জীবনের ভালোবাসা
পর্ব ০৬
ডায়েরি কোথায় রাখছোস দে।
- না দেবো না।
- দে বলছি।
- দেবো না।
এভাবে অনেকবার বললো।কিন্তু আমি ডায়েরিটা দিলাম না।সেদিন রাতে ঘরে দরোজা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে অনেক মারলো। আমি প্রচুর কান্না করছিলাম।আমার কান্না শুনে ওর চাচাতো ভাই এবং ভাবিরা এসে দরোজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে খুলে ফেললো।তারপর ওর বোন,মা এবং ভাবি সহ সবাইকে বকা দিয়ে আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে গেলো....
তারপর উনারা আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে ডায়েরিতে এমন কি আছে যার জন্য তুমি ডায়রিটা ওকে দিচ্ছো না।আর রাজও বা ডায়েরিটা নিয়ে কেনো এতো ঝামেলা করছে? তখন আমি ডায়েরিটা ওদের পড়ে শোনালাম।(ডায়েরিটা যেহেতু ঐ বাড়ির ভাবির কাছে ছিলো, তাই চেয়ে নিলাম)ডায়েরি তে যা ছিলো সেটা হলো...
-আম্মু আপু এবং ভাইয়া তোমরা সবাই ভালো আছো জানি।জানো,আমি ভালো নেই। রাজ আমাকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না। মানুষ চিনতে আমরা ভুল করেছিলাম। আমরা ওকে যেরকম জানতাম ও ঠিক তার উল্টো। জানো ও রোজ রোজ কি যেনো একটা খেয়ে এসে আমার উপর অমানুষিক অত্যাচার করে। আমি নিজের সুখ কিনতে গিয়ে নিজের অজান্তে কখন যে দুঃখ কিনে ফেলেছি বুঝতে পারি নি। কখনো কখনো মনে হয় যদি তোমাদের বলতে পারতাম তাহলে হয়তো মনটা হালকা হতো। কিন্তু তা ও পারছি না,এতটাই হতভাগি আমি। যদি এসব শুনে আব্বু আবার তোমাকে মারে সেই ভয়ে সব মুখবুঝে সহ্য করছি মা। জানো মা আমি আর এই কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। এখানে যে কথা গুলা কাউকে বলবো তার ও কোনো সুযোগ নেই, কারণ যদি আবার কাউকে বলে দেয়।
জানো মা, তোমরা সবাই মিলে যে মেয়েকে এত আদরে বড় করেছিলে,আর মানুষ করেছিলে,সেই মেয়ে আজ অবহেলিতো, কতটা অবহেলিত তা তুমি কল্পনাও করতে পারবানা মা, জানো মা তোমাদের আদরের সেই মেয়ের সারা শরীরে আজ মারের দাগ।নিজে না খেয়ে যাকে আদর করে খাইয়ে দিতে,এবং জোর করে খাওয়াতে। যে ভুলেও কখনো না খেয়ে থাকতো না।সে ইচ্ছে করলেও আজ ভাত খাইনা, আজ খিদা থাকা স্বত্তেও তার গলা দিয়ে ভাত নামে না। একটানা তিন চারদিন না খেয়ে থাকে।যাইহোক ভালো থেকো।গলা ভারি হয়ে আসছে, হাতেও শক্তি পাচ্ছি না যে আরো কিছু লিখবো।
ডাইরীর_প্রথম পাতায় লিখা ছিল এত টুকু...
