়েছেন।শুধু আমার
জন্যেই তার এত মন খারাপ। আসলে আমার এই
শিক্ষা সফরে আসাটা ঠিক হয়নি।ঠিক তখন
কেউ একজন পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে
ধরেছে।আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি মোহনা

ম্যাম আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।আমি জানি
আমার জন্যে তার মনে অনেক কষ্ট জমে আছে।
আমাকে জড়িয়ে ধরলে যদি তার একটু কষ্ট
কমে যায় তাহলেই আমার কিছুটা অনুশোচনা
কমবে।তাই ম্যামকে জড়িয়ে ধরতে দেখেও
কিছু বলছি না।তখন ম্যাম বলল
ম্যাম::আমাকে মাফ করে দাও। তুমি এইখানে
আসতে রাজি ছিলে না আমি তোমাকে বাধ্য

করেছি এইখানে আসতে শুধু আমার
ভালোবাসার কথা বলার জন্য। শুধু আমার
জন্যেই তুমি এত সুন্দর জায়গায় এসেও মন মরা
হয়ে রুমে বসে থাক।আমি এটা সহ্য করতে
পারছি না।দেখনা তুমি আর আমি ছাড়া
এখানে সবাই আজ দুই দিন খুব ইনজয় করেছে।
কাল সকালে আমরা এখান থেকে আবার
বাসায় চলে যাব।আমি চায়না আমার জন্য তুমি
এখান থেকে আনন্দ ছাড়া চলে যাও।
আমি যে অনুসোচনায় ভুগছি তা থেকে একমাত্র
তুমিই আমাকে মুক্তি দিতে পারো।

আমি:: এবার ছাড়ুন কেউ দেখে ফেলবে প্লিজ।
ম্যাম::কেন তোমাকে জড়িয়ে ধরেছি তোমার
ভালো লাগছে না?
আমি::হুম লাগছে((((((ম্যামকে আর কষ্ট দিতে
চাচ্ছিনা তাই মিথ্যে কথা বললাম))))))
ম্যাম::আমি চায় আজ সারা রাত আমি তেমার
রুমে থাকব।

আমি::আমার রুমে থাকবেন মানে?
ম্যাম::আমি তোমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দিব আর
তুমি আমার কষ্ট ভুলিয়ে দিবে।প্লিজ রনি
আমি তোমার কলেজের ম্যাম হয়ে নয় আজ

একটি সাধারন মেয়ে হয়ে তোমাকে বলছি শুধু
আজ রাতটা তুমি আমাকে ভিক্ষা দাও আজ
রাতে আমি তোমার মাঝে হারিয়ে গিযে
তোমার সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে চায়।
এইকথা বলে ম্যাম আমাকে আমার রুমের মধ্যে
নিয়ে এলো।
তারপর



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্প: ১০ দিনের বউ

গল্প: ১০ দিনের বউ সকালে দরজায় পত্রিকাওয়ালার ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো.... ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকালাম.... ৯:২৫ বাজে... OMG........সাড়ে ন'টা বেজে গেছে... তাড়াতাড়ি শরীরের উপর থেকে কাঁথাটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম.... যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁতে ব্রাশ ঘষাতে লাগলাম... চোখে মুখে জল দিলাম... অতঃপর ফ্রেস টেস হয়ে রুমে এলাম... একদিকে শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি হচ্ছি.. একইসাথে অন্যদিকে মুখে পাউরুটি ঢুকাচ্ছি... ভালো করে খাওয়ারও সময় নেই.. উফফ অনেক দেরি হয়ে গেছে... শেষে তাড়াতাড়ি মুখের পাউরুটিটা গিলে টাই টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লাম.. দ্রুত হাটা ধরলাম... ইসস বাইকটা Repair করাতে দিয়েছি.. নাহলে বাইক দিয়েই যাওয়া যেত.. যাই হোক এখন এসব না ভেবে তাড়াতাড়ি বড় রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশায় উঠলাম.... রিক্সায় বসে বসে টাই টা বেধে নিলাম.... আজকে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে... ব্যাচেলর মানুষ.. ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি.. একটা মেসে একাই থাকি.. সকাল সকাল যে কেউ ঘুম থেকে ডেকে তুলবে সেরকম কেউও তো নেই... যাই হোক, এখন এসব ভাবলে চলবে না.. আমাদের অফিসের বস এমন...

{গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে }

  গল্প: হেড মাষ্টারের দুষ্টু মেয়ে জে এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন স্কুল টা কাছে তাই | তো আজ প্রথম স্কুলে গেলাম ক্লাসে ঢুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দেখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক মায়াবতী দূর এই সব চিন্তা করে লাভ নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে- মেয়ে: এই ছেলে চোখে দেখিস না ? আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম- আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফেলে দিছেন ? মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফেলে দিছি ? আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না | দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো----> মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ? আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো? মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ? আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা...

গল্প::অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লাম

   Bangla Love story গল্প:: অবশেষে ম্যামের প্রেমে পড়লা আমি রনি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজের সব স্যারেরা আমাকে ভালো ভাবেই চেনেন। কারনটা হলো আমি কলেজের টপার।লেখাপড়ায় যেমন ভালো খেলাধুলায় ও তেমন ভালো।তাছাড়া কলেজের যে কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এমনকি আন্ত কেলেজ ক্রিকেট ও ক্যরাটি টুনামেন্টেও আমার জন্যে আমাদের কলেজ চাম্পিয়ন হয়েছে এবার।সব স্যারেরা আমাকে নিয়ে গর্ব করে। আর সারা কলেজের মেয়েরাতো আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল।তবে আমি কারও সাথে মানে মেয়েদের সাথে কথা বলি না। আমি সব বিষয়ে পারদর্শী হলেও একটা বিষয়ে অনেক পিছিয়ে আছি আর তা হলো মেয়েদের কে খুব ভয় পায়। কলেজে কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা যদিও মেয়েরা আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার পিছনে পিপড়ার মতো লাইন দিয়ে থাকে সবসময়। ।।আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাম মোহনা,আজ আমাদের কলেজেই ইংরেজির টিচার হিসেবে জয়েন করবে।তাকে আজ বরণ করা হবে। সেই জন্য আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে আজ একটা মিলন মেলা বসেছে মানে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং সার, আমরা সবাই ক্যাম্পাসে অধীর আগ্রহে বসে আছি কখন নতুন ম্যামকে বরন ...