দ্বিতীয় পাতায় ছিলো,বড় আশা নিয়ে এসেছিলাম এই বাড়িতে।তোমার হাত ধরে,আমার সব আশা,আশা ই রয়ে গেল।
তৃতীয় পাতায় ছিলো,,,,
অনেক স্বপ্ন ছিলো তোমাকে নিয়ে কিন্তু স্বপ্নটা আর বাস্তবে পরিণত হলো না।সব স্বপ্ন ই রয়ে গেল।
চতুর্থ পাতায় ছিলো,,,
একদিন তুমি বলেছিলে করে আমায় বিয়ে,সাজাবে সুখের বাসর।
তবে আজ কেনো সাজাতে চাচ্ছো,
আমার মাটির কবর।
বলেছিলে তুমি ভালোবেসে আমায়,
রাখবে তোমার বুকে।
প্রয়োজনে কোরবানি দিবে নিজেকে ।
সুখে রাখতে আমাকে।
আদরে আদরে রাখবে সারাটিজীবন, বলেছিলে তুমি সেদিন।
কতই না হেসেছিলাম আমি লাজ্জা মুখের চোখে লুকিয়ে সেদিন।
এখন আমি সারারাত কাঁদি,দুঃখে কাটে আমার সারাটাদিন।
তিলে তিলে আমায় মারবে এভাবে,
বলেছিলে নাতো সেদিন।
তোমার দেখানো সব স্বপ্ন আজ
বলো কোথায় হলো বিলীন।
কেনো ইদানিং তোমার এতো পরিবর্তন হচ্ছে রাজ বলো? আদরে আদরে রাখবে সারাটিজীবন বলেছিলে তুমি যেদিন।শেষ পাতায় ছিলো। স্বামী জিনিস টা আমার ভাগ্যে আসলেই সাপোর্ট করে নাই।
সবটা শুনে ওরা আমায় বললো তুমি এগুলো ডায়েরিতে লিখেছো কেনো?আর যখন লিখেই ফেলেছো তখন এটা সামলে রাখতে পারতে।তাহলে আর যাইহোক এভাবে মার খেতে হতো না।
-কি করবো আমি বলেন? দম বন্ধ হয়ে আসছিলো আমার, তাই বসে বসে ওগুলো লিখছি।
বলতে না বলতেই সেখানে রাজ ও রাজ এর বোন এসে যায়।রাজ আমার থেকে ডায়েরিটা কেড়ে নিয়ে ছিরে ফেলে দিলো।
-আমার পার্সোনাল জিনিস এ হাত দিয়ে আপনি যত বড় ভুল করেছেন।তার থেকে বড় ভুল করেছেন ডায়েরিটা ছিড়ে। এর মাসুল দিতেই হবে।
- তুই কি করবি আমার?
-সেটা সময় হলেই বোঝাবো।( কর্কশ কন্ঠে বলেছিলাম।) সাথে সাথে রাজ তখন ও তিন চারটে থাপ্পড় মারলো।মনে মনে অনেক বকা দিলাম ওর ভাবি,বোন আর ওকে।রাজ ঘুমিয়ে পড়লো।আমি ও কাঁদতে কাঁদতে একসময় ঘুমিয়ে পরলাম। রাত তখন ১:৩০ মিনিট। রাজ আবারো ধর্ষণ খেলায় মেতে উঠতে চাচ্ছে। কিন্তু এবার আমি আর ওকে সুযোগ দিচ্ছি না। ধস্তাধস্তি অনেক হলো কিন্তু ও সেদিন আমার সাথে পেরে উঠলো না।জানি না কেনো? হয়তো ওর শক্তি কমে গিয়েছিল। নয়তো আমার শক্তি বেড়ে গিয়েছিলো।সে যাইহোক আমি সেদিন ওটা নিয়ে ভাবিনি।ও যে ওর প্লান সাকসেস করতে পারিনি তাতেই খুব খুশি ছিলাম।
- কিন্তু আমার এই খুশিটা বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারলাম না।রাজ সেদিন ভয়ংকর এক খেলায় মেতে উঠলো।আমার শরীরের সব জামাকাপড় টেনে হেচরে ছিড়ে ফেলে আমায় বিবস্ত্র করে বাইরে বের করে দিলো।টানা ৩০ মিনিট আমি বাইরে ছিলাম।অনেক অনুরোধ করেছিলাম ঘরের ভিতরে যাওয়ার জন্য কিন্তু কোনো কাজ হলো না।শেষে কোনো উপায় না পেয়ে ওর প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম।তখন ও
ঘরের দরোজা খুলে আমাকে ভিতরে নিয়ে গেলো।ঘরে গিয়ে দেখলাম আমার সমস্ত জামাকাপড় ও ছিড়ে ফেলেছে।আর এমন ভাবে ছিড়েছে যা ইচ্ছে করলেও পড়া যাবে না।
রাগ হলো প্রচুর।তবুও কিছু বললাম না অশান্তির ভয়ে।রাজ আবারো ভোগের খেলায় মেতে উঠলো।সকাল বেলা কি পরবো বুঝতেছিলাম না।শাড়ি কাপড় ও ছিলো না যা দিয়ে নিজেকে পেছিয়ে বের হবো।ভাবতে ভাবতে মাথায় একটা বুদ্ধি এলো।বোরকা আছে তো। বোরকা পরলেই তো হবে।যেমনি ভাবা তেমনি কাজ, পড়ে নিলাম। তারপর ধিরে ধিরে ওর বড় ভাবির কাছে গেলাম।গিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম।সব শুনে উনি আমাকে উনার পেটিকোট, ব্লাউজ আর একটা শাড়ি দিলো।সেটা পড়ে উনার সাথে মেম্বর ভাইয়ের কাছে গেলাম।এবার ভাবি সব বুঝিয়ে বলাতে ভাইয়া আমাদের বাড়িতে ফোন দিয়ে আমার আববুকে বললো।,,,
ইমিডিয়েটলি ১সেট থ্রি পিছ সহ আমার শ্বশুরবাড়িতে আসতে।আব্বু আর ভাইয়া আসার পর আমার বরের ভাই(মেম্বর) একত্রে বসে সব শুনতে চাচ্ছে।রাজ আমাকে অনু রোধ করছিলো বাড়িতে না যাওয়ার জন্য। আমি জানতাম যে রাজ অবলীলায় মিথ্যে বলবে।তার করা কাজগুলোর কথা অস্বিকার করবে।তাই আমিও বুদ্বি আটলাম।
-তুমি বাড়িতে যেয়ো না।আমি প্রমিজ করছি আমি আর খারাপ ব্যবহার করবো না।
-ওহ তাই?
-হুম। আল্লাহর কসম।তুমি শুধু আজ ওদের ফিরিয়ে দাও।তারপর তুমি যা চাইবা তাই পাবা।(ইমোশোনাল হয়ে কথাগুলো বললো)
-আমি যাবো না।কিন্তু একটা শর্ত আছে।সেটা যদি তুমি মানতে পারো তাহলে আমিও কথা দিচ্ছি আমি যাবো না।
-আমি তোমার সব শর্ত মানবো।তুমি শুধু একবার কথা দাও আমায় ছেড়ে যাবা না।
-বললাম তো। আমার শর্ত মোতাবেক কাজ করলে আমি যাবো না।-বলো কি করতে হবে।
-তুমি আমার সাথে
যা করেছো সব স্বিকার করে নিতে হবে।
আমার কথা শুনে ওহ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো।
-কী!
হুম। দুটা অপশন আছে তোমার কাছে। ১ সত্যিটা সবার সামনে স্বিকার করবা।২ আমার চলে যাওয়া দেখা।আর তুমি তো জানো ২নং টা হলে আর কোনোদিন আমাকে পাবা না।সোজা ডিভোর্স হয়ে যাবে।ওকে আমি ১নং টা মেনে নেবো।বাট তুমি তোমার কথা রাখবে তো?
-কোনোদিন কি এমন হয়ছে যে আমি কথা দিয়ে দিয়ে কথা রাখিনি।
-না তা হয়নি। কিন্তু,,,,,,
- কোনো কিন্তু নয়।আমি গেলাম বাকিটা তোমার ব্যাপার।
বলে আমি চলে আসলাম।-একবার শুধু আমার কথার জালে ফেসে যাও। তারপর বুঝবা কত ধানে কত চাল। (মনে মনে কথাগুলো বললাম আমি)
কথাগুলো বলে আমি চলে গেলাম ভাইয়ার কাছে। কিছুক্ষণ পর কথাগুলো উঠলো। আমার ভাসুর আমাকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়ছে বলো তো।
-আপনার ভাইকে জিজ্ঞেস করুন।উনি ই সব বলুক।আমি আর কি বলবো?এবার ওকে ডাকা হলো।ও সব বলে দিলো।তার সাথে এটাও বললো।
- আমাকে এবারের মতো মাফ করে দিন।আমি আর এরকম করবো না।কথা দিলাম।এবার ভাই আমার বাবা মার উদ্দেশে বললো...
-আমি লজ্জিত,আমি জিম্মি হয়ে জুইকে আনার পর ও এতোকিছু হয়ে গেছে।আজকে আমি বলছি আপনারা আপনাদের মেয়েকে নিয়ে যান।আমি দায়মুক্ত হতে চায়।
-চাইলেই কি পাঠানো যায়?জুইকে একবার জিজ্ঞেস করুন ও যেতে চায় কিনা?
প্রিয় পাঠক পাঠিকারা আপনারা ই বলেন জুই এর এখন কি করা উচিত? ১.ডিভোর্স দিবে?
নাকি
২,,রাজকে আর একবার সুযোগ দিবে?
পর্ব ০৬
ডায়েরি কোথায় রাখছোস দে।
- না দেবো না।
- দে বলছি।
- দেবো না।
এভাবে অনেকবার বললো।কিন্তু আমি ডায়েরিটা দিলাম না।সেদিন রাতে ঘরে দরোজা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে অনেক মারলো। আমি প্রচুর কান্না করছিলাম।আমার কান্না শুনে ওর চাচাতো ভাই এবং ভাবিরা এসে দরোজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে খুলে ফেললো।তারপর ওর বোন,মা এবং ভাবি সহ সবাইকে বকা দিয়ে আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে গেলো....
তারপর উনারা আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে ডায়েরিতে এমন কি আছে যার জন্য তুমি ডায়রিটা ওকে দিচ্ছো না।আর রাজও বা ডায়েরিটা নিয়ে কেনো এতো ঝামেলা করছে? তখন আমি ডায়েরিটা ওদের পড়ে শোনালাম।(ডায়েরিটা যেহেতু ঐ বাড়ির ভাবির কাছে ছিলো, তাই চেয়ে নিলাম)ডায়েরি তে যা ছিলো সেটা হলো...
-আম্মু আপু এবং ভাইয়া তোমরা সবাই ভালো আছো জানি।জানো,আমি ভালো নেই। রাজ আমাকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না। মানুষ চিনতে আমরা ভুল করেছিলাম। আমরা ওকে যেরকম জানতাম ও ঠিক তার উল্টো। জানো ও রোজ রোজ কি যেনো একটা খেয়ে এসে আমার উপর অমানুষিক অত্যাচার করে। আমি নিজের সুখ কিনতে গিয়ে নিজের অজান্তে কখন যে দুঃখ কিনে ফেলেছি বুঝতে পারি নি। কখনো কখনো মনে হয় যদি তোমাদের বলতে পারতাম তাহলে হয়তো মনটা হালকা হতো। কিন্তু তা ও পারছি না,এতটাই হতভাগি আমি। যদি এসব শুনে আব্বু আবার তোমাকে মারে সেই ভয়ে সব মুখবুঝে সহ্য করছি মা। জানো মা আমি আর এই কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। এখানে যে কথা গুলা কাউকে বলবো তার ও কোনো সুযোগ নেই, কারণ যদি আবার কাউকে বলে দেয়।
জানো মা, তোমরা সবাই মিলে যে মেয়েকে এত আদরে বড় করেছিলে,আর মানুষ করেছিলে,সেই মেয়ে আজ অবহেলিতো, কতটা অবহেলিত তা তুমি কল্পনাও করতে পারবানা মা, জানো মা তোমাদের আদরের সেই মেয়ের সারা শরীরে আজ মারের দাগ।নিজে না খেয়ে যাকে আদর করে খাইয়ে দিতে,এবং জোর করে খাওয়াতে। যে ভুলেও কখনো না খেয়ে থাকতো না।সে ইচ্ছে করলেও আজ ভাত খাইনা, আজ খিদা থাকা স্বত্তেও তার গলা দিয়ে ভাত নামে না। একটানা তিন চারদিন না খেয়ে থাকে।যাইহোক ভালো থেকো।গলা ভারি হয়ে আসছে, হাতেও শক্তি পাচ্ছি না যে আরো কিছু লিখবো।
ডাইরীর_প্রথম পাতায় লিখা ছিল এত টুকু...
দ্বিতীয় পাতায় ছিলো,বড় আশা নিয়ে এসেছিলাম এই বাড়িতে।তোমার হাত ধরে,আমার সব আশা,আশা ই রয়ে গেল।
তৃতীয় পাতায় ছিলো,,,,
অনেক স্বপ্ন ছিলো তোমাকে নিয়ে কিন্তু স্বপ্নটা আর বাস্তবে পরিণত হলো না।সব স্বপ্ন ই রয়ে গেল।
চতুর্থ পাতায় ছিলো,,,
একদিন তুমি বলেছিলে করে আমায় বিয়ে,সাজাবে সুখের বাসর।
তবে আজ কেনো সাজাতে চাচ্ছো,
আমার মাটির কবর।
বলেছিলে তুমি ভালোবেসে আমায়,
রাখবে তোমার বুকে।
প্রয়োজনে কোরবানি দিবে নিজেকে ।
সুখে রাখতে আমাকে।
আদরে আদরে রাখবে সারাটিজীবন, বলেছিলে তুমি সেদিন।
কতই না হেসেছিলাম আমি লাজ্জা মুখের চোখে লুকিয়ে সেদিন।
এখন আমি সারারাত কাঁদি,দুঃখে কাটে আমার সারাটাদিন।
তিলে তিলে আমায় মারবে এভাবে,
বলেছিলে নাতো সেদিন।
তোমার দেখানো সব স্বপ্ন আজ
বলো কোথায় হলো বিলীন।
কেনো ইদানিং তোমার এতো পরিবর্তন হচ্ছে রাজ বলো? আদরে আদরে রাখবে সারাটিজীবন বলেছিলে তুমি যেদিন।শেষ পাতায় ছিলো। স্বামী জিনিস টা আমার ভাগ্যে আসলেই সাপোর্ট করে নাই।
সবটা শুনে ওরা আমায় বললো তুমি এগুলো ডায়েরিতে লিখেছো কেনো?আর যখন লিখেই ফেলেছো তখন এটা সামলে রাখতে পারতে।তাহলে আর যাইহোক এভাবে মার খেতে হতো না।
-কি করবো আমি বলেন? দম বন্ধ হয়ে আসছিলো আমার, তাই বসে বসে ওগুলো লিখছি।
বলতে না বলতেই সেখানে রাজ ও রাজ এর বোন এসে যায়।রাজ আমার থেকে ডায়েরিটা কেড়ে নিয়ে ছিরে ফেলে দিলো।
-আমার পার্সোনাল জিনিস এ হাত দিয়ে আপনি যত বড় ভুল করেছেন।তার থেকে বড় ভুল করেছেন ডায়েরিটা ছিড়ে। এর মাসুল দিতেই হবে।
- তুই কি করবি আমার?
-সেটা সময় হলেই বোঝাবো।( কর্কশ কন্ঠে বলেছিলাম।) সাথে সাথে রাজ তখন ও তিন চারটে থাপ্পড় মারলো।মনে মনে অনেক বকা দিলাম ওর ভাবি,বোন আর ওকে।রাজ ঘুমিয়ে পড়লো।আমি ও কাঁদতে কাঁদতে একসময় ঘুমিয়ে পরলাম। রাত তখন ১:৩০ মিনিট। রাজ আবারো ধর্ষণ খেলায় মেতে উঠতে চাচ্ছে। কিন্তু এবার আমি আর ওকে সুযোগ দিচ্ছি না। ধস্তাধস্তি অনেক হলো কিন্তু ও সেদিন আমার সাথে পেরে উঠলো না।জানি না কেনো? হয়তো ওর শক্তি কমে গিয়েছিল। নয়তো আমার শক্তি বেড়ে গিয়েছিলো।সে যাইহোক আমি সেদিন ওটা নিয়ে ভাবিনি।ও যে ওর প্লান সাকসেস করতে পারিনি তাতেই খুব খুশি ছিলাম।
- কিন্তু আমার এই খুশিটা বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারলাম না।রাজ সেদিন ভয়ংকর এক খেলায় মেতে উঠলো।আমার শরীরের সব জামাকাপড় টেনে হেচরে ছিড়ে ফেলে আমায় বিবস্ত্র করে বাইরে বের করে দিলো।টানা ৩০ মিনিট আমি বাইরে ছিলাম।অনেক অনুরোধ করেছিলাম ঘরের ভিতরে যাওয়ার জন্য কিন্তু কোনো কাজ হলো না।শেষে কোনো উপায় না পেয়ে ওর প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম।তখন ও
ঘরের দরোজা খুলে আমাকে ভিতরে নিয়ে গেলো।ঘরে গিয়ে দেখলাম আমার সমস্ত জামাকাপড় ও ছিড়ে ফেলেছে।আর এমন ভাবে ছিড়েছে যা ইচ্ছে করলেও পড়া যাবে না।
রাগ হলো প্রচুর।তবুও কিছু বললাম না অশান্তির ভয়ে।রাজ আবারো ভোগের খেলায় মেতে উঠলো।সকাল বেলা কি পরবো বুঝতেছিলাম না।শাড়ি কাপড় ও ছিলো না যা দিয়ে নিজেকে পেছিয়ে বের হবো।ভাবতে ভাবতে মাথায় একটা বুদ্ধি এলো।বোরকা আছে তো। বোরকা পরলেই তো হবে।যেমনি ভাবা তেমনি কাজ, পড়ে নিলাম। তারপর ধিরে ধিরে ওর বড় ভাবির কাছে গেলাম।গিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম।সব শুনে উনি আমাকে উনার পেটিকোট, ব্লাউজ আর একটা শাড়ি দিলো।সেটা পড়ে উনার সাথে মেম্বর ভাইয়ের কাছে গেলাম।এবার ভাবি সব বুঝিয়ে বলাতে ভাইয়া আমাদের বাড়িতে ফোন দিয়ে আমার আববুকে বললো।,,,
ইমিডিয়েটলি ১সেট থ্রি পিছ সহ আমার শ্বশুরবাড়িতে আসতে।আব্বু আর ভাইয়া আসার পর আমার বরের ভাই(মেম্বর) একত্রে বসে সব শুনতে চাচ্ছে।রাজ আমাকে অনু রোধ করছিলো বাড়িতে না যাওয়ার জন্য। আমি জানতাম যে রাজ অবলীলায় মিথ্যে বলবে।তার করা কাজগুলোর কথা অস্বিকার করবে।তাই আমিও বুদ্বি আটলাম।
-তুমি বাড়িতে যেয়ো না।আমি প্রমিজ করছি আমি আর খারাপ ব্যবহার করবো না।
-ওহ তাই?
-হুম। আল্লাহর কসম।তুমি শুধু আজ ওদের ফিরিয়ে দাও।তারপর তুমি যা চাইবা তাই পাবা।(ইমোশোনাল হয়ে কথাগুলো বললো)
-আমি যাবো না।কিন্তু একটা শর্ত আছে।সেটা যদি তুমি মানতে পারো তাহলে আমিও কথা দিচ্ছি আমি যাবো না।
-আমি তোমার সব শর্ত মানবো।তুমি শুধু একবার কথা দাও আমায় ছেড়ে যাবা না।
-বললাম তো। আমার শর্ত মোতাবেক কাজ করলে আমি যাবো না।-বলো কি করতে হবে।
-তুমি আমার সাথে
যা করেছো সব স্বিকার করে নিতে হবে।
আমার কথা শুনে ওহ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো।
-কী!
হুম। দুটা অপশন আছে তোমার কাছে। ১ সত্যিটা সবার সামনে স্বিকার করবা।২ আমার চলে যাওয়া দেখা।আর তুমি তো জানো ২নং টা হলে আর কোনোদিন আমাকে পাবা না।সোজা ডিভোর্স হয়ে যাবে।ওকে আমি ১নং টা মেনে নেবো।বাট তুমি তোমার কথা রাখবে তো?
-কোনোদিন কি এমন হয়ছে যে আমি কথা দিয়ে দিয়ে কথা রাখিনি।
-না তা হয়নি। কিন্তু,,,,,,
- কোনো কিন্তু নয়।আমি গেলাম বাকিটা তোমার ব্যাপার।
বলে আমি চলে আসলাম।-একবার শুধু আমার কথার জালে ফেসে যাও। তারপর বুঝবা কত ধানে কত চাল। (মনে মনে কথাগুলো বললাম আমি)
কথাগুলো বলে আমি চলে গেলাম ভাইয়ার কাছে। কিছুক্ষণ পর কথাগুলো উঠলো। আমার ভাসুর আমাকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়ছে বলো তো।
-আপনার ভাইকে জিজ্ঞেস করুন।উনি ই সব বলুক।আমি আর কি বলবো?এবার ওকে ডাকা হলো।ও সব বলে দিলো।তার সাথে এটাও বললো।
- আমাকে এবারের মতো মাফ করে দিন।আমি আর এরকম করবো না।কথা দিলাম।এবার ভাই আমার বাবা মার উদ্দেশে বললো...
-আমি লজ্জিত,আমি জিম্মি হয়ে জুইকে আনার পর ও এতোকিছু হয়ে গেছে।আজকে আমি বলছি আপনারা আপনাদের মেয়েকে নিয়ে যান।আমি দায়মুক্ত হতে চায়।
-চাইলেই কি পাঠানো যায়?জুইকে একবার জিজ্ঞেস করুন ও যেতে চায় কিনা?
প্রিয় পাঠক পাঠিকারা আপনারা ই বলেন জুই এর এখন কি করা উচিত? ১.ডিভোর্স দিবে?
নাকি
২,,রাজকে আর একবার সুযোগ দিবে?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন